• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
পর্যটকের পদচারণায় মুখর কুয়াকাটা সৈকত 
ঈদের দ্বিতীয় দিনে হাজার হাজার পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে কুয়াকাটার দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকত। আগত পর্যটকরা সৈকতের বুকে আছড়ে পড়া ছোট-বড় ঢেউয়ে সাঁতার কেটে আনন্দে মেতেছেন। অনেকে বন্ধুদের সঙ্গে হইহুল্লোড়ে মেতেছেন। অনেকে আবার ঘোড়া চড়ে, ওটারবাইক কিংবা মোটরবাইকে চড়ে সৈকতের বিভিন্ন পর্যটনস্পট ঘুরে দেখছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন।  আগত পর্যটকদের ভিড়ে বিক্রি বেড়েছে সকল পর্যটন স্পটগুলোতে। বুকিং রয়েছে কুয়াকাটার অধিকাংশ হোটেল। পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ, থানা পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সৈকতের জিরো পয়েন্ট, শুঁটকি পল্লী, গঙ্গামতির সৈকত, রাখাইন মহিলা মার্কেট, রাখাইন পল্লী, জাতীয় উদ্যান, ইলিশ পার্ক, লেম্বুর বন, সৈকতের ঝাউবাগানসহ পর্যটন স্পটগুলো দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে। ঘুরতে আসা পর্যটক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি পরিবার নিয়ে ঈদের ছুটিতে কুয়াকাটায় ঘুরতে আসলাম। সকাল থেকে পুরো সৈকত মুখর। অনেক লোক এসেছে, বেশ ভালো লাগছে। তবে প্রচন্ড গরমে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। আবাসিক হোটেল সি ভিউ এর ম্যানেজার সোলায়মান ফরাজী বলেন, আজকে পর্যটকের সংখ্যা অনেক। শনিবার থেকে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এবারের ঈদের ছুটিতে আমাদের শতভাগ রুম বুকিং হয়েছে। আশা করছি, সামনের পুরো সপ্তাহজুড়ে ভালো পর্যটক পাবো। কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (কুটুম) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির বলেন, ঈদের ছুটি উপলক্ষে আজকে কুয়াকাটায় অনেক পর্যটক এসেছেন। প্রচন্ড গরমেও পর্যটকদের আনাগোনায় মুখর গোটা সৈকত। ছাতাবেঞ্চ ব্যবসায়ী নাসির খলিফা বলেন, আজকে কুয়াকাটায় পর্যটকদের ঢল নেমেছে। শনিবার পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবার সম্ভাবনা রয়েছে। ঢাকা থেকে আসা পর্যটক হাসান মারুফ বলেন, আজকে পর্যটক আসতে শুরু করেছে। আমরা বুকিং করে না এসে বিপদে পরে গেছি। হোটেলে রুম পেতে অনেক কষ্ট হয়েছে। কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সাধারণত সম্পাদক মো. মোতালেব শরীফ বলেন, প্রায় হোটেলের ৮০ শতাংশ রুম বুকিং হয়ে গেছে। এখনও পর্যটকরা ফোনে রুম বুকিং দিচ্ছেন।  কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ বলেন, আগত পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য আমাদের পোশাক পরিহিত পুলিশের পাশাপাশি প্রত্যেকটি পর্যটন স্পটে সাদাপোশাকে পুলিশ সার্বক্ষণিক ডিউটিতে আছে। এখানে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে আসা পর্যটকরা যাতে কোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখীন না হয় সে ব্যাপারে আমরা সর্বদা সতর্ক রয়েছি। কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, পর্যটকদের সেবায় পৌরসভা প্রস্তুত আছে। পদ্মাসেতু উদ্বোধনের পর থেকে কুয়াকাটায় পর্যটক বেড়েছে। ভাঙ্গা থেকে কুয়াকাটা মহাসড়ক ফোর লেন বাস্তবায়িত হলে আরও পর্যটক বাড়বে।  কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, আজকে কুয়াকাটা পর্যটকে মুখর। কাল-পরশু কুয়াকাটায় পর্যটকের ঢল নামবে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কলাপাড়া থানা, মহিপুর থানা, কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ, নৌপুলিশ, ফায়ারসার্ভিস, মেডিকেল টিম প্রস্তুত আছে। 
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২২

৫৪তম স্বাধীনতা দিবস আজ / লাখো মানুষে মুখর জাতীয় স্মৃতিসৌধ
