• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রো-ভিসি মিজানুর রহমান
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাবির অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব শতরূপা তালুকদার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৯২-এর ১৩ (১) ধারা অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর নিয়োগ করা হয়েছে। এই নিয়োগে কিছু শর্তও দেওয়া হয়েছে। শর্তগুলো হলো— প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে তার নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ থেকে ৪ (চার) বছর হবে, এই পদে তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতা পাবেন, তিনি বিধি অনুযায়ী পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন এবং সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবিধি ও আইন দ্বারা নির্ধারিত ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করবেন, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজন মনে করলে যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে বলেও জানানো হয় প্রজ্ঞাপনে।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১১

জয়পুরহাট জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আরটিভির রাশেদুজ্জামান, সম্পাদক মিজানুর রহমান
জয়পুরহাট জেলা প্রেসক্লাবের ত্রি-বাষিক নিবার্চন ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি হিসেবে নিবার্চিত হয়েছেন আরটিভির জেলা প্রতিনিধি রাশেদুজ্জামান রাশেদ, সাধারণ সম্পাদক পদে বিটিভির জেলা প্রতিনিধি মিজানুর রহমান মিন্টুসহ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি নির্বাচিত হয়েছে। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রেসক্লাবের কার্যালয়ে নির্বাচনে দায়িতাপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার রুহুল আমিন এ ফলাফল ঘোষণা করেন। অন্যান্য পদে নির্বাচিতরা হলেন সহসভাপতি পদে দৈনিক সবুজ নিশান পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি জহুরুল হক জুয়েল, দৈনিক জবাবদিহি পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মুনিরুজ্জামান মুনির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির জেলা প্রতিনিধি মোমেন মুনি, অর্থ সম্পাদক জাগরণী টিভির জেলা প্রতিনিধি শীতল চন্দ্র, সাংগঠনিক সম্পাদক মাছরাঙা টিভির জেলা প্রতিনিধি আল মামুন, দপ্তর সম্পাদক দৈনিক বর্তমান পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি আহসান হাবিব আরমান, সাহিত্য ও ক্রীড়া সম্পাদক দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি পুলক কুমার সরকার, শিক্ষা ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক দৈনিক সোনার দেশ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন। এ ছাড়াও কার্যনির্বাহী সদস্যরা হলেন চ্যানেল আই এর জেলা প্রতিনিধি শফিউল বারী রাসেল, দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি রবিউল ইসলাম রুবেল ও দৈনিক আজকের পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি আতাউর রহমান।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩০

বরই চাষ করে সফল মিজানুর রহমান
বাগানের চারদিকে তাকালে শুধু বরই আর বরই। ছোট গাছগুলো বরইয়ের ভারে নুইয়ে পড়েছে। আপেলের মতো দেখতে লাল টুকটুকে বড় বড় বরই শোভা পাচ্ছে গাছে গাছে। গাছগুলো রোপণের পর নিজেই পরিচর্যা শুরু করেন। সঠিক পরিচর্যায় গাছগুলোতে এ বছর ফল ধরেছে। গাছে গাছে শুধু দুলছে লাল আভা ছড়ানো থোকায় থোকায় বরই। পাকতে শুরু করেছে সপ্তাহ দুয়েক আগে থেকেই। বিক্রিও শুরু করেছেন তিনি। আকার, স্বাদে ভালো হওয়ায় বাজারে মিজানুর রহমানের বাগানের বরইয়ের চাহিদাও খুব বেশি। এখন ১০০ টাকা দরে বাজারে বরই বিক্রি করছেন।  বরইয়ের এ বাগান গড়ে তুলেছেন পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের মধ্যটিয়াখালীর গ্রামের মিজানুর রহমন। শীতকালীন ফলের মধ্যে বরই অতি পরিচিত ফল। প্রাচীনকাল থেকে এ ফলটির সঙ্গে সবাই কমবেশি পরিচিতি। শীতকালীন অন্যান্য ফলের তুলনায় বরই অত্যন্ত সুস্বাদু। বিভিন্ন হাটবাজারে সবত্রই পাওয়া যায় এ মৌসুমী ফলটি। চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে ও ফলন ভালো হওয়ায় বরইয়ের বাম্পার ফলন হয়েছে।  একসময় দেশি টক জাতীয় বরই পাওয়া গেলেও কৃষি গবেষণার ফলে আমাদের দেশেই বিভিন্ন ধরনের বরইয়ের উদ্ভাবন সম্ভব হয়েছে। এখন দেশেই বিভিন্ন প্রজাতির বরই পাওয়া যায়। অবশ্য বরইকে অনেকে কুল নামেও চেনে-জানে। দেশি টক জাতীয় বরইয়ের পাশাপাশি রয়েছে নারকেল বরই, আপেল কুল, বাউকুল ও থাইকুল। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ হচ্ছে। বরই চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি পুষ্টির চাহিদাও পূরণ হচ্ছে। বরই এমন একটি ফল, যা শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের কাছে অত্যন্ত প্রিয়। তবে টক বরইয়ের চাহিদা রয়েছে এক শ্রেণির মানুষের কাছে। এ মুখরোচক ফলটি শীতকালে আমাদের দেশের প্রায় সব অঞ্চলে পাওয়া যায়। শখের বশেও অনেকে বাড়ির ছাদে বরইয়ের চাষ করছেন। খেতে সুস্বাদুর পাশাপাশি পুষ্টিগুণে ভরা। বরইয়ে রয়েছে ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়ামসহ নানা উপাদান, যা মানবদেহে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বরই চাষ করেই এখন মিজানুর রহমান একজন স্বাবলম্বী কৃষক। বরই চাষি মিজানুর রহমান টিয়াখালী ইউনিয়নের মধ্য টিয়াখালীর গ্রামের সাবেক মেম্বার ফকরুদ্দিন ছেলে। তার সংসারে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ছেলে সিয়াম স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, মিজানুর রহমানের বাগানজুড়ে বরই গাছে ভরা। লাল, সাদা আর মেরুন রঙের বাহারি ফলে ভরে গেছে বাগান। কর্মচারীরা ঝুড়িভর্তি করে বিক্রির জন্য গাছ থেকে ছিঁড়ছেন পাকা বরই। পাখির ঠোকর থেকে রক্ষার জন্য পুরো বাগানজুড়ে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে জাল। চলতি মৌসুম শুরু থেকেই পাইকারি ব্যবসায়ীরা বাগান থেকেই বরই কিনে নিয়ে যান। প্রতিদিন বাগান থেকে কম বেশি বরই কিনে নেন ক্রেতারা। এদিকে বাগানটিতে বরই কিনতে, ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে ক্রেতারা। পরে ফেসবুকে জুড়ে দেওয়া ছবি দেখে অন্যরা অনুপ্রণিত হয়ে ছুটে যাচ্ছেন বরই কিনতে বাগানে। এতে কৃষক মিজানুর রহমন মুখে হাসি ফুটে ওঠে এবং ক্রেতাদের সঙ্গে ফেসবুকে বন্ধু হয়ে যান। মিজানুর রহমান জানান, গত ৩ এপ্রিল ২০২৩ সালে চুয়াডাঙ্গা থেকে ৩৫০টি বরই চারা ক্রয় করে ও কৃষি অফিস থেকে ৭৫টি চারা সংগ্রহ করেন। ২৪০০০ টাকার বরই চারা কিনে নিয়ে পৈতৃক ১০০ শতাংশ জমি বরই চাষ শুরু করেন তিনি। সেই কুল বিক্রি করেই তার ভাগ্যের পরিবর্তন করেন। চলতি মৌসুমে বরই বিক্রি করে এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা লাভ হবে বলে আশা করছেন। বরই গাছ ৭-৯ ফুট লম্বা। সেখানে বল সুন্দারী কুল জাতের বরই আবাদ করেন। এক বছরে মিজানুর রহমান পেয়েছেন অভাবনীয় সাফল্য। ছেলের এ সফলতায় গর্ব বোধ করছেন বাবা ফকর উদ্দিন। এই বাগানে ৪২৫টি মতো বরই চারা রয়েছে। মাত্র ৭ মাসের মধ্যেই তাদের বাগানের প্রতিটি গাছে প্রচুর পরিমাণে বরই ধরেছে। প্রচুর পরিমাণে বরই ধরায় পুরো বাগানটি নেট দিয়ে ঘেরা দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে বাগানের গাছ থেকে বরই তুলে বিক্রি করা হচ্ছে। মচমচে স্বাদে সুমিষ্টি হওয়ার কারণে তাদের এক মণ বরই চার হাজার টাকা দরে বিশ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন। এই বাগানের উদ্যোক্তারা আশা করেছে চলতি মৌসুমে এখানে থেকে আরও ৩৫-৪০ মণ বরই বিক্রি করবেন। যা থেকে তারা প্রথম বছরেই বিপুল পরিমাণ টাকা আয় করার সম্ভাবনা দেখছেন। একই সঙ্গে তাদের বাগান থেকে বারোমাসি থাই পেয়ারা আম ও বিক্রি করবেন। বর্তমানে তার বাগান ২০৫ শতাংশ জমি রয়েছে। বরই চাষি মিজানুর রহমান আরও বলেন, প্রথম আমি বরই চাষ করে বুঝতে পারলাম ও অভিজ্ঞতা হয়েছে। কিভাবে আগামী বছর বরই গাছ পরিচর্যা করতে হবে। কৃষি অফিস থেকে আমাকে অনেক সুপরামর্শ দিয়েছে। আগামি বছর আরও ভালো ফলন ফলাতে পারবো বলে আশা করি। ৭ মাসের মাথায় বরই গাছগুলোতে ভালো ফলন দিয়েছে। গাছ থেকে পাকা বরই সংগ্রহ করেই স্থানীয় বাজারে বিক্রি করি। অনেকেই বাগানে এসে বরই কিনে নিয়ে যান। এ বছর আবহাওয়া শেষের দিকে খারাপ থাকায় ফুল ঝরে পড়েছে ও পাখির আক্রমণে অনেক বরই নষ্ট হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা বশির বলেন, মিজানুর যে বরই চাষ করে সফল হবে তা কেউই কখনো কল্পনা করেনি। মিজানুর রহমানের বরই বাগানে ভালোই উৎপাদন হয়েছে। আশা করি, এ বছরই তিনি তার খরচ ওঠাতে পারবেন। বরই কিনতে যাওয়া চাকরিজীবী কামরুজ্জামান কায়েস বলেন, এ ধরনের বরই বাগান কলাপাড়ায় আর কোথাও নজরে পড়েনি। বরইগুলোও খেতে দারুণ মিষ্টি। মিজানুর রহমানের বরই বাগানে সফলতা দেখছেন। তার মতো অন্যরাও যদি ঝুঁকি নেয় উপকূলীয় এ অঞ্চল কাজ করে কৃষিক্ষেত্রে আরও সফলতায় এগিয়ে যাবে। কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ আর এম সাইফুল্লাহ বলেন, মিজানুর একজন সফল চাষি। তাকে কৃষি অফিস ও এসএসিপি সংস্থা সকল সহযোগিতা করে যাচ্ছে। আমাদের মাঠ পর্যায়ে জোবায়েদা আক্তার সহকারী কৃষি অফিসার আছেন তারা কুল চাষে কৃষকদের সবরকম পরামর্শ দিয়ে আসছেন।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়