• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
জাবিতে শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বরের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হয়ে সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ প্রদক্ষিণ করে নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।   আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তিনদফা দাবিগুলো হলো- শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি বাতিল করতে হবে, মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করতে হবে, অটোমেশন চালু করতে হবে, অপ্রয়োজনীয় ২৭০ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত পাঠাতে হবে। মিছিল পরবর্তী সমাবেশে নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তামীম স্রোতের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সহসভাপতি আশফার রহমান নবীন বলেন, শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি অবৈধ। এই বিশ্ববিদ্যালয় আসা মেহনতি কর্মজীবী কৃষিজীবীদের সন্তানরা যেন পড়তে না পারে তারই একটা পাঁয়তারা করছে প্রশাসন। এ ছাড়া ২৭০ কোটি টাকা ব্যয় করে এই যে,  বিল্ডিংগুলো করছে এগুলো অপ্রয়োজনীয়। জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে  রাষ্ট্রীয় কোষাগারে অর্থনৈতিক সংকটের সময়ে এই টাকাগুলো যেন ফেরত নেওয়া হয়। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ফারিয়া জামান, নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইসফার সাদী এবং সমাপনী বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাবি শাখার সংগঠক সজীব আহমেদ জেনিচ।
১৮ মার্চ ২০২৪, ২২:০৪

রাজধানীতে ছাত্রদলের মিছিল
রাজধানীতে মিছিল করেছে ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে নয়াপল্টনস্থ ঢাকা ব্যাংকের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে পলওয়েল সুপার মার্কেট ঘুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। এ সময় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ এবং সকল রাজনৈতিক মামলার প্রত্যাহারের দাবি করেন তারা। পাশাপাশি সরকার বিরোধী নানা স্লোগান দেন নেতাকর্মীরা। নবগঠিত কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়ার নেতৃত্বে মিছিলটি অনুষ্ঠিত হয়। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, দায়িত্বশীল জায়গা থেকে ছাত্রদলের সবাইকে একসাথে নিয়ে আগামীতে আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা রাখবো। ছাত্রদলের নেতৃত্বে ১৫ বছর ধরে জেঁকে বসে থাকা এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন করবো। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান মিঠু, মাহমুদুল হাসান বসুনিয়া, এস এম আনিসুর রহমান, সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস হোসেন ফয়সাল, সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মনির হোসেন, এম এ রহিম শেখ, আকরাম হোসেন তারেক, সাবেক সহ শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক হুমায়ন কবির নয়ন, সাবেক সদস্য আফজাল রহমান, তৌহিদুর রহমান, ইরফান আহমেদ ফাহিম, হামদে রাব্বি আকরাম, মামুনুর রহমান, আশিকুর রহমান, মাইনউদ্দিন চৌধুরি, ইমাম হোসেন নির্ঝন, মো. শাহাবউদ্দিনসহ অসংখ্য নেতাকর্মী। উল্লেখ্য, গত ১ মার্চ ছাত্রদলের কমিটি ভেঙ্গে সাত সদস্যের আংশিক কমটি ঘোষণা করা হয়।  
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪১

সীমান্তে হত্যা বন্ধের দাবিতে প্রতীকী লাশের মিছিল
সীমান্তে হত্যা ও আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে প্রতীকী লাশ নিয়ে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে প্রতিবাদ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে ঢাকাস্থ বাংলাদেশ গণশক্তি পার্টির আহ্বায়ক হানিফ বাংলাদেশির নেতৃত্বে কুড়িগ্রাম-ভূরুঙ্গামারী সড়কের নাগেশ্বরী উপজেলা পরিষদ গেটের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। আগেরদিন হানিফ বাংলাদেশি ভূরুঙ্গামারীতে এই কর্মসূচি পালন করেন।  এ সময় হানিফ বাংলাদেশিসহ আরও বক্তব্য রাখেন নাগেশ্বরী পৌর যুব সংগঠনের সভাপতি মো. সাদিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ যুব শক্তি কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি নুরনবী মিয়া প্রমুখ। জানা গেছে এর আগে হানিফ বাংলাদেশি ‘প্রতীকী লাশের মিছিল’ নিয়ে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা অতিক্রম করেন। কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে এ কর্মসূচি শুরু করেন। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত ও মিয়ানমার সীমান্ত আছে এমন সব জেলা ও উপজেলা প্রদক্ষিণ করে এভাবে প্রতিবাদ জানাবেন তিনি। কর্মসূচিটি যশোরের বেনাপোল উপজেলায় গিয়ে শেষ হবে বলে জানান হানিফ বাংলাদেশি।  তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিবেশী দুটি দেশ ভারত ও মিয়ানমার সব সময় বাংলাদেশের ওপর আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। সীমান্তে নিরীহ মানুষকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করছে। কিছুদিন আগে একজন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যকে গুলি করে হত্যা করেছে বিএসএফ। সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যার পরে বলা হয় এরা গরু চোরাকারবারি। হতে পারে গরু চোরাকারবারির সঙ্গে যুক্ত, কিন্তু এদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক। গুলি করে হত্যা করবে কেন? ভারত ও মিয়ানমার যদি তাদের দেশের পাচারকারীদের দমন করে তাহলে বাংলাদেশের পাচারকারীরা এমনিতেই সব বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৪৬

জাবিতে নিপীড়ক শিক্ষক জনির অব্যাহতিসহ ৫ দাবিতে মশাল মিছিল
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) যৌন নিপীড়নের দায়ে অভিযুক্ত পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান জনির অব্যাহতিসহ পাঁচ দফা দাবিতে মশাল মিছিল করেছে ‘নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ’।   সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়ে উপাচার্যের বাসভবন প্রদক্ষিণ করে পরিবহন চত্বরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।  শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলো হলো- সম্প্রতি সংঘটিত ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা, নিপীড়কদের সহায়তাকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্টের অপরাধ তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনিক পদ হতে অব্যাহতি প্রদান, অছাত্রদের হল থেকে বিতাড়িত করা এবং ক্যাম্পাসে মাদকের সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের সদস্য সচিব মাহফুজুল ইসলাম মেঘ বলেন, অবিলম্বে মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করে দিতে হবে। আমরা প্রশাসনের এসব ছলচাতুরি বুঝি। মঙ্গলবার সিন্ডিকেটে স্পষ্ট ঘোষণা না পেলে আমরা ভর্তি পরীক্ষা আটকাতে বাধ্য হবো৷ এ ছাড়াও সমাবেশে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী কনোজ কান্তি রায়, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রেজাউল রকিব বক্তব্য রাখেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। 
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৪৯

নড়াইলে খুনের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন
নড়াইলে ক্ষেতমজুর ইসরাফিল মোল্যার খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে কালিয়া উপজেলার চাঁচুড়ি এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনরা চাঁচুড়ি বাজারে এই কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচিতে যোগ দিতে এ দিন নিহতের নিজ গ্রাম কৃষ্ণপুর, চাঁচুড়িসহ আশপাশের কয়েক গ্রামের নারীপুরুষ নির্বিশেষে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী চাঁচুড়ি বাজারে সমবেত হয়। পরে সবার অংশ গ্রহনে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলকারিরা শ্লোগানে শ্লোগানে, খুনিদের ফাঁসির দাবি তোলে। মিছিলটি চাঁচুড়ি বাজার ঘুরে চাঁচুড়ি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সবাই সেখানে সড়কে হাতেহাত ধরে সামিল হন মানববন্ধনে। সর্বস্তরের গ্রামবাসীর অংশ গ্রহণে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধনে বক্তারা, নিরিহ ক্ষেতমজুর ইসরাফিল মোল্যার খুনের সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিতের দাবি জানান। বক্তরা এ সময় আরো বলেন, হত্যারকান্ডে জড়িতরা বাদীকে নানাভাবে মামলা তুলে নিতে ও সাক্ষী না দিতে হুমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের কাছে তারা নিরাপত্তা চেয়েছেন। প্রসঙ্গত, এলাকার দুই পক্ষের মধ্য বিরোধ পূর্ণ একটি মাছের ঘেরে শ্রম বিক্রি করতে গেলে প্রতিপক্ষের রোষানলে পড়ে  ৪ ফেব্রুয়ারি হত্যাকান্ডের শিকার হন ক্ষেতমজুর ইসরাফিল মোল্যা। এ হত্যাকান্ডে নিহতের স্ত্রী রোজিনা বেগম বাদি হয়ে ২১ জনের নামে কালিয়া থানায় হত্যা মালা দায়ের করেন। এদের মধ্যে দুই আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে, ৬ জন উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছে, অন্যরা পলাতক রেয়েছে।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:৩০

