• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মিয়ানমার থেকে আবারও ভেসে আসছে গোলাগুলির শব্দ
কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার থেকে আবারও গোলাগুলি ও মর্টার শেলের আওয়াজ ভেসে এসেছে। এমন পরিস্থিতিতে সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১‌১ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টা থেকে শুক্রবার (১‌২ এপ্রিল) সকাল ৯টা পর্যন্ত টেকনাফের কয়েকটি পয়েন্টে সীমান্তে ভারী মর্টার শেলের শব্দে আতঙ্কে রাত কাটে টেকনাফের হোয়াইক্যং ও হ্নীলা ইউনিয়ন সীমান্তের লোকজন। স্থানীয়রা জানান, মিয়ানমার সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘর্ষ চলছে। এতে টেকনাফের হোয়াইক্যং উত্তর পাড়া, লম্বাবিল, উনচিপ্রাং,কাঞ্জর পাড়া, হ্নীলা, মোলভী পাড়া, ওয়াব্রাং, ফুলের ডেইল, চৌধুরী পাড়া, জালিয়া পাড়া এলাকায় সীমান্তের ওপারে থেমে থেমে গুলি ও মর্টার শেলের শব্দ পাওয়া গেছে। হোয়াইক্যং ও হ্নীলা সীমান্তের পূর্বে মিয়ানমার কুমিরহালি, নাইচদং, কোয়াংচিগং, শিলখালী, নাফপুরা এ গ্রামগুলোতে গৃহযুদ্ধ চলছে।  হোয়াইক্ষং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ আনোয়ার বলেন, ঈদের দিন থেকে টানা ২দিন ধরে থেমে থেমে মর্টার শেল ও গুলির শব্দ ভেসে আসছে। এতে স্থানীয়দের মঙ্গে আতঙ্ক বিরাজ করছে।  হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, মর্টার শেল ও গুলির শব্দে কাপছে সীমান্ত এলাকা। বজ্রপাতের মতো শব্দ হয়। এতে মানুষের নির্ঘুম রাত কাটছে।
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৯

মিয়ানমার সংঘাতে সৃষ্ট উদ্বেগ জাতিসংঘকে জানাবে বাংলাদেশ
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের সৃষ্ট সমস্যা বাংলাদেশ সীমান্তে আরও শক্তিশালী হওয়ায় উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জাতিসংঘকে লিখিতভাবে জানাবে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।  ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের সীমান্তে শঙ্কা জিইয়ে রাখতে পারি না। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে। চিঠি দিবে জাতিসংঘকে। মিয়ানমার সীমান্তের রেশ ভারতেও গেছে। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন। এরই মধ্যে ভারতের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে মিয়ানমার সীমান্ত ইস্যুটাও আছে। তিনি বলেন, মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী ও সেনাবাহিনীর যেসব সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে তাদের ফিরিয়ে নেবে দেশটি। ফিরিয়ে নিতেই হবে। ফিরিয়ে না নেওয়ার বিকল্প নেই। 
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:৫৪

এবার মিয়ানমার থেকে একসঙ্গে ১১৪ সীমান্তরক্ষীর অনুপ্রবেশ, মোট ২২৯
মিয়ানমারের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির প্রবল আক্রমণের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যরা। সর্বশেষ একসঙ্গে ১১৪ জন সীমান্তরক্ষী মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশ করেছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যের সংখ্যা দাঁড়াল ২২৯ জনে। এর আগে রোববার থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপির সদস্য সংখ্যা ছিল ১১৩। পরে বিজিবি তাদের আরও দুজনকে রিসিভ করলে সে সংখ্যা হয় ১১৫। সর্বশেষ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একসঙ্গে আরও ১১৪ জন সশস্ত্র বিজিপি সদস্য বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করেন। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ক্ষমতাসীন জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশের ২২৯ জন সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বিজিবি সদস্যরা তাদের সবাইকে নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছেন। এদিকে, একইসময়ে ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে। তার মাধ্যমে মিয়ানমারের কাছে সীমান্তের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবাদ জানাবে বাংলাদেশ। এর আগে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমার ইস্যুতে বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনী ও বিজিবিকে (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) ধৈর্য ধারণ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর আইনমন্ত্রী বলেছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় চলমান অস্থিরতার কারণে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ করা হয়েছে। পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে বলে নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী জানিয়েছে, জান্তা সামরিক বাহিনীর আরও বেশ কয়েকটি ঘাঁটি দখল করেছে আরাকান আর্মিসহ জাতিগত স্বাধীনতাকামীরা। এ ছাড়া গত চারদিনে তাদের হাতে প্রাণ হারিয়েছে দেশটির অন্তত ৬২ জন সেনা। জান্তার বিরুদ্ধে মিয়ানমারজুড়ে হামলা জোরদার করেছে সশস্ত্র এই জাতিগত স্বাধীনতাকামীরা। গত পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলছে দেশটির বিভিন্ন সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর। ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জান্তার রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর এ সংঘাত বেড়ে যায়। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে মিয়ানমারের সঙ্গে।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:১১

