• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মৃত্যুর কারণ জানা গেল মহাসড়কে পড়ে থাকা সেই হাতির
গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান এলাকায় মহাসড়কের পাশে পড়ে থাকা মৃত হাতিটি লিভার ডিসফাংশনে মারা গেছে বলে জানিয়েছেন ভেটিরিনারি সার্জন। ময়নাতদন্ত শেষে হাতিটির মরদেহ গজারি বনে পুতে রাখা হয়েছে। তবে মারা যাওয়ার পর হাতিটিকে মহাসড়কের পাশে ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছে বলে ধারণা করছে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।  মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজেন্দ্রপুর ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের ২ নম্বর গেট এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে মরদেহ পড়ে থাকার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বনবিভাগের কর্মকর্তারা। বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ ঢাকা বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মোজাম্মেল হোসেন বলেন, মৃত হাতিটির বয়স পাঁচ থেকে ছয় বছর হবে। এটি ছিল পুরুষ হাতি। দুপুরে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের পাশে ঘটনাস্থলেই হাতিটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা রুবিয়া ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখা যায় মৃত হাতিটির মাথায় ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে, দাঁতগুলো কে বা কারা উঠিয়ে নিয়েছে। আমরা প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছি, অন্য কোথাও হাতিটির মৃত্যু হওয়ার পর এখানে এনে ফেলে রেখেছে। হাতির দাঁতের মূল্য রয়েছে। হাতির দাঁতের জিনিস কেনাকে ‘গুড ইনভেস্টমেন্ট’ বলে ধরেন অনেকে। কারণ, এটি বিরল ও টেকসই। তাই মারা যাওয়ার পর হাতিটির দাঁত খুলে নেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভেটিরিনারি সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান জানান, লিভার ডিসফাংশনের কারণে হাতিটি মারা গেছে। পোস্টমর্টেমের সময় লিভার, ফুসফুস ও পেরিটোনিয়াম নষ্ট পাওয়া গেছে। উদ্যানের কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের রাজেন্দ্রপুরে এলাকায় মৃত হাতিটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ ও বন বিভাগের কর্মকর্তাদের খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গোলাম হায়দার ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভেটিরিনারি সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান যৌথভাবে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন। ময়নাতদন্ত শেষে ভাওয়াল গজারি বনের ভেতর হাতিটিকে মাটি চাপা দেওয়া হয়।  
৮ ঘণ্টা আগে

ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে মারা গেলেন মা
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় নিখোঁজ সন্তানের মৃত্যুর খবর শুনে মারা গেছেন এক মা।  শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে নিহত স্কুলছাত্র হাসিব মোল্যার (১৮) পরিবারের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। জানা যায়, নিহত হাসিবের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার পূর্ব সদরদীতে। নিখোঁজের একদিন পর খাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ছেলের মরদেহ পাওয়া গেছে শুনে মারা যান তার মা হেলেনা বেগম (৪৫)। হাসিব মোল্যা পূর্ব সদরদীর বাস্তখোলা গ্রামের ফরহাদ হোসেন মোল্যার ছেলে। তবে হাসিবের পরিবার জীবিকার তাগিদে দীর্ঘ বছর ধরে ঢাকার ডেমরার সারুলিয়া নামক এলাকায় বসবাস করে আসছেন। বাবা ফরহাদ হোসেন ডেমরা এলাকার একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করেন। হাসিব ডেমরা এলাকার একটি স্কুলে দশম শ্রেণির ছাত্র।  এ ঘটনায় শোকে স্তব্ধ ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার পৌরসভা এলাকার ছিলাধরচর বাস্তুখোলা গ্রামে নিহতদের স্বজনরা। এ ব্যাপারে হাসিবের চাচা মো. বিপ্লব মোল্যা বলেন, ঈদের নামাজ পড়তে বন্ধুদের নিয়ে বাসা থেকে বের হয় হাসিবুল। এরপর হাসিবুল মোল্যা আর বাসায় ফেরেনি। তার ব্যবহৃত মোবাইলটি বন্ধ ছিল। হাসিবকে তার বন্ধুরা ডেকে নিয়ে হত্যা করে খালে ফেলে দিয়েছে। আমরা এ হত্যার বিচার চাই।   এ বিষয়ে ডেমরা থানার ওসি মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার ডেমরার একটি খাল থেকে হাসিবের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত কিছু সিসি ক্যামেরার ফুটেজ হাতে পেয়েছি। সেখানে দেখা গিয়েছে হাসিবসহ তিন বন্ধু মিলে মদ নিয়ে ঘুরছেন। পরে একটি বাড়িতে গিয়ে তিন বন্ধু মিলে মদ পান করেন। ওই রাতেই কাউকে না বলেই হাসিব বাড়ি থেকে বের হন। রাস্তা দিয়ে হেঁটে একটি ব্রিজে বসেন।  ওসি আরও বলেন, সেখান থেকে খালের পানিতে পড়ে হাসিবের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল মর্গে পাঠিয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। আপাতত থানাতে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৪