রমজানে নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে রিকশা মিছিল ও মানববন্ধন
পবিত্র মাহে রমজানে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে ও সিন্ডিকেট কারসাজি বন্ধের দাবিতে ‘কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম’র উদ্যোগে রিকশা মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।  মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বহদ্দারহাট পুলিশ বক্সের সামনে ক্যাব চট্টগ্রামের উদ্যোগে এ মাবনবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পবিত্র মাহে রমজানে মধ্যপ্রাচ্যসহ অনেক দেশে মূল্যছাড় হলেও বাংলাদেশে তার বিপরীত। এক শ্রেণির ব্যবসায়ীর যুক্তি রমজানে একমাস ব্যবসা করবে, ১১ মাস বসে থাকবে। সে কারণে রমাজান মাসে মৌসুমির ব্যবসায়ীর ছাড়াছড়ি, আর হাত বদল হলেই লাভের অঙ্ক বাড়ে। কোনো প্রকার কাগজপত্র ছাড়া আমদানিকারকের কমিশন এজেন্ট ও আড়তদার পরিচয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আলু ও পেঁয়াজসহ ভোগ্যপণ্যের মুজত ও কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাজারে অস্থিরতা সৃষ্ঠি করছেন। অপকর্মের হোতাদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির পরিবর্তে জামাই আদরের কারণে তারা বারবার এ ধরনের অপকর্ম করে যাচ্ছে। নেতারা আরও বলেন, মানুষের জনদুর্ভোগ লাগবে কার্যকর ও বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত, সমন্বিত বাজার তদারকি কার্যক্রম উদ্ভাবনী মডেল হলেও বর্তমানে সেটাকে অকার্যকর করতে নানান চক্রান্ত চলছে। প্রশাসন অভিযান চালালেই ব্যবসায়ীদের প্রতি হয়রানি বলে এটা বন্ধে নানান অপতৎপরতা চালান। গুটিকয়েক অসাধু ব্যবসায়ী খাদ্য সিন্ডিকেট করে মানুষের খাদ্য নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছেন। মানুষরূপী এই সন্ত্রাসীরা সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে পৃষ্টপোষকতায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় তাদের অংশগ্রহণ বারবার বাড়ছে।  টিসিবির পণ্য বিতরণে নানান অনিয়মের কথা উল্লেখ করে এ সময় বক্তারা আরও বলেন, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় টিসিবি ও খাদ্য বিভাগের ওএমএসের পণ্য সংগ্রহে লম্বা লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে রীতিমতো যুদ্ধে লিপ্ত থাকলেও জনদরদী নেতাদের ও তথাকথিত ব্যবসায়ী রাজনীতিবিদদের তাদের কথা ভাববার সময় নেই। যার কারণে ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে ভোক্তা স্বার্থের বিষয়টি দেখভাল করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিষয়গুলো অনেকটাই বিড়ালকে মাছ পাহারা দেওয়ার মতো।  ক্ষুব্ধ বক্তারা বলেন, ব্যবসায়ীরা একবার পেয়াঁজ, একবার আলু, একবার মসলা, আরেকবার স্যালাইন আবার ডাবের মতো পণ্য নিয়ে কারসাজি করে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। আবার আইন প্রয়োগে চেহারা ও রাজনৈতিক পরিচয় দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে আইনের স্বাভাবিক গতি বারবার ব্যহত হচ্ছে। আর সংকট হলেই প্রশাসন বলেই বেড়ান সাঁড়াশি অভিযান হবে বলে হুংকার দিলেও শেষ পর্যন্ত খুচরা দোকানে লোক দেখানো কিছু অভিযান পরিচালনা করে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সদিচ্ছাকে কার্যত ব্যর্থ করে দিচ্ছেন। যে কারণে প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় প্রশাসনকে বারবার বাজার তদারকিতে সম্পৃক্ততা বাড়ানোর নির্দেশনা দিলেও সেগুলো কাগজে কলমেই থেকে যাচ্ছে। মাঠপর্যায়ে তার কোনো সুফল আসছে না।  ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহনগরের সভাপতি আবু হানিফ নোমানের সঞ্চালনায় রিকশা মিছিল ও মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, শিক্ষাবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. ইদ্রিস আলী, ন্যাপ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিটুল দাস গুপ্ত, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম জাহাঙ্গীর, ক্যাব চান্দগাঁও থানা সভাপতি মোহাম্মদ জানে আলম, ক্যাব পাহাড়তলীর হারুন গফুর ভূঁইয়া, ক্যাব চকবাজারের আবদুল আলীম, ক্যাব বায়েজিদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ব ম হুমায়ুন কবির প্রমুখ।  
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:০২

লাশ নিয়ে যুবলীগের বিক্ষোভ মিছিল
