• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ঝালকাঠিতে নিহত ১৪ জনের পরিচয় মিলেছে
ঝালকাঠিতে সিমেন্টবোঝাই ট্রাক-প্রাইভেটকার ও অটোরিকশার সংঘর্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। দুর্ঘটনায় নিহত ১৪ জনের পরিচয় মিলেছে। এরইমধ্যে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টায় মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে দুপুর ২টার দিকে পৌর এলাকার পশ্চিম পাশে পঞ্চম চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী গাবখান সেতুর টোলপ্লাজায় সিমেন্টবোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি প্রাইভেটকার ও তিনটি অটোরিকশা নিয়ে খাদে পড়ে। নিহতরা হলেন- ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাংগর গ্রামের বারেক হাওলাদারের মেয়ে নাহিদা আক্তার (২৭), জামাতা হাসিবুর রহমান (৩২), নাতি-নাতনি তাকিয়া (৪) ও তাহমিদ (৮ মাস), সদ্যবিবাহিত মেয়ে নিপা (২২), জামাতা বিমানবাহিনীর সদস্য ইমরান হোসেন (২৬), গাবখানের সেলিম হাওলাদারের ছেলে নজরুল (৩৫), ওস্তাখান গ্রামের মান্নান মাঝির ছেলে শফিকুল মাঝি (৫০), শেখেরহাট নওপাড়ার আব্দুল হাকিমের ছেলে আতিকু রহমান সাদি (১১), কাঠালিয়ার তালগাছিয়ার ইব্রাহিমের মেয়ে নুরজাহান (৭), স্ত্রী তাহমিনা (২৫), রাজাপুরের উত্তর সাউথপুরের হাসিবুর রহমানের স্ত্রী সনিয়া বেগম (৩০), স্বরূপকাঠির রুহুল আমীন ও টোলপ্লাজার সামনের প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক শহিদুল ইসলাম। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, পরিচয় শনাক্ত শেষে উপযুক্ত প্রমাণাদি সাপেক্ষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৪৭

ময়মনসিংহে ২ বাসের সংঘর্ষ : নিহতদের পরিচয় মিলেছে  
ময়মনসিংহের তারাকান্দায় বেপরোয়া গতির কারণে ২ বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এক বাস হেলপার ও এক নারী যাত্রী নিহত হয়েছেন। সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন অন্তত আরও ২৫ যাত্রী।   মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ময়মনসিংহ তারাকান্দা সড়কের কোদালধর বাজারের রামচন্দ্রপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন দুর্ঘটনাকবলিত রাজ সুপার বাসের হেলপার শেরপুর জেলার সদর উপজেলার রাজভল্লবপুর গ্রামের আক্তার আলীর ছেলে মো. শহিদ মিয়া (২৬) এবং নকলা উপজেলার মৃত আব্দুর রশিদের মেয়ে সুইটি আক্তার (২০)।  এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন তারাকান্দা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াজেদ আলী।  প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে ওসি বলেন, শেরপুর থেকে ঢাকাগামী ইভা পরিবহনের একটি বাস বেপরোয়া গতিতে ময়মনসিংহ-শেরপুর সড়কের ঘটনাস্থল এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা বেপরোয়া গতির রাজ সুপার বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে রাজ সুপার বাসের হেলপার শহিদ মিয়া ও ইভা পরিবহনের যাত্রী সুইটি আক্তার ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় আহত হন অন্তত ২৫ জন। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দুই বাসের সংঘর্ষের ঘটনায় মমেক হাসপাতালে অন্তত ১২ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ‍্যে ৬ জনকে ভর্তি করা হয়েছে এবং বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও এ ঘটনায় আহত আরও ১৩ থেকে ১৪ জনকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয় বলে জানান ওসি ওয়াজেদ আলী।  তিনি আরও বলেন, নিহতদের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন‍্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।  এ দিকে দুর্ঘটনা কবলিত সড়কে বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান ওসি।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৩

হত্যার পর মুখ পুড়িয়ে দেওয়া ব্যক্তির পরিচয় মিলেছে
নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলায় গলাকেটে হত্যার পর মুখ পুড়িয়ে দেওয়া ব্যক্তির পরিচয় মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশের বিশেষায়িত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলা পিবিআইয়ের পরিদর্শক (অ্যাডমিন) অভি রঞ্জন দেব বলেন, জেলা পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক এমদাদুল হকের নেতৃত্বে একটি দল তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ওই ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। অভি রঞ্জন দেব জানান, উদ্ধার হওয়া ওই ব্যক্তির নাম মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার কাশীপুর-বিশ্বাসপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে।  তিনি জানান, জাতীয় পরিচয়পত্রে সাইফুলের জন্ম ১৯৮২ সালের ১০ ডিসেম্বর উল্লেখ রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের সামনের ডিঙাপোতা হাওর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তখন তার নাম-পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, হাওরের জমিতে কাজের করতে গিয়ে স্থানীয় লোকজন এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতের বয়স ৩৩ থেকে ৩৫ বছর। ওসি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে গলাকেটে হত্যার পর পরনের কাপড় খুলে আগুন দিয়ে মুখমণ্ডল পুড়িয়ে দেয় হত্যাকারীরা। মূলত পরিচয় লুকানোর জন্যই হত্যাকারীরা এ কাজ করেছে। আপাতত ঘটনাটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড মনে হচ্ছে জানিয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। 
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:০৫

জলদস্যুদের কাছে জিম্মি ২৩ বাংলাদেশির পরিচয় মিলেছে
ভারত মহাসাগরে ‘এমভি আবদুল্লাহ’ নামে বাংলাদেশি একটি জাহাজ মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে জলদস্যুদের কবলে পড়েছে। ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে সোমালিয়ার জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর জাহাজে থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে জিম্মি করে।  তারা হলেন- জাহাজের মাস্টার মোহাম্মদ আবদুর রশিদ, চিফ অফিসার আতিক উল্লাহ খান, সেকেন্ড অফিসার মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, থার্ড অফিসার এন মোহাম্মদ তারেকুল ইসলাম, ডেক ক্যাডেট সাব্বির হোসাইন, চিফ ইঞ্জিনিয়ার এ এস এম সাইদুজ্জামান, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. তৌফিকুল ইসলাম, থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. রোকন উদ্দিন, ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার তানভীর আহমেদ, ইঞ্জিনি ক্যাডেট আইয়ুব খান, ইলেকট্রিসিয়ান ইব্রাহীম খলিল উল্লাহ, ক্রু মো. আনোয়ারুল হক, মো. আসিফুর রহমান, মো. সাজ্জাদ হোসেন, জয় মাহমুদ, মো. নাজমুল হক, আইনুল হক, মোহাম্ম শ্মসুদ্দিন, মো . আলী হোসেন, মোশাররফ হোসেন শাকিল, মো. শরিফুল ইসলাম, মো. নুর উদ্দিন ও মো. সালেহ আহমদ। এদিকে জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিকেল থেকে নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। তবে এর আগে নাবিকদের কয়েকজন তাদের পরিবারের কাছে একাধিক খুদে বার্তা পাঠান। সেখানে তারা বলেন, সোমালিয়ার জলদস্যুরা আমাদের জাহাজে অ্যাটাক করেছে। অলরেডি আমরা অ্যারেস্টেড। আমাদের এক জায়গায় বন্দি করে রাখছে। দেশের শীর্ষ শিল্প গ্রুপ কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজ এটি। এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম বলেন, নাবিকরা নিরাপদে আছেন। সব ধরনের প্রোটোকল অনুসরণ করে নাবিকদের উদ্ধারে কাজ করছি। ২০১৬ সালে তৈরি জাহাজটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্ত ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। প্রথমে জাহাজটির নাম ছিল ‘গোল্ডেন হক’। বাংলাদেশের কেএসআরএম গ্রুপের বহরে যুক্ত হওয়ার পর এর নাম হয় ‘এমভি আবদুল্লাহ’। এটি একটি বাল্ক কেরিয়ার। উল্লেখ্য, ২০১১ সালের মার্চে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হয় বাংলাদেশি ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রী। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের মাথায় জলদস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার করা হয় তাদের।  
১৩ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৪

শিক্ষক মুরাদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে : ডিএমপি
