• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
মুজিবনগর সীমান্ত দিয়ে নারী-পুরুষসহ ১৪ জনকে পুশব্যাক
মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার সোনাপুর সীমান্ত দিয়ে ১৪ বাংলাদেশিকে পুশব্যাক করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ভোরের দিকে ৯ জন পুরুষ ও ৫ জন নারী পুশব্যাক হয়ে তাদের নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে ফিরে গেছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত চারটার দিকে সোনাপুর সীমান্তের কাঁটাতারের গেট খুলে দেয় বিএসএফ। এ সময় ৯ পুরুষ ও ৫ নারী ভারত থেকে বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করে। হেঁটে তারা সোনাপুর গ্রামের ভেতরে গিয়ে ভ্যানগাড়িযোগে মুজিবনগর উপজেলা শহর কেদারগঞ্জে পৌঁছান। সেখানে স্থানীয় সাংবাদিকরা তাদের গন্তব্যে ফেরার ভিডিও ধারণ করেন।  পুশব্যাক হয়ে আসা কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তারা সকলেই দরিদ্র। কাজের খোঁজে অনেক আগে তারা ভারতে গিয়েছিলেন। সেখানে শ্রমিকের কাজ করার একপর্যায়ে তারা ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হয়। বেশ কিছুদিন হাজতবাসের পর গত রাতে তাদেরকে আনা হয় সোনাপুরের ওপারে বিএসএফ ক্যাম্পে। সেখানে তাদের আঙুলের ছাপ নেয় বিএসএফ সদস্যরা। একপর্যায়ে কাঁটাতারের গেট খুলে বাংলাদেশের ভেতরে পাঠিয়ে দেয়।  ভারত থেকে ফিরে আসা কয়েকজন জানান, তাদের বাড়ি খুলনা ও যশোরের বিভিন্ন এলাকায়। ভোরে কেদারগঞ্জ থেকে বিভিন্ন যানবাহনযোগে তারা গন্তব্যে ফিরেছেন। মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল দত্ত জানান, পুশব্যাকের বিষয়ে পুলিশের কাছে কোন তথ্য নেই। বিজিবির কাছে কোন তথ্য আছে কি না সে বিষয়েও তিনি কিছু জানেন না।  পুশব্যাকের বিষয়ে জানতে চেয়ে বিজিবি মুজিবনগর কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার খালেক বলেন, পুশব্যাকের কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। 
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৪:৩৯

মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান কারাগারে
মেহেরপুরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার একটি মামলায় মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জিয়াউদ্দীন বিশ্বাসকে কারাগারে পাঠিয়েছেন মুখ্য বিচারিক হাকিম মুজিবনগর আদালতের বিচারক জাহিদুর রহমান। বুধবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতে আগাম জামিনের জন্য আত্মসমর্পণ করেন জিয়াউদ্দীন বিশ্বাস। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। অভিযোগে জানা গেছে, মেহেরপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ফরহাদ হোসেনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আব্দুল মান্নানের ট্রাক প্রতীকে ভোট করেন জিয়াউদ্দীন বিশ্বাসসহ আওয়ামী লীগের একাংশ। ভোটে ফরহাদ হোসেন বিজয়ী হলে আব্দুল মান্নানের পক্ষের লোকজনের ওপর সহিংসতা শুরু হয়। নেতাকর্মীদের মারধর, বাড়িঘরে হামলা, বিলের মাছ লুটপাট ও খেতের ফসল কেটে তছরুপ করা হয়। এসব নিয়ে ৯ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তর অভিযোগ করেন পরাজিত প্রার্থী আব্দুল মান্নান। সহিংসতা বন্ধ না হলে আওয়ামী লীগের ঘরে ঘরে গৃহযুদ্ধ লেগে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।  এর আগে ৮ জানুয়ারি রাতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ফরহাদ হোসেনের নেতাকর্মীরা মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস গ্রামে বিজয় মিছিল করেন। মিছিলটি মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জিয়াউদ্দীন বিশ্বাসের বাড়ির সামনে যায়। সেখানে জিয়াউদ্দীন বিশ্বাসের এক কর্মীকে চড়-থাপ্পড় দেয় নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ লেগে যায়। এতে উভয় পক্ষের ১৮ জন আহত হয়। রাতেই তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় নৌকা প্রতীকের সমর্থক আনন্দবাস গ্রামের আলতাফ হোসেন বাদি হয়ে মুজিবনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় জিয়াউদ্দীন বিশ্বাসকে প্রধান আসামি করে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান পক্ষের ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৩০/৪০ জনকে আসামি করা হয়।  মামলা দায়েরের পর তিনজনকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করে মুজিবনগর থানা পুলিশ।  আসামি পক্ষের আইনজীবী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মিয়াজান আলী বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় আমাদের পক্ষের বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। মুজিবনগর থানায় মামলা দায়েরের জন্য অভিযোগ দেওয়া হলেও পুলিশ তা রেকর্ড করছে না। 
১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:০৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়