• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
টেকনাফে ৭ জন অপহরণ, ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি
কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড়ি এলাকায় থেকে ফের ৪ কিশোরসহ ৩ যুবককে অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। তাদের অভিভাবকদের কাছে মুক্তিপণ হিসাবে ৫ লাখ টাকা দাবি করছে তারা। অপহৃতরা হলেন, টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়ন ৯ নম্বর ওয়ার্ড কম্বনিয়া পাড়ার ফিরোজ আহমেদের ছেলে মোহাম্মদ নুর(১৫), হ্নীলা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আমির হোসেনের ছেলে অলী আহমেদ (৩০), ৫ নম্বর ওয়ার্ড করাচি পাড়া লেদু মিয়ার ছেলে শা‌কিল মিয়া (১৫), বেলালের ছেলে মো. জুনায়েদ (১৩), নুরুল আমিনের ছেলে মো. সাইফুল (১৪), শহর আলীর ছেলে মো. ফরিদ (২৫) এবং নাজির হোসনের ছেলে সোনা মিয়া (২৪)। মঙ্গলবার ( ২৬ মার্চ) দুপুরের দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং খারাংখালি কম্বনিয়া পাড়া পাহাড়ে অপহরণ করা হয় দু'জনকে। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকালে সবজি ক্ষেতে কাজ করতে গেলে পাঁচ জনকে অপহরণ করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নুর আহমেদ আনোয়ারী। ভিকটিমের পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, প্রতিদিনের মত মঙ্গলবার সকালে মোহাম্মদ নুর পাহাড়ে পাশে গরু চড়াতে যায়। হঠাৎ করে দুপুরের দিকে একদল অস্ত্রধারী দুর্বৃত্ত পাহাড় থেকে নেমে এসে তাকে  ও অলী আহমেদ নামের এক কাঠুরিয়াকে অস্ত্রে মুখে জিম্মি করে পাহাড়ের ভেতর নিয়ে যায়। পরবর্তীতে সন্ধ্যার দিকে মোবাইলে কল করে দু'জন থেকে দু'লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করছেন দুর্বৃত্তরা। অপদিকের বুধবার বিকালে সবজি ক্ষেত পাহারা দিতে গিয়ে ৫ শ্রমিককে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। তাদের পরিবারে কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, দিনের পর দিন এভাবে অপহরণের ঘটনা বাড়ার কারনে কৃষক, শ্রমিক সহ পাহাড়ের বসবাস কারি মানুষ অনিরাপদের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, অপহরণের ঘটনাটি খবর পাওয়ার পর  ভিকটিমের উদ্ধারে পুলিশের টিম পাহাড় অভিযান পরিচালনা করেছেন। অভিযান চলমান রয়েছে। উল্লেখ্য, এ ঘটনার আগে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালিতে খেত পাহারা দিতে গিয়ে ৫ শ্রমিক অপহরণের শিকার হয়েছিল। পরে তাদেরকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উদ্ধার করেন। এর আগে শনিবার ৯ মার্চ মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে ৬ বছরের এক মাদ্রাসার ছাত্রকে অপহরণ করা হলেও তাকে এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অপরদিকে গত তিন বছরের টেকনাফ উপজেলায় দেড় শতাধিক লোক অপহরণের শিকার হয়েছিল।এবং অপহরণের পরে মুক্তিপন দিতে না পারায় টমটম( ইজিবাইক) ও সিএনজি চালক সহ কক্সবাজার থেকে টেকনাফে বেড়াতে আসা তিন যুবক সহ মোট পাঁচ জন অপহরণের কবলে পড়েছিল।পরে দুর্বৃত্তরা মুক্তিপন না পেয়ে তাদেরকে নির্মম ভাবে হত্যা করে পাহাড়ে রেখে পালিয়ে যায়।  
২৮ মার্চ ২০২৪, ০৩:৪৭

টেকনাফে ৫ কৃষক অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি 
কক্সবাজারের টেকনাফের পাহাড় থেকে স্থানীয় পাঁচ কৃষককে অপহরণ করেছে পাহাড়ি অস্ত্রধারীরা। ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে বলে জানিয়েছে অপহৃতের পরিবার। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকালে হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালী পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে যায় অপরহরণকারীরা। অপহৃতরা হলেন-হ্নীলা ৪নং ওয়ার্ডের পানখালী এলাকার ফকির মোহাম্মদের ছেলে মো. রফিক (২২), শাহাজানের ছেলে জিহান (১৩), ছৈয়দ উল্লাহর ছেলে শাওন (১৫), আব্দুর রহিমের ছেলে মো. নুর (১৮) ও নুরুল আমিনের ছেলে আব্দু রহমান (১৫)। জানা গেছে, তারা প্রতিদিনের মতো বুধবার রাতে ফসলের খেত পাহারা দেওয়ার জন্য পাহাড়ে যান তারা। কিন্তু সেহরি খেতে বাড়ি না ফেরায় খোঁজখবর নিতে শুরু করে অপহৃতদের পরিবার। পরে জানতে পারে তারা অপহরণের শিকার হয়েছেন। তাদের মুক্তি পেতে প্রয়োজন ৩০ লাখ টাকা। অপহরণের বিষয়টি স্বীকার করে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, অপহরণের খবরটি শুনেছি। অপহৃতদের উদ্ধারের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কাজ করছে হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদ। এদিকে মুক্তিপণ চেয়ে অপহৃত রফিকের বড় ভাই মো. শফিকের কাছে মুঠোফোনে ৩০ লাখ টাকা দাবি করেছে অপহরণকারীরা। এ বিষয়ে শফিক বলেন, রফিক প্রতিদিনের মতো জুম চাষে পাহাড়ে যায়। কিন্তু আজকে সেহরি খেতে না আসায় তাকে খুঁজতে বের হই। পরে জানতে পারি তাদের পাঁচজনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ফোনে মুক্তিপণ চেয়ে ৩০ লাখ টাকা দাবি করে অস্ত্রধারীরা।  অপহৃত মো. নুরের মা খোরশিদা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলেকে অস্ত্রধারীরা ধরে নিয়ে গেছে। তবে কে বা কারা নিয়ে গেছে এখনও জানা যায়নি। মোবাইলে একটি নম্বর থেকে ফোন করে ছেলের মুক্তির জন্য ১৫ লাখ টাকা দাবি করেছে। আমরা খুব গরিব মানুষ, এত টাকা কীভাবে জোগাড় করবো। ছেলেকে উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা চাই। এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি জানান, অপহরণে বিষয়টি আমাকে কেউ এখনও জানায়নি। এরপরও আমি খোঁজখবর নিচ্ছি। এর আগে গত ৯ মার্চ হ্নীলার পূর্ব পানখালী এলাকা থেকে মাদরাসা পড়ুয়া ছাত্র ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহকে (৬) অপহরণ করে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। ১২ দিন অতিবাহিত হলেও এখনও তাকে উদ্ধার করা যায়নি।  এদিকে সংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, গত ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ এর মার্চ পর্যন্ত সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের পাহাড় কেন্দ্রিক ১০৩টি অপহরণের ঘটনা ঘটেছে, তার মধ্যে ৫২ জন স্থানীয় এবং ৫১ জন রোহিঙ্গা। এদের মধ্যে যারা ফিরে এসেছে তাদের বেশির ভাগই মুক্তিপণ দিয়ে ফিরতে হয়েছে।
২১ মার্চ ২০২৪, ২১:৪৬

মুক্তিপণ না পেলে বাংলাদেশি জিম্মিদের মেরে ফেলার হুমকি জলদস্যুদের
আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে গতকাল মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে ‘এমভি আবদুল্লাহ’ নামে বাংলাদেশি পতাকাবাহী একটি জাহাজ। সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি আছেন জাহাজটির ২৩ জন নাবিক। এরই মধ্যে ভয়ানক হুমকির খবর ভেসে এসেছে জিম্মি জাহাজটি থেকে।  মুক্তিপণ না পেলে বাংলাদেশি জিম্মি নাবিকদের এক এক করে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দিয়েছে জলদস্যুরা। গতকাল মাগরিবের পর মুঠোফোনে জিম্মি জাহাজটির প্রধান কর্মকর্তা (চিফ অফিসার) মো. আতিক উল্লাহ খান একটি অডিও বার্তা পাঠিয়েছেন তার স্ত্রীর কাছে। ওই বার্তা এসেছে গণমাধ্যমের হাতে।  অডিও বার্তায় আতিক উল্লাহ খানকে বলতে শোনা যায়, ‘এই বার্তাটা সবাইকে পৌঁছে দিয়ো। আমাদের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে নিচ্ছে। ফাইনাল কথা হচ্ছে, এখানে যদি টাকা না দেয়, আমাদের একজন একজন করে মেরে ফেলতে বলেছে। তাদের যত তাড়াতাড়ি টাকা দেবে, তত তাড়াতাড়ি ছাড়বে বলেছে। এই বার্তাটা সবদিকে পৌঁছে দিয়ো।’ এর আগে গতকাল বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টার দিকে জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে দুবাই যাচ্ছিল। জলদস্যুদের কবলে পড়া চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের এই জাহাজটি পরিচালনা করছে গ্রুপটির সহযোগী সংস্থা এস আর শিপিং লিমিটেড। জাহাজে আতিক উল্লাহসহ ২৩ বাংলাদেশি নাবিক রয়েছেন। খবর চাউর হওয়ার পর থেকে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে নাবিকদের স্বজনদের। আতিকের বাড়ি চন্দনাইশের বরকল এলাকায়। মা, স্ত্রী ও তিন মেয়েকে নিয়ে শহরের নন্দনকানন এলাকায় থাকেন তিনি। মা শাহানুর আকতার কাঁদতে কাঁদতে জানান, মাগরিবের সময় ছেলের সঙ্গে তার শেষ কথা হয়। তখন আতিক তাকে বলেছেন, তাদের ৫০ জন জলদস্যু ঘিরে রেখেছে। একটা কেবিনে বন্দি সবাই। তাদের সোমালিয়া নিয়ে যাচ্ছে। আড়াই দিনের মতো লাগবে ওখানে পৌঁছাতে। সবার জন্য দোয়া চেয়েছেন আতিক।  
