• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
টাকা কমানোয় এ বছর ৮৪ হাজার মুসল্লি হজ পালন করবেন : ধর্মমন্ত্রী
ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, গত বছর হজে যেতে রেইটটা বেশি ছিল। সব মহলের দাবির প্রেক্ষিতে এ বছর হজের প্যাকেজে এক লাখ দুই হাজার টাকা কমানো হয়েছে। তাই এ বছর বাংলাদেশ থেকে সর্বোচ্চ ৮৪ হাজার হাজী হজব্রত পালন করতে যাবেন।  শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে শেরপুরের ঝিনাইগাতীর মালিঝিকান্দা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, হাজীদের হয়রানি বন্ধ করার জন্য শুধু বাংলাদেশে ইমিগ্রেশনের কাজ সম্পন্ন করা হবে। এরপর যাতায়াতে আর কোনো সমস্যা হবে না। আগে হজের জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ছিল না, আমরা তা করেছি। যে কারণে গত দুই বছর হজব্রত পালন নিয়ে কোনো সমস্যা হয়নি।  তিনি আরও বলেন, মাদরাসা শিক্ষা নিয়েও সুন্দর নীতিমালা করার জন্য সরকার চিন্তাভাবনা করছে।  এ সময় মালিঝিকান্দা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনী কমিটির আহ্বায়ক বিপিডিসি’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শেরপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য এডিএম শহিদুল ইসলাম, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আবদুস সামাদ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখরসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪২

জাতীয় ঈদগাহে একসঙ্গে নামাজ আদায় করবেন যত মুসল্লি
জাতীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের প্রধান জামাতে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি অংশ নিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।  মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) জাতীয় ঈদগাহ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। মেয়র তাপস বলেন, ‘এখানে ৩৫ হাজার মুসল্লির জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নারীদের জন্যও নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমারা সকল প্রকার কার্যক্রম প্রায় সম্পন্ন করেছি। ঢাকাবাসীকে ঈদের দিনে পরিবার-পরিজন নিয়ে জাতীয় ঈদগাহে এসে জামাতে অংশ নেওয়ার এবং ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি ঈদের দিন কোনো ধরনের বৃষ্টি হবে না। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে এ রকম তথ্য পেয়েছি। তবে কালবৈশাখী ঝড় অথবা প্রবল বৃষ্টিপাত হলেও যেন জাতীয় ঈদগাহে সুষ্ঠুভাবে জামাত অনুষ্ঠিত হয়, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুর্ভোগ এড়াতে পুরো অংশ ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ঈদগাহে মুসল্লিরা জায়নামাজ এবং ছাতা আনতে পারবেন। তবে দিয়াশলাইসহ আগুন জ্বালানোর কোনো সরঞ্জাম নিয়ে জামাতে প্রবেশ না করার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ২০:০৮

জামাতে ফজর নামাজ পড়ে উপহার পেলেন ১০ মুসল্লি
টানা ৪০ দিন ফজরের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করে বিশেষ ঈদ উপহার পেয়েছেন ১০ মুসল্লি। ফেনী সদর উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদে এ উপহার দেওয়া হয়। রোববার (৭ এপ্রিল) দিবাগত রাতে মুসল্লিদের হাতে উপহার হিসেবে ঈদের পোশাক তুলে দেওয়া হয়। উপহারপ্রাপ্ত মুসল্লিদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত দুদক কর্মকর্তা আবদুল লতিফ, ব্যবসায়ী রুহুল করিম, বেসরকারি চাকরিজীবী আনোয়ার হোসেন ও সিরাজুল ইসলাম, অটোচালক ইব্রাহিম, কৃষক নুরুল আমিন, কলেজছাত্র আবসার ও দুজন কিশোর রয়েছেন। এ উপলক্ষে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মো. মামুনের সঞ্চালনায় উপহার প্রদান করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মসজিদ কমিটির সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রবিউল হক। এ প্রসঙ্গে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মো. মামুন বলেন, নামাজের পুরস্কার তো আল্লাহ দেবেন। আমরা মুসুল্লিদের উৎসাহ দিতে এমন আয়োজন করেছি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন ফয়সল, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির সহকারী অধ্যাপক ড. শামসুদ্দিন ফরহাদ, মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ মাহমুদ পারভেজসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০১