স্ত্রীর মৃত্যুর এক ঘণ্টা পর চলে গেলেন স্বামীও
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় স্ত্রীর মৃত্যুর এক ঘণ্টার পর স্বামীর মৃত্যু হয়েছে।  বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।  এর আগে, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে নিজ বাড়িতে মারা যান শামসুর নাহার (৪৯)। এর এক ঘণ্টা পর মারা যান স্বামী আমিন উল্যাহ (৬২)।   মৃত আমিন উল্যাহ উপজেলার ৫নং চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের উপদ্দি লামছি গ্রামের মিন্নত আলী বেপারী বাড়ির মৃত মকবুল আহমদের ছেলে। তিনি চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) জসিম উদ্দিন মাস্টার বলেন, গ্রাম পুলিশ আমিনের স্ত্রী শামসুর নাহার দীর্ঘদিন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরপর চিকিৎসক শামসুর নাহারকে বাড়িতে পাঠালে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে নিজ বাড়িতে তার ‍মৃত্যু হয়।  এর কিছুক্ষণ পর স্ত্রীর শোকে স্ট্রোক করেন স্বামী আমিন উল্যাহ। পরে রাত ১১টার দিকে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক ছিলেন।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১২

একসঙ্গে বিষপান / প্রেমিকের মৃত্যুর ২২ ঘণ্টা পর চলে গেলেন প্রেমিকাও
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালের খাঁড়িতা গ্রামে প্রেমিক-প্রেমিকা বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনায় প্রেমিকের মৃত্যুর ২২ ঘণ্টা পর মারা গেলেন প্রেমিকাও। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বগুড়ার একটি হাসপাতালে প্রেমিকা মারা যান। এর আগে সোমবার ভোর ৫টায় জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রেমিক মুরাদ মারা যান। গত ৪ এপ্রিল নিজ নিজ বাড়িতে তারা বিষপান করেন। প্রেমিক-প্রেমিকারা হলেন মুরাদ শেখ (১৭) ও তাজমিন আক্তার (১৫)।  মুরাদ খাঁড়িতা গ্রামের দোলন শেখের ছেলে এবং তাজমিন একই গ্রামের তোজামের মেয়ে।  পরিবারের বরাতে পুলিশ জানায়, মুরাদ এবার বড়তারা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। আর তাজমিন বাঁকিলা উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। মুরাদের সঙ্গে একই গ্রামের তাজমিন আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু তাদের পরিবার বিষয়টি জানার পর সম্পর্ক মেনে নেয়নি। পুলিশ আরও জানায়, পরে মুরাদের পরিবার তাকে মালয়েশিয়া পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ঈদের পর দেশের বাইরে যাওয়ার কথা ছিল মুরাদের। এরপর দুজন সিদ্ধান্ত নিয়ে গত ৪ এপ্রিল নিজ নিজ বাড়িতে বিষপান করেন। এরপর তাদের উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দুদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তারা বাড়ি ফিরে আসেন। গত ৭ এপ্রিল রাত সাড়ে ১১টার দিকে মুরাদ আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরে তার মৃত্যু হয়। প্রেমিক মারা যাওয়ার খবরে প্রেমিকা তাজমিনও আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর রাতে তাজমিনও মারা যান। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ক্ষেতলাল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, প্রেমঘটিত কারণে প্রেমিক-প্রেমিকা বিষপান করেছে। প্রেমিক মুরাদ আগেই মারা গেছেন। এর প্রায় একদিন পর হাসপাতালে মেয়েটিও মারা গেলেন। এ ঘটনায় মুরাদের মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে জানাজা শেষে তার দাফন হয়েছে। আর মেয়েটির মরদেহ বগুড়াতে আছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:২১

পুলিশ হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যুর অভিযোগ 
