• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বরিশাল মেডিকেলে প্রিজন সেলে আসামির হাতে আসামি খুন
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে হত্যা মামলার এক আসামির হাতে আরেক আসামি খুন হয়েছেন বলে জানা গেছে।  রোববার (১৪ এপ্রিল) ভোরে হাসপাতালের নিচতলার প্রিজন সেলে দু’আসামিকে বেধড়ক পেটান ওই আসামি। পরে আহতদের চতুর্থ তলার সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।  সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার দুপুর ১টায় এক আসামির মৃত্যু হয়। নিহত আসামির নাম মো. মোতাহার (৬০)। নিহত মো. মোতাহার বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার কাউনিয়া গ্রামের রফিজউদ্দিনের ছেলে।  তিনি বরগুনার একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। জানা যায়, আহত অপর আসামি অজিত মন্ডল হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। অজিত একটি চুরি মামলার আসামি। তিনি মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার রাজারচর গ্রামের গৌরাঙ্গ মন্ডলের ছেলে। হামলাকারী তরিকুল ইসলাম (২৫) পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার কলাগাছিয়া গ্রামের ফারুক সরদারের ছেলে। তিনি পটুয়াখালীর একটি হত্যা মামলার আসামি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বরিশাল নগরের কোতয়ালি মডেল থানার ওসি এটিএম আরিচুল হক। তিনি বলেন, হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন মানসিক রোগী আসামি তরিকুল অপর ২ আসামিকে স্যালাইনের স্টিলের স্ট্যান্ড দিয়ে পিটিয়েছেন। এতে দুজন আহত হন। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে ডেপুটি জেলার নুর ই আলম সিদ্দিকী বলেন, প্রিজন সেলে একটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। এ বিষয়ে আজ কিছু বলতে পারবো না। এ দিকে হাসপাতাল প্রশাসন বলছে, মানসিক প্রতিবন্ধী ওই রোগীকে নিয়মানুযায়ী হাসপাতালের মানসিক ওয়ার্ডে রাখার কথা। আর সেখানে রাখলে এমনটা হতো না। কিন্তু সেখানে না রেখে সুস্থ মানুষের মধ্যে এভাবে রাখাটা আদৌ উচিত হয়নি কারা কর্তৃপক্ষের। রাখলেও সেভাবে ব্যবস্থা রাখা উচিত ছিল। এ ব্যাপারে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার রত্না রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, কী ঘটনা ঘটেছে তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না। আমরা ঘটনা তদন্ত করছি। তদন্ত শেষ করে বলতে পারবো।  দায়িত্বরতদের অবহেলার বিষয়টিও তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫৭

সাতক্ষীরা মেডিকেলে ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ। সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে কলেজ চত্বরে ঘটে এ ঘটনা। এতে মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সহসভাপতি প্রিন্স সাহাসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুর রহমান। তিনি বলেন, আমরা দু’পক্ষকে নিয়ে বসেছি। আশা করছি শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়ে যাবে।   ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের দিন রাতে ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের নিয়ে শোডাউন ও ভাঙচুরের ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ ২৭ মার্চ ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল মুহিতের ইন্টার্নশিপ দুমাসের জন্য স্থগিত করে। পরে ২৯ মার্চ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ কমিটিতে আব্দুল মুহিতকে সভাপতি ও তানভীর আহমেদকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।  কমিটি ঘোষণার পর থেকেই মুখোমুখি অবস্থানে ছিলেন দু’গ্রুপের নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে সভাপতি আব্দুল মুহিত ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন অপর গ্রুপের নেতাকর্মীরা। আজ দুই পক্ষই ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয় এবং উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।   এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ডা. আজমল হোসেন বলেন, নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব নিয়ে দু’পক্ষের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। তবে কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যায়।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ২০:০৭

ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলে আগুন 
ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন ভবনের ছয় তলার ছাদে পরিত্যক্ত আসবাবপত্র ও ময়লার স্তূপে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। রোববার (৩১ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে নয়তলা ভবনের ছয়তলার ছাদের কোনায় ময়লা-আবর্জনা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর মো. রুবেল শেখ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।  তিনি জানান, পুরোনো বেডসিট, ফোম, কাগজ, কৌটা ও ময়লা-আবর্জনার স্তূপ থেকে আগুন লাগে। দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনায় আগুন ছড়াতে পারেনি। কী কারণে আগুনের সূত্রপাত তা তদন্ত করে জানানো যাবে। হাসপাতালের পরিচালক ডা. এনামুল হক বলেন, এ ঘটনায় কোনো রোগী বা স্বজন হতাহত হননি। বাইরে ফেলে রাখা কিছু আসবাবপত্র ও ময়লা-আবর্জনায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
৩১ মার্চ ২০২৪, ২০:০২

