• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
১৫ এপ্রিল নড়াইলে শুরু হবে ‘সুলতান মেলা’
নড়াইলে ১৫ দিনব্যাপী সুলতান মেলা আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে শুরু হবে।  বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে মেলা শুরু উপলক্ষে নড়াইল জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও সুলতান ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।  নড়াইল জেলা প্রশাসক ও সুলতান ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাশ্বতী শীল, সুলতান ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মিকু, নড়াইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার,  অ্যাডভোকেট আলমগীর সিদ্দিকী, সুলতান ফাউন্ডেশনের সদস্য ও বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাগণসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।  
২০ ঘণ্টা আগে

লালন স্মরণোৎসব আজ, থাকছে না মেলা
রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় এবার লালন স্মরণোৎসব শুধুমাত্র একদিনের আলোচনা সভা ও লালন ফকিরের রীতি পালনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে। প্রতিবছর উৎসব তিন দিনব্যাপী চললেও এবার হবে এই এক দিন। বাউল মেলা ও সঙ্গীতানুষ্ঠান বাদ দেওয়া হয়েছে।  রোববার (২৪ মার্চ) বিকেল ৩টায় ছেঁউড়িয়ার লালন আখড়াবাড়ীর অডিটোরিয়ামে লালন ফকিরের জীবন ও কর্ম নিয়ে এ আলোচনা সভা হবে। প্রায় দু’শ বছর আগে বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁই তার জীবদ্দশায় প্রতি বছর চৈত্রের দৌলপূর্নিমা তীথিতে বাউলদের নিয়ে সাধু সঙ্গ করতেন। খাটি করে গড়ে তুলতে নানা আনুষ্ঠানিকতায় শিষ্যদের জ্ঞান দিয়ে মহাগুরু লালন। ১২৯৭ বঙ্গাব্দের পহেলা কার্তিক তার দেহত্যাগের পরও এ উৎসব চলে আসছে।  জেলা প্রশাসক ও লালন একাডেমির সভাপতি এহেতেশাম রেজা বলেন, এবার দৌলপূর্নিমা তীথি রমজান মাসে পড়ায় রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় লালন স্মরণোৎসব শুধুমাত্র আলোচনা সভাতেই শেষ করা হচ্ছে। সেখানে প্রধান অতিথি থাকবেন কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। এছাড়াও বিশিষ্ট লালন গবেষকরা আলোচনায় অংশ নেবেন।  অন্যদিকে লালন অনুসারী ভক্তরা তাদের সাইঁজীর রীতি অনুযায়ী অডিটোরিয়ামের নিচে সাধু সঙ্গ করবেন। ইতিমধ্যেই নিজেদেরকে খাটি করতে কিছু লালন অনুসারী, ভক্তরা আখড়াবাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন। তারা বলছেন, লালন ফকির মানুষের পক্ষে, শান্তির পক্ষে। তাই তারাও শান্তির পক্ষে। স্বল্প পরিসরে তারা লালনের বাণী প্রচার করছেন। আগামী উৎসবে এসে সাইজির ভবের হাটে মানবতার মুক্তির উৎসব করবেন বলে প্রত্যাশা তাদের।  
২৪ মার্চ ২০২৪, ১১:৫১

নওগাঁয় তিন দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন
নওগাঁয় তিন দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে।  রোববার (৩ মার্চ) দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে ফিতা কেটে ও ফেস্টুন উড়িয়ে এর উদ্বোধন করেন সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন। পরে একটি আনন্দ র‌্যালী বের করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শওকত মেহেদী সেতু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইলিয়াস তুহিন রেজা, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুনরুল ইসলামসহ প্রমুখ। আধুনিক প্রযুক্তির সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মেলায় প্রায় ৫০টি স্টল রয়েছে।
০৩ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫৪

দেশ-বিদেশের বাউল সাধকদের পদচারণায় মুখর মেঘনার তীর
