• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
জার্মানির ‘জনশক্তির অভাব’ কতটা মেটাতে সক্ষম বাংলাদেশিরা?
জার্মানিতে এখন আলোচনার বড় বিষয় হলো ‘জনশক্তির অভাব’৷ ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতিটি কর্মীর অভাবে ভুগছে বলে কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীরা হাহাকার করছেন৷ ইউরোপ জুড়েই চলা এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের জন্য সুযোগ হতে পারে কি? এই এক সপ্তাহ আগে জার্মানির অর্থমন্ত্রী রবার্ট হাবেক বললেন, তার দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির জন্য এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো কর্মীর অভাব৷ তার সরকার এ বছর অর্থনীতি ০.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আশা করছে, যা আগের বছর ছিল ১.৩ শতাংশ৷ এর কারণ অবশ্য কয়েকটি৷ উৎপাদক দেশটির জন্য সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে বৈশ্বিক চাহিদা হ্রাস, ভূ-রাজনীতির প্রভাব ও হার না মানা মূল্যস্ফীতি৷ কিন্তু পূর্বাভাসে এত কম প্রবৃদ্ধি হিসেবের আরেকটি কারণ কর্মী সংকট৷ জার্মানিতে এই মুহূর্তে সাত লাখ কর্মীর অভাব রয়েছে৷ নভেম্বরের শেষ দিকে জার্মান চেম্বার অফ কমার্সও বলছিল যে দেশের অর্ধেক সংখ্যক কোম্পানিতে কর্মী সংকট দেখা দিয়েছে৷ হাবেকের ব্যাখ্যায় সেদিন দেখা গেল, কর্মী সংকটের কারণে প্রবৃদ্ধি ০.৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.২ শতাংশ হিসেব করতে হচ্ছে৷ এই সাত লাখ সংখ্যাটি আর দশ বছরের মধ্যে ৭০ লাখে পরিণত হবে বলে জার্মান সরকারের ধারণা৷ অর্থাৎ, জার্মানির শ্রমবাজারে ২০৩৫ সাল নাগাদ ৭০ লাখ কর্মীর অভাব তৈরি হবে৷ এর বড় কারণ, এখানকার জনসংখ্যার একটা বড় অংশ বয়স্ক নাগরিক৷ তারা অবসরে যাবেন৷ তাই এই কর্মী সংকট যে শুধু দক্ষ কর্মীর, তা নয়৷ সে কারণেই হাবেকের হাহাকার ছিল এমন, আমাদের হাত আর মাথা দরকার৷ জার্মান গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্টিফটুং ভিসেনশাফট উন্ড পলিটিক বা এসডাব্লিউপির হিসেবে, সামাজিক ও শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সেবা, নির্মাণ, তথ্য প্রযুক্তি, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত- এসব খাতে যেমন জনশক্তির ঘাটতি আছে, তেমনি আছে গৃহকর্মী ও অন্যান্য সহযোগী কর্মীর অভাবও৷ এই জনশক্তির অভাব স্থানীয়দের দিয়ে পূরণ সম্ভব হবে না বলে এরই মধ্যে বোঝা হয়ে গেছে সরকারের৷ তাই তাদের নির্ভর করতে হবে অভিবাসীদের ওপর৷ জার্মানিতে নাগরিকত্বের নিয়ম সহজ করা থেকে শুরু করে অন্য দেশ থেকে শিক্ষার্থী ও কর্মী আনার ব্যাপারে সরকার কট্টরপন্থীদের আপত্তি সত্ত্বেও নানা নীতি গ্রহণ করছে৷ বিশেষ করে জার্মানিসহ ইউরোপের সহযোগী দেশগুলো থেকে আরো বেশি কর্মী আনা এখন তাদের জন্য কৌশলগত গুরুত্বে অগ্রাধিকারে রয়েছে৷ সে কাজটি তারা খুব ভালোভাবে করতে পারছে, বললে ভুল হবে৷ তবে এ পরিস্থিতি বাংলাদেশের মতো জনশক্তি রপ্তানি করে আয় করা দেশগুলোর জন্য একটা সুযোগ বলা যেতে পারে৷ দক্ষিণ এশিয়ার এই জনবহুল দেশটি ২০২৩ সালে রেকর্ড ১৩ লাখ জনশক্তি রপ্তানি করেছে৷ গত বছর তারা ১৩৭টি দেশে জনশক্তি রপ্তানি করেছে৷ এর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এখনো বাংলাদেশের