• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
ডিএমপির ২ কর্মকর্তাকে বদলি
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সহকারী পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার দুইজন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। শনিবার (২৩ মার্চ) ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই বদলি করা হয়। এতে বলা হয়, ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) নীপা বিশ্বাসকে সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক, অ্যাডমিন, রিসার্চ, অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার) হিসেবে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে ও ওয়ারী বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) কপিল দেব গাইনকে সহকারী পুলিশ কমিশনার হিসেবে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগে বদলি করা হয়েছে। অবিলম্বে এ আদেশ কার্যকর করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৯:১৫

একদিন পরেই জয় বাংলা কনসার্ট, প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে
সাতই মার্চ এক দিন পরেই। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে ভাষণ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এদিন স্মরণে এবার চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘জয় বাংলা কনসার্ট’। বর্তমানে কনসার্টটির আয়োজনে ব্যস্ত সময় পার করছেন আয়োজকরা। প্রতি বছর ঢাকা আর্মি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হলেও এবারই প্রথমবারের মতো চট্টগ্রামে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে এই কনসার্টের আয়োজন চলছে। ইতোমধ্যে দর্শক-শ্রোতাদের মনমাতাতে প্রায় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন ও মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তত্ত্বাবধানে নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে এ আয়োজন হতে যাচ্ছে। পাশাপাশি সম্পূর্ণ আয়োজন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি নিয়মিত মনিটরিং করছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। কনসার্টে আসছে দেশের স্বনামধন্য আর্টসেল, নেমেসিস, চিরকুটসহ বিভিন্ন ব্যান্ড দল। এছাড়াও মঞ্চ মাতাবেন জনপ্রিয় সব সংগীতশিল্পীরা। এরই মধ্যে ব্যান্ডদলগুলোকে নিয়ে নিয়ে নিজেদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রমোও প্রকাশ করেছে ইয়াং বাংলা।   বরাবরেই মতই এবারও রেজিস্ট্রেশন করা যাবে একেবারেই বিনামূল্যে। নির্ধারিত সময়ে ইয়াং বাংলার ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেইজ থেকে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন লিংকে প্রবেশ করে জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট অথবা জন্মনিবন্ধন সনদ, মোবাইল নম্বর এবং ইমেইল অ্যাড্রেস দিতে হবে। অনলাইনেই নিবন্ধন হলেই পাওয়া যাবে প্রবেশ টিকেট। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের ওয়েব টিমের সমন্বয়ক তন্ময় আহমেদ জানান, ২০২৪ সালের ৭ মার্চ চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘জয় বাংলা কনসার্ট’। তরুণরা দীর্ঘদিন ধরেই ঢাকার বাহিরে কনসার্ট আয়োজনের অনুরোধ করে আসছিল। মূলত তাদের ইচ্ছাতেই এবার চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জয় বাংলা কনসার্ট। বরাবরই জয় বাংলা কনসার্ট নিয়ে তরুণদের মধ্যে থাকে বাড়তি উন্মাদনা। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। কনসার্টের ঘোষণার পর থেকেই ইয়াং বাংলার পেজ জুড়ে মন্তব্য করছে তরুণরা। এ ছাড়াও চট্টগ্রামের তরুণরা এই কনসার্ট উপভোগ করতে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তরুণদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন চট্টগ্রামে। ইয়াং বাংলার  অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে জান্নাতুল নাইম নামক এক জন চট্টগ্রামের ভাষায় মন্তব্য করেন, ‘চলি আইয়্যু অনেরা সবাই, আঁরার চিটাঙ্গত অনেরার সকলেরে সাদর আমন্ত্রণ।’  ২০১৫ সাল থেকে এই কনসার্ট ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে আয়োজিত হয়ে আসছিল সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এর তারুণ্যের প্লাটফর্ম ইয়াং বাংলা। মাঝে করোনা মহামারির কারণে ২০২১–২২ সালে কনসার্ট আয়োজন করা হয়নি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ শত ভাষণের একটি। আর একাত্তরে মুক্তিকামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল ‘জয় বাংলা’ স্লোগান। ‘বেলা বিস্কুট আর চা লইয়েরে, রেডি অওন রেজিস্ট্রেশন হরিবার লাই’— বিস্তারিত জানতে  ক্লিক করুন। এভাবেই এবার চট্টগ্রামের ভাষায় ‘জয় বাংলা কনসার্ট-২০২৪’ এর রেজিস্ট্রেশনের আহ্বান জানিয়েছে আয়োজক ইয়াং বাংলা। তারুণ্যের সর্ববৃহৎ এই প্লাটফর্ম তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে করা এক পোস্টে শনিবার সকাল ১০টা থেকে কনসার্টে উপস্থিত থাকতে আগ্রহী সকলকে রেজিস্ট্রেশনের আহ্বান জানায়। এই লিংকে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন। 
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৮:৩০

রাজধানীতে ২ দিনে ৫৬২ প্রতিষ্ঠানে অভিযান
অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগে গত দুই দিনে রাজধানীতে হোটেল-রেস্তোরাঁ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ৫৬২টি অভিযান চালিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার কে এন রায় নিয়তি এ তথ্য নিশ্চিত করেন। রোববার সন্ধ্যা থেকে সোমবার (৪ মার্চ) রাত পর্যন্ত এসব অভিযান চালানো হয়। এ সময় ৪৫৫টি হোটেল-রেস্তোরাঁ, ১০৪টি ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাস সিলিন্ডার দোকান ও ৩টি কেমিক্যাল গোডাউনে এ অভিযান চালানো হয়। অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার জানান, ডিএমপির রমনা বিভাগে ১১০টি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। এর মধ্যে হোটেল-রেস্তোরাঁয় ৮৪টি ও ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাস সিলিন্ডার রাখার দোকান ২৬টি। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন বা মামলা হয়েছে ২৭টি। লালবাগে ৩৫টি হোটেল-রেস্তোরাঁয় প্রসিকিউশন বা মামলা হয়েছে ৩৪টি। ওয়ারীতে ৪১টি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়েছে। এর মধ্যে হোটেল-রেস্তোরাঁয় ৩৯টি, ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাস সিলিন্ডার রাখার দোকান ১টি ও একটি কেমিক্যাল গোডাউন রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের নামে প্রসিকিউশন বা মামলা হয়েছে ১৫টি। মতিঝিল বিভাগে ১০৮টি প্রতিষ্ঠানে মধ্যে ১০৩টি হোটেল-রেস্তোরাঁ ও ৫টি ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাস সিলিন্ডার রাখার দোকানে অভিযান চালানো হয়। ওইসব প্রতিষ্ঠানের নামে প্রসিকিউশন বা মামলা হয়েছে ২৯টি। তেজগাঁও এলাকায় অভিযান চালানো হয় ৭৪টি প্রতিষ্ঠানে। এর মধ্যে ৬৪টি হোটেল-রেস্তোরাঁ ও ১০টি ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাস সিলিন্ডার রাখার দোকান। এসব প্রতিষ্ঠানকে প্রসিকিউশন বা মামলা দেওয়া হয়েছে ৩১টি। একইভাবে মিরপুর বিভাগে ৪২টি প্রতিষ্ঠানে অভিযানে ৩৪টি হোটেল-রেস্তোরাঁয়, ৭টি ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাস সিলিন্ডার রাখার দোকান ও ১টি কেমিক্যাল গোডাউনের বিরুদ্ধে ২৭টি প্রসিকিউশন বা মামলা দেওয়া হয়েছে। গুলশান বিভাগে ৩০টি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। এর মধ্যে ২৩টি হোটেল-রেস্তোরাঁ ও ৭টি ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাস সিলিন্ডার রাখার দোকান। এতে প্রসিকিউশন বা মামলা হয়েছে ১৮টি। এ ছাড়া ডিএমপির উত্তরা বিভাগে ১২২টি প্রতিষ্ঠানের ৭৩টি হোটেল-রেস্তোরাঁ, ৪৮টি ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাস সিলিন্ডার রাখার দোকান ও একটি কেমিক্যাল গোডাউনে অভিযান চালানো হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন  বা মামলা দেওয়া হয়েছে ৪৮টি। প্রসঙ্গত, গত বৃহস্প‌তিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়ে এখনও ১১ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে তারা কেউই শঙ্কামুক্ত নন। আর জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৭৫ জনকে। গ্রিন কোজি কটেজ নামে ৭ তলা ওই ভবনের একটি তলা ছাড়া বাকি সবকটি তলায় ছিল রেস্তোরাঁ। ভবনটিতে ছিল না জরুরি বহির্গমন সিঁড়ি, তার ওপর ভবনের মূল সিঁড়িতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা ছিল গ্যাসের সিলিন্ডার। ফলে আগুন লাগার কিছুক্ষণের মধ্যেই ভয়াবহ আকার ধারণ করে তা। আর মর্মান্তিক এক ঘটনার সাক্ষী হয় দেশবাসী। এ ঘটনার পরই রেস্তোরাঁ ও ভবনে অগ্নিনিরাপত্তার বিষয়টি আবার সামনে আসে। এরই প্রেক্ষিতে নিরাপত্তা নিশ্চিতে অভিযানে নেমেছে পুলিশ।