নরসিংদীতে মেঘনার তীরে বসেছে ঐতিহ্যবাহী বাউল মেলা। ভারতসহ দেশ-বিদেশের শতাধিক বাউল সাধকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে মেলা। আত্মশুদ্ধি আর আত্মমুক্তির লক্ষ্যে বাউলদের কীর্তন, গীতা পাঠসহ ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সরব হয়ে উঠেছে মেঘনা পাড়ের বাউল আখড়াধাম। বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে মানব ধর্ম ও সাম্যের জয়ধ্বনী করছেন বাউল সাধকরা। দেশ-বিদেশের ভক্তদের উপস্থিতিতে বাউল ঠাকুরের আখড়া পরিণত হয়েছে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল ধর্মাবলম্বীদের মিলনমেলায়।  নরসিংদী শহরের কাউরিয়া পাড়ায় মেঘনা নদীর তীরে বাউল আখড়াধামে গত শুক্রবার সকালে প্রথম বাতি ও যজ্ঞানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ৭০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী এ মেলার আনুষ্ঠানিকতা। এরই মধ্যে দেশ বিদেশের শতাধিক বাউল সমবেত হয়েছেন আখড়ায়। ৭ দিনব্যাপী এই মেলা চলবে আগামী বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সরেজমিনে নরসিংদী বাউল মেলা ঘুরে দেখা যায়, মেলা উপলক্ষে মেঘনার পাড়ে শিশুদের হরেক রকমের খেলনা, খাবারসহ বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাঝিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। বাউল ঠাকুরের আখড়াবাড়ি সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছরই মাঘী পূর্ণিমার দিনে শ্রী চৈতন্য দেবের জন্ম তিথী উপলক্ষে এই মহাযজ্ঞের আয়োজন করা হয়। প্রায় ৭০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী এই মেলাকে ঘিরে নরসিংদীর কাউরিয়া পাড়া এলাকার মেঘনা নদীর তীরে সমাগম ঘটে লক্ষাধিক নারী-পুরুষের। নদীতে চলে পূণ্যস্নান। পাশেই রয়েছে বাউল ঠাকুরের আখড়া। যেখানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বাউল শিল্পীরা এসে বসিয়েছে বাউল গানের আসর। মেলাকে ঘিরে মেঘনা নদীর পার ঘেঁষে জমে উঠেছে খেলনা, কুটির শিল্প, মৃৎশিল্প, কাঠ-বাঁশ ও মাটির তৈরি কুটির শিল্প সামগ্রীর বেচাকেনা। এছাড়াও শিশুদের আকৃষ্ট করতে মেলায় বসেছে পুতুল নাচ, নাগর-দোলাসহ বিভিন্ন বিনোদনমূলক রাইডস। এদিকে বাউল ভক্তরা সারি বেঁধে মহাযজ্ঞানুষ্ঠানে ঘি-প্রদীপ, মোমবাতি ও আগরবাতি জ্বালিয়ে পুজো দিচ্ছেন আর প্রার্থনা করছেন পরিবার ও দেশের সকল মানুষের কল্যাণসহ সব ধরনের অশুভ শক্তি, অসাম্প্রদায়িকতা ও বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে নিস্কৃতি পেতে। কথিত আছে, ৭০০ বছর আগে নরসিংদীতে এক বাউল ঠাকুর ছিলেন। তিনি নিজেকে শুধু বাউল বলেই পরিচয় দিতেন। এজন্য বাউল ঠাকুরের প্রকৃত নাম জানেন না এখানকার কেউই। সেই বাউল ঠাকুরের স্মরণে তার আখড়া ধামে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এই বাউল মেলা। তবে কে প্রথম এখানে বাউল মেলার আয়োজন করেন তার প্রকৃত তথ্য কারোই জানা নেই । সর্বশেষ ব্রিটিশ শাসনামল থেকে এখন পর্যন্ত মেলার আয়োজন করছেন রাম চন্দ্র বাউল, জিতেন্দ্র চন্দ্র বাউল, ডা. মনিন্দ্র চন্দ্র বাউল ও তার পরবর্তী প্রজন্ম। গত দুই বছরের মধ্যে নরসিংদীর বাউল আখড়াবাড়ির সেবায়েত তত্ত্বাবধায়ক প্রাণেশ কুমার ঝন্টু বাউল ও মৃদুল বাউল, মিন্টু বাউল এ তিন ভাই মৃত্যুবরণ করায় তাদের স্থলে বর্তমানে তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সাধন চন্দ্র বাউল।  