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৪:৩৮

ফেসবুকে প্রেম, প্রেমিককে অপহরণ করে মুক্তিপণ চাইলেন প্রেমিকা
বাগেরহাটে জন্মদিন পালনের কথা বলে প্রেমিকা এক কলেজছাত্রকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ভিকটিম প্রেমিক কলেজছাত্রকেও উদ্ধার করা হয়েছে।  রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাগেরহাট সদর থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেলুর রহমান। আটককৃতরা হলেন বাগেরহাটে চিতলমারী উপজেলার কুনিয়া গ্রামের সৈয়দ আল রোকিবের ছেলে সৈয়দ আল হারুন (২০), কাদের মীরের ছেলে সেলিম ওরফে ছলিম মীর (৫৫), পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার মাঠিভাঙ্গা গ্রামের মাসুদ হোসেনের ছেলে তামিম হোসেন (২৩), আবুল বাসার শেখের ছেলে সুজন শেখ (২৫), বাবর আলী ফরাজীর ছেলে ডালিম ফরাজী (২০) এবং গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বাশবাড়িয়া গ্রামের ইবাদত শেখের ছেলে সুজন শেখ। পুলিশ জানায়, বাগেরহাট সদর উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের মাসুদ শেখের ছেলে সরকারি পিসি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র রবিউল শেখ স্বাধীনের সঙ্গে ফেসবুকে শারমিন আক্তার শিলা নামের এক তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শুক্রবার রাতে ওই তরুণী ফোন করে বলে এ দিন তার জন্মদিন, তাই তার কাছে গিফট নিতে আসছে। স্বাধীন তার কথিত প্রেমিকাকে তার বাড়ির ঠিকানা বলে দিলে ওই তরুণী স্বাধীনের বাড়ির সামনে এসে স্বাধীনকে মেসেঞ্জারে কল দেন। স্বাধীন সেসময় তার বাড়ির সামনে একটি মাইক্রোবাস দেখতে পায়। এ সময় কথিত প্রেমিকা তাকে গাড়িতে উঠতে বলে। গাড়িতে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে অপহরণকারীরা স্বাধীনকে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে। পরে তারা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ঘুরে অজ্ঞাত স্থানে গিয়ে ভিকটিমের মোবাইল দিয়ে তার বাবাকে কল করে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। বিষয়টি ভিকটিমের বাবা পুলিশকে জানালে পুলিশ চিতলমারীর শৈলদাহ গুচ্ছগ্রাম থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে। আর এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার জন্য পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর এলাকা থেকে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।  ভুক্তভোগী রবিউল শেখ স্বাধীন জানান, ফেসবুকে ওই তরুণীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শুক্রবার তার জন্মদিন এ কথা বলে তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে অপহরণ করা হয়।  বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) রাসেলুর রহমান জানান, এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে বাগেরহাট সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদেরও আটকের চেষ্টা চলছে।  সতর্ক না হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রেমের মাধ্যমে প্রতারক চক্রের শিকার যে কেউ হতে পারে  বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৫৯

তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়েও পেলেন একমাত্র ছেলের লাশ
তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়েও অপহৃত একমাত্র ছেলে তাওহীদ হোসেনকে (১০) ফিরে পেলেন না মা তাসলিমা আক্তার। অপহরণের ৩৬ ঘণ্টা পরে পেলেন তার লাশ। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ভোরে তাওহীদের লাশ উদ্ধার করা হয়। সে আব্দুল্লাহপুর রসুলপুর মাদরাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল। জানা গেছে, শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টায় আব্দুল্লাহপুর মধ্যপাড়া থেকে তাওহীদকে অপহরণ করা হয়। অপহরণকারীরা তাওহীদদের বাসার পাশে একটি মোবাইল ফেলে রেখে যায়। সেই মোবাইলে কল করে তারা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে ছেলেকে ফিরে পেতে তিন লাখ টাকা দিতে রাজি হন তাওহীদের মা। তবে তারা ১০ লাখের কমে তাকে ফিরিয়ে দেবে না বলে জানায়। পরে অপহরণকারীরা তাসলিমা আক্তারকে তিন লাখ টাকা নিয়ে মাওয়া সড়কের রাজেন্দ্রপুর ওভার ব্রিজের ওপরে একটি পিলারের নিচে রেখে যেতে বলে।  আরও জানা গেছে, এই ঘটনা র‍্যাবকে জানানো হয়। এরপর ওভার ব্রিজের নিচ থেকে টাকা নেওয়ার সময় হাতেনাতে মকবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব সদস্যরা। পরে মকবুল র‍্যাবকে জানান, তাওহীদের লাশ আব্দুল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনে রাখা আছে। সোমবার ভোরে রানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছন থেকে তাওহীদের লাশ উদ্ধার করে র‌্যাব। পরে ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। গ্রেপ্তার মকবুল হোসেনের বাড়ি কেরানীগঞ্জ মডেল থানার রোহিতপুর ইউনিয়নের লাকিরচর এলাকায়। তিনি কয়েকমাস ধরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর মধ্যপাড়া এলাকায় ভাড়া থাকেন। তাওহীদ হোসেনের মামা মো. মহসিন হোসেন বলেন, আমার বোনের স্বামী উজ্জ্বল হোসেন সৌদি প্রবাসী হওয়ায় আমার ভাগনেকে টার্গেট করে অপহরণকারীরা। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ মাহাবুব রহমান বলেন, তাওহীদের লাশ উদ্ধার করেছে র‍্যাব সদস্যরা। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। 
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৪৯

মুক্তিপণ চেয়ে মায়ের কাছে নির্যাতনের ভিডিও
উত্তরায় এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকে অপহরণের পর মুক্তিপণের দাবিতে পাশবিক নির্যাতনের সব ভিডিও পাঠানো হচ্ছে পরিবারের কাছে। ভারতীয় নম্বর থেকে চাওয়া হচ্ছে মুক্তিপণ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি হাসিবুর রহমান হিমেলকে। অপহরণের পর ২ কোটি টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে পরিবারের কাছে। টাকা না পেয়ে বাড়ানো হচ্ছে নির্যাতনের মাত্রা। গাছে ঝুলিয়ে বেধড়ক পেটানোর ভিডিও পাঠানো হয় অপহৃত হাসিবুর রহমান হিমেলের মায়ের নম্বরে। গত ২৬ ডিসেম্বর উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টরের বাসা থেকে বের হয়ে ড্রাইভারসহ নিখোঁজ হয় হাসিবুর। পরিবারের কাছে পাঠানো ভিডিওতে খোদ ড্রাইভারকেই দেখা যায় অপহরণকারীর ভূমিকায়। কালো গেঞ্জি পড়া যে ছেলেটি হাসিবকে ধরে আছে সেই এ পরিবারটির গাড়ি চালিয়ে আসছিলেন প্রায় তিন বছর ধরে।  ঘটনা জানতে উত্তরার বাসায় গেলে সাংবাদিক দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন হাসিবের মা। ব্যবসায় কথা বলে গত ২৬ ডিসেম্বর ড্রাইভার সামিদুল তার একমাত্র ছেলেকে নিয়ে শেরপুরের উদ্দেশ্য বের হন। তারপর থেকেই ফোন আসতে থাকে মুক্তিপণ চেয়ে।  ভুক্তভোগীর মা জানান, অপহরণকারীরা আমাকে কখনও ময়মনসিংহ, কখনও নেত্রকোণা একা যেতে বলে। সেখান থেকে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা হেঁটে ভেতরে যেতে বলে। সেখানে গিয়ে টাকা দিলে আধাঘণ্টার মধ্যে ছেলেকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। এ ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা হলেও এখনও হাসিবকে উদ্ধার করা যায়নি। তবে ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে চারজন।  ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশিদ বলেন, মূল অপহরণকারী সামিদুল এবং মালেকের নম্বর আমরা পাই। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাদেরকে এবং তাদের স্ত্রীকে আমরা গ্রেপ্তার করি। অপহরণকারীরা যেন ভুক্তভোগীকে মেরে না ফেলে তাই তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়