মসজিদুল হারাম থেকে ৪ হাজার মুসল্লি গ্রেপ্তার
রমজানের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সৌদি আরবের মক্কা নগরীর মসজিদুল হারাম থেকে ৪ হাজারের বেশি মুসল্লিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মসজিদের ভেতর অসদাচরণের কারণে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার (৩১ মার্চ) গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, মুসল্লিরা যাতে নির্বিঘ্নে ও যথাযথ নিরাপত্তার সঙ্গে ইবাদত করতে পারেন, সেটি নিশ্চিত করার জন্য ৪ হাজার মুসল্লিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিকে রমজান মাসে মসজিদুল হারামে মুসল্লিদের ভিড় অনেক বেড়েছে। ভিড় কমাতে মন্ত্রণালয় মুসল্লিদের মসজিদের পরিবর্তে হোটেলের নামাজ কক্ষে ইবাদত করতে পরামর্শ দিয়েছে। বিশেষ করে পবিত্র রমাজন মাসের শেষ দশ দিনে। কারণ, এই সময় ভিড় আরও বাড়ে। এ ছাড়া ওমরাহ করানোর নামে বিদেশিদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে সৌদি সরকার ৩৫টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
৩১ মার্চ ২০২৪, ২৩:১৩

ইজতেমায় আখেরি মোনাজাতে লাখো মুসল্লি
তুরাগতীরের ইজতেমায় আখেরি মোনাজাত শুরু হয়েছে। এতে অংশ নিয়েছেন লাখো মুসল্লি। হাট-ঘাট মাঠ যে যেখানে রয়েছেন সেখানেই এই মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন মানুষ। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা ২০ মিনিটে মোনাজাত শুরু হয়। টঙ্গীর তুরাগতীরে শুক্রবার শুরু হয় ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। মাওলানা সা’দের ছোট ছেলে মাওলানা ইলিয়াস বিন সাদ কান্ধলভীর আম-বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ইজতেমা। ইজতেমায় ইতোমধ্যে ধর্মপ্রাণ মুসল্লির ঢল নেমেছে। গত শুক্রবার জুমার জামাতে অংশ নিয়েছেন লাখো মুসল্লি। এতে ইমামতি করেন মাওলানা সা’দের বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সা’দ কান্ধলভী। এদিকে বুধবার দুপুর থেকেই জামাতবদ্ধ দেশি-বিদেশি মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেন। সেই স্রোত আজও অব্যহত রয়েছে। দেশের ৬৪টি জেলার মুসল্লিরা নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান নিয়ে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল রয়েছেন। ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে বিশ্বের শতাধিক দেশের প্রায় ১২-১৪ হাজার বিদেশি মেহমান আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরব্বিরা। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত অর্ধশতাধিক দেশের ৩ হাজার ২৬৩ জন বিদেশি মেহমান ময়দানে তাদের জন্য নির্ধারিত নিবাসে অবস্থান নিয়েছেন বলে জানান তারা। রোববার ফজরের পর বয়ান কর‌বেন ভার‌তের মুফতি মাকসুদ তার বক্তব্য বাংলা তরজমা কর‌বেন মাওলানা আব্দুল্লাহ। এরপর হেদা‌য়ে‌তি বয়ান। হেদা‌য়ে‌তি বয়া‌নের শে‌ষে হেদায়েতের কথা ও দোয়া। মোনাজাত প‌রিচালনা কর‌বেন মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছে‌লে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ। এদিকে ইজতেমার প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বেও থাকছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের সব এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নজরদারি চলছে। বাংলাদেশের ৬৪ জেলা থেকেই মানুষ অংশ নিয়েছেন দ্বিতীয় পর্বের এ ইজতেমায়। তারা জেলাভিত্তিক নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত শুধু দেশ নয়, দেশের