• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
ফেসবুকে মনের কথা লিখলেও তুলে নিয়ে যায় : মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার সারাদেশে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই। ফেসবুকে মনের কথা লিখলেও তুলে নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঈদ উপহার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে শামিল হওয়ায় আমাদের ছাত্রদল-যুবদলের ছেলেদের নির্যাতন করা হয়েছে। তারা কোনো চিকিৎসা পায়নি। তাদের নির্যাতন করে জেলে ফেলে রাখা হয়েছে। এরপর জেলেও তাদের কোনো চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হয়নি। আমরা খবর পেয়ে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। কারাবাসের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, একটি ছেলের সিরাজগঞ্জে বাড়ি, ফেসবুকে একটি পোস্টে লাইক দেওয়ার কারণে র‌্যাব তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে প্রায় ১৪ দিন নির্যাতন করার পর আরেকটি মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠিয়েছে। সে এখনও জামিন পাচ্ছে না। তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র, সুশান ও মানবাধিকার নেই। একটি জাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে আমরা সংগ্রাম করছি। একটি গণতান্ত্রিক দলের পক্ষে যতটুকু সম্ভব নয় তার চেয়েও বেশি সংগ্রাম আমরা করছি। হাজার হাজার মানুষ রাজপথে আসছে, রাজপথে আমাদের ছেলেরা প্রাণ দিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে

শান্তিপূর্ণ ও অসহিংস আন্দোলন চলবে : মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অধিকার ও স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থনকে গভীরভাবে মূল্যায়ন করি, যার মধ্য দিয়ে প্রকৃতভাবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে নিশ্চিত করা যেতে পারে। যতক্ষণ না পর্যন্ত আমরা এটা অর্জন করতে না পারি, ততক্ষণ জনগণের শান্তিপূর্ণ ও অসহিংস আন্দোলন চলবে। রোববার (২৪ মার্চ) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে ইংরেজি ভাষায় লিখিত বক্তব্যে কূটনীতিকদের তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, গভীরভাবে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটকাল অতিক্রম করছে বাংলাদেশ। রাষ্ট্র আবারও ফ্যাসিবাদী শাসনের কবলে পড়েছে। গত ৭ জানুয়ারি যা হয়েছে, তা কোনো নির্বাচন নয়। বরং জাতির গণতান্ত্রিক প্রত্যাশাকে অপমান করা হয়েছে। কূটনীতিকদের সম্মানে অনুষ্ঠিত বিএনপির ইফতার আয়োজনে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের কর্মকর্তারা অংশ নেন। স্বাগত বক্তব্যে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আয়োজিত ইফতারে অংশগ্রহণ করায় আগত কূটনীতিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন  বিএনপির মহাসচিব। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর অমানবিক হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিএনপি গভীরভাবে অবহিত বলে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল, গণহত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী ও জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, দুই রাষ্ট্রের কৌশলেই এই সংকটের সমাধান হতে পারে। ইফতারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু প্রমুখ অংশগ্রহণ করেন। সঞ্চালনা করেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে জানান, ইফতারে জাতিসংঘ, এনডিআই, আইআরআইসহ ৩৮টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য রয়েছেন, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন ল্যাফেইব, অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নার্দির সিম্পসন, পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ, জার্মান অ্যাম্বাসেডর আখিম ট্রোসটার ও ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার ড. বিনয় জর্জ প্রমুখ।
২৪ মার্চ ২০২৪, ২০:৫৪

দেশে ফিরলেন মির্জা ফখরুল
চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, গত ৪ মার্চ স্ত্রী রাহাত আরা বেগমসহ দেশ ছাড়েন মির্জা ফখরুল। শায়রুল কবির খান জানিয়েছেন, সিঙ্গাপুরে যাওয়ার পর সেখানে দু’টি হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব। সেখানে তার বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। এসব পরীক্ষায় তার স্বাস্থ্যের প্যারামিটার নিয়ে কোনো উদ্বেগের কারণ নেই বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাবাসের পর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি জামিনে মুক্তি পান মির্জা ফখরুল। এ সময়ে তার ছয় কেজি ওজন কমেছে। কারামুক্তির পর মির্জা ফখরুল ঢাকায় বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে অধ্যাপক শামসুল আরেফীনকে দেখান এবং বাসায় থেকে তার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নেন।  
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৫

