• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
বাংলাদেশে পালিয়ে এলেন ১৭৯ বিজিপি, দেখতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ মেম্বার
মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মির সঙ্গে চলমান সংঘর্ষে পর্যুদস্ত হয়ে আবারও বাংলাদেশে পালিয়ে আসছেন দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যরা। সোমবার (১১ মার্চ) সকাল থেকে এ পর্যন্ত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে মোট ১৭৯ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে ১১ বিজিবির অধীনস্থ জামছড়ি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দিয়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১৭৯ জন সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এদিকে পালিয়ে আসা বিজিপি সদস্যদের দেখতে গিয়ে বিকেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর জামছড়ি ওয়ার্ডের মেম্বার সাবের আহমদ। স্থানীয়রা জানান, আজ সোমবার বিকেলে পালিয়ে আসা বিজিপি সদস্যদের দেখতে সীমান্তবর্তী জামছড়ি এলাকায় ভীড় করেন উৎসুক জনতা। এ সময় হঠাৎ মিয়ানমারের দিক থেকে ছোড়া একটি গুলি এসে লাগে মেম্বার সাবের আহমদের কোমরের ডান পাশে। সাবের আহমদের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন এবং বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিনও। আহত এই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।  এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে আরাকান আর্মি ও স্বাধীনতাকামী নৃ-তাত্ত্বিক গোষ্ঠীগুলোর যৌথ স্বশস্ত্র বাহিনীর আক্রমণের মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় মিয়ানমারের জান্তা সমর্থিত সেনা, পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ৩৩০ জন সদস্য। পরে ১৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী নৌবাহিনীর জেটিঘাট থেকে জাহাজে করে তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।
১২ মার্চ ২০২৪, ১০:৩৬

চাঁদাবাজির মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার কারাগারে
চাঁদপুরের আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় জেলে যেতে হলো ফরিদগঞ্জের চর দুঃখিয়া পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান মাস্টার ও একই ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আব্দুস সাত্তারকে। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) চাঁদপুরের বিচারিক আদালত-১ এর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোরশেদুল আলমের আদালতে একটি চাঁদাবাজির মামলায় হাজিরা দিতে গেলে আদালত ১ ও ২ নং আসামির জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন এবং বাকিদের জামিন প্রদান করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ুন কবির বলেন, চর দুঃখিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের জনৈক আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে চাঁদপুর জুডিশিয়াল আদালতে (সিআর মামলা নং ৪৪০/২৩) দায়ের করেন। মামলায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান মাস্টার ও ইউপি সদস্য মো. আবদুস সাত্তারসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেন। আদালত মামলা গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়।  পিবিআইয়ের পরিদর্শক পুলক বড়ুয়া বলন, আদালত থেকে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে মামলাটির তদন্ত করি। মামলার বাদী আলমগীর হোসেন’র স্ত্রীকে বেআইনিভাবে আটকে রেখে ২ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে বলে অভিযোগ করে। তদন্ত শেষে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেই।  মামলার বাদী আলমগীর হোসেন জানান, পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) আদালত মামলাটির শুনানির দিন ধার্য করে। শুনানি শেষে আদালত ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান মাস্টার ও ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আব্দুস সাত্তারের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:২৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়