বাইরে থেকেও ইজতেমায় অংশ নিতে এসেছেন অনেক অতিথি। সৌদি আরব, পাকিস্তান, ভারত, ইরাক, তুরস্ক, এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপসহ ৫৪টি দেশ থে‌কে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ৬ হাজার ৩৬ জন বি‌দে‌শি মুস‌ল্লি ইজ‌তেমার ময়দা‌নে এসেছেন। এদিকে আগত মুসল্লিদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিতে দ্বিতীয় পর্বেও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, টঙ্গী সরকারি হাসপাতালসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান মেডিক্যাল ক্যাম্প স্থাপন করেছে। বৃহস্পতিবার বাদ ফজর মুসল্লিদের উদ্দেশে এস্তেকবালি (স্বাগত) বয়ান করেন নিজামুদ্দিন মারকাজের মাওলানা শরিফ আহমেদ। তার বয়ান বাংলায় অনুবাদ করেন বাংলাদেশের মাওলানা শেখ আব্দুল্লাহ মনসুর। বাদ জোহর বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা হারুনুর রশিদ। তার বয়ান বাংলায় অনুবাদ করেন মাওলানা আজিম উদ্দিন। বাদ আসর বয়ান করেন ইজতেমা আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরব্বি ওয়াসিফুল ইসলাম। বাদ মাগরিব বয়ান করেন ভারতের মাওলানা আব্দুস সাত্তার। তার বয়ান বঙ্গানুবাদ করেন মাওলানা মুফতি জিয়া বিন কাশেম। ইজতেমা ময়দানে এবারও আসতে পারেননি তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বি মাওলানা সা’দ আহমদ কান্ধলভী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইজতেমা আয়োজক কমিটির সদস্য হাজি মনির হোসেন। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, মাওলানা সা’দ সাহেবের বিষয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে চার সদস্যবিশিষ্ট কমিটির আলোচনা হয়েছে। আশানুরূপ কোনো খবর এখোনো পাওয়া যায়নি। তবে ইজতেমায় মাওলানা সা’দের তিন ছেলে এসেছেন। তারা হলেন, মাওলানা ইউসুফ বিন সা’দ কান্ধলভী, মাওলানা সাঈদ বিন সা’দ কান্ধলভী ও মাওলানা ইলিয়াস বিন সা’দ কান্ধলভী।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৫৫

ইজতেমায় আখেরি মোনাজাতে অংশ নিলেন লাখো মুসল্লি
তুরাগতীরের ইজতেমায় আখেরি মোনাজাত শুরু হয়েছে। এতে অংশ নিয়েছেন লাখো মুসল্লি। হাট-ঘাট মাঠ যে যেখানে রয়েছেন সেখানই এই মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন মানুষ। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে মোনাজাত শুরু করেন মাওলানা। প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে এরই মধ্যে দূর দূরান্ত থেকে অনেকেই আগে ভাগে চলে এসেছেন। ইজতেমা ময়দানের বিদেশি নিবাসের পূর্বপাশে বিশেষভাবে স্থাপিত মোনাজাত মঞ্চ থেকে এ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ এ তাৎপর্যপূর্ণ মোনাজাতে প্রায় ৪০ লাখ মুসল্লি অংশ নিয়েছেন বলে ইজতেমার আয়োজকরা ধারণা করছেন। এর আগে সকালে অনুষ্ঠিত হয় হেদায়েতী বয়ান। পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক হেদায়েতী বয়ান করেন। পরে ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা নসিহতমূলক কথা বলেন। ইজতেমার প্রথম পর্বের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে রোববার ভোর থেকেই মুসল্লিদের ঢল ছুটেছে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে। আখেরি মোনাজাতকে কেন্দ্র করে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম গণমাধ্যমকে জানান, আখেরি মোনাজাতের পর মুসল্লিদের বাড়ি ফেরা পর্যন্ত ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশের এলাকায় প্রায় সাত হাজার পুলিশ নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া সাদা পোশাকে মুসল্লিদের বেশে খিত্তায় খিত্তায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। মুসল্লিরা যাতে খুব দ্রুত এবং নিরাপদে ময়দান ত্যাগ করতে পারেন সেজন্য বাস, ট্রেনসহ সব ধরনের যানবাহনের ব্যবস্থা রয়েছে।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪৪

তুরাগতীরের জুমার নামাজে লাখো মুসল্লি শামিল