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর থানা পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় আকরাম হোসেন নামের এক যুবদল নেতার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে হরিপুর থানায় এ ঘটনা ঘটে।  আকরাম হোসেন হরিপুর উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও একই উপজেলার হাটপুকুর গ্রামের আব্দুল তোয়াবের ছেলে। আকরামের পরিবারের লোকজন জানান, রোববার দিবাগত রাতে আকরামকে আটক করে হরিপুর থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর থানা হাজতে তাকে আটক রাখা হয়। সোমবার দুপুরে পুলিশ হেফাজতে থাকাবস্থায় থানাতেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় পুলিশি নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে বলে গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন স্বজনরা।  তবে হরিপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ শেখে জানান, ১১০ পিস টাপেনটাডল ট্যাবলেটসহ আকারম হোসেন ও অপর দুজনকে আটক করা হয়। থানায় তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে সোমবার দুপুরে আসামিদের ঠাকুরগাঁও আদালতে পাঠানোর সময় আকরাম হোসেন অসুস্থবোধ করেন। চিকিৎসার জন্য সঙ্গে সঙ্গেই তাকে হরিপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি মারা যান। হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকতা ডা. শামিমুজ্জামান বলেন, থানা পুলিশ চিকিৎসার জন্য একজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তবে হাসপাতালের আসার পূর্বেই তার মৃত্যু হয়। কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, বিষয়টি তারা তদন্ত করে দেখছেন।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১২

সাভারে ৫ গাড়িতে আগুন / ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই একে একে মৃত্যুর কোলে ৪
সাভারের হেমায়েতপুরে তেলের লরি উল্টে পাঁচটি গাড়িতে আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনায় মো. সাকিব (১৫) নামে আরও এক দগ্ধের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হলো। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল)  রাত ১টা ২০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ওই কিশোর। আগুনে শরীরের শতভাগই পুড়ে গিয়েছিল তার। পুড়ে যাওয়া চারটি ট্রাকের মধ্যে তরমুজবাহী একটি ট্রাকের হেলপার ছিল সে। এর আগে রাত সাড়ে ৯টার দিকে মৃত্যু হয় একই ট্রাকের চালক হেলাল হাওলাদারের (৩০)। দুর্ঘটনায় শতভাগ দগ্ধ হয়েছিলেন তিনিও। বুধবার (৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হেলাল ও সাকিবের মৃ্ত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে হেমায়েতপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জোড়পুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় লরির পেছনে আটকে থাকা চারটি ট্রাক ও একটি প্রাইভেটকার সেখানেই পুড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ইকবাল হোসেন নামে এক ট্রাক শ্রমিকের। সঙ্গে দগ্ধ হন মিম (১০), আল-আমিন (৩৫), নিরঞ্জন রায় (৪৫), মিলন মোল্লা (২২), সাকিব (২৪), হেলাল হাওলাদার (৩০) ও নজরুল ইসলাম (৪৫) নামে সাতজন ব্যক্তি। তাদের সবাইকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। কিন্তু, হাসপাতালে পৌঁছানোর পরপরই মৃত ঘোষণা করা হয় নজরুল ইসলামকে (৪৫)।  দগ্ধদের মধ্যে ছয়জনই ছিলেন তরমুজবাহী একটি ট্রাকে। তাদের মধ্যে তরমুজ ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম, ট্রাক চালক হেলাল ও হেলপার সাকিব মারা গেছেন। ট্রাকটি বরগুনা থেকে গাজীপুরে যাচ্ছিল। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার সকালে দগ্ধ অবস্থায় সাতজনকে বার্ন ইউনিটে নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে হাসপাতালে আসার আগেই নজরুল ইসলাম নামে একজনের মৃত্যু হয়। বাকিদের মধ্যে হেলাল ও সাকিবের শরীরের ১০০ শতাংশ পোড়া ছিল। এই দুইজনের মধ্যে ঘটনার রাত সাড়ে ৯টার দিকে হেলাল হাওলাদারের মৃত্যু হয়। আর রাত ১টা ২০ মিনিটে সাকিবের মৃত্যু হয়। 
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩২

প্রীতি উরাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার দ্রুত তদন্ত দাবি