বাউল ভক্ত ও দর্শনার্থী জানায়, এ আখড়ায় বাউল ঠাকুরের অন্তর্ধান হয়েছিল। বাউল আখড়ায় জগন্নাথ দেবতার মন্দির রয়েছে। মন্দিরে মহাবিষ্ণুর পূর্ণাঙ্গ প্রতিমা, জগন্নাথ দেবতার প্রতিমা, মা গঙ্গার (৩৩ কোটি দেবতার) গট, নাগ দেবতার বিগ্রহ ও শিবলিঙ্গ রয়েছে, যা বাউল ঠাকুর নিজে প্রতিস্থাপন করে গেছেন বলে কথিত রয়েছে। পাশে রয়েছে বাউল ঠাকুর ও মাতাজির সমাধি মন্দির। সবার মধ্যিখানে রয়েছে উপাসনার জন্য বিশাল আটচালা বৈঠক ঘর। শুক্রবার দেবতা ব্রহ্মার পূজা মহাযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়। মহাযজ্ঞে জগতের কল্যাণের জন্য ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিবের পূজা করা হয়। ঠাকুরের কাছে দেশ ও মানুষের কল্যাণে প্রার্থনা করা হয়। প্রতিবছরের মতো এবারও মেলা উপলক্ষে আখড়াধামে হাজির হয়েছেন পাশের দেশ ভারতসহ দেশ-বিদেশের শতাধিক বাউল সাধক। এসব সাধকের কাছে সাধনাই মূল ধর্ম। আত্মশুদ্ধি আর আত্মমুক্তির জন্য এই মেলায় আসেন তারা। বাউল মেলা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চিরায়ত গ্রামবাংলার মুখরোচক খাবার ও বাহারি পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এসব খাবারের মধ্যে রয়েছে আমিত্তি, জিলেপি, সন্দেশ, বারো মিঠাই, দই, মুড়ালি, গুড়ের তৈরি মুড়ি ও চিড়ার মোয়া, তিলের মোয়া, তিলের সন্দেশ, খাস্তা, কদমা, নারকেলের নাড়ু, তিলের নাড়ু, খাজা, গজা, নিমকি, মনাক্কা, গাজরের হালুয়া, পিঠাসহ রকমারি খাবার। এছাড়া শিশুদের খেলনা, ঘরের তৈজসপত্র, আসবাবপত্র, বিভিন্ন ধরনের তৈরি পোশাক, মাটি ও বাঁশের তৈরি জিনিসপত্রসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্যের স্টল নিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। বাউল আখড়াবাড়ির বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সাধন চন্দ্র বাউল বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও ঐতিহ্যবাহী এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। গত শুক্রবার সকালে যজ্ঞানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। কোনও ধরনের প্রচার ছাড়াই প্রতিবছর ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের উপস্থিতিতে জমজমাট হয়ে ওঠে এ মেলা। আগামী বৃহস্পতিবার এ মেলার সমাপ্তি ঘটবে। তিনি বলেন, জীবের মঙ্গলার্থে বাউল ঠাকুরের আবির্ভাব হয়েছিল। কীভাবে সহজে মানুষ নিজেকে চিনতে পারবে, সেই পথ তিনি দেখিয়ে গেছেন। আমরা তার পথ অনুসরণ করে ভেদাভেদ না করে ঈশ্বরের সৃষ্টিকে ভালোবেসে যাচ্ছি। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকলের মিলন ঘটানোর জন্যই শত শত বছর ধরে মেলার এ আয়োজন হয়ে আসছে।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:২২

যে মেলায় ডুব দিয়ে হয় ‘পাপমোচন’
টাঙ্গাইলের বাসাইল কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সৈয়দামপুর গ্রামে বংশাই নদীতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দিনব্যাপী ডুবের মেলা। গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী ডুবের মেলা যুগ যুগ ধরে পালিত হচ্ছে। মাঘী পূর্ণিমায় এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। যা মানুষের মুখে মুখে ডুবের মেলা নামে পরিচিত। স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, এই মেলায় নদীতে পূণ্যস্নান করলে পাপমোচন হয়। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে দেখা যায়, মেলায় জেলার দূর দূরত্ব থেকে আগত জনগণ পূজা ও স্নান পর্বে অংশগ্রহণ করে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে স্নান উৎসব। নারী-পুরুষ ও কিশোর-কিশোরী ম্নান উৎসবে অংশ নেন। তারা জমির আইল ধরে ডুবের মেলা আসেন।  স্নান উৎসবে অংশ নেওয়া পূণ্যার্থীরা বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা তাদের পাপ মোচন উপলক্ষে ভোরে মানত ও গঙ্গাস্নান পর্ব সমাপণ করেন। গঙ্গাস্নান করলে সাড়া বছরের পাপ মোচন হয়। মনের আশা ও বাসনা পূরণ হয়। এই স্নান অংশ নিলে পূর্ণ মিলে।দুর-দুরান্ত থেকে লোকজন আসে গঙ্গাস্নানে অংশ নিয়ে তাদের মনের বাসনা পূরণ করে। এই মেলা ব্রিটিশ শাসনামলে বক্ত সাধু নামে খ্যাত এই সন্যাসীর (মাদব ঠাকুর) মূর্তি প্রতিস্থাপন করে পূজা অর্চনা শুরু করেন। এই পূজা উপলক্ষে তখন থেকে গঙ্গাস্নান ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তখন থেকে এটা ডুবের মেলা নামে পরিচিত। ডুবের মেলায় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ম্নান উৎসব চলে।  