• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলে আগুন 
ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন ভবনের ছয় তলার ছাদে পরিত্যক্ত আসবাবপত্র ও ময়লার স্তূপে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। রোববার (৩১ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে নয়তলা ভবনের ছয়তলার ছাদের কোনায় ময়লা-আবর্জনা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর মো. রুবেল শেখ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।  তিনি জানান, পুরোনো বেডসিট, ফোম, কাগজ, কৌটা ও ময়লা-আবর্জনার স্তূপ থেকে আগুন লাগে। দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনায় আগুন ছড়াতে পারেনি। কী কারণে আগুনের সূত্রপাত তা তদন্ত করে জানানো যাবে। হাসপাতালের পরিচালক ডা. এনামুল হক বলেন, এ ঘটনায় কোনো রোগী বা স্বজন হতাহত হননি। বাইরে ফেলে রাখা কিছু আসবাবপত্র ও ময়লা-আবর্জনায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
৩১ মার্চ ২০২৪, ২০:০২

‘শেখ মুজিব কেবল বাংলাদেশের বন্ধু নন, তিনি ভারতেরও বন্ধু’
বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অকাল মৃত্যু নাহলে এই উপমহাদেশে রাজনীতির ইতিহাস ভিন্নভাবে লেখা হতো বলে মনে করেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। রোববার (১৭ মার্চ) ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেছেন, ‘দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ ও নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই স্বতঃস্ফূর্ত জননেতা হতে পেরেছিলেন এবং সর্বসাধারণ একাগ্রচিত্তে তাকে নেতা হিসেবে মেনে নিয়েছিল।’ তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া বাংলাদেশকে নিয়ে আন্তর্জাতিক মানচিত্রে আলোচনার কোনো মানে হয় না। বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ সমার্থক শব্দ।’  অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপকমিটির সদস্য শাহিদুল হাসান খোকন বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে স্বাধীন হয়েছে, কিন্তু ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধী তিনি ১৯৬৯ সালে পেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকেই মানুষ আগে থেকেই নেতা হিসেবে মেনে নিয়েছিল। শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্ম না হলে বাংলাদেশ হত না। বঙ্গবন্ধুর অকাল প্রয়াণে বাঙালি জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ওপর কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কবি নজরুল ইসলাম এর একটা বিরাট প্রভাব ছিলো। তাই কবিগুরু লেখা ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি’ গান তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তাই বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে আজকের বাঙালিদের অনেক শেখার আছে। আগরতলায় নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ সকালে হাইকমিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির সূচনা করেন। সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি হোটেলে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।   সহকারী হাই কমিশনার তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক সূত্রে গাঁথা। শত বছরের শোষণ, নিপীড়ন, বঞ্চনা ও পরাধীনতার শিকল ভেঙে তিনি পথহারা বাঙালি জাতিকে মুক্তির পথ দেখিয়েছিলেন। সহকারী হাইকমিশনার বঙ্গবন্ধুর চারিত্রিক ও মানবিক গুণগুলো শিশুদের মধ্যে প্রোথিত করে সুন্দর আগামী প্রজন্ম গড়ে তোলার আহ্বান জানান।   অন্যান্যের মধ্যে ত্রিপুরার শিক্ষাবিদ ড. মোস্তফা কামাল, মৈত্রী সম্মাননা প্রাপ্ত সাংবাদিক ও লেখক স্বপন ভট্টাচার্য বক্তব্য রাখেন।   সন্ধ্যায় শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে শিশু-কিশোরদের উপস্থিতিতে বিশেষ কেক কাটা হয়। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা কবিতা, প্রবন্ধ ও গানের মধ্য দিয়ে জাতির পিতাকে স্মরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ওপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।       দিবসটি উপলক্ষে সহকারী হাই কমিশনের পক্ষ থেকে শিশু-কিশোরদের জন্য চিত্রাংঙ্গন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যায় অতিথিবৃন্দ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।     বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনের প্রথম সচিব আল আমিন জামিলসহ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ত্রিপুরা রাজ্যের বিশিষ্টজনসহ শিশু-কিশোররা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
