• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
অফিসে মিথ্যা বলে আইপিএলের গ্যালারিতে নারী, অতঃপর....
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (আইপিএল) শুধু ক্রিকেটারদেরই নয়, ভাইরাল করে দেয় ক্রিকেটপ্রেমীদেরও। ভারতের বেঙ্গালুরুতে তেমনই ঘটনা ঘটেছে। অফিসে মিথ্যা কথা বলে স্বামীর সঙ্গে খেলা দেখতে গিয়েছিলেন এক নারী। তবে তার বিপত্তি বাড়িয়েছে টেলিভিশনের ক্যামেরা। টিভির পর্দায় তাদের দেখে ফেলেছেন অফিসের বস। সোমবার (৮ এপ্রিল) এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।  প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নেহা দ্বিবেদী নামের এক নারী পারিবারিক জরুরি কাজের’ কথা বলে অফিস থেকে ছুটি নিয়েছিলেন। কিন্তু সেটি মিথ্যা ছিল। মূলত তিনি আইপিএলে তার তার প্রিয় দলের খেলা দেখার জন্য তিনি এই ছুটি নেন। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু গত ২ এপ্রিল বেঙ্গালুরুতে খেলেছিল লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে। মাঠে বসে খেলা দেখার সময় কয়েক সেকেন্ডের জন্য টিভি ক্যামেরায় দেখানো হয় নেহাকে। আর সেই দৃশ্যটাই চোখে পড়ে যায় বসের।             View this post on Instagram                       A post shared by Neha Dwivedi (@mishraji_ki_bitiya) এরপর যা হয়েছে ইনস্টাগ্রাম পোস্টে জানিয়েছেন নেহা। তিনি জানান, প্রিয় দল রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) ম্যাচ দেখতে ‘ফ্যামিলি ইমার্জেন্সি’র কথা বলে অফিস থেকে ছুটি নিয়ে খেলা দেখতে গিয়েছিলাম। কিন্তু এক পর্যায়ে দর্শক সারিতে বসা আমাকে টিভির ক্যামেরায় দেখানো হয়। আর তা চোখে পড়ে যায় বসের। পরে বিষয়টি জানাতে বস নিজেই মেসেজ করেন নেহাকে। ইনস্টাগ্রামের ওই পোস্টে বসের সঙ্গে কথোপকথনের একটি স্ক্রিনশটও শেয়ার করেছেন তিনি। তাতে দেখা যায়. নেহার বস জানতে চাচ্ছেন, আপনি কি আরসিবির ভক্ত?   জবাবে নেহা বলেন, হ্যাঁ'। এরপর বস বলেন, তাহলে আপনি নিশ্চয় গতকাল খুব অসন্তুষ্ট ছিলেন। ওরা ফিল্ডিংয়ে একটি ক্যাচ মিস করার সময় আপনাকে খুব উদ্বিগ্ন চেহারায় দেখেছি। ১৬.৩ ওভারে যখন কিপার ক্যাচ মিস করলো, তখন।   হাতেনাতে ধরা পড়ে যাওয়ার পর নেহা স্বীকার করে নেন, ওটা তিনিই ছিলেন। বলেন, হ্যাঁ, অনুজ রাওয়াত ক্যাচ মিস করেছিল।   এরপর নেহার বস বলেন, মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য ক্যামেরায় আপনাকে দেখিয়েছিল। আর তাতেই আমি চিনে ফেলেছি। তাহলে এটাই ছিল গতকাল দ্রুত বেরিয়ে যাওয়ার কারণ।   এরপর তিনি একটি হাসির ইমোজি দিয়ে কথপোকথন শেষ করেন। নেহার পোস্টে নেটিজেনদের একজন লিখেছেন, বসও তাহলে অফিসে বসেই খেলা দেখছিলেন। কেউ আবার লিখেছেন, অনেকেই ক্যামেরায় ধরা পড়ার চেষ্টা করেন নানাভাবে। নেহা চাননি, কিন্তু তার ভাগ্যটাই খারাপ, তিনিই ফ্রেমবন্দি হলেন। এমন মজাদার নানা কমেন্টও দেখা যাচ্ছে নেহার পোস্ট।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৪৬

মিথ্যা পরিচয়ে বিয়ে, স্বামীসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন
চট্টগ্রামে মীরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ থানায় মিথ্যা পরিচয়ে বিয়ে করে এক সপ্তাহ স্বামী-স্ত্রীর মতো থেকে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে স্বামীসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৩ এপ্রিল) চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম ফেরদৌস আরা এ রায় দেন। ভুক্তভোগী ১৯ বছরের এক তরুণীকে পরিচয় গোপন রেখে বিয়ে করায় স্বামী নুরুল কবির (৩৩) ও তার সহযোগী মো. শহীদ (৩২), মো.