নারী-পুরুষ ও কিশোর-কিশোরী ম্নান উৎসবে অংশ নেন। সুজন সরকার বলেন, আজকে আমরা মাঘী পূর্ণিমার মেলায় আসছি। আমাদের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি পূর্ণ্য স্থান। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত গঙ্গাস্নান হয়। ১০০ বছর ধরে এই গঙ্গাস্নান চলে আসছে। ডুবের মেলায় যারা আসে তারা মনের বাসনা নিয়ে গঙ্গাস্নান করতে আসেন। গঙ্গাস্নান করলে মনের বাসনা পূরণ হয়। দেবাশীষ দাস বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মনে করে যে আজকে এই মাঘীপূর্ণিমার তিথিতে উত্তর বাহিত জলে স্নান করলে সাড়া বছরের পাপ মোচন হয়। অনেকের মনে আশা থাকে যে স্নান করলে তাদের মনের আশা পূরণ হয়। পুরোহিত রবিন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, পূর্ব পুরুষ থেকে এই গঙ্গাস্নান শুরু হয়েছে। এই গঙ্গাস্নানকে বলে মাঘীপূর্ণিমার গঙ্গাস্নান। ৩০-৪০ জন পুরোহিত এই গঙ্গাস্নানে এসেছে। দূর-দুরান্ত থেকে লোকজন এসেছেন গঙ্গাস্নানে অংশ গ্রহণ করে। পূণ্যার্থীরা তাদের মনের বাসনা নিয়ে এখানে আসেন। তারা ডুব দিলে তাদের মনের বাসনা পূর্ণ হয়। কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামীম আল মামুন বলেন, পূর্বপুরুষ থেকেই এই মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মাঘীপূর্ণিমায় ডুবের মেলা পালন করে থাকেন। মেলা দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে অনেক মানুষ আসেন।  
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৫০

চাঁদপুরে শেষ হলো তিনদিনব্যাপী বই মেলা
মহান একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে হাজীগঞ্জ ফোরামের আয়োজনে তিনদিনব্যাপী বই মেলার সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।  বুধবার দুপুরে হাজীগঞ্জ বাজারস্থ ফুড লাভারস পার্টি সেন্টারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য মেজর রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম।  এদিকে তিনদিন ব্যাপী বইমেলায় এবারের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের মাঝে ফিরে এসেছিল প্রাণের স্পন্দন। পাঠক, দর্শক ও লেখকদের আনাগোনায় মুখরিত ছিল এই মেলা। হাজীগঞ্জ ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ব্যারিস্টার শাহরিয়ার আহমেদের সভাপতিত্বে বই মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাজীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তাফস শীল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ কুমার দে, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত, হাজিগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল রশিদ প্রমুখ। পরে মেজর রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম বই মেলার বিভিন্ন বইয়ের স্টল পরির্দশন করেন। 
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৪১

যে মেলায় মাছ কিনতে প্রতিযোগিতায় নামেন জামাইরা
অন্তত চারশো বছরের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় বগুড়ার গাবতলীতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহের মেলা। সন্নাসী পূজার মেলা হিসেবে এটির যাত্রা শুরু হলেও কালের বিবর্তনে এটি পোড়াদহ মাছের মেলা এবং জামাই মেলা হিসেবে পরিচিত লাভ করে। একদিন ব্যাপি এ মেলার প্রধান আকর্ষণ বিভিন্ন প্রজাতির বিশাল আকৃতির মাছ। মেলা উপলক্ষে আশপাশের কয়েক গ্রামের ঘরে ঘরে চলছে জামাই সমাগম, অতিথি আপ্যায়ন ছাড়াও ও নানা আনন্দ উৎসব। প্রতি বছরের মতো এবারও দূর দূরান্ত থেকে আসা হাজারো মানুষের ভীড়ে মুখোরিত মেলা প্রাঙ্গন। কেবল বগুড়া নয় অতি প্রাচীন পোড়াদহের এই মেলায় মাছ কিনতে ও দেখতে সারাদিন সেখানে