• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বনানী ডিওএইচএস থেকে গলিত মৃতদেহ উদ্ধার
ঢাকার বনানী ডিওএইচএসের একটি বাসা থেকে  আলাউলের (৫৫) নামে এক ব্যক্তির গলিত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৬ এপ্রিল) ৬ নম্বর সড়কের একটি বাড়ির পাঁচতলার বাথরুম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ক্যান্টনমেন্ট থানার পরিদর্শক (অপারেশন) হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে তিন দিন আগে তার মৃত্যু হয়েছে। ফ্ল্যাটটিতে একাই থাকতেন ওই ব্যক্তি। বাসার গৃহকর্মী ফোনে এবং দরজায় ডাকাডাকি করে না পেয়ে দুদিন ধরে ফিরে যান। আজ একইভাবে না পেয়ে গৃহকর্মী আলাউলের ভাইকে ফোন করে বিষয়টি জানান। ওই ভাই এসে বিকল্প চাবি দিয়ে দরজা খুলে বাথরুমে আলাউলের গলিত মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। আলাউলের বড় ভাই আহসানুল হক গণমাধ্যমকে জানান, ফ্ল্যাটটি তার ছোট বোনের। বোন পরিবার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে থাকে। আলাউল এ ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আলাউল বেকার ছিলেন। অনেক আগে একটি ওষুধের কোম্পানিতে, পরবর্তীতে ট্রাভেলসে এজেন্সিতে চাকরি করছেন। ক্যান্টনমেন্ট থানার এসআই আলী আকবর জানান, প্রায় এক যুগ আগে আলাউলের সঙ্গে তার স্ত্রীর বিচ্ছেদ হয়েছে। এক কন্যা সন্তান নিয়ে নিউজিল্যান্ডে থাকেন তার সাবেক স্ত্রী। মৃতদেহ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।  
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৯

পঞ্চগড়ে নদীতে মিলল বাঘের মৃতদেহ
পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে স্থানীয় এক কৃষকের আস্ত গরুর খাওয়ার পর নাগর নদী থেকে বিশাল আকৃতির এক চিতা বাঘের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) আটোয়ারী উপজেলার তোড়িয়া ইউনিয়নের দাড়খোড় সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  স্থানীয়দের ধারণা, ওই এলাকার দাড়খোড় সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বাঘটি।  জানা যায়, স্থানীয় এক কৃষকের গরুর গলায় কামড়ে আহত করে গরুটিকে অর্ধেক খেয়ে পালিয়ে যায় বাঘটি। গরুর মালিক শিয়ালের আক্রমণে গরুর মৃত্যু মনে করে গরুটিতে বিষ প্রয়োগ করেন। পরে আবারও গরুটিকে খেতে আসে চিতা বাঘটি। খাওয়া শেষে দাড়খোড় এলাকার ঈদগাহের পাশে সীমান্তঘেষা নাগর নদীতে নামলে সেখানেই বাঘটিকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। পরে খবর পেয়ে বন বিভাগ, বিজিবি ও বারঘাঁটি তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ সদস্যরা বাঘটিকে উদ্ধার করেন। বাঘটিকে ময়নাতদন্তের জন্য আটোয়ারী উপজেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। জেলা সহকারী বন কর্মকর্তা মধু চন্দ্র রায় বলেন, আমরা খবর পেয়ে প্রশাসনের সহায়তায় মৃত চিতাবাঘটিকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগে এনেছি। এটির সঠিক মৃত্যুর কারণ জানতে হলে ময়নাতদন্ত করতে হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা এলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আটোয়ারী উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সীমান্তের নগর নদীর কাছ থেকে মৃত উদ্ধার করা চিতাবাঘটি বন বিভাগের লোকেরা আমাদের কাছে এনেছে ময়নাতদন্তের জন্য। আমাদের কাছে নমুনা সংগ্রহের যাবতীয় উপকরণ নেই। তারা সংগ্রহ করে দিতে পারলে আমরা ময়নাতদন্ত করে রিপোর্ট দিতে পারবো। অন্যথায় আমরা বাঘটিকে পার্শ্ববর্তী কোনো চিড়িয়াখানা অথবা ল্যাবে পাঠানোর পরামর্শ দেবো।   
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়