শরীফ (৩২) ও মো. বাপ্পীকে (৩৪) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৩ জানুয়ারি আসামি নুরুল কবির নিজের পরিচয় গোপন করে তরুণীর বাড়িতে বিয়ে করেন। বিয়ের সময় কাজীকে ভুয়া নাম ও ঠিকানা সম্বলিত জন্ম নিবন্ধন কপি কাজীকে এনে দেন তার সহযেগীরা। এর এক সপ্তাহ পর কবির তরুণীকে তার সঙ্গে শহরে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন, কিন্তু তরুণী রাজি না হওয়ায় তাকে একা রেখে পালিয়ে যেতে চাইলে স্থানীয়রা নুরুলকে আটক করে। এ ঘটনায় ওই তরুণী স্বামী নজরুল কবিরাসহ তার ৩ বন্ধুকে আসামি করে জোরারগঞ্জ থানায় প্রতারণা মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিলে ২০১৫ সালের ১৫ মার্চ অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে মামলার বিচার শুরু হয়। বুধবার এ মামলার রায় হলো। আদালতের বেঞ্চ সহকারী কফিল উদ্দিন জানান, বিয়ে করে স্ত্রীর সঙ্গে প্রতারণার মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্বামীসহ ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আদালতে উপস্থিত শরীফ ও শহীদকে সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আদালতে অনুপস্থিত নুরুল কবির ও মো. বাপ্পীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।  
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৩৮

নাজমুল সাঈদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, ক্র্যাবের নিন্দা ও প্রতিবাদ
বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সদস্য ও ইন্ডিপেডেন্ট টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার নাজমুল সাঈদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ক্র্যাব। একজন পেশাদার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এই ধরণের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বানোয়াট মামলা হওয়ায় ক্র্যাব এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। ক্র্যাবের এই সদস্যকে কোন ধরনের হয়রানি যাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী না করেন তার অনুরোধ জানিয়ে ক্র্যাব। ক্র্যাব সভাপতি কামরুজ্জামান খান ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেছেন, এই মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিয়ে নাজমুল সাঈদকে হয়রানি করা যাবে না। ক্র্যাব দ্রুত এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে। নাজমুল সাঈদ জানান, হাতবাড়ালে কীভাবে মাদকের দেখা মেলে তার একটি বাস্তব দৃশ্য ধারণে অনুসন্ধানে যায় টিম তালাশ। অনুসন্ধানের স্বার্থে নগদ টাকা দিয়ে হোটেল রুম বুক করা হয়। গোপন ক্যামেরায় সব ধারণও করে তালাশ। পরে পরিচয় দিয়ে রিসোর্ট মালিকের বক্তব্য নিতে গেলে ক্ষেপে যান মালিক নোমানুল হক সাজিম। এক পর্যায়ে তালাশ টিমের উপর হামলা ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। ঘিরে ফেলে সাজিম বাহিনীর সদস্যরা।  এরপর তালাশ টিমকে ভুয়া প্রমাণ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে সাজিম। তার মাসিক মাসোহারা ভুক্ত ভুয়া সাংবাদিকদের দিয়ে শুরু করেন অপপ্রচার। বাকবিতণ্ডার একটি খন্ডিত অংশ দিয়ে তারা অপকর্ম ঢাকার মিশনে নেমে পড়েন। ইয়াবা ব্যবসাী সাজিমের মদদপুষ্ট স্থানীয় একটি পত্রিকাসহ বেশকিছু ভুঁইফোড় অনলাইনে মিথ্যা খবর প্রকাশ করতে থাকে একেরপর এক। অথচ, পুরো ঘটনা উল্টো। তিনি বলেন, ঘটনার পর জানা যায়, সাজিম ও তার পরিবার মিলে শহর জুড়ে গড়ে তুলেছেন অপরাধের সম্রাজ্য। সাজিমসহ তার পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে, ইয়াবা, ছিনতাই, চুরি, দখলসহ নানা অপরাধে ১৮টিরও বেশি মামলা রয়েছে।  সাজিম এর আগেও বিভিন্ন অপরাধের কারণে গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন। কক্সবাজারের চিহ্নিত অপরাধীর তালিকাতেও রয়েছে তার নাম। এসব মাদকের বিরুদ্ধে নিউজ প্রকাশ করায় চট্টগ্রাম আদালতে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে আর কক্সবাজার আদালতে মানহানির মামলা করা হয়েছে নাজমুল সাঈদের বিরুদ্ধে। ক্র্যাব এই মিথ্যা মামলা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে এবং নাজমুল সাঈদকে কোন ধরনের হয়রানি না করার অনুরোধ জানান ক্র্যাব সভাপতি কামরুজ্জামান খান ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১৫

