• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
জামিনে মুক্তি পেলেন সেই খালেদা, অঝোরে কাঁদলেন মেয়েকে জড়িয়ে
এনজিওর ঋণের দায়ে তিন বছরের শিশুকে রেখে কারাগার যাওয়া সেই মা খালেদা পারভিন অবশেষে মুক্ত হয়েছেন। মুক্তি পেয়েই আদরের শিশুকন্যা ফাতেমাকে বুকে জড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের আমলি আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান খালেদা। এর আগে গত ১০ এপ্রিল ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় এনজিওর করা মামলায় খালোদাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে গ্রেপ্তারের সময় উল্লাপাড়া মডেল থানা চত্বরে তিন বছরের শিশুকন্যা ফাতেমাকে রেখে পুলিশ ভ্যানে ওঠার মুহূর্তে মা-মেয়ের কান্নায় এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। আর সেদিন সেই ছোট শিশুর কান্নাজড়িত মুখ হৃদয়ে দাগ কাটে সবার। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর ওই দিন রাতেই বিষয়টি চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠিত বহুজাতিক এক শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিকের নজরে আসে। চট্টগ্রামের ওই শিল্পপ্রতিষ্ঠান কারাগারে বন্দি খালেদা ঋণ পরিশোধসহ আইনি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন। পরদিন খালেদার সুদসহ ঋণের সব অর্থ পরিশোধ করা হয় ও আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে ঈদের ছুটির কারণে আদালত বন্ধ থাকায় খালেদাকে জামিন করানো সম্ভব হয়নি। পরে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) আদালত খুললে জামিনে মুক্ত হন খালেদা।   এ বিষয়ে খালেদার স্বামী ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ‘উদ্দীপন’ নামের একটি সংস্থা থেকে দুই বছর আগে ৩০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন তার স্ত্রী। সংসারের চরম দুর্দিন হওয়ায় খালেদাকে নিয়ে ৬ মাস হলো ঢাকায় পোশাক কারখানায় কাজ নিয়েছিলাম। ইব্রাহিম হোসেন জানান, এর আগে বেশ কয়েকটি কিস্তিতে তিনি ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। সুদ-আসল মিলে ১৮ হাজার ৩০০ টাকা পেত ওই ঋণদানকারী সংস্থা। ঈদের আগের দিন রাতে সপরিবারে বাড়িতে ফিরলে উদ্দীপনের করা ঋণের মামলায় উল্লাপাড়া থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে খালেদাকে। এ সময় আমার ৩ বছরের মেয়ে ফাতেমার কান্না থামছিল না। মাকে না পেয়ে থানায় মধ্যে অঝোরে কাঁদছিলো ফাতেমা। পরে আদালত খালেদাকে কারাগারে পাঠান। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনাটি প্রকাশ হওয়ার পর আমাদের সব ঋণ পরিশোধ করেন দিয়েছেন একজন। সেই সঙ্গে মামলাটি প্রত্যাহারে সব ব্যবস্থা করেছেন। এখন আর কোনো ঋণ নেই আমাদের। আমাদের এই বিপদে যারা পাশে দাঁড়িয়েছেন তাদের সবার জন্য আমার পরিবারে পক্ষ থেকে অনেক দোয়া রইলো বলেও জানান তিনি। উদ্দীপন এনজিওর লিগ্যাল এডভাইজার অ্যাডভোকেট সুমন জানান, সুদসহ ঋণের সব অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে। এ জন্য আমাদের প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মামলাটি প্রত্যাহারের সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:০৩

বড় মেয়েকে নিয়ে গোপনে বাংলাদেশ ছাড়লেন সেই জাপানি মা