০৬ মার্চ ২০২৪, ০১:২১

রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট বানিয়ে দিয়ে কুলি থেকে কোটিপতি
রাজু শেখ। বছর কয়েক আগেও তার পরিচয় ছিল কুলি। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাবার সঙ্গে তরকারির বস্তা টেনে যে সামান্য রোজগার হতো, তাই দিয়ে খেয়ে না খেয়ে চলতো সংসার। হঠাৎই রাজুর জীবনে আলাদীনের চেরাগ হয়ে ধরা দেয় দেশে শরাণার্থী হিসেবে জায়গা পাওয়া রোহিঙ্গারা। জাল পরিচয়পত্রের মাধ্যমে তাদের পাসপোর্ট করে দিতে দিতে ঘুরে যায় তার ভাগ্যের চাকা। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানেই বনে যান কোটিপতি। নিজের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জে গড়ে তুলেছেন কোটি টাকা মূল্যের বাড়ি, উত্তরায় কিনেছেন ১৬০০ স্কয়ার ফিটের বিলাসবহুল ফ্ল্যাট এবং রাজউকে নিয়েছেন ৬ কাঠার প্লট। রোহিঙ্গা ছাড়াও দাগী অপরাধী ও আসামীরাও ছিলেন রাজুর কাস্টমার। জাল জন্ম নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ভুয়া নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে তাদেরকে পাসপোর্ট বানিয়ে দেওয়ার জন্য মোটা অঙ্কের টাকা নিতেন তিনি। কিন্তু, একাই এই অসাধ্য সাধন করেননি রাজু, এ কাজে তার সঙ্গে জড়িত বড় এক চক্র। দীর্ঘ তিন মাসের কঠোর অনুসন্ধান শেষে এই চক্রের ২৩ সদস্যকে ধরতে সক্ষম হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আটকদের মধ্যে রাজু শেখ ছাড়াও আছেন কয়েকজন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ, যারা পাসপোর্ট করার জন্য ঢাকায় এসেছিলেন। এরপর শেখ রাজুকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।  গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি মশিউর রহমান বলেন, রোহিঙ্গা ও দাগী আসামীদের পাসপোর্ট বানিয়ে দিয়ে গোপালগঞ্জে কোটি টাকার বাড়ি করেছেন রাজু শেখ। উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরে কিনেছেন ১৬০০ স্কয়ার ফিটের ফ্ল্যাট। পূর্বাচলে ৬ কাঠার একটি প্লটও কিনেছেন তিনি। পাসপোর্ট জালিয়াতি কার্যক্রমের ধারাবাহিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে রাজু জানান, পাসপোর্ট অফিসের সামনেই তাদের দোকান। সেখানে প্রতিদিন ১০-১৫ জন বাঙালি ফরম পূরণের জন্য আসেন। তখন কৌশলে দীর্ঘ সময় দোকানে বসিয়ে রাখা হয় তাদেরকে। এভাবে যখন ৯-১০ টি ফাইল জমা হয় তখন তাদের সঙ্গে তিনজন রোহিঙ্গার ফাইল মিলিয়ে পাসপোর্টের জন্য জমা দেওয়া হয়। রাজু আরও জানান, কোনভাবেই যেন ভেতরে কী হচ্ছে, তা যেন কেউ বুঝতে না পারেন সেজন্য পাসপোর্ট করতে আসা রোহিঙ্গাদের নতুন নাম-পরিচয় ধারণে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়ম যেন সবাই একসঙ্গে থাকেন। মানসিকভাবে শক্ত থাকার জন্য রোহিঙ্গাদের বারবার সতর্ক করে দেওয়া হয়। জাল নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে স্বাক্ষর দেওয়ার জন্যও আগে-ভাগেই দেওয়া হয় প্রশিক্ষণ। একইসঙ্গে পাসপোর্ট প্রত্যাশী রোহিঙ্গাদের কথায় যেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিকতার কোনো টান না আসে সেটিও নিশ্চিত করা হয়। প্রায় তিন বছর ধরে এভাবেই অসংখ্য রোহিঙ্গার হাতে বাংলাদেশের পাসপোর্ট তুলে দিয়েছেন রাজু শেখ। মশিউর রহমান বলেন, ২০১৬ সাল থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম নিবন্ধন এবং পাসপোর্ট জালিয়াতির কাজে জড়ান রাজু শেখ। এর মধ্যে গত তিন বছর ধরে রোহিঙ্গা ও দাগী আসামিদের সঙ্গে যুক্ত হন তিনি।  