১৮ মার্চ ২০২৪, ১১:৩৬

৫০ চিত্রা হরিণ পেলো বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক
গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে ৫০ টি চিত্রা হরিণ প্রদান করেছে গ্রীণ ভিউ গলফ রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ। হরিণগুলোর মধ্যে ২২টি বড় এবং ২৮ টি ছোট হরিণ রয়েছে। ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) শারমিন আক্তার ৫০টি হরিণ গ্রহণ করেন।  রোববার (১০ মার্চ) দুপুরে বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের কাছে হরিণগুলো বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। গ্রীণ ভিউ গলফ রিসোর্টের ভূমি উপদেষ্টা (ল্যান্ড অ্যাডভাইজার) বুলবুল ইসলাম জানান, গ্রীণ ভিউ গলফ রিসোর্টের সৌজন্য ৫০ টি হরিণ প্রদান করা হয়েছে। এতে অনেকে উৎসাহিত হবে। প্রদান করা হরিণগুলোর মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে হরিণগুলো প্রদানের জন্য গেল বছরের ২৪ আগষ্ট বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অধিদপ্তরে আবেদন করেছিলাম। ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে হরিণ প্রদানের অনুমতি পেয়েছি। প্রায় একযুগেরও বেশি সময় থেকে গ্রীণ ভিউ গলফ রিসোর্ট সরকারি বিধি ও বিধান মেনে হরিণ পালন করে আসছে। সঠিক পরিচর্যা ও পরিবেশ অনূকুল থাকায় হরিণগুলো দ্রুত বংশ বৃদ্ধি করে। সাফারি পার্কের দর্শনার্থীর কথা চিন্তা করে ছোট-বড় ৫০ টি হরিণ ওই পার্কে প্রদান করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, গ্রীণ ভিউ গলফ রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফকির মনিজ্জামানের পক্ষে তার চার দৌহিত্র হরিণগুলো প্রদান করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, সাফারি পার্কে প্রাণী আবদ্ধ থাকে এবং ভিজিটররা উম্মুক্ত থাকে। হরিণগুলো একটি অংশের মধ্যে বিচরণ করে। রিসোর্টে থাকা অবস্থায় হরণগুলো নির্দিষ্ট একটি বেষ্টনির মধ্যে ছিল। এখন হরিণগুলো উম্মুক্ত অবস্থায় থাকবে। এত করে প্রাণীগুলোর রোগবালাই কম হবে। হরিণগুলো প্রথমে সর্বনিম্ম ১৫ দিন কোয়ারেন্টাইনে শেডে রেখে দেখবো রোগবালাই আছে কি’না। তারপর সুষ্ঠু হলে আমরা কোয়ারেন্টাইন থেকে উম্মুক্ত পরিবেশে থাকলে রোগবালাই থেকে মুক্ত থাকবে।  
১০ মার্চ ২০২৪, ১৬:০৪

কোটি টাকার অস্ত্রোপচার বিনামূল্যে
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে প্রায় ১৫ ঘণ্টার সফল অস্ত্রোপচার শেষে আলাদা করা করা হয়েছে মেরুদণ্ড জোড়া লাগানো দুই শিশু। বাংলাদেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রে যাকে দেখা হচ্ছে একটি যুগান্তকারী মাইলফলক হিসেবে। শুধু তাই নয়, জটিল এ অস্ত্রোপচারটি করা হয়েছে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে, যেখানে বাইরের যে কোনও দেশে এটি করাতে গেলে খরচ পড়ে যেত কোটি টাকার উপরে।   মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে হাসপাতালের কেবিন ব্লকের ১০ম তলায় নাভা ও নোভা নামের শিশু দুটিকে দেখতে আসেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।  সেখানে শিশু দুটিকে সুস্থ অবস্থায় দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি প্রথম থেকেই এই বাচ্চা দুটির চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত। এর আগেও কয়েকটি অপারেশন হয়েছে, তখনও আমি এসেছি। আজকে আমি দেখলাম, বাচ্চা দুটি সম্পূর্ণ আলাদা ও ভালো আছে। এরপর দেশের চিকিৎসকদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, 'চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি অপার সম্ভাবনার দেশ। আমাদের দেশে প্রচুর শিক্ষার্থী প্রতিবছর মেডিকেল পড়ালেখা শেষ করে চিকিৎসক হচ্ছেন। আমাদের চিকিৎসকরা যেমন মেধাবী তেমন দক্ষ। শুধু একটু সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে এবং তাদেরকে দায়িত্ব অনুযায়ী ভরসা দিয়ে আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। তাহলে বাংলাদেশ থেকে কোনও রোগীকে আর আগামীতে বিদেশ যেতে হবে না।'  ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, কিছুদিন আগেই আমরা ভুটানের ক্যান্সার আক্রান্ত এমন এক মেয়েকে চিকিৎসা দিয়ে ভালো করেছি, যার চিকিৎসা ভারত ও ব্যাংককেও সম্ভব হয়নি। কাজেই বাংলাদেশ পারে না এমন কোন কাজ নেই। বাংলাদেশেই এখন সব রোগের চিকিৎসা সুবিধা আছে। আজ বিএসএমএমইউতে নাভা ও নোভা নামের দুটি শিশুর জোড়া মেরুদণ্ড আলাদা করার অপারেশন সফল  হলো। এটি সাধারণ কোনও কাজ নয়। এই অপারেশন ভারত বা বাইরের দেশে করতে গেলে প্রায় এক কোটি টাকা খরচ হত। কিন্তু বাংলাদেশে এই দুই অবুঝ শিশুর চিকিৎসা ব্যয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে করেছেন।  তিনি বলেন, আমি বলতে পারি, দায়িত্ব নিয়ে আমরা চিকিৎসকরা চিকিৎসা দিলে বাংলাদেশ থেকে এখন জটিল সব রোগেরই চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২১ মার্চ কুড়িগ্রামের কাঁঠালবাড়ী এলাকার পরিবহন শ্রমিক আলমগীর রানার স্ত্রী নাসরিন মেরুদণ্ড জোড়া লাগানো নুহা-নাভার জন্ম দেন। সে বছর এপ্রিলে তাদের চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউর সার্জারি অনুষদের ডিন ও নিউরো স্পাইন সার্জন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেনের অধীনে ভর্তি করা হয়। গতকাল সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত তাদের শরীরে অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রোপচারে অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেনের নেতৃত্বে ৩৯ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ ১০০ জন মেডিকেল সদস্যের টিম অংশ নেন। ১৫ ঘণ্টার অস্ত্রোপচার শেষে সফলভাবে আলাদা করা সম্ভব হয় নুহা-নাভাকে। এর আগে ২০২৩ সালের ২৯ জানুয়ারি নুহা-নাভার প্রথম ধাপের সফল অস্ত্রোপচার করা হয়। ওই ধাপে নুহা-নাভার দেহে টিস্যু বর্ধনকারী চারটি এক্সপান্ডা ডিভাইস প্রতিস্থাপন করা হয়। এ অস্ত্রোপচারে ছিলেন বিএসএমএমইউর বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান অধ্যাপক ডা. আইয়ুব আলী, নার্সিং অনুষদের ডিন ও অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক, শিশু সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. একেএম জাহিদ হোসেন, অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. দেবাশীষ বনিকসহ আরও ১০ চিকিৎসক। ওইদিনও ডা. সামন্ত লাল সেন উপস্থিত ছিলেন।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪৫

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন অনুষ্ঠিত
সেনাবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।  ঢাকাস্থ বানৌজা শেখ মুজিব ঘাঁটিতে শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত এই ম্যারাথনের সমাপনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) সভাপতি ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। এর আগে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান শুক্রবার ভোরে ঢাকাস্থ বানৌজা শেখ মুজিব ঘাঁটি, শেখ হাসিনা সরণিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন। এসময় ম্যারাথন আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, সেনাবাহিনীর প্রাক্তন চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান, ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাগণ, এ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের কর্মকর্তাগণ, বিওএ কর্মকর্তাগণ বিভিন্ন স্পন্সরবৃন্দ, বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। প্রতি বছর জানুয়ারি মাসে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস স্মরণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথনের আয়োজন করা হয়ে থাকে। ম্যারাথনটি ভোর পাঁচটায় বানৌজা শেখ মুজিব, শেখ হাসিনা সরণি থেকে শুরু হয়ে ৩০০ ফিট রাস্তা দিয়ে কাঞ্চন ব্রিজ হয়ে একই রাস্তায় ফেরত এসে শেখ হাসিনা সরণিতে শেষ হয়। ফুলম্যারাথনে এলিট দৌড়বিদদের মধ্যে পুরুষ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন কেনিয়ার যোসে ফকিয়েংগো মুনিয়োকি এবং মহিলা বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন ইথিওপিয়ার লেনসাদেবে লেজালেটা। ফুলম্যারাথনে সাফ দৌড় বিদদের মধ্যে পুরুষ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন ভারতের আনিশ থাপামাগার এবং মহিলা বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন নেপালের সন্তোশি শ্রেষ্ঠা। ফুলম্যারাথনে