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুর শাখার জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মুরাদ হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্রীর ‘শ্লীলতাহানির প্রাথমিক সত্যতা’ মিলেছে। শিক্ষক মুরাদের কাছ থেকে জব্দ করা মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। ছাত্রীদের যৌন নির্যাতনের ঘটনার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতে তদন্ত কর্মকর্তারা কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার খন্দকার মহিদ উদ্দিন। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তিনি। অতিরিক্ত কমিশনার খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেন, ভিকটিম আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ২২ ধারায় সাক্ষ্য দিয়েছে। তদন্ত শেষ করে আসামিকে বিচারের আওতায় আনা হবে। যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা অনেক তথ্য পাচ্ছি। আসামি এসব অভিযোগ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।   মহিদ উদ্দিন বলেন, একজন শিক্ষকের কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ কেউ আশা করে না। ২৬ ফেব্রুয়ারি একজন বাদী লালবাগ থানায় আসেন। তিনি অভিযোগ করেন, গত বছর তার মেয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় গণিতের শিক্ষক মুরাদ হোসেনের ব্যক্তিগত কোচিং সেন্টারে প্রাইভেট পড়ত। তখন মুরাদ ওই ছাত্রী ও তার সহপাঠীদের সঙ্গে কুরুচিপূর্ণ আচরণ করেন। অনেক ছাত্রী এমন পরিস্থিতির শিকার হয়েছে।   তিনি বলেন, ৭ ফেব্রুয়ারি মুরাদ হোসেনের বিরুদ্ধে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ করা হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি তাকে বরখাস্তের সুপারিশ না করে বদলির সুপারিশ করে। ১০ ফেব্রুয়ারি মুরাদকে প্রত্যাহার করে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়। এতে সন্তুষ্ট না হয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি মুরাদের শাস্তির দাবিতে ছাত্রীরা আজিমপুর ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে। মামলার পর ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে আমরা রাজধানীর কলাবাগানের বাসা থেকে  আসামিকে গ্রেপ্তার করি। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুদিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অন্যদিকে আসামির আইনজীবী চিকিৎসার সুযোগ চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই সঙ্গে কারাবিধি অনুসারে তাকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৮

শিশু কোলে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ : পরিচয় মিলেছে নারীর 
ময়মনসিংহে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত নারী ও শিশুর পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- নগরীর বাদেকল্পা এলাকার রাজমিস্ত্রী মো. মুস্তাকিনের স্ত্রী তানিয়া আক্তার (২২) এবং তার ২ বছর বয়সী মেয়ে রাইসা আক্তার।  রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন এ তথ‍্য নিশ্চিত করেছেন।  তিনি জানান, নিহতের স্বজনরা এ পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব‍্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।  এ বিষয়ে ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ময়মনসিংহগামী একটি লোকাল ট্রেন কলেজ রোড রেলক্রসিং এলাকায় আসতেই তানিয়া ও তার ২ বছর বয়সী মেয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।  এর আগে দুপুর পৌনে ১টার দিকে নগরীর কলেজ রোড রেলক্রসিং এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।  এ দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, কালো বোরকা পড়া ওই নারী শিশুকে কোলে নিয়ে রেললাইনের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। ট্রেন কাছাকাছি আসতেই ওই নারী রেললাইনে শুয়ে পড়েন। এতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় দুজনের দেহ।  এ ঘটনার পাঁচ ঘণ্টা পর পরিচয় মিললে সন্ধ্যায় নিহতের স্বজনরা ভিড় করেন ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানায়। এ সময় স্ত্রী তানিয়া ও দুই বছরের মেয়ে রায়সাকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বামী মোস্তাকিন।  নিহত তানিয়ার স্বামী মোস্তাকিন দাবি করেন, নিহত তানিয়া দীর্ঘদিন যাবত মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। এর আগেও কয়েকবার সে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। গতকাল সকালে আমি কাজে বের হয়ে যাই। এর কিছুক্ষণ পর এ খবর পাই।   মোস্তাকিনের ভাই আল আমিন বলেন, সকালে ডাক্তার দেখাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় তানিয়া। ওই ঘটনার পর সন্ধ্যায় খবর পেয়ে রেলওয়ে থানায় এসে মরদেহ শনাক্ত করি আমরা।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:১২

