• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ঈদের দুপুরে মুখরোচক গরুর ভুনা মাংস
ঈদের প্রস্তুতি ঘরে ঘরে শুরু হয়ে গেছে। এবার ঈদের খাবার কী হবে তা নিয়ে চলছে আয়োজন। ঈদে সাদা পোলা, মুরগি মাংসের পাশাপাশি গরুর মাংস বা খাসির মাংস তো থাকেই। অনেকে চিকেন বিরিয়ানি বা বিফ তেহারিও রান্না করেন। তবে সাদা পোলাও বা গরম ভাতের সঙ্গে গরু বা খাসির মাংস ভুনার মজাই আলাদা। ঈদের গরুর মাংসটা ভিন্নভাবে কষিয়ে রান্না করতে পারেন। তাহলে ঝাঝালো স্বাদও পাওয়া যাবে। এছাড়া ঈদের খাবারে যদি খিচুড়ি রান্না হয় তবে ঝাল ভুনা মাংসতো আরও সুস্বাদু লাগবে। চলুন দেখে নেই ঈদে কীভাবে ভিন্নভাবে গরুর ভুনা রান্না করা যাবে। যা যা লাগবে: গরুর মাংস, টক দই, আদা বাটা, রসুন বাটা, মরিচের গুঁড়া, হলুদের গুঁড়া, জিরার গুঁড়া, বাদাম বাটা, চিলি ফ্লেকস, সরিষার তেল, টমেটো সস, আস্ত গরম মশলা, গরম মশলা গুড়া, পেয়াজ কুচি, তেল, লবণ যেভাবে বানাবেন: প্রথমে গরুর মাংস ভালো করে ধুয়ে নিন। গরুর মাংস ম্যারিনেট করতে ১/৩ কাপ টক দইয়ের সঙ্গে মেশান দেড় টেবিল চামচ আদা বাটা, দেড় টেবিল চামচ রসুন বাটা, স্বাদ মতো মরিচের গুঁড়া, ২ চা চামচ হলুদের গুঁড়া, দেড় চা চামচ জিরার গুঁড়া, ১ চা চামচ বাদাম বাটা, ১ চা চামচ চিলি ফ্লেকস, ২ টেবিল চামচ সরিষার তেল, ২ টেবিল চামচ টমেটো সস ও স্বাদ মতো লবণ দিয়ে মেখে নিন। মাংস ম্যারিনেট করে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এবার চুলায় একটি পাত্র বসিয়ে দিন। এদে তেল গরম করে নিন। এতে আস্ত গরম মসলা ভাজুন। ১ কাপ পেঁয়াজ কুচি দিয়ে লালচে করে ভাজুন। এবার ম্যারিনেট করা মাংস দিয়ে দিন। ৫/৭ মিনিটের মতো কষিয়ে নিন। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে মাঝারি আঁচে ১০ মিনিট রান্না করুন। মাংস থেকে পানি বের হবে। একটু নেড়ে চুলার আঁচ কমিয়ে দিন। মাংস সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। পানি কমে এলে আরও যোগ করুন। তবে কম পানি দিবেন। মাংস সেদ্ধ হয়ে গেলে ১ চা চামচ গরম মসলার গুঁড়া ও কয়েকটি আস্ত কাঁচা মরিচ ৫ মিনিট দমে রাখুন। এরপর পরিবেশন করুন। তৈরি হয়ে যাবে গরুর কষা মাংস।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৭

মুখরোচক খাবারই নিরব ঘাতক, হতে পারে মরণব্যাধিও (ভিডিও)
রমজানের মুখরোচক খাবার ছাড়া ইফতারি যেন জমেই না। সারাদিন রোজা রাখার পর নানা পদের খাবার না পেলে যেনো পূর্ণতা পায় না ইফতার। তবে মুখরোচক এসব খাবারই নিরব ঘাতক। পুষ্টিবিদরা বলছেন, তেলে ভাজা রাস্তার পাশের মুখরোচক খাবারের কারণে নানা রোগের পাশাপাশি হতে পারে ক্যানসার ও হার্টের সমস্যার মতো মারণব্যাধিও। রমজান এলেই যেন রাজধানী হয়ে ওঠে ইফতারের নগরী। পুরান ঢাকার চকবাজার থেকে শুরু করে অলিগলিতে বসে ইফতারের পশরা। প্রতিটি দোকানেই সাজানো হয় বাহারি রকমের ইফতার। রাস্তার পাশের এসব দোকানগুলোতে যেসব ইফতার পাওয়া যায় তার বেশির ভাগই তেলে ভাজা। একই তেল বা কালো পোড়া তেলে ভাজা হচ্ছে পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুচপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকমের খাবার। এসব খাবার বিক্রির জন্য উন্মুক্তভাবে রাখা হচ্ছে খোলা জায়গায়। বিশ্বের প্রথম সারির বায়ুদূষণের শহরে এভাবে ফুটপাতের খাবার কতটা ঝুঁকিপূর্ণ তা না ভেবেই অবলীলায় খেয়ে যাচ্ছে রাজধানীবাসী। তবে এসব খাবারের স্বাস্থ্যগুণ নিয়ে উদ্বিগ্ন পুষ্টিবিজ্ঞানীরা। তাদের মতে, যেসব খাবার খাওয়া হচ্ছে তার গুণগত মান নিশ্চিত না হওয়ায় স্বাস্থ্যের জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। পুষ্টিবিত মাহমুদা নাজনীন জানিয়েছেন, লম্বা সময় আমরা যখন না খেয়ে থাকছি তখন আমাদের স্ট্রোমাটার অবস্থা কিন্তু নাজুক হয়ে যায়। ওই নাজুক স্ট্রোমাকে আমাদের উচিত একটা সহজপাত্র খাবার দেওয়া, যে খাবারটা সহজে হজম করতে পারে। এক্ষেত্রে আমরা পুরোটা উল্টো কাজ করছি। আমরা তেলে ভাজা খাবার খাচ্ছি। এর ফলে আমাদের বিভিন্ন ধরনের পেটের অসুখ হচ্ছে। এই পুষ্টিবিদ আরও বলেন, এসব ভাজা পোড়া খাবার খেতে আমরা কেনো নিষেধ করছি, এর একটা মূল কারণ হচ্ছে— ভাজা পোড়া খাবারে যে তেলটা ব্যবহার করা হচ্ছে সেই একই তেল যখন বারবার ভাজা হয় তখন এটার মধ্যে পলি অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন তৈরি হয়ে যায়। এতে করে পেটের বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি ক্যানসারের ঝুঁকিও বাড়ায়। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ নিজের ঘরে তৈরি খাবারের গুরুত্ব দিয়ে বলেন, ঘরে তৈরি করা খাবার খেলে সমস্যা হওয়ার কথা না। সেটা ইফতারি বা সেহরি হোক, প্রত্যেকের জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ। সরবত জাতীয় খাবার ইফতার ও ইফতার পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে বেশি খাওয়া উচিত বলে মনে করেন পুষ্টিবিজ্ঞানীরা।
১৯ মার্চ ২০২৪, ০১:৪৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়