কাউকে কিছু না বলে গোপনে বড় মেয়ে জেসমিন মালিকাকে নিয়ে বাংলাদেশ ছাড়লেন সেই জাপানি মা নাকানো এরিকো। গত ৯ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৩টায় তিনি বাংলাদেশ ছেড়ে জাপানে চলে যান। এমনটিই অভিযোগ জাপানি শিশুদের বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফের। দেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া বক্তব্যে শরীফ বলেন, আদালতের স্থিতাবস্থা থাকার পরও নাকানো এরিকো আদেশ অমান্য করেছেন। বড় মেয়ে জেসমিন মালিকাকে নিয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে চলে গেছেন।  জানা যায়, হাইকোর্ট গত ১৩ ফেব্রুয়ারি জাপানি শিশু জেসমিন মালিকা (বড়) ও তার ছোট বোন সোনিয়া তাদের জাপানি মা নাকানো এরিকোর কাছে থাকবে, এ মর্মে রায় দেন। একই সাথে বলেন, মেজ মেয়ে লাইলা লিনা তাদের বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফের কাছে থাকবে। তবে এই রায়ের ওপর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত ৯ এপ্রিল স্থিতাবস্থা জারি করেন এবং পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন ১৫ এপ্রিল। কিন্তু তার আগেই ৯ এপ্রিল বিকেলে নাকানো এরিকো বড় মেয়েকে নিয়ে চুপিসারে চলে যান জাপানে।  ‘আদেশ অমান্য করার’ এই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করেছেন শিশুদের বাবা ইমরান শরীফ। তার সেই আবেদনের ওপর  সোমবার (১৫ এপ্রিল) চেম্বার আদালতে শুনানি হয়। আদালত আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য আগামী ২১ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন। এ ব্যাপারে শিশুদের বাবা ইমরান শরীফের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম বলেন, সন্তানদের দেশের বাইরে যেতে আদালতের স্থিতাবস্থা ছিল। তা স্বত্বেও বড় সন্তানকে নিয়ে নাকানো এরিকো চলে গেছেন। এ কারণে আমরা আদালত অবমাননার আবেদন করেছি।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:১৯

স্বামী গর্ভের সন্তান নষ্ট করায় সৎ মেয়েকে হত্যা
স্বামী গর্ভের সন্তান নষ্ট করায় মেয়ে জোনাকিকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন সৎ মা নার্গিস বেগম। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে লাশ উদ্ধারের ১০ ঘন্টা পর হত্যার দায় স্বীকার করেন তিনি। এসব তথ্য জানান যশোর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম। তিনি জানান, এ ঘটনায় নার্গিস বেগমের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। নার্গিস পুলিশকে জানান, এ পর্যন্ত তিনবার তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করেছেন স্বামী। সেই ক্ষোভে তিনি সৎ মেয়ে জোনাকিকে কৌশলে বাড়িতে এনে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। জোনাকি যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানাধীন পোড়াবাড়ি গ্রামের শাহীন তরফদারের মেয়ে। সে তার নানির কাছে থাকত। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে যশোর শহরের রেলগেট পশ্চিমপাড়া মডেল মসজিদের পাশে পুকুর থেকে জোনাকির (৯) লাশ উদ্ধার করা হয়। তার মুখ, হাত, পা ও গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। এ ঘটনায় তার সৎ মাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন জোনাকির সৎ মা নার্গিস বেগম। হত্যার দায় স্বীকারের পর মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে নার্গিস বেগমকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সে হত্যাকাণ্ডের বিবরণ দেয়। এ সময় জোনাকির কাপড় ও জুতা উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে নার্গিস জানান, তার স্বামী গর্ভে আসা তিনটি সন্তান নষ্ট করেছে। এ কারণে তিনি ক্ষুব্ধ ছিলেন। জোনাকি বেড়াতে আসার পর তিনি ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে তাকে হত্যা করেন। হত্যার পর লাশ দরজার পাশে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন। বাড়ির সবাই জোনাকিকে খুঁজে না পেয়ে থানায় জিডি করতে গেলে লাশ নিয়ে পুকুরে ফেলে আসেন। যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, জোনাকি সোমবার সকাল ১০টার দিকে নিখোঁজ হয়। ঘটনার দিন রাতেই যশোর কোতয়ালি মডেল থানায় ডিজি করে শিশুটির পরিবার। মঙ্গলবার বাসার পিছনের ডোবা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঈদের আগে বেড়াতে এসে সৎ মায়ের হাতে খুন হয় শিশু জোনাকি।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:১০