মুনিয়া খান ন্যাশনাল মেডিকেলে পড়েছেন কি না জানালেন অধ্যক্ষ
ভুয়া চিকিৎসক হিসেবে ঢাকা মেডিকেল থেকে গ্রেপ্তার হওয়ার পর সম্প্রতি আলোচনায় আসা মুনিয়া খান রোজা নামে কেউ ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করেননি বলে জানিয়েছে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি নাগরিক টিভি ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুনিয়া খান রোজা নামক এক কথিত ডাক্তারের বক্তব্য প্রচারিত হয়েছে। বক্তব্যটি ফেসবুকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। কথিত ওই ডাক্তার ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করেছেন মর্মে সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করেছেন। প্রকৃত সত্য হলো মুনিয়া খান রোজা নামের কোনো ছাত্রী কখনোই ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করেননি। এতে আরও বলা হয়, তার এ ধরনের মিথ্যা বক্তব্যের কারণে ঐতিহ্যবাহী ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ বিব্রতবোধ করছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য প্রচার কোনোভাবে কাম্য নয়। উল্লেখ্য, গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নতুন ভবনের আইসিইউ থেকে মুনিয়া খান রোজা নামে এক তরুণীকে আটক করা হয়। ওই তরুণী ডাক্তারদের অ্যাপ্রোন পরে হাসপাতালে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে মোবাইল ও অন্যান্য সামগ্রী চুরি করতেন বলে সেসময় জানানো হয়েছিল। পরে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলে ওই তরুণী জেলও খাটেন।
৩০ মার্চ ২০২৪, ০৪:১১

বিজ্ঞাপন দেখে মেডিকেলে ভর্তি, ৪২ শিক্ষার্থীর স্বপ্নপূরণ অনিশ্চিত
রাজশাহীর বেসরকারি শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার্থীরা।  শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষার্থীরা ২০২০-২১ সেশন এবং ২০২১-২২ সেশনে এই মেডিকেল কলেজের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে কলেজে ভর্তি হয়। পরবর্তীতে তারা জানতে পারে কলেজটি বিএমডিসির অনুমোদন নেই এবং রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হতে পারেনি এখনও প্রতিষ্ঠানটি।  শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, এ বিষয়ে সুরাহার জন্য শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান মো. জিল্লার রহমান সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের (সাবেক সচিব) এবং ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান স্বাধীনকে জানালে তারা বলে কলেজের অধিভুক্তি ও অনুমোদন রয়েছে। এরপর তারা একের পর মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে কয়েক ধাপে উন্নয়ন ফি নাম করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জনে জনে ১২ থেকে সর্বোচ্চ ১৮ লাখ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেই। এতে ৪২ জন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ২১ টি মামলা করেছেন। সংবাদ সম্মেলন থেকে শিক্ষার্থীরা দ্রুত মাইগ্রেশনের দাবি জানান সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের কাছে। 
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৬:১৪

বেইলি রোডে আগুন / ১০ জনকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি, জীবিত উদ্ধার ৫০
রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫০ জনকে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।  এদের মধ্যে ১৫ জন নারীও রয়েছেন। পাশাপাশি আহত ১০ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গণমাধ্যমকে এ  তথ্য নিশ্চিত করেছেন লে. কর্নেল তাজুল ইসলাম।  আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছে  আনসার, পুলিশ ও র‌্যাব।  রাত সাড়ে ১১টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটে বেইলি রোডের এই রেস্টুরেন্টটিতে আগুন লাগে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার এরশাদ হোসেন। তিনি বলেন, রাত ৯টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে আগুন লাগার সংবাদ আসে। সংবাদ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে আমাদের ১২টি ইউনিট কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভবনটির পাঁচতলা পর্যন্ত সব ফ্লোরে আগুন দেখা যাচ্ছে। মনে হচ্ছে ভেতরে অনেক লোক আটকা পড়েছে।
০১ মার্চ ২০২৪, ০১:০৭