‘দেশটা এখন মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে’
জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান ও দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশ এখন মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে। অব্যাহত গতিতে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করে বিরোধী নেতাকর্মীদের পর্যুদস্ত ও নাজেহাল করা হচ্ছে। এ ধরনের অপকর্ম সাধনের একমাত্র উদ্দেশ্যই হচ্ছে, দেশের বিরোধীদলগুলো যেন দখলদার সরকারের স্বৈরাচারী আচরণের সমালোচনা করতে সক্ষম না হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, মিথ্যা মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানো যেন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের প্রাত্যহিক কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে। রাজিব আহসান এবং আব্দুল্লাহ আল মামুনের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো দখলদার আওয়ামী সরকারের নিরবচ্ছিন্ন অপকর্মেরই অংশ। তিনি বলেন, আদালত কতৃর্ক তাদের জামিন বাতিল ও কারান্তরীণের ঘটনায় আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা বানোয়াট ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মামলা প্রত্যাহারসহ নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪২

বিএনপির ইফতারির মেন্যুতে পরিবর্তনের কারণ জানালেন মির্জা আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস জানিয়েছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে বিএনপির ইফতারিতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এ ছাড়া দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ নানা কারণে দেশের মানুষ ভাল নেই বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।  মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রাজধানীর ইস্কাটনের লেডিস ক্লাবে এক ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। ওলামা মাশায়েখ ও এতিমদের সম্মানে এ ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভাপতিত্ব করেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ইফতার মাহফিলে শতাধিক অতিথি উপস্থিতি ছিলেন।  মির্জা আব্বাস বলেন, একটা কথা মনে রাখতে হবে- নমরুদ, ফেরাউনও টিকে থাকতে পারে নাই। এদের ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে, তবে চিরস্থায়ী নয়। পৃথিবীর কোনো স্বৈরশাসন টিকে থাকতে পারে নাই, পারবেও না। স্বৈরাচার সরকারকে একদিন বিদায় নিতে হবে, ইনশাআল্লাহ। এসময় উপস্থিত ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুর মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শামসুউদ্দিন দিদার, মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুর কবির খান প্রমুখ।
১২ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫০

ভয় লাগে মির্জা আব্বাসের, জানিয়েছেন কারণও
কারামুক্তি পেয়েও নিজেকে ইনডাইরেক্টলি বন্দি বলে মনে করছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারি না। ভয় লাগে কখন পুলিশ আসে, কখন আবার নিয়ে যায়। সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর শাজাহানপুরে নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। মির্জা আব্বাস বলেন, শুধু আমি নই, জামিনে মুক্ত বিএনপি নেতাকর্মীরা এখনও পরোক্ষভাবে বন্দি। আমরা এখন খাঁচায় পোষা মুরগির মতো। যখন দরকার হবে আবার জেলে নিয়ে যাবে। দেশের জনগণ-জাতি আজ বন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। তিনি বলেন, সরকারের কাছে এ দেশ লুটপাটের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। একজন মন্ত্রী বরই দিয়ে ইফতার করার কথা বলেন। সেই মন্ত্রীর বোধহয় অভিজ্ঞতা নেই যে, খালি পেটে বরই খেলে কত মারাত্মক সমস্যা হতে পারে। উনারা তো খেজুর, আঙ্গুর, বিভিন্ন দামি ফল-ফ্রুট দিয়ে ইফতার করেন। বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে একটা সময়ও পাইনি যেখানে মানুষ স্বস্তিতে রমজান পালন করেছে। অথচ গাজায়ও ঈদের মতো রমজান মাস শুরু হয়েছে। আমাদের দেশে সেই অবস্থা নাই। দেখা যাবে তারাবির নামাজ পড়তে গিয়ে দেখব বিদ্যুৎ নাই। জেলের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে মির্জা আব্বাস বলেন, এবারের মতো জেল কখনও খাটি নাই। সেই ১৯৭৮ সাল থেকে আমার জেল জীবন শুরু। সবাই সব সুবিধা পেলেও আমরা বাইরে হাঁটার কথা বললে তখন বলে স্যার হাটা যাবে না। অথচ আমার ডায়াবেটিস আছে, হার্টের সমস্যা আছে। তিনি বলেন, কোনো সুবিধা জেলখানায় আমাদের দেওয়া হয়নি। এমনকি চিকিৎসা সুবিধাও তারা দেয়নি। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কথা বললে বলে, স্যার নিষেধ আছে। এবারের জেল ছিল সব দিক থেকে কষ্টকর।
১১ মার্চ ২০২৪, ২০:৩৩