শ্রমশক্তির প্রধান গন্তব্য৷ অন্যদিকে, ইউরোপের দেশগুলোতে অনিয়মিত পথে সাগর পাড়ি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশিরা আসার চেষ্টা করছেন৷ কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করে বছরের পর বছর ধরে তারা শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন৷ অথচ বাংলাদেশ যদি ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে একটা কৌশলগত অংশীদারিত্ব তৈরি করতে পারে এবং সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে এমন উদ্যোগ নেয়া যায় যে, ইউরোপের বাজারের জন্য দরকারি কাজগুলোর প্রশিক্ষণ দেয়া হবে এবং ভাষা শেখার পর তারা এখানে এসে কাজে যোগ দিতে পারবেন, তাহলে এসব প্রশিক্ষণে নিজ খরচেই আগ্রহীরা যোগ দিতে পারেন৷ এখন সেই সুযোগ কতটা ভালোভাবে কাজে লাগানো যায় তা বাংলাদেশের দায়িত্ব৷ ভারত ঠিকই তথ্যপ্রযুক্তি থেকে শুরু করে নানাভাবে এই শ্রমবাজারে তাদের জায়গা তৈরি করে নিচ্ছে বা নিয়েছে৷ তাই অংশীদার হিসেবে জার্মানির কাছে বা ইউরোপের কাছে তাদের গুরুত্বও বেশি৷ দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনাও দরকার৷ বাংলাদেশের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোকে ইউরোপের প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যুক্ত করা দরকার৷ আবার স্কুল পর্যায়েই বিদেশি ভাষা শেখার সুযোগ রাখা দরকার৷ স্কুল-কলেজ পর্যায়ে কোনো একটি ভাষা শিখলে তা সার্বিক গ্রেড পয়েন্ট ফলাফলের ওপর যেন প্রভাব রাখে তেমন ব্যবস্থা রাখা দরকার৷ তবে সবার আগে প্রয়োজন এই মুহূর্তের চাহিদা মেটানো৷ জার্মানিতে এখন মাংস কাটার লোক থেকে শুরু করে ট্রাক ড্রাইভার, নার্স, ডাক্তার, গৃহকর্মী, কৃষক, তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী সবই দরকার৷ তাই এখন থেকে শুরু করে আগামী দশ বছরে যে কর্মশক্তির ঘাটতি তৈরি হবে এখানে, তাতে বাংলাদেশের মানুষ কীভাবে অবদান রাখতে পারেন তা দেখা দরকার৷
০১ মার্চ ২০২৪, ২৩:৩৮

বিদ্যুতের দেনা মেটাতে সরকারের ২ হাজার কোটি টাকার বন্ড
বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর (আইপিপি) বকেয়া পরিশোধ শুরু করেছে সরকার। এ জন্য দুই হাজার কোটি টাকার বন্ড ছাড়া হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।  বুধবার (২৪ জানুয়ারি) পূবালী ব্যাংক এবং দ্য সিটি ব্যাংক পিএলসিকে এই দুই হাজার কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এর মাধ্যমে সামিট, কনফিডেন্স, আনলিমা, ইউনাইটেড, লাখধানাভী, বাংলা ট্র্যাক, বারাকা এবং এনার্জিপ্যাক পাওয়ারের দেনা শোধ করা হয়েছে ইতোমধ্যে।  অর্থ বিভাগের ট্রেজারি অ্যান্ড ডেট ম্যানেজমেন্ট অনুবিভাগের কর্মকর্তারা জানান, পর্যায়ক্রমে সব পাওনা পরিশোধ করা হবে। এ জন্য প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করতে হবে সরকারকে। ইতোমধ্যে সিটি ব্যাংকের অনুকূলে ১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা এবং পূবালী ব্যাংকের অনুকূলে ৭৮ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। উভয় বন্ডের মেয়াদ ১০ বছর এবং সুদহার বাংলাদেশ ব্যাংকের রেপো রেটের সমান। বর্তমানে যা ৮ শতাংশ। বাংলাদেশ ইন্ডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিপ্পা) সভাপতি এবং সামিট গ্রুপের পরিচালক ফয়সাল খান বলেন, কিছু স্থানীয় বাণিজ্যিক ব্যাংকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) থেকে প্রাপ্যের বিপরীতে কার্যকরী মূলধন রয়েছে। সেসব ব্যাংকে অর্থ মন্ত্রণালইয় সমর্থিত বন্ড ইস্যু শুরু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।  