তিউনিসিয়ায় নৌ-দুর্ঘটনায় নিহত ৮ বাংলাদেশির পরিচয় মিলেছে 
ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া উপকূলে ঘটে যাওয়া নৌ-দুর্ঘটনায় নিহত ৮ বাংলাদেশির পরিচয় মিলেছে। নিহত বাংলাদেশিদের মধ্যে মাদারীপুর জেলার ৫ জন এবং গোপালগঞ্জের ৩ জন। নৌকাটি থেকে আরও ২৭ জন বাংলাদেশিকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়, যাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক একজনের অবস্থা। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের এক ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়, উদ্ধারকৃত বাংলাদেশিদের সার্বিক কল্যাণ ও মৃত্যুবরণকারীদের তথ্য নিশ্চিত করতে দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মো. রাসেল মিয়ার নেতৃত্বে একটি টিম ১৯ ফেব্রুয়ারি তিউনিসিয়ার জারজিস শহরে পৌঁছান। তারা ইতোমধ্যে নৌ-দুর্ঘটনায় জীবিত উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে হতাহত বাংলাদেশিদের প্রাথমিক পরিচয় নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছেন। মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাংলাদেশি নাগরিকের নাম মনতোষ সরকার বলে জানা গেছে।  মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানার আমগ্রাম ইউনিয়নের মনোরঞ্জন সরকারের ছেলে তিনি।  এছাড়া নৌ-দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশিরা হলেন– ১) সজল, গ্রাম- শেনদিয়া, ডাক- খালিয়া, উপজেলা : রাজৈর, জেলা : মাদারীপুর।  ২) নয়ন বিশ্বাস, বাবা : পরিতোষ বিশ্বাস, গ্রাম : কদমবাড়ি উত্তরপাড়া, ডাকঘর : কদমবাড়ি, উপজেলা : রাজৈর, জেলা : মাদারীপুর। ৩) মামুন সেখ, গ্রাম : সরমঙ্গল, ডাকঘর : খালিয়া (টেকেরহাট ১ নম্বর ব্রিজ), উপজেলা : রাজৈর, জেলা : মাদারীপুর। ৪) কাজি সজীব, বাবা : কাজী মিজানুর, মা : রেণু বেগম, গ্রাম : তেলিকান্দি, ইউনিয়ন : বাজিতপুর নতুন বাজার, উপজেলা : রাজৈর, জেলা : মাদারীপুর। ৫) কায়সার, গ্রাম : কেশরদিয়া, ইউনিয়ন : কবিরাজপুর, উপজেলা : রাজৈর, জেলা : মাদারীপুর। ৬) রিফাত, বাবা : দাদন, গ্রাম : বড়দিয়া, ইউনিয়ন : রাগদী, উপজেলা : মুকসুদপুর, জেলা : গোপালগঞ্জ। ৭) রাসেল, গ্রাম : ফতেহপট্টি, ইউনিয়ন : দিগনগর, উপজেলা : মুকসুদপুর, জেলা : গোপালগঞ্জ।   ৮) ইমরুল কায়েস আপন, বাবা : মো. পান্নু শেখ, মা : কামরুন্নাহার কেয়া, গ্রাম : গয়লাকান্দি, ইউনিয়ন : গঙ্গারামপুর গোহালা, উপজেলা : মুকসুদপুর, জেলা : গোপালগঞ্জ দূতাবাসের পক্ষ থেকে নিহত বাংলাদেশিদের বিস্তারিত তথ্য নিশ্চিত করে স্থানীয় আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের মৃতদেহ দেশে পাঠানোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এই লক্ষ্যে তিউনিসিয়া ও বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছে দূতাবাস। এছাড়াও দুর্ঘটনায় জীবিত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশিদের দেশে পাঠানোসহ তাদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে দূতাবাসের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি অভিবাসী দল নৌকায় করে স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টায় লিবিয়ার জুয়ারা উপকূল থেকে ইউরোপের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। যাত্রাপথে নৌকাটি তিউনিসিয়া উপকূলে পৌঁছালে মধ্যরাত ৪টা ৩০ মিনিটে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। নৌকাটিতে মোট ৫৩ জন ছিল। এদের মধ্যে ছিলেন ৫২ জন যাত্রী এবং একজন ছিলেন নৌকার চালক। দুর্ঘটনার পর ৫৩ জনের মধ্যে ৪৪ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন। বাকিদের মধ্যে ৮ জন পাকিস্তানের, ৫ জন সিরিয়ার ও ৪ জন মিসরের নাগরিক। আর নিহতদের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশি নাগরিক। নিহত অপর ব্যক্তি পাকিস্তানের নাগরিক বলে জানা গেছে। 
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:১৩

