• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
১৫ দিনেও মুক্তি মেলেনি জিম্মি নাবিকদের
সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ ও জিম্মি ২৩ নাবিককে এখনও উদ্ধার করা সম্ভাব হয়নি। গত ১২ মার্চ জাহাজটি ছিনতাইয়ের পর বিভিন্নভাবে চেষ্টা ও দস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে সমাধান আসেনি। যদিও জাহাজের মালিকপক্ষ বলছে, ঈদের আগেই নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এমভি আবদুল্লাহর মালিক প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মুখপাত্র মো. মিজানুল ইসলাম বলেন, দস্যুদের সঙ্গে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়েছে। ঈদের আগেই নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে বিভিন্নভাবে জোর চেষ্টা চলছে।  এদিকে, জিম্মি শামসুদ্দিনের ভগ্নিপতি বদরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, নাবিকরা সবাই সুস্থ আছে বলে আমার শ্যালক জানিয়েছেন। তবে গত কিছুদিন ধরে জাহাজে এক ইংরেজি জানা লোক যুক্ত হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তার মাধ্যমে দস্যুরা জাহাজ মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। এর আগে, গত ৪ মার্চ আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটি কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১২ মার্চ দুপুরে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি। উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর আরবসাগরে একই প্রতিষ্ঠানের জাহাজ ‘এমভি জাহান মণি’ জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল। পরে ওই জাহাজের ২৫ নাবিক ও প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করে দস্যুরা। পরে নানাভাবে দেনদরবার ও দরকষাকষি শেষে দস্যুদের সঙ্গে সমঝোতা করে ২০১১ সালের ১৪ মার্চ তাদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়।  
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৩:৩৪

মেলেনি ধর্ষণের আলামত, বাদী নিজেই কারাগারে
আর্থিক ও অন্যান্য সুবিধার জন্য ভাড়াটিয়া হয়ে পুরুষদের নামে ধর্ষণ মামলা করে এখন নিজেই এখন কারাগারে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার পালগিরি গ্রামের কোহিনুর আক্তার (৩৩)। শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে কচুয়া থানা পুলিশ তাকে চাঁদপুর আদালতে পাঠায়। এর আগে শুক্রবার বিকেলে উপজেলার পালগিরি উত্তর পাড়া বাড়ী থেকে কোহিনুরকে গ্রেপ্তার করে কচুয়া থানা পুলিশ। পুলিশ জানায়, পুরুষদের নামে ধর্ষণ মামলা করাই তার পেশা। এই পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ধর্ষণ মামলার বাদী কোহিনুর। মামলায় তিনি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের স্বামী দাবী করে যৌতুক মামলা করেন। তার এমন মিথ্যা ধর্ষণ মামলার শিকার একই উপজেলার রহিমানগর এলাকার মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে নাজির উল্লাহ স্বপন। এই মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় এখন শ্রীঘরে কোহিনুর। এসআই মিন্টু কুমার জানান, তথ্য নিয়ে জানতে পারি কোহিনুর এর বিরুদ্ধে আগেও শাহরাস্তি থানায় ২৯০ ধারায় মামলা হয়েছে। তিনি নাজির উল্লাহ স্বপনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। ওই মামলাটি আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় খারিজ করেন এবং বাদী কোহিনুরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদালত কচুয়া থানাকে অভিযোগটি মামলা আকারে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন। সে আলোকে মামলাটি থানায় গ্রহণ এবং নামীয় আসামী কোহিনুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার বাদী নাজির উল্লাহ স্বপন বলেন, আমার আপন ভাই বুলন এর সাথে সম্পত্তিগত বিরোধ আছে। ওই বিরোধকে আমার ভাই কাজে লাগানোর জন্য যৌন কর্মী কোহিনুর আক্তারকে দিয়ে চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণ মামলা করেন। ওই মামলায় আমি ৩ মাস কারাভোগ করে জামিনে মুক্ত হই। এরই মধ্যে আদালত আমার ডিএনএ টেস্ট করে ধর্ষণের আলামত পায়নি। যার ফলে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি মামলাটি খারিজ করে। এরপর আমি নিজে তার বিরুদ্ধে একই আদালতে চলতি মাসের ৪ তারিখে ১৭ ধারায় অভিযোগ করি। তার এই মামলায় আমি আর্থিক, মানসিকভাবে হয়রানি ও সম্মান হানি হয়। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলে অনেক পুরুষ হয়রানি থেকে রক্ষা পাবে। কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, আদালতের নির্দেশে আমরা নাজির উল্লাহ স্বপনের মামলাটি এফআইআরভুক্ত করি। ওই মামলায় কোহিনুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে তাকে চাঁদপুর আদালতে পাঠানো হয়।
১৭ মার্চ ২০২৪, ১২:৩০

জামিন মেলেনি মির্জা ফখরুলের
প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলায় জামিন মেলেনি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরী তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। এর আগে, বুধবার (৩১ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদের আদালতে মির্জা ফখরুলের পক্ষে জামিনের আবেদন করেছিলেন তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে গাছের ডাল ভেঙে ও হাতের লাঠি দিয়ে নামফলক, গেটে হামলা এবং ভেতরে ইটপাটকেল ছোড়ার ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনায় মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির ৫৯ নেতার বিরুদ্ধে রমনা থানায় একটি মামলা করা হয়। পরেরদিন ২৯ অক্টোবর সকালে গুলশানের বাসা থেকে মির্জা ফখরুলকে আটক করে পুলিশ। পরে ওইদিনই গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে হাজির করলে আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এদিকে ২৮ অক্টোবরে হামলা, ভাঙচুর, সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে সব মিলেয়ে ১১টি মামলা হয়। এরমধ্যে ১০টিতেই তার জামিন পেয়েছেন তিনি। শুধু প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় জামিন আবেদন খারিজ করেন হাইকোর্ট।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩৬

ফেরি রজনীগন্ধা উদ্ধারের চেষ্টায় প্রত্যয়, খোঁজ মেলেনি হুমায়ুনের
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফা বলেন, উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় পাটুরিয়া পৌঁছেছে। তবে ফেরি উদ্ধারে আরও ২-৩ দিন সময় লাগবে। তিনি আরও জানান, শুক্রবার সকাল থেকে তারা ডুবে যাওয়া ফেরির বিভিন্ন স্থানে রশি দিয়ে বাঁধার কাজ করেছেন। ফেরির ভেতরে ১০টি এয়ার লিফটিং ব্যাগ ঢুকিয়ে ওই ব্যাগে বাতাস দেওয়া হচ্ছে। এতে ফেরিটি উপরের দিকে উঠবে। বিআইডব্লিউটিএর নৌ-সংরক্ষণ সার্ভিসের পরিচালক মোহাম্মদ সাজাহান জানান, ‘আউট অব ক্যাপাসিটি’ এখন বিকল্প সাপোর্ট দিয়ে ফেরিটি উদ্ধারের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বিআইডব্লিউটিসি চেয়ারম্যান ড. একেএম মতিউর জানান, ফেরিতে থাকা সবকটি যান উদ্ধারে তাদের চেষ্টা থাকবে। সরকারি উদ্ধারযান দিয়ে ফেরিটি যদি না উদ্ধার করতে পারে, তাহলে ফেরিসহ যানবাহন উদ্ধারে দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার হবে। এদিকে ফেরির দ্বিতীয় ইঞ্জিন মাস্টার হুমায়ুন কবীরের খোঁজ এখনো মেলেনি। বিআইডব্লটিসির আরিচা এরিয়া অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ জানান, হুমায়ুন কবীরের সন্ধানে পদ্মার নদীর ভাটিতে অনুসন্ধান করা হচ্ছে। জীবিত তো দূরের কথা এখন লাশ শনাক্ত করাই চ্যালেঞ্জের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহণ করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান ড. একেএম মতিউর রহমান দুর্ঘটনার দিন বলেছিলেন ফেরিটি একটি বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে নোঙর করা অবস্থায় ডুবে যায়। কিন্তু তার সেই অবস্থান থেকে সরে এসে এবার বলছেন, হয়তো ফেরির তলদেশ ফুটো হয়ে ফেরিটি ডুবে যেতে পারে। তবে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে গঠিত পৃথক দুটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পর বিস্তারিত জানা যাবে বলেও জানান তিনি। প্রসঙ্গত, পাটুরিয়ায় পদ্মা নদীতে ৯টি ট্রাক নিয়ে বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ডুবে যায় ফেরি রজনীগন্ধা।