জাতির ইতিহাসে ৫৪তম স্বাধীনতা দিবস আজ। ৭১' এর এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘোষণার মধ্য দিয়ে বিশ্বের বুকে আত্মপ্রকাশ করে বাংলাদেশ নামে নতুন এক রাষ্ট্র। এরপরের ৯ মাসের ইতিহাস রক্তক্ষয়ী এক মুক্তিযুদ্ধের, লাখো শহীদের মহান এক আত্মত্যাগের, যার উপর দাঁড়িয়ে আছে আজকের স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। মহান এই দিবসটি উপলক্ষে জাতি আজ গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বাংলার সূর্যসন্তানদের। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভোর থেকেই মানুষের ঢল নেমেছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোরে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে এসে ভিড় করে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। শহীদ বেদিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সৌধ প্রাঙ্গণ উন্মুক্ত করা হলে বাড়তে থাকে জনতার স্রোত। শিশু-ছেলে-বুড়োসহ সব বয়সী মানুষের আগমনে মুখর হয়ে ওঠে সৌধ প্রাঙ্গণ। এদিন সকালে বীর শহীদদের স্মরণে শহীদ বেদিতে রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় স্বাধীনতা দিবসের ৫৪ বছর পূর্তির রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি। রাষ্ট্রীয় কায়দায় শহীদদের প্রতি সালাম জানান সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর চৌকস দল। এ সময় বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। পরে কিছু সময় নিরবে দাঁড়িয়ে থেকে জাতির বীর সন্তানদের স্মরণ করে জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এরপর সৌধ প্রাঙ্গণ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় সর্বস্তরের মানুষের জন্য। সারিবদ্ধভাবে ফুল নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে লাখো জনতা। মুহূর্তেই জনসমুদ্রে পরিণত হয় জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ।  ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা সরকারি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাধারণ মানুষ। তাদের ফুলেল শ্রদ্ধায় ভরে ওঠে শহীদ বেদি। স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে যুদ্ধাহত অনেক মুক্তিযোদ্ধাও এসেছেন শ্রদ্ধা জানাতে। তাদের অনেকের হাতে ছিলো লাল-সবুজের বিজয় পতাকা। মিরপুর থেকে বাবার সঙ্গে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছে শিশু ইমন। বাবা রহমান সিদ্দিকী বলেন, জাতির বীর সন্তানদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে মিরপুর থেকে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে এসেছি।   এ সময় কথা হয় খসরু নামে জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে। তিনি বলেন, নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পরে আমরা বিজয়ী হয়েছি। যাদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন বাংলাদেশে জন্ম নিতে পেরেছি, তাদের অনেকেরই নাম জাতির জানা নেই। কিন্তু, তারা মিশে আছেন আমাদের অস্তিত্বের সঙ্গে।  ৫৪তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি ভবনে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা এবং ঢাকা শহরে সহজে দৃশ্যমান উঁচু ভবনগুলোতে  উত্তোলন করা হয়েছে জাতীয় পতাকা। আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাগুলো। জাতীয় পতাকায় সজ্জিত করা হয়েছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপগুলোও।  
২৬ মার্চ ২০২৪, ১৪:২৩

উৎসব মুখর পরিবেশে মিলানে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন
ইতালিতে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, মিলানের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ধরে, আনব হাসি সবার ঘরে’ প্রতিপাদ্যে ও শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস। দিবসটি উদযাপনে দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকালে কনস্যুলেট প্রাঙ্গণের মিলানে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল এম জে এইচ জাবেদ কনস্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।  অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় কনস্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও বাংলাদেশ কমিউনিটি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়িকসহ সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন। এরপর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। জাতির পিতার জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সকল শিশু-কিশোরদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অতঃপর কনস্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করে শোনান।  মিলান লোম্বার্দিয়া আওয়ামী লীগ সহ উত্তর ইতালির বিভিন্ন সংগঠনের প্রবাসী নেতৃবৃন্দ ও অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় জাতির জনকের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। বক্তারা বলেন যে, বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধু দুইটি সমার্থক শব্দ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্বে ও বলিষ্ঠ সাংগঠনিক দক্ষতায় বাংলার নিপীড়িত মানুষ মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে ছিনিয়ে আনে স্বাধীনতার লাল সূর্য। বঙ্গবন্ধুর মতো আত্মত্যাগী নেতৃত্ব বিশ্ব ইতিহাসে বিরল। তিনি সবসময়ই নির্যাতিত মানুষের স্বার্থকে ব্যক্তি স্বার্থের ওপরে স্থান দিয়েছেন। বক্তারা উল্লেখ করেন যে, পৃথিবীর সকল নির্যাতিত শিশুদের অধিকার আদায়ের জন্য বর্তমান বিশ্বে বঙ্গবন্ধুর মতো আন্তর্জাতিক নেতৃত্বের প্রয়োজন। কনসাল জেনারেল তার বক্তব্যে পারিবারিক ও সামাজিক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী সঠিকভাবে অনুশীলন করার জন্য আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার প্রত্যয়ে নিজেদের পরিবারের শিশুদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য তিনি সকল প্রবাসীকে অনুরোধ করেন। এছাড়াও, সন্তানদের মধ্যে দেশপ্রেম এর শিক্ষা দেয়া, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য এবং বিজ্ঞান চর্চার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৫

উৎসব মুখর পরিবেশে বিডিজেএ’র ফ্যামিলি ডে উদযাপন   
ঢাকাস্থ বরিশাল ডিভিশনাল জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (বিডিজেএ) ফ্যামিলি ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে।  মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি গাজীপুরের পূবাইলে আপন ভূবন রিসোর্টে  এই ফ্যামিলি ডে উদযাপিত হয়। এতে বিডিজেএ'র সদস্যদের সঙ্গে বাবা-মা, স্ত্রী ও সন্তানরা অংশ নেন। দিনভর নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে তিন প্রজন্মের সম্মেলন ঘটে। সকাল ৭টায় সেগুনবাগিচা থেকে যাত্রা শুরু পিকনিক স্পটে পৌছায় ৯ টায়।  পরে দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা পরে রাতে ঢাকায় আসে পিকনিকের বাসগুলো। শিশুদের দৌড় প্রতিযোগিতা দিয়ে আয়োজন শুরু শেষ হয় র‌্যাফেল  ড্র দিয়ে। মাঝে অনুষ্ঠিত হয় কাওয়ালী গানের আসর।  সংগঠনের সভাপতি  তারিকুল ইসলাম মাসুমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুব সৈকতের সঞ্চালনায় পুরো আয়োজনে সদস্য, তাদের স্ত্রী ও সন্তানদের জন্য একাধিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ছিল। পরে বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের অতিথিরা। এছাড়াও ছিল আকর্ষণীয় র্যাফেল ড্র। প্রত্যেক সদস্যদের পুরস্কৃত করার পাশাপাশি অতিথি হিসেবে সকল বাবা-মায়ের হাতেও পুরষ্কার তুলে দেয়া হয়। ফ্যামিলি ডে আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক মাহবুব জুয়েল ও সংগঠনের সভাপতি তারিকুল ইসলাম মাসুম অংশগ্রহনকারী এবং পৃষ্ঠপোষক হিসেবে যারা সহযোগিতা করেছেন সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। ফ্যামিলি ডে ২০২৪ বিডিজেএর উপদেষ্টা ও বিসিসিআই এর পরিচালক নিজাম উদ্দিন, বিডিজেএর উপদেষ্টা আবু জাফর সূর্য, বিডিজেএর নজরুল ইসলাম মিঠু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:১৭