তিনি বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে যে পরিমাণ ভর্তুকি বিপিডিবি পায়নি, সেই সমপরিমাণ বন্ড ছাড়া হবে। ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইপিপিগুলোর পাওনা এভাবে পরিশোধ করা হবে। দীর্ঘদিনের বকেয়া পেতে শুরু করায় বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো সন্তুষ্ট। মাসিক বিল নিইয়মিত করবে বিপিডিবি। চুক্তি অনুযায়ী, ৩০ দিনের মধ্যে বিল পরিশোধ শুরু করবে তারা। যাতে আইপিপিগুলো চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে। গত সপ্তাহে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর বকেয়া এক সপ্তাহের মধ্যে শোধ করা হবে। এজন্য অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। অবশেষে সেটাই বাস্তবায়িত হচ্ছে।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৪৯

ভালো নির্মাণ দিয়ে যেন ইন্ডাস্ট্রি ও দর্শকের চাহিদা মেটাতে পারি : সাজু মুনতাসির
পুরো নাম মুনতাসির মামুন হলেও শোবিজের সকলে তাকে সাজু মুনতাসির নামেই চেনেন। ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন অভিনেতা হিসেবে। বর্তমানে একজন সফল প্রযোজক হিসেবে দেশে ও বিদেশে সুপরিচিত তিনি। সাজু মুনতাসির বর্তমানে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ১৯৫২ ইন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেডের সিইও। এ ছাড়াও তার মালিকাধীন আরেকটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ডিজিটালিয়া। সোমবার (৮ জানুয়ারি) তার জন্মদিন।  সাজু মুনতাসির ৮ জানুয়ারি বাংলাদেশের পিরোজপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ওবায়দুল কবির এবং মা কানিজ নাজনীন আক্তার।টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টেলিপ্যাব) সাধারণ সম্পাদক সাজু মুনতাসির জীবনের বিশেষ দিনটিতে ভাসছেন শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায়। সাজু মুনতাসির বলেন, এটা সত্যি দারুণ একটি বিষয় যে প্রতিবছর জন্মদিন এলে কাছের মানুষেরা, সহকর্মীরা শুভেচ্ছা দিয়ে সেটি রঙিন করে রাখেন। এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সবার কাছে আমি দোয়া চাই যেন সততা নিয়ে একজন প্রযোজক নেতা হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করতে পারি। ভালো ভালো নির্মাণ দিয়ে যেন ইন্ডাস্ট্রি ও দর্শকের চাহিদা মেটাতে পারি। তিনি ১৯৯৭ সালে র‌্যাম্প মডেল হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। ২০০০ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন টিভিসিতে মডেল হিসেবে অভিনয় করেন। তিনি ২০০২ সালে জনপ্রিয় পরিচালক আহমেদ ইউসুফ সাবের পরিচালিত বাংলা নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেন। ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি প্রায় একশ পঞ্চাশটিরও বেশি নাটকে অভিনয় করেছেন। 
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়