বাংলাদেশি দৌড়বিদদের মধ্যে পুরুষ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন আল আমিন এবং মহিলা বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন পাপিয়া খাতুন। হাফম্যারাথনে বাংলাদেশি দৌড়বিদদের মধ্যে পুরুষ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন সোহেল রানা এবং মহিলা বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন পৃথি আকতার। সমাপনী অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান তার বক্তব্যের শুরুতেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি এবং সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়াও তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন-২০২৪- এ সার্বিক সহযোগিতা এবং প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে দিক নির্দেশনা প্রদানের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এ ম্যারাথন বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনসাধারণের মাঝে সামাজিক এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টি করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সবশেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন-২০২৪ এ অংশগ্রহণকারী দেশি-বিদেশি অংশ গ্রহণকারী সকল অ্যাথলেট এবং এই আয়োজনকে সাফল্যমণ্ডিত করার পেছনে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫৮

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন ২৬ জানুয়ারি
দেশি ও বিদেশিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন-২০২৪। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে শেখ হাসিনা সরণি সংলগ্ন বিএনএস শেখ মুজিব বেইজে এ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হবে।  এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাত ১২টা থেকে শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত শেখ হাসিনা সরণির ঢাকা-কাঞ্চন ব্রিজ অভিমুখী রাস্তার একপাশ বন্ধ থাকবে। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর রিজেন্সি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান, ম্যারাথন আয়োজক কমিটি। সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নৌ-বাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান। এ বছর অনুষ্ঠেয় ম্যারাথনে আনুমানিক ৫৯ জন বিদেশি পুরুষ ও মহিলা দৌড়বিদ ফুল ম্যারাথন (৪২ দশমিক ১৯৫ কিলোমিটার) ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহণ করবেন। পাশাপাশি আনুমানিক ৫ হাজার ৮০৬ জন বাংলাদেশি ম্যারাথনার ফুল ও হাফ-ম্যারাথনে (২১ দশমিক ৯৭ কিলোমিটার) অংশগ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন। ম্যারাথনে অংশগ্রহণকারী বিদেশি দৌড়বিদদের মধ্য হতে ফলভিত্তিক স্থান অর্জনকারী প্রথম পাঁচজন করে বিদেশি এলিট পুরুষ ও মহিলা এবং পাঁচজন করে সাফ পুরুষ ও মহিলা ফুল ম্যারাথনারকে আকর্ষণীয় সম্মাননা প্রদান করা হবে। একইভাবে প্রথম ১৫ জন পুরুষ ও মহিলা বাংলাদেশি ফুল ম্যারাথনার এবং ১০ জন পুরুষ ও মহিলা বাংলাদেশি হাফ ম্যারাথনারদের আর্থিক সম্মাননা প্রদান করা হবে।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৭

বিএসএমএমইউ উপাচার্যের গাড়িতে হামলা, আহত ২
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের গাড়িতে হামলা করেছে দুবৃর্ত্তরা। সোমবার (৮ জানুয়ারি) উপাচার্যের একান্ত সচিব-২ উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দেবাশীষ বৈরাগী এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে গত ৫ জানুয়ারি উপাচার্যের গাড়িতে এ হামলা চালানো হয়। এ বিষয়ে ৬ জানুয়ারি মিরপুর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। সাধারণ ডায়েরিতে বলা হয়, উপাচার্য ৫ জানুয়ারি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে আনুমানিক বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে ফিরছিলেন। ফেরার পথে মনিপুর স্কুলের একটু সামনে তার গাড়িকে লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।  এ ঘটনায় গাড়ির সামনের গ্লাস ভেঙে যায়। এতে উপাচার্যের একান্ত সচিব-২ দেবাশীষ বৈরাগী ও গাড়ি চালক মো. শাহিনুর আলম সামান্য আহত হন। প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয় জিডিতে।
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়