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে গত ৬ ফেব্রুয়ারি  আদিবাসী শিশু প্রীতি উরাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের ১১৭ জন নাগরিক। এ ঘটনায় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা এবং কয়েকটি গণমাধ্যমের পক্ষপাতমূলক আচরণের বিষয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা। ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিক গুরুতর অপরাধ বিশেষত কন্যা শিশুকে কাজে নিয়োগ করা এবং নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত তাদের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন তারা। সেইসাথে সরকারের কাছে বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ঘটনার নিরপেক্ষ, দ্রুত ও সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের বিচার সম্পন্ন  করার দাবি জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো ১১৭ বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতিতে বলা হয়- বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে আমরা জানতে পারি, গত ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ তারিখ ঢাকার মোহম্মদপুরে ইংরেজি দৈনিক ‘দ্যা ডেইলি স্টার’-এর নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় ১৩ বছর বয়সী শিশু (সাত বছরে স্কুল ছাড়ার বিবেচনায়) প্রীতি উরাং কর্মরত ছিল। অভিযোগ রয়েছে আশফাকুল হকের স্ত্রী তানিয়া হক প্রায়ই তার বাসায় কর্মরত গৃহকর্মীদের মারধর করতেন। সর্বশেষ প্রীতিকে আট তলা থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। প্রীতির বাবা অভিযোগ করেছেন, ওই গৃহে কাজ করার সময় সৈয়দ আশফাকুল হকের পরিবার প্রীতিকে মা-বাবার সঙ্গে কথা বলতে দিত না। শিশুটি পড়ে যাবার আগে প্রাায় ১৩ মিনিট ঝুলে ছিল এবং বাঁচার আকুতি জানিয়েছিল। কিন্তু আশফাকুল হকের বাসা থেকে কেউ তাকে সাহায্য করেনি। আশ-পাশের মানুষজন সাহায্যের জন্য এগিয়ে যেতে চাইলেও ওই বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীরা তাদেরকে ভেতরে ঢুকতে দেয়নি। শিশুটি পড়ে যাওয়ার পরে ওই বাড়ির কেয়ারকেটার তাকে হাসপাতালে ফেলে চলে আসে। পরে সে মারা যায়। লক্ষ্যণীয় হলো, প্রীতির প্রাক-স্কুলের নথি এবং ওই ফ্ল্যাটের ওই সময়ের সিসি টিভি ফুটেজ দুটোই গায়েব হয়ে গেছে। এটাও লক্ষ্যণীয়, এজাহারে প্রীতির বয়স ১৩ বছরের বদলে ১৫ বছর বলে উল্লেখ করা হয়েছে এবং সেই সঙ্গে একে অবহেলাজনিত মৃত্যু বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সৈয়দ আশফাকুল হকের ওই ফ্ল্যাট থেকে ২০২৩ তারিখের ৬ আগস্ট ৭ বছরের আরো একজন গৃহকর্মী পড়ে গিয়েছিল বা লাফ দিয়েছিল। সে বেঁচে আছে। তার মেডিকেল রিপোর্টে উল্লেখ আছে, তার জননাঙ্গের গভীর থেকে পায়ুপথ পর্যন্ত ৩-৩-৩ সেন্টিমিটার দীর্ঘ-চওড়া-গভীর ক্ষত রয়েছে। তার জননাঙ্গে অপারেশন করা হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, পড়ে যাবার আগেই সে দু’পায়ের মাঝে আঘাত পেয়েছিল। সেকারণে সে মরে যেতে চেয়েছিল। পরবর্তীতে ওই শিশুটির পরিবারের সঙ্গে ২ লাখ টাকায় বিষয়টির আপসরফা হয়েছে। যদিও টাকা মধ্যস্বত্বভোগীর কাছে চলে গেছে।  প্রীতির মৃত্যুর ১০ দিন পর ডেইলি স্টারের সম্পাদক এক বিবৃতি দিয়ে বলেন, ‘প্রীতির ঘটনায় তারা দুঃখ প্রকাশ করছে এবং ডেইলি স্টার সবসময় শিশু অধিকার সমুন্নত রাখার নীতিতে অটল আছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার অপেক্ষায় আছি।’ তার এ বক্তব্য বিস্ময়কর ও দুর্ভাগ্যজনক। ডেইলি ষ্টারের উচিত ছিল ঘটনার পর পরই তাকে সুরক্ষা দেয়ার স্থলে অব্যাহতি দেয়া, তাহলে সম্পাদকের বক্তব্য কিছুটা হলেও অর্থবহ হতো।  এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষের উদাসীনতা এবং তদন্ত প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অবহেলায় আমরা তীব্র ক্ষোভ এবং নিন্দা জানাচ্ছি। প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ডের নামান্তর বলে আমরা মনে করি।  কোন প্রভাবশালী মহলের চাপে তদন্তকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা হলে আমরা তা মেনে নেব না। দেশের সকল সংবাদমাধ্যমের সম্মানিত সম্পাদকদের কাছে, এই মহান পেশার নিরপেক্ষতা ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াবার ঐতিহ্য অক্ষুন্ন রাখার আহবান জানাচ্ছি। আমরা বলিষ্ঠ কণ্ঠে এ ঘটনার নিরপেক্ষ স্বাধীন ও সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি। সেই সঙ্গে সরকার ও সংশ্লিষ্টদের কাছে নিম্নোক্ত দাবিগুলো তুলে ধরছি- ক) প্রীতি উরাংসহ পূর্বের সকল ঘটনার পুনঃতদন্ত করে দ্রুত দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। খ) প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যুকে অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড বিবেচনা না করে এ মামলা অবিলম্বে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে।  