‘আমার মেয়েকে ভিক্ষা চাই’
রাজধানীর বেইলি রোডে আগুনে নিহত নারী সাংবাদিকের নাম জটিলতার কারণে লাশ এখনও হস্তান্তর করা হয়নি। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তার আসল নাম বৃষ্টি খাতুন। তার বাবা সবুজ শেখ জানান, ইসলামি বিধান মেনে মেয়ের মরদেহ দাফন করতে চান। তবে এই দাবি নাকচ করেছেন পূজা উদযাপন পরিষদ নেতারা। তারা বলছেন, নিহতের মরদেহ দাফন নয়, দাহ হবে সনাতন রীতিতে। শনিবার (২ মার্চ) বিকালে অভিশ্রুতি বা বৃষ্টির মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে মেয়েকে ফিরে পাওয়ার আকুতি জানিয়েছেন। বিউটি বেগম বলেন, ‘আমার সোনাকে আমার বুকে দেন না কেন? প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানালাম, আমার মেয়েকে ভিক্ষা চাই। ও আমার বড় সন্তান। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করি, আমার সোনাকে আমার কাছে এনে দেন।’ তিনি বলেন, ‘আমার বুক যে হাহাকার করছে। আমার সোনাকে আমাকে দেন। একটা মা আপনার কাছে আবদার করছে। আমার মেয়েরে আমার কাছে দেন। আমার বুকের মানিক আমারে কাছে দেন একটু। আমি আমার বুকটা ঠান্ডা করি। আমার সোনারে আমার কাছে দেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি আবেদন করছি, আমার সোনাকে আমার কাছে দিক।’ বৃষ্টির বাবা সবুজ শেখ বলেন, ‘বৃষ্টি আমার মেয়ে। আমার মেয়ের লাশ এখনও বুঝে পাইনি। তার মরদেহের জন্য অপেক্ষা করছি।’ অভিশ্রুতি শাস্ত্রী বা বৃষ্টি খাতুনের আত্মীয় হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘নিহত অভিশ্রুতি আমার ফুফাতো বোনের মেয়ে। শুক্রবার (১ মার্চ) রাত পর্যন্ত কথা ছিল বৃষ্টি খাতুনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। পরে পুলিশ তাদের জানায়, ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া লাশ হস্তান্তর করা হবে না। বৃষ্টির বাবা সবুজ শেখ লাশ নেওয়ার জন্য শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে বসে আছেন। এই ইনস্টিটিউটের মর্গেই রাখা হয়েছে বৃষ্টির লাশ। ডিএনএ পরীক্ষা হলে হবে। এতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই।’ রমনা মডেল থানার উপপরিদর্শক এসআই আমেনা খাতুন জানিয়েছে, বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতির (২৬) পরিচয় শনাক্তের জন্য তার ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষায় তার পরিবারের সঙ্গে ম্যাচ করলেই মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এ সময় নিহতের পরিচয় শনাক্তে তার ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা তার জাতীয় পরিচয় পত্রে পেয়েছি বৃষ্টি খাতুন এবং আমরা জানতে পেরেছি তার অন্য একটি নাম আছে, সেটি অভিশ্রুতি শাস্ত্রী। এ কারণে আমরা তার মরদেহের ময়নাতদন্ত করিয়েছি। তবে তার পরিবারের কাছে এখন পর্যন্ত মরদেহ হস্তান্তর করতে পারিনি। তবে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের পর তার পরিবারের সঙ্গে ম্যাচ করলেই মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। প্রসঙ্গত, সহকর্মী তুষার হাওলাদারের সঙ্গে গত বৃহস্পতিবার রাতে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন ওই নারী সাংবাদিক। সেসময় ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ গেছে মোট ৪৬ জনের। ওই নারী সাংবাদিকও রয়েছেন তাদের মধ্যে। প্রাথমিকভাবে যাকে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে শনাক্ত করেন সহকর্মীরা। বৃষ্টি খাতুন নাকি অভিশ্রুতি শাস্ত্রী এ দুই নামের জটিলতায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইন্সটিটিউটের মর্গে পড়ে আছে মরদেহ। হস্তান্তর নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। এদিকে আহতদের চিকিৎসায় ১৭ সদস্যের যে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে, ডা. শারফুদ্দিন তার একজন সদস্য। ওই নারী সাংবাদিকের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তার পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। জানা গেছে, অভিশ্রুতি কিংবা বৃষ্টির গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বনগ্রাম প‌শ্চিমপাড়া। সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রে তার নাম বৃষ্টি। তবে তার বায়োডাটায় দেখা গেছে তিনি একজন সনাতন ধর্মাবলম্বী। বৃষ্টির ফুফু রোজিনা আক্তার জানান, তিনি সাভারে থাকেন। বৃষ্টি তার সঙ্গেই সাভারে থাকতেন। যাতায়াতের দূরত্ব কমানোর চিন্তা করেই বৃষ্টি হোস্টেলে ওঠেন। এখন নাম জটিলতায় তার লাশটিও পেতে পরিবারের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। ডিএনএ পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে লাশ হস্তান্তর করা হবে বলে প্রশাসন থেকে জানিয়েছে। তিনি বলেন, ২৯ ফেব্রুয়ারি বৃষ্টি তার মা বিউটি বেগমকে ফোন করে জানিয়েছিল অনুষ্ঠান শেষ হলো। সে হোস্টেলে ফিরবে। তারপর রাতে কথা বলবে। কিন্তু আর কথা হয়নি। পরের দিন ১ মার্চ খবর আসলো বৃষ্টি আর নেই। ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদ বলেন, অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর আসল নাম বৃষ্টি। তিনি মুসলিম। বৃষ্টি ইডেন কলেজে পড়াশোনা করতেন। সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রে তার নাম বৃষ্টি। নিহত সাংবাদিকের বাবা শাবলুল আলম সবুজ রাজধানী ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। দরিদ্র পিতার তিনটিই কন্যাসন্তান। বৃষ্টি খাতুন সবার বড়। মেজ মেয়ে শারমিনা সুলতানা ঝর্ণা রাজবাড়ী সরকারি কলেজে প্রথম বর্ষের ছাত্রী। ছোট মেয়ে বর্ষা পড়ে দশম শ্রেণিতে। বৃষ্টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে পড়েছেন গ্রামের বিদ্যালয়ে। উচ্চ মাধ্যমিক পড়েছেন কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে। বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ঢাকার ইডেন কলেজে দর্শন শাস্ত্র নিয়ে পড়েছেন। উচ্চশিক্ষা শেষ করার আগে বিসিএস কোচিং নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। নিহতের ছোট বোন শারমিনা সুলতানা ঝর্ণা বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে মায়ের সঙ্গে বৃষ্টির শেষবার মোবাইল ফোনে কথা হয়। তার বোন হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন কিনা এমন প্রশ্নে ঝর্ণা বলেন, এটা হতেই পারে না। আমার বোন মনেপ্রাণে একজন মুসলিম। সে কখনই নিজ ধর্ম ত্যাগ করেনি। তবে সম্প্রতি তার বোন অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে ফেসবুক আইডি খুলেছিলেন এবং ওই নামেই সাংবাদিকতা করতেন বলে স্বীকার করেন ঝর্ণা।  
০৩ মার্চ ২০২৪, ০২:২৩

মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার যাবজ্জীবন
বান্দরবানের লামায় মেয়েকে ধর্ষণ করার দায়ে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড আনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বান্দরবানের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ বিচারক জেবুন্নাহার আয়শা এ আদেশ দেন। জানা যায়, চোবাহান জোমাদার (৩৯) নামের ওই ব্যক্তি নিজের কিশোরী কন্যাকে ধর্ষণ করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।  যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত চোবাহান জোমাদার উপজেলার রুপসীপাড়া ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ড নুর আলী পাড়া এলাকার বাসিন্দা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাজী সালাউদ্দিন কাদের প্রিন্স। তিনি জানান, নিজের মেয়ে ধর্ষণ করার দায়ে চোবাহান জোমাদারকে সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও একই সঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সালে হালিমা বেগমের সঙ্গে চোবাহানের বিয়ে হয়। তাদের ঘর আলোকিত করে একটি কন্যা শিশু জন্ম নেয়। দাম্পত্য জীবনে সম্পর্কের অবনতি হলে ২০১০ সালে ডিভোর্স হয় তাদের। সে থেকে শিশুটি মেয়ের সঙ্গে মামার বাড়িতে থাকতেন। আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে ২০১৮ সালে নিজের কিশোরী কন্যাকে বাবা চোবাহান জোমাদার নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। ওই বছরের ১৯ মে রাত সাড়ে ৭টার দিকে মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে চোবাহান জোমাদার। সেই থেকে ওই বছরের ৩ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সময় পালাক্রমে ধর্ষণ করে আসছিলেন তিনি।  পরে মামার বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি মাকে জানালে ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর কিশোরীর মামা মো. রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। দীর্ঘ সময়ে ধরে সাক্ষ্যপ্রমাণ গ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩২

ইজতেমায় বাংলাদেশি মেয়েকে বিয়ে করলেন শ্রীলঙ্কান নাগরিক
বিশ্ব ইজতেমায় দ্বিতীয় পর্বের দ্বিতীয় দিন বাদ-আছর ১৪ জোড়া বর-কনের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন একজন বিদেশি নাগরিক। জানা গেছে, রাসেদ নামের ওই শ্রীলঙ্কান ব্যক্তি বাংলাদেশি মেয়ে শারমিন আক্তারকে যৌতুকবিহীন বিয়ে করেন।  শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সোয়া ৫টায় মাশোয়ারার কামড়ায় ১৪ জোড়া বর-কনের বিয়ে পড়ান মাওলানা ইউসুফ বিন সা’দ। বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মাওলানা সা’দ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ শনিবার বিকেল সোয়া ৫টায় মাশোয়ারার কামড়ায় ১৪ জোড়া বর-কনের বিয়ে পড়িয়েছেন। বিয়ের পর উপস্থিত মুসল্লিদের মাঝে খেজুর বিতরণ করা হয়। বিশ্ব ইজতেমার অন্যতম আকর্ষণ ছিল এই যৌতুকবিহীন বিয়ে। সম্পূর্ণ ইসলামি শরিয়া মেনে তাবলিগের রেওয়াজ অনুযায়ী ইজতেমার বয়ান মঞ্চের পাশে বসে যৌতুকবিহীন বিয়ের আসর। কনের সম্মতিতে বর ও কনে পক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়। এজন্য সকাল থেকে অভিভাবকরা হবু দম্পতির নাম তালিকাভুক্ত করান। বিয়ের পর বয়ান মঞ্চ থেকে মোনাজাতের মাধ্যমে সব নব দম্পতির সুখ-সমৃদ্ধিময় জীবন কামনা করা হয়। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে আম বয়ানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। রোববার (১১ জানুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বিশ্ব ইজতেমা। এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হয় ইজতেমার প্রথম পর্ব।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৫৫

সৎ মাকে ফাঁসাতে নিজের মেয়েকে হত্যা করান মা
ফেনীর পরশুরামে নিজের মেয়েকে হাত, পা ও মুখ বেঁধে হত্যার ঘটনায় মা আয়েশা আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  পুলিশ জানায়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে নিহত শিশু লামিয়ার বাবা মো. নূর নবী বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের মা আয়েশা আক্তার ও সৎ মা রেহানা আক্তারকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার সকালে আয়েশাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সৎ মা রেহানাকে বাদীর জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে নিহত লামিয়ার বাবা নূর নবী বলেন, বিচ্ছেদের পরেও আমার আগের স্ত্রী আয়েশার সাথে বিরোধ চলে আসছিল। আমাকে