সরকার ভয়ে, দেশটা বিপদে : মির্জা আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার ডামি নির্বাচন করে ক্ষমতায় এসে এখন ভয়ে আছে। সরকারের কাছে দেশটা যদিও বা একটা স্বর্গ রাজ্যে পরিণত হয়েছে। আসলে ব্যাপারটা কিন্তু তা নয়। দেশটা কিন্তু এখন একটা বিপদের মধ্যে আছে। সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর শাজাহানপুরে নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।  ৯ মার্চ নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে লিফলেট বিতরণ-পূর্ব এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দেওয়া তার বক্তব্য কয়েকটি পত্রিকা ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে- এমন অভিযোগ করেন মির্জা আব্বাস। ভুল-বোঝাবুঝির সৃষ্টি যাতে না হয়, সে জন্যই এই সংবাদ সম্মেলন বলে জানান তিনি। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি ১৭ বছর ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছে। বিষয়টা এমন না যে, কালকেই বিএনপিকে ক্ষমতায় যেতে হবে। আমাদের আন্দোলন জনগণের মৌলিক অধিকার, কথা বলার অধিকার, ভোটের অধিকার, বাঁচার অধিকার আদায়ের জন্য। এই আন্দোলন চলবে, থেমে থাকবে না। এর ধারাবাহিকতায় গত বছরের ২৮ অক্টোবর আমাদের সমাবেশ হয়, সেখানে সরকার অতর্কিত আক্রমণ করে। আব্বাস বলেন, একজন মন্ত্রী বললেন ‘বড়ই দিয়ে ইফতার করেন’। কিন্তু সে মন্ত্রীর হয়তো অভিজ্ঞতাই নাই, খালি পেটে বরই খেলে একজন মানুষ মারা যেতে পারেন। খালি পেটে বরই খেলে কত বড় মারাত্মক সমস্যা হতে পারে! ‘জনগণের জন্য বরই, বেগুনির বদলে পেঁপে আরও কতকিছু তাদের জন্য দামি ফল, খেজুর, আঙুর’ শিল্পমন্ত্রীর ইফতার নিয়ে বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেন মির্জা আব্বাস। বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাবেন জানিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, ইতোমধ্যে চিকিৎসার জন্য আমাদের অনেকে বাইরে (বিদেশ) চলে গেছেন। আমারও যাওয়ার কথা। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে সরকারি প্রতিবন্ধকতার কারণে এই মুহূর্তে যেতে পারছি না। আমি ও আমার পরিবার যাব। আমার চিকিৎসা করা প্রয়োজন।  
১১ মার্চ ২০২৪, ১৬:৫০

সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা ফখরুল
চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে গিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার (৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টার বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ঢাকা ত্যাগ করেন তিনি।  বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগমও সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। বিএনপি মহাসচিবের একান্ত সহকারী ইউনুস আলী জানান, মির্জা ফখরুল সিঙ্গাপুরে একটি ক্লিনিকে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দেখাবেন। ইতোমধ্যে চিকিৎসকদের অ্যাপয়েন্টমেন্টও নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে আগামী ১৮ মার্চ তিনি দেশে ফিরবেন। প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাগারে থাকার পর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি জামিনে মুক্তি পান মির্জা ফখরুল। ২০১৫ সালে কারাবন্দি অবস্থায় বিএনপি মহাসচিবের ঘাড়ের ইন্টারন্যাল ক্যারোটিড আর্টারিতে ব্লক ধরা পড়ে। পরে কারা মুক্তি পাওয়ার পর তিনি সিঙ্গাপুরে গিয়ে চিকিৎসা করান। এরপর প্রতিবছরই ফলোআপ চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে যেতে হয়।। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৪ আগস্ট সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন তিনি।
০৪ মার্চ ২০২৪, ১২:০১

‘ডামি নির্বাচনের পর সরকার আরও বেশি বেপরোয়া হয়েছে’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ডামি নির্বাচনের পর সরকার আরও বেশি ক্রুদ্ধ ও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে, গণতন্ত্রের লেবাসে ফ্যাসিবাদ আরও আগ্রাসী রূপ ধারণ করেছে। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। ফখরুল বলেন, সভা-সমাবেশ সংবিধান স্বীকৃত, অথচ এ দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সেই সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ১২ দলীয় জোটের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা প্রমাণ করে দেশে দুঃশাসন প্রকট রূপ ধারণ করেছে। তিনি বলেন, শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা ১২ দলীয় জোটের শান্তিপূর্ণ মিছিল পুলিশি বাধায় পণ্ড করে ডামি সরকার আবারও প্রমাণ করল যে, তারা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধ শক্তি। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ১২ দলীয় জোটের কোনো রাষ্ট্রবিরোধী কর্মসূচি ছিল না। সভ্য গণতান্ত্রিক বিশ্বে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার যে স্বীকৃতি তা আজ বাংলাদেশে ভূলুণ্ঠিত। বিএনপি মহাসচিব বলেন, দ্বিমত পোষণ গণতন্ত্রের অপরিহার্য উপাদান। যে সমাজে ন্যূনতম গণতন্ত্র আছে সেখানে ভিন্নমত প্রকাশে বাধা দেওয়া হয় না। কিন্তু আওয়ামী সরকার ভিন্নমত প্রকাশকারীদের বিরুদ্ধে অসহিষ্ণু হয়ে রাষ্ট্রীয় পেশিশক্তি দিয়ে বিরোধী দলের কণ্ঠরোধ করছে, দুঃশাসন যে প্রকট রূপ ধারণ করেছে, এটিই তার নমুনা। তিনি বলেন, বাকস্বাধীনতা প্রয়োগের জন্য বিএনপিসহ বিরোধী দলের অসংখ্য নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলা ও জেল-জুলুম ভোগ করতে হচ্ছে। তবে বলপ্রয়োগ ও ভয় উৎপাদন করে দীর্ঘদিন জনগণকে দমিয়ে রাখা যায় না। গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে স্বৈরাচারী সরকারের কোনো দায় থাকে না, বরং গণতন্ত্রকে অস্বীকার করার সব থেকে বেশি সুযোগ সৃষ্টি হয়। তারা বহুদলীয় গণতান্ত্রিক নীতি সমাধিস্থ করে কতৃর্ত্ববাদের নতুন আদর্শ প্রতিষ্ঠা করে। মির্জা ফখরুল, গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ১২ দলীয় জোটের কর্মসূচি পুলিশি বাধায় পণ্ড করা অগণতান্ত্রিক, আইনের শাসনের পরিপন্থী ও সরকারের ভিন্নমত দমনের নিকৃষ্ট দৃষ্টান্ত।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়