গ) প্রীতির পরিবারকে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে। সেইসাথে তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ঘ) মৃতবৎ অবস্থায় যে শিশুটি বেঁচে আছে তার যথোপযুক্ত চিকিৎসা ও শিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।  ঙ) শিশুটির শরীরের বিশেষ ক্ষতটি পরীক্ষা করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করতে হবে। চ) সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় ৩ জন শিশু গৃহসহকারী ছিল। তারা ৭, ৮ এবং ১১ বছর বয়সে কাজে যোগ দেয়। বাংলাদেশের শ্রম আইন অনুযায়ী ১৪ বছর পূর্ণ হয়নি এমন ব্যক্তি শিশু। শ্রম আইনের ৩৪ ধারা অনুয়ায়ী, কোন শিশুকে কোন পেশায় বা প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ করা যাবে না। সৈয়দ আশফাকুল হক কিংবা তার পরিবারের কোন সদস্য শিশু যৌন নিপীড়ক কিনা সে বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি আমরা। ছ) যে দারোয়ানরা প্রীতিকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করতে দেয়নি, তাদেরকে বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। জ) ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অপরাধ বিশেষত কন্যা শিশুকে কাজে নিয়োগ করা এবং নির্যাতন করার অভিযোগে তাকে অবিলম্বে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।  বিবৃতিতে যারা স্বাক্ষর করেছেন- ১. সুলতানা কামাল, মানবাধিকার কর্মী ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা  ২. খুশী কবির, সমন্বয়কারী, নিজেরা করি ৩. ড. হামিদা হোসাইন, মানবাধিকার কর্মী ৪. ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, নির্বাহী পরিচালক, রিব ও প্রাক্তন অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৫. আনু মুহাম্মদ, প্রাক্তন অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৬. ড. ইফতেখারুজ্জামান, নির্বাহী পরিচালক, টিআইবি ৭. রাণী য়েন্ য়েন, চাকমা রানী, রাঙামাটি ৮. অ্যাড. জেড আই খান পান্না, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ৯. অ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্ত, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ  ১০. ফারহা তানজীম তিতিল, সহযোগী অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ১১. প্রিসিলা রাজ, লেখক-গবেষক ১২. সামিনা লুৎফা নিত্রা, অধ্যাপক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৩. বীনা ডি’ কস্টা, অধ্যাপক, অস্ট্রেলিয়া ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ১৪. অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস,  গনযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৫. সুব্রত চৌধুরী, সিনিয়র আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ১৬. কাজল দেবনাথ, সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ  ১৭. শামসুল হুদা, নির্বাহী পরিচালক, এসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম এ্যান্ড ডেভলপমেন্ট (এএলআরডি) ১৮. পল্লব চাকমা, নির্বাহী পরিচালক, কাপেং ফাউন্ডেশন ১৯. পারভেজ হাসেম, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ২০. গীতি আরা নাসরিন, অধ্যাপক গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২১. অ্যাড. তবারক হোসেইন, সহ-সভাপতি, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন ও আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ২২. অ্যাড. মিনহাজুল হক চৌধুরী, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ২৩. রেহনুমা আহমেদ, লেখক। ২৪. শহিদুল আলম, আলোকচিত্রী। ২৫. মানস চৌধুরী, অধ্যাপক, নৃৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ২৬. ফিরোজ আহমেদ, রাজনীতিবিদ  ২৭. অমল আকাশ, শিল্পী ও সংগঠক ২৮. মনিন্দ্র কুমার নাথ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ২৯. সুমাইয়া খায়ের, অধ্যাপক, আইন বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৩০. মির্জা তাসলিমা সুলতানা, অধ্যাপক, নৃৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৩১. সাঈদ ফেরদৌস, অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৩২. সাঈদিয়া গুলরুখ, সাংবাদিক ৩৩.  ড. সীমা জামান, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৩৪. জাকির হোসেন, নির্বাহী পরিচালক, নাগরিক উদ্যোগ ৩৫. জোবাইদা নাসরীন কণা, অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়  ৩৬. নুর খান, মানবাধিকারকর্মী ৩৭. অ্যাড. সাইদুর রহমান, প্রধান নির্বাহী, মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন ৩৮. ব্যারিস্টার আশরাফ আলী, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ৩৯. ব্যারিস্টার শুভ্র চক্রবর্তী, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ৪০. ব্যারিস্টার শাহাদাত আলম, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট  ৪১.  