ভোলায় সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় জমিজমা বিরোধের জেরে ঢাকায় কর্মরত শেয়ার নিউজ২৪ -এর স্টাফ রিপোর্টার মো. মোর্শেদ আলম নামের এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, ওই উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খাসেরহাট এলাকায় জমিজমা নিয়ে মোর্শেদের বাবা মো. নুরুল আমিন ও স্থানীয় মো. হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হুমায়ুন বাদী হয়ে নুরুল আমিন, মো. সোহান, মো. মোর্শেদ আ: সালাম, মো. জামালকে আসামি করে আদালতে মারামারির একটি মামলা দায়ের করে।  ওই মামলায় বলা হয়, শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জমিজমা বিরোধকে কেন্দ্র করে হুমায়ুন কবির, মোতাহার উদ্দিন, মনসুরা বেগমকে মামলায় উল্লিখিত আসামিরা মারধর করেছে। ওই মামলায় মো. মোর্শেদ আলমকে ৪ নম্বর আসামি করা হয়েছে।  এ বিষয়ে মোর্শেদ আলম বলেন, হুমায়ুন কবিরের পরিবারের সঙ্গে আমাদের পরিবারের জমিজমা বিরোধ নিয়ে বাড়িতে দুই পক্ষের মারামারির ঘটনা ঘটে। প্রথমে তারা হামলা করলেও পরে ভোলা আদালতে মামলা করে। সেখানে আমাকে ৪ নম্বর আসামি করা হয়েছে। অথচ মামলায় যে দিন-তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে সেদিন আমি ঢাকায় ছিলাম। আমাকে বাড়ি থেকে ফোন করে মামলার বিষয়ে জানানো হয়েছে। আমি ঢাকায় থেকে কীভাবে তাকে মারধর করেছি সেটি আমার প্রশ্ন। আমার বিরুদ্ধে হয়রানি ও উদ্দেশ্যমূলক এই মিথ্যা মামলা করায় আমি হতবাক হয়েছি। বিষয়টি আমি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে জানিয়েছি।  এ ব্যাপারে মামলা বাদী হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে একাধিকবার তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।   স্থানীয় ইউপি সদস্য মঞ্জু হাওলাদার বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি ঘটনাটি আমি শুনতে পেয়েছি। ওই মামলায় সাংবাদিক মোর্শেদকে আসামি করা হয়েছে। কিন্তু মোর্শেদ দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় রয়েছে। ঘটনার দিন সে এলাকায় ছিল না।  তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল হক বলেন, এই ঘটনায় আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত মামলার তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছে। এখনও মামলা রেকর্ড হয়নি, রেকর্ড হওয়ার পর তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত ঘটনা উদ্‌ঘাটন করা হবে।
২৪ মার্চ ২০২৪, ১৩:৩৯

হাইকোর্টে মিথ্যা ধরা পড়ায় ফেঁসে গেলেন জ্যাকলিন
দীর্ঘদিন ধরেই ২০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের মামলায় অভিযুক্ত বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। এমনকি পুলিশি নজরদারিতেও রয়েছেন তিনি। এই মামলার আসামি কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখরের প্রেমের গল্প প্রায় কারও অজানা নয়।  মামলার পাশাপাশি এই সম্পর্কের কারণেও মাঝে মধ্যেই খবরের শিরোনামে উঠে আসে জ্যাকলিন। এবার জানা গেল হাইকোর্টে মিথ্যা ধরা পড়ায় ফেঁসে গেছেন এই অভিনেত্রী। ইতোমধ্যে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা সংক্রান্ত ব্যাখ্যা ও প্রমাণাদি দাখিল করেছে তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আদালতকে ইডি জানায়, ২০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের মামলায় অভিযুক্ত অভিনেত্রী জ্যাকলিন সব জেনেশুনেই সুকেশের সঙ্গে প্রতারণায় সামিল হয়েছেন ও করেছেন। এত দিনের মধ্যেও সুকেশের সঙ্গে হওয়া আর্থিক লেনদেনের সত্যতা প্রকাশ না করে সর্বদাই তথ্য গোপন করেছেন।  