দেশ-বিদেশের বাউল সাধকদের পদচারণায় মুখর মেঘনার তীর
নরসিংদীতে মেঘনার তীরে বসেছে ঐতিহ্যবাহী বাউল মেলা। ভারতসহ দেশ-বিদেশের শতাধিক বাউল সাধকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে মেলা। আত্মশুদ্ধি আর আত্মমুক্তির লক্ষ্যে বাউলদের কীর্তন, গীতা পাঠসহ ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সরব হয়ে উঠেছে মেঘনা পাড়ের বাউল আখড়াধাম। বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে মানব ধর্ম ও সাম্যের জয়ধ্বনী করছেন বাউল সাধকরা। দেশ-বিদেশের ভক্তদের উপস্থিতিতে বাউল ঠাকুরের আখড়া পরিণত হয়েছে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল ধর্মাবলম্বীদের মিলনমেলায়।  নরসিংদী শহরের কাউরিয়া পাড়ায় মেঘনা নদীর তীরে বাউল আখড়াধামে গত শুক্রবার সকালে প্রথম বাতি ও যজ্ঞানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ৭০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী এ মেলার আনুষ্ঠানিকতা। এরই মধ্যে দেশ বিদেশের শতাধিক বাউল সমবেত হয়েছেন আখড়ায়। ৭ দিনব্যাপী এই মেলা চলবে আগামী বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সরেজমিনে নরসিংদী বাউল মেলা ঘুরে দেখা যায়, মেলা উপলক্ষে মেঘনার পাড়ে শিশুদের হরেক রকমের খেলনা, খাবারসহ বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাঝিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। বাউল ঠাকুরের আখড়াবাড়ি সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছরই মাঘী পূর্ণিমার দিনে শ্রী চৈতন্য দেবের জন্ম তিথী উপলক্ষে এই মহাযজ্ঞের আয়োজন করা হয়। প্রায় ৭০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী এই মেলাকে ঘিরে নরসিংদীর কাউরিয়া পাড়া এলাকার মেঘনা নদীর তীরে সমাগম ঘটে লক্ষাধিক নারী-পুরুষের। নদীতে চলে পূণ্যস্নান। পাশেই রয়েছে বাউল ঠাকুরের আখড়া। যেখানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বাউল শিল্পীরা এসে বসিয়েছে বাউল গানের আসর। মেলাকে ঘিরে মেঘনা নদীর পার ঘেঁষে জমে উঠেছে খেলনা, কুটির শিল্প, মৃৎশিল্প, কাঠ-বাঁশ ও মাটির তৈরি কুটির শিল্প সামগ্রীর বেচাকেনা। এছাড়াও শিশুদের আকৃষ্ট করতে মেলায় বসেছে পুতুল নাচ, নাগর-দোলাসহ বিভিন্ন বিনোদনমূলক রাইডস। এদিকে বাউল ভক্তরা সারি বেঁধে মহাযজ্ঞানুষ্ঠানে ঘি-প্রদীপ, মোমবাতি ও আগরবাতি জ্বালিয়ে পুজো দিচ্ছেন আর প্রার্থনা করছেন পরিবার ও দেশের সকল মানুষের কল্যাণসহ সব ধরনের অশুভ শক্তি, অসাম্প্রদায়িকতা ও বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে নিস্কৃতি পেতে। কথিত আছে, ৭০০ বছর আগে নরসিংদীতে এক বাউল ঠাকুর ছিলেন। তিনি নিজেকে শুধু বাউল বলেই পরিচয় দিতেন। এজন্য বাউল ঠাকুরের প্রকৃত নাম জানেন না এখানকার কেউই। সেই বাউল ঠাকুরের স্মরণে তার আখড়া ধামে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এই বাউল মেলা। তবে কে প্রথম এখানে বাউল মেলার আয়োজন করেন তার প্রকৃত তথ্য কারোই জানা নেই । সর্বশেষ ব্রিটিশ শাসনামল থেকে এখন পর্যন্ত মেলার আয়োজন করছেন রাম চন্দ্র বাউল, জিতেন্দ্র চন্দ্র বাউল, ডা. মনিন্দ্র চন্দ্র বাউল ও তার পরবর্তী প্রজন্ম। গত দুই বছরের মধ্যে নরসিংদীর বাউল আখড়াবাড়ির সেবায়েত তত্ত্বাবধায়ক প্রাণেশ কুমার ঝন্টু বাউল ও মৃদুল বাউল, মিন্টু বাউল এ তিন ভাই মৃত্যুবরণ করায় তাদের স্থলে বর্তমানে তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সাধন চন্দ্র বাউল।  