স্নিগ্ধা রেজওয়ানা, সহযোগী অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৪২.  নাসরিন খন্দকার, নৃবিজ্ঞানী এবং পোস্টডক্টরাল গবেষক, ইউনিভার্সিটি কলেজ কর্ক, আয়ারল্যন্ড ৪৩.  ড. সাদাফ নূর, ল্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়, ইংল্যান্ড ৪৪.  ড. রোহিনী কামাল, শিক্ষক ও গবেষক ৪৫. দীপায়ন খীসা, কেন্দ্রীয় সদস্য, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম ৪৬. হানা শামস আহমেদ, আদিবাসী অধিকার কর্মী ও ডেইলি স্টারের প্রাক্তন সাংবাদিক ৪৭.   রোজীনা বেগম, এম এ শিক্ষার্থী, মাহিডন বিশ্ববিদ্যালয়,ব্যাংকক, থাইল্যান্ড  ৪৮.  মাইদুল ইসলাম, ডক্টরাল গবেষক, সমাজতত্ত্ব বিভাগ, পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়, ৪৯.   দিপ্তী দত্ত, শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৫০.  জান্নাতুল মাওয়া, আলোকচিত্রী।  ৫১.  সায়েমা খাতুন, লেখক ও নৃবিজ্ঞানী, উইসকনসিন, যুক্তরাষ্ট্র।  ৫২.  আতিকা রোমা, সমাজকর্মী।  ৫৩.  রুহী নাজ, আইনজীবী ও অধিকার কর্মী ৫৪.  বর্ণালী সাহা, কথাসাহিত্যিক ৫৫.  মঞ্জিলা ঝুমা, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ৫৬.  সাধনা মহল, গবেষক ও অধিকার কর্মী  ৫৭.   সোহেল রহমান, বাংলাদেশি-পর্তুগীজ চলচ্চিত্রকার ৫৮.  বীথি সপ্তর্ষি, সাংবাদিক ও লেখক ৫৯.  তাসমিয়াহ্ আফরিন মৌ, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও লেখক ৬০.  মীর মুশফিক মাহমুদ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও মানবাধিকার কর্মী। ৬১.  মোহাম্মদ রোমেল, ফিল্মমেকার এবং সংগঠক ৬২. মানস চৌধুরী, অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৬৩.  মোস্তফা হোসেন, সহকারী অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়  ৬৪.  সাদিয়া রহমান সাথী, শিশুদের জননী  ৬৫. মোশরেকা অদিতি হক, সহযোগী অধ্যাপক নৃবিজ্ঞান বিভাগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ৬৬. জায়েদ সিদ্দিকী, স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও উন্নয়নকর্মী। ৬৭.  শরৎ চৌধুরী, লেখক, শিক্ষক নৃবিজ্ঞানী, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়  ৬৮. রুশাদ ফরিদী, অর্থনৈতিক বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (অর্থনৈতিক বিভাগ বলে কিছু আছে কি?) ৬৯. শর্মি হোসেন, ইংরেজি বিভাগ, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ৭০. সানজিদা ইসলাম, সমন্বয়ক, মায়ের ডাক ৭১. আফরিন লায়লা শাপলা, সহকারী অধ্যাপক, আইন বিভাগ, স্টাম্পফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ৭২. মাহবুব মোর্শেদ, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক ৭৩. রেজাউর রহমান লেনিন, গবেষক ও মানবাধিকার কর্মী ৭৪.  লায়লা পারভীন, সভাপতি, নারী অধিকার জোট, নোয়াখালী।  ৭৫. নাসরিন সিরাজ, নৃবিজ্ঞানী, ফিল্ম নির্মাতা।  ৭৬. আব্দুল্লাহ আল মামুন, অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।  ৭৭.  মাহফুজা হক নীলা,  সংস্কৃতি ও মানবাধিকার কর্মী ৭৮.  ৠতু সাত্তার, শিল্পী ৭৯.  সালমা আবেদীন পৃথি, আলোকচিত্রী ৮০.  মুনেম ওয়াসিফ, শিল্পী ৮১.  খন্দকার তানভীর মুরাদ, আলোকচিত্রী ৮২.  তানজিম ওযাহাব, কিউরেটার, শিক্ষক, পাঠশালা ৮৩. মাসউদ ইমরান মান্নু, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৮৪.  ওমর তারেক চৌধুরী, লেখক, অনুবাদক ৮৫.  তন্বী নওশীন, পরিবেশ অ্যাক্টিভিস্ট, বার্লিন ৮৬.  সতেজ চাকমা উপ-সম্পাদক, আইপি নিউজ ৮৭.   অলিক মৃ, সভাপতি, বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ৮৮.  ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান, সংগীত শিল্পী ৮৯.  সাঈদা গুলরুখ, সাংবাদিক ৯০.  ড. খায়রুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যাপক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৯১.  অ্যান্টনি রেমা, সভাপতি, বাংলাদেশ আদিবাসী যুব ফোরাম ৯২.  কৃষ্ণপদ মুন্ডা, নির্বাহী পরিচালক, সুন্দরবন আদিবাসী মুন্ডা সংস্থা (সামস্), শ্যামনগর, সাতক্ষীরা ৯৩. ফাল্গুনী ত্রিপুরা, সমন্বয়ক, বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক ৯৪. জন জেত্রা, সভাপতি, বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস) ৯৫. শ্যাম সাগর মানকিন, গানের দল মাদলের গায়ক ৯৬. চ্যংয়ুং ম্রো, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র পরিষদ ৯৭.  