• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মেডিকেলে পড়ার স্বপ্ন পূরণ হল অদম্য মেধাবী অপুর
যশোরের মণিরামপুরে দরিদ্র চর্মকার পরিবারে জন্ম অপু দাসের। ছোটবেলা থেকেই অর্থকষ্টে বেড়ে উঠলেও পড়াশোনায় ছিলেন সবসময়ই প্রথম সারির মেধাবীদের একজন। মণিরামপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২০ সালে এসএসসি এবং মণিরামপুর সরকারি কলেজ থেকে ২০২২ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থী অপু দাস। কোন প্রকার কোচিং না করেই এমবিবিএস পরীক্ষায় ৭৫ নম্বর পেয়ে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পান তিনি। যশোরের মণিরামপুরের খানপুর ঋষি পল্লীর বাসিন্দা অপু দাস। ২০২৩-২০২৪  শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান অপু। অপু দাসের বাবা অসিত দাশের পেশা জুতা ঠিক করা। যশোরের মণিরামপুরে খানপুর ঋষি পল্লীতে দুই ছেলে এবং স্ত্রী নিয়ে বাস করেন অসিত দাস। অর্থাভাবে মেডিকেলে ভর্তির স্বপ্ন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল তার। অপুর মেডিকেল পড়া নিয়ে যখন চরম অনিশ্চয়তা দেখা যায় তখন একটি স্থানীয় পত্রিকায় ‘চর্মকারের ছেলের মেডিকেল জয়, টাকার অভাবে দুশ্চিন্তায় বাবা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের সকলের নজরে আসে বিষয়টি। সংবাদ প্রকাশের পর অপু দাসের ভর্তির বিষয়ে এগিয়ে আসেন যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানজীব নওশাদ পল্লব। অপুর মেডিকেল ভর্তি এবং পড়াশোনার দায়িত্ব নেন তিনি। এত প্রতিকূলতার মধ্যেও ছেলের এমন সাফল্যে খুশি অপুর পরিবার এবং প্রতিবেশীরাও। তানজীব নওশাদ পল্লব অপুর সাথে যোগাযোগ করে জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ও মিষ্টি মুখ করান এবং মেডিকেলে ভর্তি এবং পড়াশোনার দায়িত্ব নেন। ইতোমধ্যেই মেডিকেলে ভর্তির জন্য ২০ হাজার টাকা অপু এবং তার বাবার হাতে তুলে দেন পল্লব। যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানজীব নওশাদ পল্লব বলেন, দেশের অদম্য মেধাবীরা অর্থের অভাবে ঝড়ে পরবে এটা মেনে নেয়া যায় না। সে যেন ভবিষ্যতে আরও ভালো করতে পারে এবং তার মেডিকেলে ভর্তি ও পড়াশোনা যেন নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে পারে সেজন্য আর্থিক এবং সামগ্রিক সহায়তার দায়িত্ব আমি নিয়েছি। জেলা ছাত্রলীগ পরিবার তার পাশে থাকবে।  
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:১২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়