মেডিকেলে পড়ার স্বপ্ন পূরণ হল অদম্য মেধাবী অপুর
যশোরের মণিরামপুরে দরিদ্র চর্মকার পরিবারে জন্ম অপু দাসের। ছোটবেলা থেকেই অর্থকষ্টে বেড়ে উঠলেও পড়াশোনায় ছিলেন সবসময়ই প্রথম সারির মেধাবীদের একজন। মণিরামপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২০ সালে এসএসসি এবং মণিরামপুর সরকারি কলেজ থেকে ২০২২ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থী অপু দাস। কোন প্রকার কোচিং না করেই এমবিবিএস পরীক্ষায় ৭৫ নম্বর পেয়ে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পান তিনি। যশোরের মণিরামপুরের খানপুর ঋষি পল্লীর বাসিন্দা অপু দাস। ২০২৩-২০২৪  শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান অপু। অপু দাসের বাবা অসিত দাশের পেশা জুতা ঠিক করা। যশোরের মণিরামপুরে খানপুর ঋষি পল্লীতে দুই ছেলে এবং স্ত্রী নিয়ে বাস করেন অসিত দাস। অর্থাভাবে মেডিকেলে ভর্তির স্বপ্ন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল তার। অপুর মেডিকেল পড়া নিয়ে যখন চরম অনিশ্চয়তা দেখা যায় তখন একটি স্থানীয় পত্রিকায় ‘চর্মকারের ছেলের মেডিকেল জয়, টাকার অভাবে দুশ্চিন্তায় বাবা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের সকলের নজরে আসে বিষয়টি। সংবাদ প্রকাশের পর অপু দাসের ভর্তির বিষয়ে এগিয়ে আসেন যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানজীব নওশাদ পল্লব। অপুর মেডিকেল ভর্তি এবং পড়াশোনার দায়িত্ব নেন তিনি। এত প্রতিকূলতার মধ্যেও ছেলের এমন সাফল্যে খুশি অপুর পরিবার এবং প্রতিবেশীরাও। তানজীব নওশাদ পল্লব অপুর সাথে যোগাযোগ করে জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ও মিষ্টি মুখ করান এবং মেডিকেলে ভর্তি এবং পড়াশোনার দায়িত্ব নেন। ইতোমধ্যেই মেডিকেলে ভর্তির জন্য ২০ হাজার টাকা অপু এবং তার বাবার হাতে তুলে দেন পল্লব। যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানজীব নওশাদ পল্লব বলেন, দেশের অদম্য মেধাবীরা অর্থের অভাবে ঝড়ে পরবে এটা মেনে নেয়া যায় না। সে যেন ভবিষ্যতে আরও ভালো করতে পারে এবং তার মেডিকেলে ভর্তি ও পড়াশোনা যেন নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে পারে সেজন্য আর্থিক এবং সামগ্রিক সহায়তার দায়িত্ব আমি নিয়েছি। জেলা ছাত্রলীগ পরিবার তার পাশে থাকবে।  
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:১২

এক কলেজের ৫১ শিক্ষার্থী পেল মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ
নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষার্থীরা এমবিবিএস ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় এবারও সাফল্য পেয়েছে। এ বছর ৫১ জন শিক্ষার্থী মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) এ খবর নিশ্চিত করেছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আজাদ আবুল কালাম।  গত বছরও সাফল্য পেয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। ওই বছর ৩৫ জন মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলেন। সৈয়দপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল নামে ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রতিষ্ঠানটি। পরবর্তীতে ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠানটি কলেজে উন্নীত করে নাম দেওয়া হয় সৈয়দপুর সরকারি টেকনিক্যাল কলেজ। এরপর ২০১৯ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তন করে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ। এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আজাদ আবুল কালাম বলেন, শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রতিবছর মেডিকেল ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ধারাবাহিক সফলতা ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে। প্রসঙ্গত, রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন এমবিবিএস ২০২৩-২৪ সেশনের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেন। এ বছর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় পাস করেছেন ৪৯ হাজার ৯২৩ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৪৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ।  
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:২৭