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার ৫৭তম আসর (প্রথম পর্ব)। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) এই মাঠেই দেশের বৃহত্তম জুম্মার নামাজে লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুর ১টা ৫১ মিনিটে নামাজ শেষ হয়। ইজতেমা ময়দানে জুমার খুতবা পাঠ শুরু হয় দুপুর ১টা ৩৭ মিনিটে। নামাজে ইমামতি করেন তাবলিগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বি এবং কাকরাইল মারকাজ মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা জুবায়ের। ইজতেমার প্রথম পর্বের মিডিয়া সমন্বয়ক মো. হাবিবুল্লাহ রায়হান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ইজতেমা ময়দানে অনুষ্ঠিত জুমার নামাজে অংশগ্রহণ করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুরের পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। পাশাপাশি গাজীপুর ও আশপাশের বিভিন্ন জেলার মুসল্লিরাও অংশ নেন। শুক্রবার বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্বের প্রথম দিনের ইজতেমার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। প্রসঙ্গত, তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের কারণে এবারও বিশ্ব ইজতেমা পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথম পর্বের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশের মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা। ৪ ফেব্রুয়ারি এ পর্ব শেষ হবে। দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা হবে ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি। ওই পর্বের নেতৃত্ব দেবেন ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা।
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪১

বিশ্ব ইজতেমা / বৃষ্টি উপেক্ষা করেই বয়ানে মগ্ন লাখো মুসল্লি
তুরাগ তীরে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। আর প্রথম দিনেই বৃষ্টির কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন লাখ লাখ মুসল্লি। তবে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই বয়ানে মশগুল ছিলেন লাখো মুসল্লি। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমা। তবে সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় বৃষ্টি। এ সময় ভোগান্তিতে পড়েন ময়দানে থাকা লাখ লাখ মুসল্লি। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই তারা বয়ানের পাশাপাশি নিজেদের প্রয়োজনীয় কাজকর্ম সেরে নেন।  দুপুরের পর গাজীপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হয়। তখন ইজতেমার ময়দানে বৃষ্টি ছিল না। সন্ধ্যায় হঠাৎ করে ইজতেমা ময়দানে বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় বৃষ্টিতে মুসল্লিদের থাকার জায়গা ও রাস্তাসহ ময়দান কাদায় পরিণত হয়। ফলে মুসল্লিদের চলাফেরা বিভিন্ন কাজকর্মে কষ্ট হয়।  বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেওয়া মুসল্লি আবু তালেব বলেন, ময়দানে নিজ খিত্তায় সামিয়ানা টানিয়ে অবস্থান করছি। সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজ শেষে বৃষ্টি শুরু হয়। এতে আমাদের ভোগান্তি হয়েছে। রান্নাবান্না এবং থাকাসহ বিভিন্ন কাজ কর্মে ব্যাঘাত ঘটছে। তবুও ভোগান্তি নিয়ে শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বীদের বয়ান শুনছি। ভোগান্তি হলেও আখেরি মোনাজাত পর্যন্ত এখানেই থাকব, ইনশাল্লাহ।  প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বাদ জোহর বাংলাদেশের মাওলানা রবিউল হকের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। যদিও বিশ্ব ইজতেমা শুরু হওয়ার কথা ছিল শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি)। বিশ্ব ইজতেমার মাওলানা জোবায়ের অনুসারী মুরুব্বী মুফতি জহির ইবনে মুসল্লী বলেন, শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি)  বিশ্ব ইজতেমা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু লোকজন বেশি হওয়ায় এবং ময়দান পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় একদিন আগেই বৃহস্পতিবার বাদ জোহর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। এর আগে বাদ ফজর আমলি বয়ান করেন হিন্দুস্তানের মাওলানা আহমদ লাট। বাদ আছর বাংলাদেশের মাওলানা ফারুক এবং বাদ মাগরিব বয়ান করেন হিন্দুস্তানের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা।  