• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
চালক-হেলপার হত্যা, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার 
ট্রাকচালক ও হেলপার হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি শাহাদাৎ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১২ ও র‍্যাব-৪ এর সদস্যরা। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) র‍্যাব-১২ এর হেডকোয়ার্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‍্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার মোহাম্মদ ইলিয়াস।  মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি শাহাদাৎ হোসেন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার মধুপুর গ্রামের মৃত কাইয়ুম মোল্লার ছেলে। র‍্যাব কমান্ডার বলেন, ২০১০ সালের ৪ আগস্ট ভোমরা স্থলবন্দর থেকে ট্রাকচালক মো. জয়নাল হোসেন (৪০) ও হেলপার রুবেল রাসেল (২৮) পাথরবোঝাই ট্রাক নিয়ে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানা এলাকার উদ্দেশ্যে রওনা করেন। পরবর্তীতে ৬ আগস্ট পাথরবোঝাই ট্রাকটি ঢাকা জেলার ধামরাই থানাধীন শ্রীরামপুর নামক স্থানে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় এবং ৭ আগস্ট মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর থানা এলাকা থেকে ট্রাকের চালক এবং হেলপারের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত ট্রাকচালকের ছোট ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। র‍্যাব কমান্ডার আরও বলেন, মামলার তদন্ত শেষে শাহাদাৎ হোসেনসহ ৯ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০২৩ সালের ৯ অক্টোবর আসামি শাহাদাৎ হোসেনকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই আসামি শাহাদাৎ হোসেন আত্মগোপনে চলে যায় এবং সাভার থানার কর্ণপাড়া এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতে থাকেন। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা জেলার সাভার মডেল থানাধীন কর্ণপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে শাহাদাৎ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৫২

নোয়াখালীর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার  
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. সাদ্দাম হোসেন ওরফে রুবেলকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগরীর উত্তরখান থানার হজক্যাম্প এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মো. সাদ্দাম উপজেলার ধন্যপুর গ্রামের আনা মিয়া সরদার বাড়ির শাহ আলমের ছেলে। পুলিশ জানায়, সোনাইমুড়ী থানার একদল পুলিশ র‍্যাব-৩-এর সার্বিক সহযোগিতায় তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে গতকাল রোববার বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা মহানগরীর উত্তরখান থানার হজ্জক্যাম্প এলাকায়। অভিযানে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. সাদ্দাম হোসেন ওরফে রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।   বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, রোববার এক বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে ঢাকা থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাদ্দামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করতে র‌্যাব আমাদের সার্বিক সহযোগিতা করেছে। 
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:০৬

গুপ্তচরবৃত্তি / ১৮ মাস পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৮ ভারতীয়কে ছেড়ে দিলো কাতার
ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে দীর্ঘ ১৮ মাস কাতারের কারাগারে থাকা ভারতীয় নৌবাহিনীর সাবেক ৮ কর্মকর্তা অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন। এরমধ্যে ৭ জন ইতোমধ্যে নিজ দেশে ফিরেছেন। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, কাতারে বন্দি আট ভারতীয়র ফিরে আসার বিষয়টিকে স্বাগত জানাচ্ছে ভারত সরকার। তারা দাহরা গ্লোবাল কোম্পানির হয়ে কাজ করতেন। আটজনের মধ্যে সাতজন ইতোমধ্যে ভারতে ফিরে এসেছেন। এসব ভারতীয়দের মুক্তি দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত কাতারের আমির নিয়েছিলেন। আমরা সেটিকে স্বাগত জানাই। মুক্তি পাওয়া ভারতীয় নৌবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তারা হলেন— ক্যাপ্টেন নভতেজ সিং গিল, ক্যাপ্টেন সৌরভ বশিষ্ট, কমান্ডার পূর্ণেন্দু তিওয়ারি, ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্র কুমার ভার্মা, কমান্ডার সুগুনাকর পাকালা, কমান্ডার সঞ্জীব গুপ্ত, কমান্ডার অমিত নাগপাল এবং নাবিক রাগেশ। ভারতীয় নৌবাহিনীর সাবেক এসব কর্মকর্তা দেহরা গ্লোবাল নামের এ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাতারের নৌবাহিনীর হয়ে কাজ করতেন। সেখানে কাজ করার সময় এসব কর্মকর্তা ইসরায়েলের কাছে গোপন তথ্য পাচার করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাদের ২০২২ সালের আগস্টে গ্রেপ্তার করা হয়। তখন থেকেই তারা কারাগারে বন্দি ছিলেন। গত বছরের অক্টোবরে এই ৮ ভারতীয়কে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন কাতারের একটি আদালত। এরপর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এসব কর্মকর্তাকে ছাড়িয়ে নিতে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করে ভারত। পরে বছরের শেষ দিকে তাদের মৃত্যুদণ্ড স্থগিত করা হয়। সবশেষ ভারতের ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতায় তাদের সবাইকে ছেড়ে দিলো মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:১০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়