ভীড় করে দূরদূরান্তের হাজারো মানুষ। প্রতিবছর মাঘের শেষ বুধবার এই মেলার আয়োজন করা হয়। প্রতিবছরের মতো এবারো বগুড়া ছাড়াও উত্তরের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজারো মানুষ এসেছে পোড়াদহ মেলা প্রাঙ্গনে। ছেলে-বুড়ো সকলেই কাকডাকা ভোর থেকে দল বেঁধে মাছ-মিষ্টি বেচা-কেনার উৎসবে মেতেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইছামতি নদীর তীরে বিস্তৃর্ণ মাঠে বাড়তে থাকে মানুষ। কেবল বিশাল আকৃতির মাছই নয় একশো একর জমি জুড়ে আয়োজন করা এই মেলায় নাগোরদোলা, সার্কাস, বাহারী সব মিষ্টিসহ সংসারের খুটিনাটির পসরা সাজিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা স্থানীয়রা জানান, গাবতলির অন্তত ৩০ গ্রামে বছরের এই দিনটিকে বিশেষ দিন হিসেবে পালন করতে মেয়ে-মেয়ে জামাই, আত্মীয়-স্বজনদের জানানো হয় আমন্ত্রণ। ঈদ-পূজো-পার্বনের মতোই সব ধর্মের লোকেরা নতুন জামা-কাপড়, পিঠা-পুলি আর বিশাল আকারের মাছ-ভাতে কয়েকদিন মাতেন এই উৎসবে। সাতসকালেই ইছামতী নদীর তীরে মানুষের ঢল। নদীর তীরে ছিল ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা। দূরদূরান্ত থেকে দল বেঁধে লোকজন মেলায় ছুটে আসছেন। মেলা উপলক্ষে আশপাশের ৩০ গ্রামে রীতিমতো উৎসবের আমেজ। গৃহস্থ ঘরে নাইওর এসেছে নববধূ আর মেয়ে জামাই। ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় অন্যবারের মতো এবারও মেলায় উঠেছে নদীতে ধরা হরেক প্রজাতির বিশাল বিশাল মাছ। প্রতিবছর দুই থকে আড়াইমণ ওজনের বাঘাইড় মাছ এই মেলার প্রধান আকর্ষণ হলেও প্রশাসনিক নিষেধাঞ্জার কারণে এবারও মেলায় ছিলনা কোনো বাঘাইড়। তবে আকর্ষণ হিসেবে ছিল প্রায় ৪০ কেজি ওজনের সামুদ্রিক পাখি মাছ।  টাঙ্গাইলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মাছ বিক্রেতা জানান, পাখি মাছটি কুয়াকাটা হতে মেলায় নিয়ে এসেছেন। মাছটির প্রতিকেজি ১৫ শত টাকা দরে বিক্রি করার জন্য দাম হাকাচ্ছেন তিনি। তবে দর্শনার্থীদের অনেকেই মাছটি দেখলেও আশানুরূপ দাম না বলায় বিক্রি হয়নি।  প্রায় ৪শ’ বছর আগে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা সন্ন্যাসীরা বগুড়ার গাবতলী উপজেলার গাড়ীদহ নদী ঘেঁষে আস্তানা গাড়েন। এর প্রায় ৫০ বছর পর স্থানীয়রা এখানে সন্ন্যাসী পূজার পাশাপাশি গোড়াপত্তন করেন ঐতিহ্যবাহী এই মেলার। সেই থেকে প্রতিবছর মেলাটি মাঘ মাসের শেষ বুধবারে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। বর্তমানে এ মেলাটির সর্বজনীন মেলা হিসেবে বগুড়াসহ আশপাশে জেলায় বেশ পরিচিতি লাভ করেছে।   মেলাতে আসা ক্রেতা  বিক্রেতা ও দর্শনার্থীরা জানান, মেলায় শিশুদের জন্য খেলাধূলার সামগ্রী ছাড়াও রয়েছে হরেক রকমের খাবারের দোকান। ছাড়াও প্রসাধনী সামগ্রীর পাশাপাশি মূল আকর্ষণ হিসেবে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির বিশাল আকৃতির মাছের সরবরাহ। অনেকে এই মেলাকে বলেন, মাছের মেলা। আর সকাল থেকে মেলায় ভীড় জমান বগুড়াসহ আশপাশের জেলার মানুষ। জানা যায়, প্রতি বছরের মাঘ মাসের শেষ বুধবার প্রথম দিকে সন্নাসী মেলা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে এই মেলা। কালের বিবর্তনে হয়ে ওঠে পূর্ব বগুড়াবাসীর মিলনমেলা। পোড়াদহ নামকস্থানে হয় বলে এ মেলার নাম হয়ে যায় পোড়াদহ মেলা। আবার অনেকেই এটাকে জামাই মেলা বলেও অভিহিত করেন। মেলাকে ঘিরে আশপাশে প্রায় ২০ গ্রামের মানুষ মেয়ে ও জামাইকে নিমন্ত্রণ দিয়ে আপ্যায়ন করে থাকে। এ কারণে স্থানীয়রা আবার এ মেলাকে জামাই মেলাও বলে থাকে অনেকেই। এবার সর্বোচ্চ ৩০ কেজির কাতল ছাড়াও বিশাল আকৃতির বোয়াল, রুইসহ হরেক রকম মাছ নিয়ে আসেন ব্যবসায়ীরা যার কোনটি ৩৫ কোনটির দাম হাঁকা হয় ৪০ হাজারেরও বেশি। মাছের আদলে তৈরি ১৫ থেকে ২০ কেজি ওজনের বাহারী মিষ্টিও মেলে এখানে। এক দিনের এই মেলায় প্রায় শত কোটি টাকার বেচাকেনা হয় প্রতি বছর।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৩৩

চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু বৃহস্পতিবার
চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী ৩১তম চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (সিআইটিএফ)। মেলার উদ্বোধন করবেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম এবং প্রধান অতিথি থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ওমর হাজ্জাজ। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের বাণিজ্য মেলায় ১৬টি প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন, ৫৬টি প্রিমিয়ার স্টল, ৯৪টি গোল্ড, ৪৮টি মেগা স্টল, ১১টি ফুড স্টলসহ ৪০০ স্টলে ৩ শতাধিক প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। এর মধ্যে ভারত, থাইল্যান্ড, ইরানের উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা পণ্য প্রদর্শন করবেন। সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলবে। মেলায় প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ২০ টাকা। মেলা কমিটির চেয়ারম্যান একেএম আকতার হোসেন জানান, চেম্বার নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি ১৯৯৩ সাল থেকে দেশি পণ্যের প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আয়োজন করে আসছে। অন্যান্য বছরের মতো দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা এবারও মেলায় তাদের পণ্য প্রদর্শন করবেন। 
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৮

চাঁদপুরে ১০ দিনব্যাপী একুশে বই মেলা শুরু
মহান শহীদ দিবস ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে চাঁদপুরে ১০ দিনব্যাপী অমর একুশে বই মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চাঁদপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান। অতরিক্তি জলো প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসটি) মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব আলী মাষ্টার। সাংবাদিক এম আর ইসলাম বাবুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, ছড়াকার ডা. পিযুষ কান্তি বড়ুয়া। আলোচনা সভা শেষে বিভিন্ন লেখকরে সমন্বয়ে প্রকাশতি ছড়া বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করেন অনুষ্ঠানের আমন্ত্রিত অতিথিরা। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করে আনন্দধ্বনি সংগীত বিদ্যায়তনের শিল্পীরা। মেলায় ৩০ টি বইয়ের স্টল রয়েছে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:১১

সন্দ্বীপে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, উদ্ভাবনেই সমৃদ্ধি এ প্রতিপাদ্যে ৪৫ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উপলক্ষ্যে সন্দ্বীপে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টায় উপজেলা কমপ্লেক্স মাঠে ২ দিনব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। উদ্ধোধনীয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সন্দ্বীপ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাঈন উদ্দীন মিশন৷ বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. ওমর ফারুক। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সন্দ্বীপ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শফিউল আজম, গাছুয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনসহ অনেকেই। মেলায় সন্দ্বীপের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ১৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছেন। শেষে প্রধান অতিথিসহ অতিথিবৃন্দ স্টলগুলো পরিদর্শন করেন।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:১০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়