বাউল ভক্ত ও দর্শনার্থী জানায়, এ আখড়ায় বাউল ঠাকুরের অন্তর্ধান হয়েছিল। বাউল আখড়ায় জগন্নাথ দেবতার মন্দির রয়েছে। মন্দিরে মহাবিষ্ণুর পূর্ণাঙ্গ প্রতিমা, জগন্নাথ দেবতার প্রতিমা, মা গঙ্গার (৩৩ কোটি দেবতার) গট, নাগ দেবতার বিগ্রহ ও শিবলিঙ্গ রয়েছে, যা বাউল ঠাকুর নিজে প্রতিস্থাপন করে গেছেন বলে কথিত রয়েছে। পাশে রয়েছে বাউল ঠাকুর ও মাতাজির সমাধি মন্দির। সবার মধ্যিখানে রয়েছে উপাসনার জন্য বিশাল আটচালা বৈঠক ঘর। শুক্রবার দেবতা ব্রহ্মার পূজা মহাযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়। মহাযজ্ঞে জগতের কল্যাণের জন্য ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিবের পূজা করা হয়। ঠাকুরের কাছে দেশ ও মানুষের কল্যাণে প্রার্থনা করা হয়। প্রতিবছরের মতো এবারও মেলা উপলক্ষে আখড়াধামে হাজির হয়েছেন পাশের দেশ ভারতসহ দেশ-বিদেশের শতাধিক বাউল সাধক। এসব সাধকের কাছে সাধনাই মূল ধর্ম। আত্মশুদ্ধি আর আত্মমুক্তির জন্য এই মেলায় আসেন তারা। বাউল মেলা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চিরায়ত গ্রামবাংলার মুখরোচক খাবার ও বাহারি পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এসব খাবারের মধ্যে রয়েছে আমিত্তি, জিলেপি, সন্দেশ, বারো মিঠাই, দই, মুড়ালি, গুড়ের তৈরি মুড়ি ও চিড়ার মোয়া, তিলের মোয়া, তিলের সন্দেশ, খাস্তা, কদমা, নারকেলের নাড়ু, তিলের নাড়ু, খাজা, গজা, নিমকি, মনাক্কা, গাজরের হালুয়া, পিঠাসহ রকমারি খাবার। এছাড়া শিশুদের খেলনা, ঘরের তৈজসপত্র, আসবাবপত্র, বিভিন্ন ধরনের তৈরি পোশাক, মাটি ও বাঁশের তৈরি জিনিসপত্রসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্যের স্টল নিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। বাউল আখড়াবাড়ির বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সাধন চন্দ্র বাউল বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও ঐতিহ্যবাহী এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। গত শুক্রবার সকালে যজ্ঞানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। কোনও ধরনের প্রচার ছাড়াই প্রতিবছর ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের উপস্থিতিতে জমজমাট হয়ে ওঠে এ মেলা। আগামী বৃহস্পতিবার এ মেলার সমাপ্তি ঘটবে। তিনি বলেন, জীবের মঙ্গলার্থে বাউল ঠাকুরের আবির্ভাব হয়েছিল। কীভাবে সহজে মানুষ নিজেকে চিনতে পারবে, সেই পথ তিনি দেখিয়ে গেছেন। আমরা তার পথ অনুসরণ করে ভেদাভেদ না করে ঈশ্বরের সৃষ্টিকে ভালোবেসে যাচ্ছি। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকলের মিলন ঘটানোর জন্যই শত শত বছর ধরে মেলার এ আয়োজন হয়ে আসছে।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:২২

পর্যটকের পদচারণায় মুখর কুয়াকাটা
ছুটির দিনে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে সাগরকন্যা হিসেবে পরিচিত কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে শীতের রেস কাটতে না কাটতেই সৈকতে গোসল ও উল্লাসে মেতে উঠেছে হাজারও পর্যটক। রাজশাহী থেকে আসা পর্যটক দম্পতি মামুন-রিয়া বলেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যে কুয়াকাটায় এসে পৌঁছেছি। এখানে একসঙ্গে অনেক পর্যটক দেখে বেশ ভালো লাগছে। তবে কুয়াকাটার রেস্টুরেন্টে খাবারের মান আরও ভালো করা দরকার। এদিকে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, বছরের সবচেয়ে বেশি পর্যটক এসেছে এদিন। ফলে তাদের ব্যবসাও জমে উঠেছে। ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অফ কুয়াকাটার (টোয়াক) সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন পর এত বেশি পর্যটক দেখে ব্যবসায়ীরাও অনেকটা উচ্ছ্বসিত। এভাবে প্রতিনিয়ত সৈকতে পর্যটক থাকলে ব্যবসায়ীরা পেছনের লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবে। ইতোমধ্যে কুয়াকাটার হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলো শতভাগ বুকিং হয়ে গেছে। এদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তায় মাঠে রয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা। কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পুলিশ পরিদর্শক মো. মনিরুল হক ডাবলু বলেন, শুক্রবার পর্যটকের চাপ একটু বেশি রয়েছে। তাদের নিরাপত্তায় বিভিন্ন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া মাঠে টহল টিম কাজ করছে। পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে আমরা কাজ করছি।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:২৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়