অনন্যা দ্রং, খু.সাল প্রান্তিক নারী সংগঠন ৯৮. ফ্লোরা বাবলী তালাং, সাধারণ সম্পাদক, কুবরাজ ৯৯. বিচিত্রা তির্কী, সভাপতি, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ ১০০. বাসন্তী মুরমু, সভাপতি, আদিবাসী নারী পরিষদ ১০১. হরেন্দ্রনাথ সিং, সভাপতি, আদিবাসী যুব পরিষদ ১০২. অনিল গজাড়, সভাপতি, আদিবাসী ছাত্র পরিষদ ১০৩. ধনঞ্জয় চাকমা, দপ্তর সম্পাদক, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, কেন্দ্রীয় কমিটি ১০৪. রেং ইয়ং ম্রো, সহ সভাপতি, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ ১০৫. নিপণ ত্রিপুরা, সভাপতি, পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ ১০৬. ডা. মুশতাক হোসেন, আহ্বায়ক, জনউদ্যোগ, জাতীয় কমিটি ১০৭. তারিক হোসেন, সদস্য সচিব, জনউদ্যোগ, জাতীয় কমিটি ১০৮. বীথি ঘোষ, সাংস্কৃতিক কর্মী, সমগীত ১০৯. শান্তিদেবী তঞ্চঙ্গ্যা, সভাপতি, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ১১০. জনি মানখিন, শিক্ষক ১১১. মিলন চিসিম, নারী উদ্যোক্তা ১১২. মিঠুন রাকসাম, কবি ১১৩. পরাগ রিছিল, গবেষক ১১৪. মোশরেফা মিশু, সাধারণ সম্পাদক, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি ও সভাপতি, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরাম ১১৫. শহীদুল ইসলাম সবুজ, রাজনৈতিক সংগঠক, সাধারণ সম্পাদক, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরাম ১১৬. ড. বুলবুল আশরাফ, সহযোগী অধ্যাপক, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ১১৭. এহসান মাহমুদ, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ২০:০৮

সরকার খালেদা জিয়ার মৃত্যুর অপেক্ষায় আছে : গয়েশ্বর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সরকার খালেদা জিয়ার মৃত্যুর অপেক্ষায় আছে। যেদিন তার মৃত্যু হবে, সেদিন আর কোথাও না হলেও গণভবনে মিষ্টি বিতরণ করা হবে। সন্ত্রাসী হামলায় আহত নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান শাহীনকে দেখতে সোমবার (১ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে যান গয়েশ্বর। পরে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।   এ সময় গয়েশ্বর বলেন, চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে সরকার তিলে তিলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।  বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপি ছাত্ররাজনীতি চায়। কিন্তু সেটি একদলীয় ছাত্র সংগঠন নয়। জোর করে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা ঠিক হবে না জানিয়ে গয়েশ্বর রায় বলেন, বুয়েটকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে সেখানে রাজনীতি উন্মুক্ত হবে কি না। গয়েশ্বর বলেন, সারাদেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের দমন-পীড়ন চলছে, স্বাভাবিক রাজনীতি করা যাচ্ছে না। দমন-পীড়ন করেই সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৯

নির্ঘাত মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি : ড্যানি সিডাক (ভিডিও)
মার্শাল আর্ট-এ পারদর্শী ড্যানি সিডাক ১৯৮৬ সালে ‘লড়াকু’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন। ‘বনের রাজা টারজান’, ‘সুপারম্যান’, ‘গরিবের রাজা রবিনহুড’, ‘সিংহ পুরুষ’, ‘লেডী রেম্বো’, ‘বাঘা বাঘিনি’ ও ‘রুপের রানি গানের রাজা’সহ বেশকিছু জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন ড্যানি সিডাক। চলচ্চিত্রে কখনই তিনি ডামি ব্যবহার করতেন না। প্রথম সিনেমা ‘লড়াকু’তে নিজ হাতে ভেঙেছেন ১২ ইঞ্চি পুরু বরফ। এরপর তিনি বাঘ, সিংহ ও অজগর সাপের সঙ্গে সরাসরি লড়াই করেছেন। এসব করতে গিয়ে একবার নির্ঘাত মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন বলে আরটিভিকে জানান এই অভিনেতা।  ড্যানি সিডাক বলেন, নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু ভাই আমাকে বললেন- বাঘ, সাপের সঙ্গে লড়াই করেছো, এবার কিসের সঙ্গে লড়াই করবা। তোমার সঙ্গে এবার ২০ জন পালোয়ান দিব। আমি বলেছি- আমি একাই এবার সিংহের সঙ্গে লড়াই করবো। ঝন্টু ভাই বললেন, সত্যি সত্যি পারবা? আমি বললাম, সত্যি পারবো।  