মিয়ানমার থেকে ফের মর্টারশেল পড়ল বাংলাদেশে, সীমান্তে আতঙ্ক
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সেদেশের জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ও দুপুরে এবং বুধবার (৩১ জানুয়ারি) ভোরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ইউনিয়নের ঘুমধুমের তুমব্রু, কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী আঞ্জুমানপাড়া, টেকনাফের হোয়াক্যং সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার অংশে প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ শুনেছেন বাসিন্দারা।  বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকালেও মিয়ানমারে ছোড়া মর্টারশেল তুমব্রু সীমান্ত এলাকায় উদ্ধার করা হয়েছে। তুমব্রুর স্থানীয় বাসিন্দা আবদুর রহিমের বসতভিটা থেকে মর্টারশেলটি উদ্ধার করেন এলাকাবাসী।  এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মো. ফরিদ আলম বলেন, গতকাল রাতে মর্টারশেলটি পড়ার পর আজ ভোরে এটিকে উদ্ধার করে আমরা বিজিবিকে দিয়েছি।  তুমব্রু সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী সাংবাদিক শ. ম গফুর এ তথ্য নিশ্চিত করে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন। তাছাড়া, তুমব্রু ও হোয়াইক্যং সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার অংশে হেলিকপ্টার উড়তে দেখেছেন এলাকাবাসী।  টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার সিরাজুল মোস্তফা লালু জানান, মিয়ানমার অংশে গোলাগুলিতে তাদের সন্তানরা স্কুলে যেতে ভয় পাচ্ছে।  এ দিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আজ বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন।   এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, যেকোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সীমান্তের এসএসসি পর স্থানান্তর করা হবে। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও জনমনে এখনও আতঙ্ক কাটেনি। এক প্রশ্নের জবাবে তুমব্রু সীমান্তে মর্টারশেল উদ্ধারের বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন। এ দিকে মঙ্গলবার দুপুরেও টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্তের ওপারে সীমান্তের কাছে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখেছেন এলাকাবাসী।  উলুবনিয়া জামান সখিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আফরোজা খানম রাহি বলেন, আমার বাড়ি উলুবনিয়া গ্রামের সীমান্তের কাছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সীমান্তের কাছে গুলির শব্দ হলে ভয়ে স্কুলে যেতে পারিনা। পড়াশোনা করতে পারিনা। উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারের চলমান সংঘাতে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের আশঙ্কা রয়েছে। তাছাড়া, মিয়ানমারে দুপক্ষের মধ্যে যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় রাখাইন প্রদেশের সাধারণ জনগণ তীব্র খাদ্য সংকটে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ার পথ খুঁজছেন।  এরই প্রেক্ষিতে সীমান্তে সতর্কতা বাড়িয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বিজিবি মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান ইতোপূর্বে দুদফায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিদর্শন করেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। পরিদর্শনকালে তিনি সীমান্তে দায়িত্বরত সব পর্যায়ের বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি সবাইকে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সীমান্তে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেন। 
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৫২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়