মেডিকেলে প্রথম তানজিম সর্বা
দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন তানজিম মুনতাকা সর্বা।   রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফল ঘোষণা করেন। জানা গেছে, ১ লাখ দুই হাজার ৩৬৯ জনের মধ্যে ৯২.৫ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছেন মুনতাকা সর্বা। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে মেধা কোটার ৫০৭২টি আসনের মধ্যে এবার পুরুষ শিক্ষার্থী ২ হাজার ১৯৪ জন (৪৩.২৬ শতাংশ)। নারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২ হাজার ৮৭৮ জন (৫৬.৭৪ শতাংশ)। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মোট আসন সংখ্যা ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী (২৬৯ জন) এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জন্য সংরক্ষিত কোটায় ৩৯ জন শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। এবার মেডিকেলের প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ১ লাখ ২ হাজার ৩৬৯ জন। পাস করেছেন ৪৯ হাজার ৯২৩ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৪৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এবার সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১০৪টি মেডিকেল কলেজের ১১ হাজার ৬৭৫টি আসনের জন্য এবার ১ লাখ ৪ হাজার ৩৭৪ জন ভর্তিচ্ছু আবেদন করেন। ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে মোট আসন ৫ হাজার ৩৮০টি এবং বেসরকারি পর্যায়ে অনুমোদিত ৬৭টি মেডিকেল কলেজে মোট আসন ৬ হাজার ২৯৫টি। এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম নম্বর (পাস নম্বর) গতবারের মতো এবারও ৪০ রাখা হয়েছে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা হয়। লিখিত পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম পাওয়া শিক্ষার্থীদের অকৃতকার্য বিবেচনা করা হয়েছে। মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি থাকা দ্বিতীয়বার ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ১০ নম্বর কাটা হবে। এ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় জেলা কোটা বাতিল করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নির্ধারিত সময়ে আসন পূরণ করা না গেলে সেসব আসনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পাবেন। যেভাবে ফল জানা যাবে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল ঘোষণার পর ওয়েবসাইট থেকে ফলাফল জানা যাবে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটেও ফলবিষয়ক তথ্য প্রকাশ করা হবে। পাশাপাশি যেসব শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাদের আবেদনের সময় দেওয়া মোবাইল ফোন নম্বরে খুদেবার্তার (এসএমএস) মাধ্যমে ফল জানিয়ে দেবে অধিদপ্তর। এর আগে শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ঘণ্টাব্যাপী দেশের ১৯টি পরীক্ষা কেন্দ্রের ৪৪টি ভেন্যুতে একযোগে চলে পরীক্ষা।  
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫১

মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ : পাসের হার ৪৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ
এমবিবিএস ২০২৩-২৪ সেশনের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এই শিক্ষাবর্ষে পাস করেছেন ৪৯ হাজার ৯২৩ জন শিক্ষার্থী। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন এ ফলাফল ঘোষণা করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, এ বছর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় পাস করেছেন ৪৯ হাজার ৯২৩ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৪৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এবার সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১০৪টি মেডিকেল কলেজের ১১ হাজার ৬৭৫টি আসনের জন্য এবার ১ লাখ ৪ হাজার ৩৭৪ জন ভর্তিচ্ছু আবেদন করেন। ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে মোট আসন ৫ হাজার ৩৮০টি এবং বেসরকারি পর্যায়ে অনুমোদিত ৬৭টি মেডিকেল কলেজে মোট আসন ৬ হাজার ২৯৫টি। এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম নম্বর (পাস নম্বর) গতবারের মতো এবারও ৪০ রাখা হয়েছে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা হয়। লিখিত পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম পাওয়া শিক্ষার্থীদের অকৃতকার্য বিবেচনা করা হয়েছে। মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি থাকা দ্বিতীয়বার ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ১০ নম্বর কাটা হবে। এ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় জেলা কোটা বাতিল করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নির্ধারিত সময়ে আসন পূরণ করা না গেলে সেসব আসনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পাবেন। যেভাবে ফল জানা যাবে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল ঘোষণার পর ওয়েবসাইট থেকে ফলাফল জানা যাবে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটেও ফলবিষয়ক তথ্য প্রকাশ করা হবে। পাশাপাশি যেসব শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাদের আবেদনের সময় দেওয়া মোবাইল ফোন নম্বরে খুদেবার্তার (এসএমএস) মাধ্যমে ফল জানিয়ে দেবে অধিদপ্তর। এর আগে শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ঘণ্টাব্যাপী দেশের ১৯টি পরীক্ষা কেন্দ্রের ৪৪টি ভেন্যুতে একযোগে চলে পরীক্ষা।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:২৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়