যথারীতি আমি আর সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর ভারতে চলে গেলাম। ভারতের ত্রিবান্দ্রাম নামক এক জায়গায় সার্কাস দলের সঙ্গে কথা বলি। তাদেরকে বলি, আমি সিংহের লড়াই করবো। কিছুতেই ওরা রাজি হচ্ছিলো না। ওরা আমাকে বলেছিল- তুমি কি পাগল সরাসরি ফাইট করবা। সিংহ তো তোমাকে চিনে না। যে পালেন, তাকে চিনে। আমি তারপরও বলি, আমি পারবো। তোমরা পাশে থাইকো।  বন্ড পেপারে সাইন করে শুটিং শুরু করেন ড্যানি সিডাক। তিনি বলেন, বন্ড পেপারে সাইন করে ওদের রাজি করালাম। আমাকে সিংহের খাঁচার ভেতর ঢুকিয়ে তালা মেরে দেওয়া হলো। পরিচালকের কথামতো শট দিতে গিয়ে আমি সিংহটাকে পেছন থেকে ধরি। আধা মিনিটের মধ্যে আমাকে মাথা দিয়ে বাড়ি মেরে সিংহটা আমাকে নিয়ে পড়ে গেল। ঘুরে কামড় দিতে চেয়েছে আমাকে। তার আগে পা দিয়ে মারছিল। মনে হচ্ছিল, আমার শরীরটাকে লোহার রড দিয়ে পেটাচ্ছে। আমি পারছিলাম না। বার বার বলছিলাম, আমি আর পারছি না। এর পরে লোহার ক্যাচি দিয়ে আমাকে কোনোমতে উদ্ধার করে। এর পরে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। আমার শরীরে ১০২ ডিগ্রি জ্বর আসে। এর পরও হাল ছাড়েনি ড্যানি সিডাক। পরের দিন আবারও সিংহের সঙ্গে লড়াই করেন। ড্যানি সিডাক বলেন, পরের দিন সকালে গিয়েছি। ওরা অন্য একটি সিংহ নিয়ে আসলো। আমাকে বুদ্ধি শিখিয়ে দিলো। বললো- যখন দেখবা সিংহের ঘাড়ের লোম দাঁড়িয়ে গেছে তখন তুমি সামনে থেকো না। সেটা খেয়াল করেই আমি শুটিংটা করেছি। সিংহের খাঁচা থেকে বের হওয়ার পর দেখতে পাই, বাইরে হাজার হাজার তামিল লোক জড়ো হয়ে গেছে। তারা দেখতে এসেছে, সিংহের সঙ্গে সরাসরি লড়াই করেছে! প্রসঙ্গত, আশি ও নব্বইয়ের দশকের খল অভিনেতা ড্যানি সিডাক এখনও চলচ্চিত্রে নিয়মিত অভিনয় করে চলেছেন। অভিনয়ের বাইরে চলচ্চিত্র প্রযোজনা ও পরিচালনাও করেছেন তিনি।
৩০ মার্চ ২০২৪, ২৩:০৬

চাঁদপুরে অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ
চাঁদপুর শহরের আল-মানার হাসপাতালে গাইনি চিকিৎসক ডা. তাবেন্দা আক্তারের দায়িত্ব অবহেলার কারণে সিজারে জন্ম নেওয়া দুই দিন বয়সী নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। তবে চিকিৎসক তার দায়িত্ব অবহেলার বিষয়টি অস্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেন। শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে শহরের মিশন রোডস্থ হাসপাতালটির দ্বিতীয় তলায় ২০৫ নম্বর কক্ষে ওই নবজাতকের মৃত্যু হয়। তবে ওই নবজাতকের মা সুমি আক্তার (২৭) সুস্থ আছেন। তিনি জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার চরদুঃখিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বিশকাটালি গ্রামের কাজী বাড়ীর মিজানুর রহমানের স্ত্রী। মিজান ময়মনসিংহে দিন মজুরের কাজ করেন। সুমি আক্তারের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। মৃত নবজাতকের ফুফু লুৎফুর নাহার বলেন, চিকিৎসকের পরামর্শে রক্ত নেয়ার জন্য ২১ মার্চ এই হাসপাতালে সুমি আক্তার ভর্তি হয়। আল্ট্রাসনোগ্রাম অনুযায়ি তার সন্তান জন্মের তারিখ ছিল আগামী ২৬ এপ্রিল। কিন্তু আল্ট্রাসনোগ্রাফি চিকিৎসক সাহিদা সুলতানা দ্বিতীয় সিজার হিসেবে ১০ এপ্রিল তারিখ দেন। ওই তারিখ আসার পূর্বেই প্রয়োজনীয় সব ধরনের পরীক্ষা ছাড়াই গাইনী চিকিৎসক তাবেন্দা আক্তার সিজার করেন।  তিনি আরও বলেন, চিকিৎসক পরিবারের লোকদের সঙ্গে পরামর্শ করেননি। আমাদের আত্মীয়ের মধ্যেও চিকিৎসক আছেন। তিনি কেন অতি ঝুকিঁপূর্ণ হওয়া রোগীর সিজার করলেন। আমি নিজে আসার পূর্বেই সিজার সম্পন্ন হয়। তারা তাড়াহুড়া করে কেন ১ মাস পূর্বে অপরিপক্ক নবজাতকের সিজার করলেন। তখনই আমি বলেছি অপরিপক্ক বাচ্চা বাঁচানো যায় না। এই ধরণের চিকিৎসকের বিচার হওয়া উচিত। অভিযুক্ত চিকিৎসক তাবেন্দা আক্তার বলেন, সিজারের পর কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। অপারেশন থিয়েটারে নবজাতকের মৃত্যু হয়নি। দুইদিন পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারাগেলে এখানে চিকিৎসকের কিছু করার নেই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জবাব দিবে। আল-মানার হাসপাতালের পরিচালক অহিদুর রহমান বলেন, চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে তার কাছে তারা যেতে পারেন। শিশুর অবস্থার অবনতি হলে আমরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেই। কিন্তু তারা না নিয়ে হাসপাতালে থেকে যায়। খবর পেয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইসমাইল হোসেন ও ফেরদৌস নুর হাসপাতালে আসেন। উভয় পুলিশ কর্মকর্তা রোগী ও হাসপাতাল পরিচালকদের সঙ্গে কথা বলেন। পুলিশ জানায়, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
২৪ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়