তিনি আরও বলেন, বৃষ্টির কারণে মুসল্লিদের কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে। তবুও মুসল্লিরা ধৈর্য সহকারে নিজ নিজ খিত্তায় বসে আমল করছে। আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে আগামী রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) শেষ হবে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।  আর ৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব পরিচালনা করবেন মাওলানা সাদ অনুসারীরা। এরপর ১১ ফেব্রুয়ারি (রোববার) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এবারের ২০২৪ সালের বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:০১

প্রস্তুত বিশ্ব ইজতেমার ময়দান, উপস্থিত হবেন রেকর্ড সংখ্যক মুসল্লি
‘কহর দরিয়া’ খ্যাত গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার জন্য ময়দান পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর রেকর্ড সংখ্যক মুসল্লি বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন তারা।  মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম আন্তর্জাতিক ইসলামি এ মহাসম্মেলনে যোগ দেবেন দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মুসল্লি।  ইজতেমাকে সফল করতে আয়োজকদের পাশাপাশি কাজ করছে বিভিন্ন সংস্থা। সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থাও গ্রহণ করেছে নানা ব্যবস্থা। আয়োজকরা জানান, ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ইজতেমার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বুধবার থেকেই সারাদেশ ও বিদেশ থেকে মুসল্লিরা আসতে শুরু করবেন। এবার হয়তো মুসল্লিদের সংখ্যা আরও বাড়বে। প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত মুসল্লিদের এ ঢল অব্যাহত থাকবে।  জানা যায়, প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমায় ২ ফেব্রুয়ারি থেকে অংশ নেবেন মাওলানা যোবায়েরের অনুসারীরা। চার দিন বিরতি দিয়ে মাওলানা সা’দ কান্ধলভীর অনুসারীরা ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমায় অংশ নেবেন। প্রথম পর্বে আগামী ২, ৩ ও ৪ ফেব্রুয়ারি ইজতেমার আয়োজন করছেন মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা এবং চার দিন বিরতি দিয়ে ৯, ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে তাবলিগের আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের আয়োজনে। ২০১৮ সালে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে তাবলিগ জামাতের মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারী ও মাওলানা জুবায়ের আহমদের অনুসারীরা আলাদা হয়ে যান। এরপর থেকে তারা টঙ্গীর তুরাগতীরে বিশ্ব ইজতেমা পৃথকভাবে পালন করে আসছেন। এবছরও দুপক্ষ ২ পর্বে ইজতেমার আয়োজন করেছে।  শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে মাওলানা জুবায়েরেপন্থীদের ইজতেমা। আগত মুসল্লিরা জেলাওয়ারি খিত্তায় (তাঁবু) অবস্থান করবেন।  প্রতি বছরের মতো এবারও উর্দু ভাষায় বয়ান করা হবে এবং বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মুসল্লিদের সুবিধার্থে বয়ানের সঙ্গে বাংলা ও আরবি ভাষায় তর্জমা করা হবে। সরেজমিনে ইজতেমার ময়দান ঘুরে দেখা যায়, আগত মুসল্লিদের সুবিধার্তে তুরাগে এ বছর ছয়টি ভাসমান সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এরমধ্যে পাঁচটি সেতু নির্মাণ করেছে সেনাবাহিনী ও একটি বিআইডব্লিউটিএ। এসব ব্রিজ দিয়ে সাময়িকভাবে মুসল্লিরা এপার থেকে ওপারে যাতায়াত করতে পারবেন।  গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ১২টি উৎপাদন নলকূপে ১২ কিলোমিটার পাইপ লাইনের মাধ্যমে প্রতিদিন বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হবে। প্রায় ৮ হাজার অস্থায়ী টয়লেটের ব্যবস্থা রয়েছে। ময়দানের চাহিদা মোতাবেক ব্লিচিং পাউডার সরবরাহ ও ২৫টি ফগার মেশিনে মশক নিধনেরও ব্যবস্থা নিয়েছে গাজীপুর সিটি করপোরেশন। বরাবরের মতো এবারও বিদেশিদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে আয়োজক কমিটি। দেখা যায়, বিদেশিদের আবাসস্থলে টিনের ছাপরা, শৌচাগার নির্মাণসহ ইজতেমায় আগত বিদেশি মুসল্লিদের জন্য ময়দানের উত্তর-পশ্চিম পাশে টিনের ছাউনি দিয়ে তার নিচে চটের ছাউনির প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে। বিদেশি মেহমানদের উন্নত মানের অজু, গোসল ও বাথরুমের পৃথক ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের রান্নার জন্য সরবরাহ করা হয়েছে প্রাকৃতিক গ্যাস।  বিশেষ করে বিদেশি মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য তাদের পুরো ছাউনিটি আলাদাভাবে তৈরি করা হয়। নিরাপত্তার দিকে বিশেষ নজর দেয় পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। আয়োজকরা জানিয়েছেন, বিশ্ব ইজতেমার মুরব্বিদের গুরুত্বপূর্ণ বয়ানগুলো বিদেশিদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করে শোনানোর ব্যবস্থাও থাকছে। বিদেশি ছাউনির পূর্ব পাশে তৈরি করা হয়েছে মূল বয়ান মঞ্চ। সুউচ্চ এ মঞ্চ থেকেই দেশ-বিদেশের বরেণ্য আলেমরা বয়ান পেশ করবেন। আর সেসব বয়ান বিভিন্ন ভাষায় তর্জমা করে প্রচার করা হবে এ মঞ্চ থেকেই।  মঞ্চের চারপাশে লাগানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। ময়দানে মাইক ও বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে।  এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, এবারের বিশ্ব ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তায় সাড়ে ৭ হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকবে। সিসিটিভি ক্যামেরা, ওয়াচ টাওয়ার ও রুফটপ থেকে পুরো ইজতেমা ময়দানের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করা হবে। এ ছাড়া স্পেশালাইজড টিমসহ প্রতিটি খিত্তায় সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করবেন। অগ্নিনির্বাপণের জন্য প্রতি খিত্তায় এবার দুটি করে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র রাখা হবে। তুরাগে নৌ-টহলও থাকবে। ইজতেমা ময়দানের সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বলেন, দুই পর্বের ইজতেমা সফল করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। এজন্য বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে একাধিক প্রস্তুতিমূলক সভা করেছি। ইজতেমা ময়দান ও শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে মুসল্লিদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন কার্যক্রম প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। রোগী পরিবহনের জন্য সার্বক্ষণিক ওই হাসপাতালসহ চিকিৎসা সেবাকেন্দ্রে অন্তত ১৫টি অ্যাম্বুলেন্স মোতায়েন থাকবে। উল্লেখ্য, বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে মুসল্লিদের চলাচলের সুবিধার্থে ১৭টি বিশেষ ট্রেন চলবে। দুই পর্বের আখেরি মোনাজাতের দিন (৪ ফেব্রুয়ারি ও ১১ ফেব্রুয়ারি) সুবর্ণ, সোনার বাংলা, কক্সবাজার ও পর্যটক এক্সপ্রেস ছাড়া সব আন্তঃনগর, মেইল, কমিউটার ট্রেন টঙ্গী স্টেশনে তিন মিনিট করে যাত্রাবিরতি করবে। অর্থাৎ, এই দুদিন চারটি ট্রেন বাদে বাকি সব ট্রেন টঙ্গীতে থামবে। ইজতেমার মুসল্লিদের সুবিধার্থে দুপর্বের আখেরি মোনাজাতের দিন বলাকা কমিউটার, বনলতা এক্সপ্রেস ও সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনের চলাচলের সময় পরিবর্তন করা হবে। ইজতেমা উপলক্ষে সব আন্তঃনগর, মেইল, এক্সপ্রেস, লোকাল ট্রেনে যাত্রী চাহিদা ও প্রাপ্যতা সাপেক্ষে অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করা হবে।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়