যশোরের অভয়নগরে নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেনকে (২৭) কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে নওয়াপাড়া পৌর যুবলীগ। এসময় আসামিদের ধরে আইনের আওতায় আনতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন পৌর যুবলীগের নেতারা। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে নওয়াপাড়া পৌর যুবলীগের আয়োজনে নওয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে এসে পৌঁছলে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি নওয়াপাড়া বাজার প্রদক্ষিণ করে পরে নুরবাগ এলাকায় এসে শেষ হয়। এ সময় নওয়াপাড়া পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক বিল্লাল আহমেদ বাবুর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক প্রসেনজিৎ দাস সনজিত, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট রওশন কবির টুটুল, আহাদুর রহমান মামুন, উপজেলা যুবলীগ সদস্য শেখ ওলিয়ার রহমান, শেখ সম্রাট, উপজেলা তরুণ লীগের সভাপতি বিল্লাল হোসেন বকুল, উপজেলা তরুণ লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ বিশ্বাস, ছাত্রলীগ নেতা শেখ আব্দুল্লাহসহ যুবলীগ ছাত্রলীগের নেতারা। উল্লেখ্য, রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টায় নওয়াপাড়া বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময় দুর্বৃত্তরা তার ওপর অতর্কিত হামলা করে। পরে স্থানীয়রা তাকে জখম অবস্থায় প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এরপর খুলনা মেডিকেলে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভয়নগর থানার ওসি আকিকুল ইসলাম। হত্যার ২২ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও কোনো আসামি আটক করতে পারেনি পুলিশ।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:২১

পাঁচ দাবিতে জাবিতে মশাল মিছিল
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক ও তার সহায়তাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত, অছাত্রদের হল থেকে বের করে গণরুম বিলুপ্তপূর্বক নিয়মিত শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিতসহ পাঁচ দাবিতে মশাল মিছিল করেছে আন্দোলনকারীরা। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) নীপিড়ন বিরোধী মঞ্চের ব্যানারে মশাল মিছিলটি শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে বটতলা ও নতুন প্রশাসনিক ভবন প্রদক্ষিণ করে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিগুলো মেনে নেওয়ার দাবিতে সেখানে অবস্থান নেয়। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলো হলো- নিপীড়ক শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বিচার নিষ্পত্তি করা, নিপীড়কদের সহায়তাকারী প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্টের অপরাধ তদন্ত করতে হবে এবং সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদেরকে তদন্ত চলাকালে প্রশাসনিক পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান এবং মাদকের সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে জড়িতদের ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত ঘোষণাপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থানকালে পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনু বলেন, ইতোমধ্যে অছাত্রদের বের করার বিষয়ে একটি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে বলা হয়েছিল। তার সময় পেরিয়ে গেছে। অথচ কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তার কোনো জবাবদিহিতা দেওয়া হয়নি। র‍্যাবের ভাষ্যমতে, এ বিশ্ববিদ্যালয় মাদকের আখড়া হয়েছে। এ বাণিজ্য অনেকদিন ধরে চলছে। প্রশাসন এগুলো দেখভাল করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেও প্রক্টর ও প্রভোস্ট বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এরকম হলে সামনের ভর্তি পরীক্ষায় অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাবেন কিনা তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত। সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সংগঠক সোহাগী সামিয়া বলেন, আজ পর্যন্ত আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরের পর বছর সিট ভাড়া দিয়েও আসন নিশ্চিত করতে পারেন নাই। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি কোণায় কোণায় সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ীদের অপরাজনীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে চাই। আ র ক রাসেল বলেন, গণরুম বিলুপ্তির জন্য পাঁচ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। প্রশাসন গণরুম বিলুপ্তির নামে সাধারণ শিক্ষার্থীদের হয়রানি করেছে। হল প্রশাসন রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা এ সকল অবৈধ শিক্ষার্থীদের কক্ষে যায়ই নাই। ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের আহ্বায়ক আলিফ মাহমুদ বলেন, প্রশাসন হল থেকে অছাত্রদের বের করতে পাঁচ কর্মদিবস সময় চেয়েছে আমরা দিয়েছি কিন্তু উপচার্য একটি প্রতিশ্রুতিও বাস্তবায়ন করতে পারেননি। এই বিশ্ববিদ্যালয় সন্ত্রাসীদের কারখানায় পরিণত হয়েছে। এই অছাত্ররাই চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে। অছাত্রদের বের করতে না পারলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ কখনোই সুষ্ঠু ও সুন্দর হবে না। প্রতিশ্রুত সময়ের মধ্যে অছাত্রদের বের করতে ব্যর্থ হলে আমরা কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবো। এ দিকে এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে আসেন উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম। এ সময় তিনি আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবি মানার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন। তবে সিন্ডিকেটের বেধে দেওয়া পাঁচদিনের সময়ের মধ্যে আবাসিক হল থেকে অছাত্রদের বের করতে না পারায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এ ছাড়া আন্দোলনরতরা আবাসিক হলে অবস্থান করা অছাত্রদের তালিকার বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্যসহ উপস্থিত প্রশাসনিক শিক্ষকরা সেই তালিকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং আরও কয়েকদিন সময় চান। এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীরা সোমবার থেকে প্রতিদিন ২ ঘন্টা করে প্রশাসনিক ভবন অবরোধের ঘোষণা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি শেষ করেন।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৪৪

৪ দাবিতে জাবি শিক্ষার্থীদের ধর্ষণ বিরোধী মিছিল
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গণধর্ষণের প্রতিবাদে চার দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।  মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সপোর্ট চত্ত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে শহীদ মিনার ও সকল ছাত্রী হল হয়ে পুনরায় ট্রান্সপোর্ট চত্ত্বরে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের ‘ছাত্রলীগ ধর্ষণ করে, প্রশাসন কি করে’, ‘ধর্ষকদের পাহারাদার, হল প্রশাসন চমৎকার’,  ‘ধর্ষকদের পাহারাদার, ধিক্কার ধিক্কার’, ‘যে প্রশাসন ধর্ষকদের পাহারা দেয়, সেই প্রশাসন চাই না’, ‘আমাদের ক্যাম্পাসে আমরাই থাকবো, অছাত্ররা থাকবে না’, ‘জাহাঙ্গীরনগরের মাটিতে, ধর্ষকদের ঠাঁই নাই’, ‘হল থেকে দল থেকে, ধর্ষকদের বহিষ্কার করো’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।  মিছিল শেষে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইজা মেহজাবিন প্রিয়ন্তীর সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী রাবেয়া বসরী তাপস্বী বলেন, ‘সেঞ্চুরি মানিক থেকে মোস্তাফিজ পর্যন্ত যে ঘটনা ঘটে গেছে সেটা বিচ্ছিন্ন হতে পারে না। একটা নির্দিষ্ট দল এই সব ঘটনার সাথে যুক্ত সে বিষয়ে আমরা সবাই অবগত আছি। কিন্তু প্রশাসন কখনো উল্লেখযোগ্য ব্যবস্থা করে না।জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সকলের জন্য নিরাপদ হোক। বহিরাগত বলে আমরা যাদের ট্যাগ দিয়েছি, যাদের টাকায় আমাদের ক্যাম্পাস চলে তাদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা হোক।’ আইআইটি বিভাগের শিক্ষার্থী সোয়াতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কিন্তু ইনজাস্টিসের কথা কখনো বলেন নি। আর ছাত্রলীগ যদি ন্যায়ের পক্ষে থাকে তবে ছাত্রত্ব শেষ হওয়ার সাথে সাথেই তাদের হল ছেড়ে দেয়া উচিত।  অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী অনামিকা নূরাইন বিত্ত বলেন, ‘ঘুরেফিরে কেন ছাত্রলীগের কর্মীরাই ক্যাম্পাসে ও ক্যাম্পাসের বাইরে অপকর্ম গুলো ঘটায়। আমি আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাই, ধর্ষণ একটি পাওয়ার প্র্যাকটিস। ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে সবচেয়ে বেশি পাওয়ার প্র্যাকটিস করে। ছাত্রলীগের কর্মীদের ক্যাম্পাসে শিখানো হয় কিভাবে বাপ মা ছেড়ে আসা একজন শিক্ষার্থীকে কিভাবে টর্চার করতে হয়। সেখান থেকে তারা ক্ষমতার স্বাদ পায়। এবার রেপ হয়েছে পরবর্তীতে হবে রেপ অ্যান্ড মার্ডার। আমাদের দাবিগুলো প্রশাসনের মানতে হবে, অভিযুক্তদের ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত করা, সার্টিফিকেট সাময়িক স্থগিত করার এই প্রহসন বন্ধ করতে হবে। সুস্পষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে।’ সংক্ষিপ্ত সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি জানায়। দাবিগুলো হলো: ধর্ষণে অভিযুক্ত ও পলায়নে সহযোগিতাকারীদের রাষ্ট্রীয় আইনে বিচার দ্রুততম সময়ে নিশ্চিত করতে হবে, মীর মশাররফ হোসেন হল ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের প্রোভোস্ট এবং হল প্রশাসনের বিরুদ্ধে আসা পলায়নে সাহায্য করার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে, সকল আবাসিক হল থেকে অছাত্রদের তাড়াতে হবে, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা শাখার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল কার্যকর করতে হবে। বুধবার দুপুর ১ টায় শহীদ মিনারের পাদদেশে কালো পতাকা মিছিলের ঘোষণা দিয়ে সমাবেশের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।   
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৪৩

ধর্ষণের বিরুদ্ধে জাবিতে মশাল মিছিল
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) এক বহিরাগত নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় মশাল মিছিল করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মশাল মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী এতে অংশগ্রহণ করেন। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে মীর মশাররফ হোসেন হল, কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া, ছাত্রীদের আবাসিক হল ও প্রান্তিক গেট হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এ সময় তাদেরকে ‘ক্যাম্পাসে ধর্ষণ কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘ধর্ষকের বিরুদ্ধে, আগুন জ্বালো একসাথে’, ‘প্রশাসনের বিরুদ্ধে, আগুন জ্বালো একসাথে’, অবৈধ ছাত্র, মানি না মানবো না’, ধর্ষকের দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে’, ‘আমার বোন ধর্ষিত কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী আরিফ সোহেল বলেন, জাহাঙ্গীরনগর ধর্ষকদের নয়, আমরা প্রশাসনকে বলে দিতে চাই এই ক্যাম্পাসে ধর্ষকদের মদদদাতাদের কোন ঠাঁই নাই। বিশ্ববিদ্যালয় আমাদেরকে সিস্টেমের ফাদে ফেলে ধর্ষকে পরিণত করেছে। গণরুম কালচার একজন শিক্ষার্থীর মানসিকতা পরিবর্তন করে দেয়। তার মানসিকতা বিকৃত করে ধর্ষকে পরিণত করতে সহায়তা করে। ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী আহসান লাবীব বলেন, ক্যাম্পাসে ধর্ষণের ঘটনায় আমাদের এতদিনের যে ধারণা ছিল যে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়ে শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে নিরাপদ, তা আর রইল না। আমরা জোর গলায় বলতে চাই, এই ক্যাম্পাসে ধর্ষকদের কোন জায়গা নেই, ধর্ষকদের যারা লালন করে সেই কুলাঙ্গারদেরও কোনো স্থান নেই। যে সংগঠন, যে শিক্ষক, যে রক্ষক এদের মদদ দেয় তাদেরকে অবিলম্বে ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়ন জাবি শাখার আহ্বায়ক আলিফ মাহমুদ বলেন, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের নিকট নিরাপদ নয়, সেখানে বহিরাগতরা কীভাবে নিরাপদ থাকবে। যখন শিক্ষার্থীরা দেখে তারই শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বিরুদ্ধে স্ট্রাকচার্ড কমিটি হওয়ার পরেও নিরাপদে ক্লাস নিতে পারেন, সেখানে নিজেরা করলে দোষ কোথায়? এমএইচ হলের অছাত্রদের দাপটে বিভিন্ন সময়েই ছিনতাই, লুটপাট, চাঁদাবাজির খবর আমরা দেখি। প্রশাসনকে বারংবার তাগাদা দেওয়ার পরেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেন না। এই হলেই শাহ পরান আছে কিন্তু তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। এভাবেই ধর্ষকরা ক্রমাগত বেঁচে যাচ্ছে প্রশাসনের ছত্রছায়ায়। মূলত প্রশাসনের উদাসীনতাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। একটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসকের চেয়ারে বসা কিছু নরাধমের নিকট জিম্মি হয়ে আছে। নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী কনোজ কান্তি রায় বলেন, প্রশাসন আর ছাত্রলীগের অবৈধ সংগমে এই ধর্ষকের জন্ম হয়েছে। ছাত্রলীগ তার ধর্ষণের ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করেছে। এটা নতুন নয় ৯৮তে ধর্ষণ করেছে মানিক, আজ তার উত্তরসূরীরা করছে। প্রক্টর ধর্ষকদের পালাতে সাহায্যে করেছে। তাদের পদে বহাল থাকার নৈতিক যোগ্যতা হারিয়েছে। প্রক্টরকে পদত্যাগ করতে হবে। সমাবেশ থেকে সোমবার বেলা ১১টায় পোস্টারিং কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৫৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়