আর এক্ষেত্রে কক্সবাজার থেকে রাজুকে রোহিঙ্গা গ্রাহক জোগাড় করে দেয় চট্টগ্রাম, বান্দরবান, খাগড়াছড়ির এজেন্টরা। তাদেরকে নিয়ে আসা হয় তার কাছে। এরপর দোকান থেকে ফরম পূরণ করে পাসপোর্ট অফিসে বায়োমেট্রিক করার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয় চক্রে জড়িত আনসার সদস্যদের কাছে। সেখান পাসপোর্ট তৈরির বাকি দাপ্তরিক কাজগুলো সম্পন্ন করতে সহায়তা করেন ওই আনসার সদস্যরা।  তিন মাসের অনুসন্ধান শেষে রাজধানীর আগারগাঁও, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী ও বাড্ডায় ধারাবাহিক অভিযান চালায় ডিবির লালবাগ বিভাগের একাধিক টিম। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বিপুল পরিমাণ পাসপোর্ট সংক্রান্ত ডকুমেন্টস, পাসপোর্ট এবং কম্পিউটারসহ তিনজন রোহিঙ্গা নারী ও পুরুষ ও ১০ জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেন ডিবি সদস্যরা। পরে তাদের দেওয়া তথ্য এবং সংগৃহীত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি দিন ও রাতে কক্সবাজার, টাঙ্গাইল এবং ঢাকায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে পাসপোর্ট অফিসের দুই আনসার সদস্যসহ রোহিঙ্গা ও বাঙালি দালাল চক্রের ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারদের হেফাজত থেকে মোট ১৭টি পাসপোর্ট, ১৩টি এনআইডি, ৫টি কম্পিউটার, ৩টি প্রিন্টার, ২৪টি মোবাইল ফোন এবং পাসপোর্ট তৈরির সংশ্লিষ্ট শত শত দলিলপত্র জব্দ করা হয়। মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা শিশু, নারী ও পুরুষদেরকে লক্ষাধিক টাকার বিনিময়ে জন্ম সনদ, এনআইডি ও পাসপোর্ট বানিয়ে দিতো শক্তিশালী এই চক্রটি। এদিকে এই জালিয়াত চক্রের পেছনে আরও কেউ জড়িত আছে কি না সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, পাসপোর্ট জালিয়াতি কিংবা অবৈধভাবে পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কেউ জড়িত আছেন কি না বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। আমার মনে হয় এভাবে হাজার হাজার পাসপোর্ট রোহিঙ্গারা ও দাগী আসামিরা নিয়ে যাচ্ছে। দাগী আসামিদের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক দাগী আসামিও এভাবে পাসপোর্ট করেছে। তাদের নাম-পরিচয় আমরা তদন্তের স্বার্থে জানাচ্ছি না। গ্রেপ্তারদের আদালতে সোপর্দ করে আবেদন করা প্রেক্ষিতে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে আরও যারা যারা জড়িত তাদের নাম-পরিচয়ও বেরিয়ে আসবে বলে আশা করি।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:০৬

পুলিশদের জন্য গাইতে ঢাকায় আসছেন অনুপম রায়
ফের ঢাকায় আসছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় গায়ক অনুপম রায়। গাইবেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৪৯ বছর পূর্তিতে। গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি জনমানুষের সেবার ৪৮ বছর পেরিয়ে ৪৯ বছরে পা দিতে যাচ্ছে ডিএমপি। ওইদিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অতিথি শিল্পী হিসেবে গান গাইবেন অনুপম। থাকছে দেশের অন্যতম ব্যান্ড মাইলসও। এ ছাড়াও একাধিক শিল্পীর গান পরিবেশনার কথা রয়েছে। উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন বলেন, জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী অনুপম রায় ডিএমপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে গান পরিবেশন করবেন। তাঁকে এরই মধ্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:২৭

ডিএমপির এডিসি জ্যোতির্ময় মারা গেছেন
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ পরিবহন বিভাগে কর্মরত অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার জ্যোতির্ময় সরকার মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ) কে এন রায় নিয়তি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জানা যায়, জ্যোতির্ময় সরকার ২০১২ সালে ৩০ তম বিসিএস এর মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। তিনি ১৯৮২ সালের ২৭ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলায়। তার মৃত্যুতে ঢাকা মহানগর পুলিশ গভীরভাবে শোক প্রকাশ করেছেন।
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়