৩৯১ কোটি টাকার রপ্তানি আদেশ মিলেছে এবারের বাণিজ্যমেলায় 
পর্দা নেমেছে ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা ২০২৪ এর। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ বছরের মতো সাঙ্গ হলো মেলার আয়োজন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো এ সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ক্রেতা সংকটে লোকসানের অজুহাত দেখিয়ে বাণিজ্যমেলার সময়সীমা বাড়ানোর জন্য বেশ কিছুদিন ধরে ব্যবসায়ীরা দাবি জানিয়ে এলেও হিসাব শেষে দেখা গেছে, গত বছরের তুলনায় এবারের আয়োজনে লাভ হয়েছে বেশ ভালোই।      সমাপনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৩৫ দশমিক ৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, অর্থাৎ ৩৯১ দশমিক ৮২ কোটি টাকার রপ্তানি আদেশ পাওয়া গেছে এবারের বাণিজ্যমেলায়। গত বছরের তুলনায় যা ১৭ দশমিক ২৫ শতাংশ বেশি। এবারের মেলায় পণ্য বেচাকেনাও হয়েছে গতবারের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি। আনুমানিক প্রায় ৪০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে এ বছরের আয়োজনে। উল্লেখ্য, দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন, উৎপাদনে সহায়তার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবির যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ থেকে এই ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা আয়োজিত হয়ে আসছে। স্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে এ বছর কিছুটা বিলম্বে শুরু হয় বাণিজ্যমেলা। ২১ জানুয়ারি মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শিডিউল অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার ছিল আয়োজনের শেষদিন।   মেলার শেষ দিনে বিভিন্ন স্টল-প্যাভিলিয়নে বিভিন্ন অফার চললেও ক্রেতাদের চাপ তুলনামূলক অনেক কম লক্ষ্য করা গেছে। ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা ছিল, শেষ দিনে সকাল থেকেই ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় থাকবে। তবে তার বিপরীত চিত্র লক্ষ করা গেছে মেলা প্রাঙ্গণে। ক্রেতাদের চাপ কম থাকায় অধিকাংশ ব্যবসায়ীকে অলস সময় পার করতে দেখা গেছে। মেলার শেষদিন উপলক্ষে বিকেলে আয়োজিত হয় সমাপনী অনুষ্ঠান। সেখানে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। ইপিবি’র (রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো) পক্ষ থেকে জানানো হয়, মেলায় এবার মোট ৩০৪টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ ছাড়াও ৫টি দেশের ৯টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয় এবারের বাণিজ্যমেলায়। দেশগুলো হলো- ভারত, হংকং, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া ও সিঙ্গাপুর।  এবারের বাণিজ্যমেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়ন, রেস্তোরাঁ ও স্টলের মোট সংখ্যা ছিল ৩৫১টি; যা বিগত বছরে ছিল ৩৩১টি। অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এক্সিবিশন সেন্টারের ১ লাখ ৬৬ হাজার ৩০০ বর্গফুট আয়তনের দুইটি হলে (এ ও বি) বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল ১৭৪টি স্টল। সেন্টারের প্রধান ফটকের পূর্বপাশে বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়নসহ প্রিমিয়ার ও সংরক্ষিত ক্যাটাগরির স্টল ছিল ৬২টি। হলের পেছনে ফরেন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়ন এবং প্রিমিয়ার ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়নসহ প্রিমিয়ার ও সংরক্ষিত ক্যাটাগরির স্টল ছিল ৫৩টি। এছাড়া সেন্টারের মূল কম্পাউন্ডের বাইরে ৬ একর জমির একাংশে ফুড জোনে ৩২টি রেস্তোরাঁ ও মিনি রেস্তোরাঁ এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত ক্যাটাগরির স্টল ছিল ৬২টি।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:২৫

তিউনিসিয়ায় নিহত ৮ বাংলাদেশির পরিচয় মিলেছে