শুধু তাই নয়, এখন পর্যন্ত সত্যকে সামনে আসতে দেননি জ্যাকলিন। এমনকি সুকেশকে গ্রেপ্তার করার পর নিজের মোবাইল থেকে সম্পূর্ণ ডেটা মুছে ফেলেছিলেন জ্যাকলিন; যা প্রমাণ নষ্ট করা। সব প্রমাণ নষ্ট করার জন্য নিজের সহকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। ভারতীয় গণমাধ্যমের এক এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনার দিন আদালতে গিয়ে আর্থিক তছরুপ মামলাটির এফআইআরটি বাতিলের দাবি জানান জ্যাকলিন। সেসময় মামলাটি বিচারপতি মনোজ কুমার ওহরির সামনে উঠেছিল। তবে আপাতত অভিনেত্রীর আইনজীবী ইডির হলফনামার জবাব দেওয়ার জন্য সময় চেয়েছেন। হলফনামার জবাবের জন্য জ্যাকলিনকে সময় দিয়েছেন আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি রাখা হয়েছে আগামী ১৫ এপ্রিল।  হলফনামায় ইডি জানিয়েছে, সুকেশের থেকে ৫ কোটি ৭১ লক্ষ ১১ হাজার ৯৪২ টাকার শুধু উপহারই নেননি, সঙ্গে দুটি বিদেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, যা তার ভাই ও বোনের, সেখানেও ১ লাখ ৭২ হাজার ৯১৩ আমেরিকান ডলার ও ২৬ হাজার ৭৪০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার স্থানান্তর করার জন্য সুকেশকে অনুরোধ করেছিল জ্যাকলিন। ইডির তথ্যঅনুযায়ী, জ্যাকলিন ইচ্ছাকৃতভাবে তার বক্তব্য রেকর্ড করার সময় নিজে থেকে ভুল তথ্য পেশ করে আসছিলেন। যাতে তদন্তকে বিভ্রান্ত করা যায়। প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত সুকেশের আসল নাম জানার পরও সেই কথা অস্বীকার করেছিলেন। যা পরবর্তীতে প্রমাণিত হয় যে তিনি মিথ্যা বলছেন।  জানা গেছে, প্রেমিকা জ্যাকলিনকে দামি দামি উপহারও দিয়েছেন সুকেশ। মূলত এরপরই ২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় নাম জড়ায় সুকেশের। গত দু’বছর ধরে জেলবন্দি থাকেলও সেখান থেকেই বিভিন্ন সময় জ্যাকুলিনের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন তিনি।   সূত্র  : হিন্দুস্তান টাইমস    
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৫৮

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ / মিথ্যা মামলায় বিপদে না ফেলার নিশ্চয়তা দিলেন নৌকার প্রার্থী
দলীয় কোনো নেতাকর্মী কাউকে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় বিপদে ফেলতে পারবে না বলে নিশ্চয়তা দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফয়জুর রহমান বাদল। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দির গণি শাহর মাজার প্রাঙ্গণে নির্বাচনী জনসভায় তিনি এ নিশ্চয়তা দেন। ফয়জুর রহমান বলেন, আমরা ঐতিহ্যবাহী নবীনগর এলাকার অধিবাসী। আমরা শিক্ষা-দীক্ষায় অনেক উন্নত। কিন্তু আমাদের একটি দোষ আছে, তা হচ্ছে আমরা বিভিন্নভাবে দাঙ্গা-হাঙ্গামায় লিপ্ত। যেহেতু দাঙ্গায় লিপ্ত থাকি সেজন্যে এমপির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আমি কথা দিচ্ছি, সবার সঙ্গে মিলেমিশে দাঙ্গা নিরসনে কাজ করব। আমি নিরপেক্ষভাবে সবার হয়েই কাজ করব। আমরা নবীনগরকে একটি শান্তির নবীনগর হিসেবে দেখতে চাই। তিনি বলেন, আমি অন্যায়কে প্রশ্রয় দেব না এবং কোনো দলের পক্ষ নেবো না। আমাকে আশেপাশের কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না, এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি। অতীতেও আমি এমপি থাকার সময় কারও কথায় নিয়ন্ত্রিত হইনি। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন সায়ানের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক একেএম মমিনুল হক সাঈদ, বড়িকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান লাল মিয়া, সলিমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান সোহেল, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য বোরহান উদ্দিন ও নুরুন্নাহার বেগম প্রমুখ। উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর নানান সময়ে সংঘর্ষের কারণে সমালোচিত হয়েছে। এরমধ্যে করোনা ভাইরাসের মহামারিতে গ্রাম্য দাঙ্গায় পা কেটে নিয়ে মিছিল দেশজুড়ে আলোচিত হয়েছিল।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়