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:০৫

এখনও খোঁজ মেলেনি ইঞ্জিন মাস্টার হুমায়ুনের
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের পাটুরিয়া ৫নং ফেরিঘাটের কাছে ৯টি ট্রাক নিয়ে ফেরি রজনীগন্ধার ডুবির ৪৮ ঘণ্টা পার হলেও এখনো খোঁজ মেলেনি ফেরিটির দ্বিতীয় মাস্টার (যন্ত্রচালক) হুমায়ুন কবিরের (৩৯)। ফেরি ডুবির সময় অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পাড়ে ফিরলেও নিখোঁজ আছেন হুমায়ুন। তবে ফেরিতে থাকা ২০ জন ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অধিকাংশই ট্রাকের চালক ও হেলপার। নিখোঁজ হুমায়ুনের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরে। তার পরিবারে স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। তিনি ২০১১ সালে বিআইডব্লিউটিসিতে চাকরি শুরু করেন। সাত মাস আগে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরিতে যোগ দেন। হুমায়ুন কবীর বিআইডব্লিউটিসি ওয়াকার্স ইউনিয়নের আরিচা আঞ্চলিক কমিটির দক্ষিণ (পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া) শাখার সভাপতি ছিলেন। বিআইডব্লিউটিসি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মহসিন ভূঁইয়া ৩৬ ঘণ্টায়ও তার কোনো খোঁজ না মেলায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে ফেরি ডুবি নিয়ে একাধিক উদ্ধারকারী দল ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন। সন্দেহ আরও বেড়েছে। বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. সালালউদ্দিন বলেন, দুঃখজনক হলো ফেরি সেকেন্ড মাস্টার হুমায়ুনকে জীবিত বা মৃত্যু উদ্ধার করা যায়নি। তিনি বলেন, ফেরি ডুবির অল্প কিছু সময় আগে দুর্ঘটনাকবলিত ফেরিতে থাকা সবাইকে আত্মরক্ষার জন্য হুমায়ুন সজাগ করলেও তিনি নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি। ফেরিটি যখন ডুবছিল হয়তো কোনো কিছুর চাপায় নিচে ফেরির মধ্যে আটকে গেছেন।  এদিকে, তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধা উদ্ধারের কাজ বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে স্থগিত করা হয়। গত বুধবার দুটি ও বৃহস্পতিবার একটি ট্রাক উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ও রুস্তম। বুধবার সকাল ৮টার দিকে রজনীগন্ধা নামের ফেরিটি ডুবে যাওয়ার ৩১ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম মালবোঝাই একটি ট্রাকটিকে উপরে তুলে নিয়ে আসে বলে জানান বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) খালেদ নেওয়াজ। এ দুর্ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএ পক্ষ থেকে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।  মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক রেহেনা আক্তার বলেন, এই ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা জেসমিনকে প্রধান করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান মতিউর রহমান বলেন, এই দুর্ঘটনার অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ৮টার দিকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথের পাটুরিয়া প্রান্তে পদ্মা নদীতে ৯টি যানবাহন নিয়ে ডুবে যায় নোঙর করে রাখা ফেরি রজনীগন্ধা। এ ঘটনায় ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।   
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:১৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়