লিবিয়া থেকে সাগরপথে ইউরোপ যাওয়ার সময় তিউনিসিয়া উপকূলে নৌযানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ অভিবাসী নিহত হয়েছেন। নিহতদের ৮ জন বাংলাদেশি এবং ১ জন পাকিস্তানি নাগরিক। এ ঘটনায় ২৭ বাংলাদেশিকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। দূতাবাসের একটি টিম তিউনিসিয়া উপকূল এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে বাংলাদেশিদের মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। নিহতেরা হলেন- মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার শেনদিয়া গ্রামের সজল, কদমবাড়ি উত্তরপাড়া গ্রামের পরিতোষ বিশ্বাসের ছেলে নয়ন বিশ্বাস, সরমঙ্গল গ্রামের মামুন সেখ, কবিরাজপুর ইউনিয়নের কেশরদিয়া গ্রামের কায়সার, বাজিতপুর নতুন বাজার ইউনিয়নের তেলিকান্দি গ্রামের কাজী মিজানুরের ছেলে কাজি সজীব, সরমঙ্গল গ্রামের মামুন সেখ।  গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার রাগদী ইউনিয়নের বড়দিয়া গ্রামের দাদনের ছেলে রিফাত, দিগনগর ইউনিয়নের ফতেহপট্রি গ্রামের রাসেল, গঙ্গারামপুর গোহালা ইউনিয়নের গয়লাকান্দি গ্রামের ইমরুল কায়েস।  এছাড়া মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার আমগ্রাম গ্রামের মনোরঞ্জন সরকারের ছেলে মনতোষ সরকার মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সেই সঙ্গে পাসপোর্টবিহীন বাংলাদেশি রয়েছেন ৭ জন। ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি একটি অভিবাসী দল নৌকায় করে স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টায় লিবিয়া থেকে সাগরপথে ইউরোপ যাত্রা করে। যাত্রাপথে নৌকাটি তিউনিসীয় উপকূলে গেলে মধ্যরাত সাড়ে ৪টার দিকে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। নৌকাটিতে মোট ৫৩ জন ছিল। দুর্ঘটনার পর চালকসহ ৫৩ জনের মধ্যে ৪৪ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন। বাকিদের মধ্যে পাকিস্তানের ৮ জন, সিরিয়ার ৫ জন, মিসরের ৩ জন ও নৌকা চালক রয়েছেন (মিশরীয় নাগরিক)। ওই ঘটনায় নৌকায় থাকা ৯ জন যাত্রী মারা গেছেন। এদের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশি নাগরিক। দূতাবাস আরও জানায়, উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা এবং চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এবং আইওএমের সঙ্গে কাজ করছে তারা।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩১

অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ঢাবি ছাত্রীকে যৌন হয়রানির প্রমাণ মিলেছে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের এক নারী শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি’। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের এক সভায় ‘ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি’ তাদের রিপোর্ট পেশ করে। সেখানে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানানো হয়।  সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।  সভা শেষে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিন্ডিকেট সদস্য বলেন, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ইনস্টিটিউটের এক শিক্ষার্থী যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তোলেন। গত ১ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভায় এ বিষয়ে যাচাই-বাছাই করতে ‘ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি’ গঠন করে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে এই বিষয়টিকে হাইকোর্ট নির্দেশিত যৌন নিপীড়ন সেলে পাঠানো হয়েছে এবং তিন মাসের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে। এই তিন মাস অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলামকে সকল প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার আদেশ দেওয়া হয়েছে। আরেক সিন্ডিকেট সদস্য জানান, ‘ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি’ তদন্তে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। গত ১১ নভেম্বর এক নারী শিক্ষার্থীকে রুমে ডেকে নিয়ে তাকে যৌন নিপীড়রের অভিযোগ উঠে অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। বিষয়টি উল্লেখ করে ২৮ নভেম্বর উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ওই শিক্ষার্থী।  পরবর্তীতে গত ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন ড. সীমা জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির বাকি সদস্যরা ছিলেন গণযোগাযোগ এবং সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আবুল মনসুর আহাম্মদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সঞ্চিতা গুহ।
০২ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়