ও আমার বর্তমান স্ত্রীকে ফাঁসাতেই সে এ হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেছে। পরশুরাম মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আয়েশা আক্তার তার উম্মে সালমা লামিয়াকে (৭) হত্যার পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেছেন। তবে হত্যার সঙ্গে জড়িত দুই যুবককে এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এর আগে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে হেলমেট পরিহিত দুই যুবক বিদ্যুতের লোক পরিচয় দিয়ে নূর নবীর ঘরে প্রবেশ করে তার ছোট মেয়েকে হাত, পা ও মুখ বেঁধে হত্যা করে। তার অপর মেয়ে কৌশলে পালিয়ে রক্ষা পায়। তাকে ফেনী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫২

মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে দুই নারীর হাতে বাবা খুন
বগুড়ার গাবতলীতে প্রতিবেশী দুই নারীর লাঠির আঘাতে আমজাদ হোসেন (৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত আমজাদ ওই গ্রামের আজিমুদ্দিনের ছেলে ও পেশায় একজন কৃষক ছিলেন। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে বাড়ির উঠানে বেঁধে রাখা ভেড়ার পালের দড়ি খুলে দেওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বে উপজেলার লাঠিমারা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গাবতলী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, প্রায় ১৫ দিন আগে লাঠিমারা গ্রামে ববিতা বেগমের বাড়ির উঠানে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা ভেড়ার পালের বাঁধন অজ্ঞাত কেউ খুলে দেয়। কয়েক ঘণ্টা পর পালে থাকা ৮টি ভেড়া তিনি খুঁজেও পান। তিনি নিহত আমজাদের মেয়ে ফাতেমাকে দড়ির বাঁধন খুলে দেওয়ার জন্য সন্দেহ করেন ও উভয়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। বুধবার বিকেলে আবারও ভেড়ার পালের দড়ি খুলে দেওয়ার জের ধরে ববিতা তার বান্ধবী চামেলিকে নিয়ে ফাতেমাকে মারপিট শুরু করেন। মেয়েকে উদ্ধার করতে গেলে আমজাদকেও লাঠিসোটা দিয়ে মারধর করা হয়। পরে গ্রামবাসী আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে গাবতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওসি আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে দুই নারীর লাঠির আঘাতে আমজাদের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫০

বাবা-মা ও মেয়েকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় মামলা
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ পৌর এলাকায় এক দম্পতি ও তাদের মেয়েকে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় পূর্বশত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর নিহত বিকাশ সরকারের স্ত্রীর বড় ভাই সুকমল চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলাটি করেন। তাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  ওসি বলেন, মামলার বাদী সুকমলের বাড়ি বগুড়ার নন্দীগ্রামে। মামলার এজাহারে পূর্বশত্রুতার জেরে বোন জামাই, বোন ও ভাগনিকে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। তবে রাত ৯টা পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি বলে জানান। প্রসঙ্গত, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার পৌর এলাকার বারোয়ারি বটতলা মহল্লায় তিনতলা নিজ বাসায় থাকতেন ব্যবসায়ী বিকাশ সরকার, তার স্ত্রী স্বর্ণা সরকার ও তাদের দশম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে পারমিতা সরকার তুষি। গেল শনিবার সন্ধ্যা থেকে তাদের বারবার কল দিলেও ফোন না ধরায় দুশ্চিন্তায় পড়েন স্বজনেরা। পরে স্থানীয় প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খোঁজ নিলে জানতে পারেন বাসা তালাবদ্ধ। এদিন মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) ভোরে তাড়াশ থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে বাসার তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করলে বিকাশ ও তার স্ত্রী কন্যার গলাকাটা মরদেহ দেখতে পায়। এ ঘটনায় হতবাক স্বজনেরা। খবর পেয়ে র‌্যাব, পুলিশ, সিআইডি ও পিবিআইয়ের একাধিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেন। মরদেহগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। নিহতরা হলেন- ওই এলাকার কালিচরণ সরকারের ছোট ছেলে বিকাশ সরকার (৪৫), তার স্ত্রী স্বর্ণা রানী সরকার (৪০) ও তাদের একমাত্র সন্তান তাড়াশ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী পারমিতা সরকার তুষি (১৫)।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪৫

মেয়েকে নিয়ে আর গ্রামে ফিরবেন না বাবা
'গ্রামের বাড়িতে গিয়া কী করবাম? মাইনষে নানা কথা কইবা। এইসব তো আমার ছেড়ি (মেয়ে) সইতা পারতা না। মাইনষের মুখ তো আর বাইন্দা রাখতাম পারতাম না। সবডাই আমারার মতা গরিবের দুর্ভাগ্য।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে এমনভাবেই নিজের অসহায়ত্বের কথা বলছিলেন এক বাবা। গত মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) ভুলবশত লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠে ধর্ষণের শিকার হয় তার কিশোরী (১৪) মেয়ে। গতকাল দুপুরে লালমনিরহাট চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে মেয়েটি। এরপর বিকেলে আদালতের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয় তাকে। কিন্তু মেয়েকে নিয়ে লোকলজ্জার ভয়ে আর গ্রামে ফিরতে চাইছেন না অসহায় বাবা। সমাজের মানুষের কটু কথা থেকে মেয়েকে বাঁচাতে মুখ লুকাতে চান অচেনা মানুষের ভীড়ে। ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার একটি গ্রামে। মা–বাবার সঙ্গে সে গাজীপুরের জয়দেবপুরে থাকে। গত মঙ্গলবার রাতে তার জয়দেবপুর রেলস্টেশন থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভুলবশত ‘লালমনি এক্সপ্রেস’ ট্রেনে উঠে পড়ে মেয়েটা। দিবাগত রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে ট্রেনের অ্যাটেনডেন্ট আক্কাস গাজী তার টিকিট দেখতে আসেন। টিকিট না থাকায় আক্কাস গাজী তাকে একটি আসনে বসিয়ে দেন। এরপর আনুমানিক সকাল সাড়ে আটটার দিকে অ্যাটেনডেন্ট আসন থেকে তাকে কেবিনে এনে দরজা বন্ধ করে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। পরে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে লালমনিরহাটের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় মামলা করার পর আক্কাস গাজীকে (৩২) গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ এলাকার বাসিন্দা আক্কাসের বিরুদ্ধে গতকাল বৃহস্পতিবার বিভাগীয় মামলাও করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এর আগে গত বুধবার আক্কাস গাজীকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে গতকাল তার এক বাক্‌প্রতিবন্ধী ভাই ছাড়া অন্য কাউকে পাওয়া যায়নি। যাত্রীবাহী ট্রেনে ধর্ষণের ঘটনাটি জানার পর বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়ে পড়েন গ্রামের বাসিন্দারা। অপরাধীর দ্রুত ও কঠোর বিচারের দাবি জানানোর পাশপাশি কিশোরীর জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করেন তারা।  শুক্রবার দুপুরে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে কিশোরীর বাবা জানান, মেয়েকে নিয়ে তিনি  আর গ্রামের বাড়িতে যাবেন না। শারীরিক ধকলের পর তার অবুঝ মেয়েটি কারও কটু কথা সহ্য করতে পারবে না। চলে যাবেন কোন অজানা শহরে, যেখানে কেউ চিনবেন না তাদের।    
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:০৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়