• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মস্তিষ্কে চিপ বসিয়ে ডিভাইস নিয়ন্ত্রণের প্রবণতা
এতকাল শরীরে পেসমেকার বা কৃত্রিম অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বসিয়ে জীবনযাত্রার মানের উন্নতির চেষ্টা হয়েছে৷ ইলন মাস্ক মানুষের মস্তিষ্কে চিপ বসিয়ে যন্ত্রের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের বিতর্কিত প্রযুক্তি চালু করার উদ্যোগ নিচ্ছেন৷ টেলিপ্যাথি নামের এক ওয়্যারলেস চিপ সফলভাবে এক মানুষের মস্তিষ্কে বসানো হয়েছে৷ মার্কিন কোটিপতি মাস্ক কমপক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এমনটাই ঘোষণা করেছেন৷ মোটকথা মানুষের মস্তিষ্কের সঙ্গে কম্পিউটার সংযুক্ত করাই এই উদ্যোগের লক্ষ্য৷ সে ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীরা শুধু চিন্তার মাধ্যমে ডিজিটাল পরিষেবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন৷ শুনতে খুবই ভবিষ্যতধর্মী হলেও বাস্তবে সেটা সত্যি কতটা যুগান্তকারী? তথাকথিত বিসিআই নামের ডিভাইসগুলি মস্তিষ্কের কার্যকলাপ পরিমাপ করে সেই সংকেত ডিজিটাল কমান্ডে রূপান্তরিত করতে পারে৷ এমন ডিভাইস ব্যবহার করলে নীতিগতভাবে কোনো ডিজিটাল ডিভাইসের সঙ্গে একেবারে নতুন ও বিরামহীন উপায়ে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়৷ মাস্কের ভাষায় টেলিপ্যাথি ফোন বা কম্পিউটারের উপর নিয়ন্ত্রণ সম্ভব করবে৷ শুধু চিন্তাশক্তির বলে সেগুলির মাধ্যমে প্রায় যে কোনো ডিভাইস চালনা করা যাবে৷  শুনে মনে কৌতূহল জাগছে? কিন্তু এর এক বড় ঘাটতিও রয়েছে৷ কারণ মাস্কের চিপ মস্তিষ্কে ইমপ্লান্ট করতে হবে৷ এক রোবট সেই অপারেশন করবে৷ মানুষের চুলের থেকে বেশি চিকন ৬৪টি নমনীয় সুতা চিপ থেকে মস্তিষ্কে যোগাযোগ স্থাপন করবে৷ রোগগ্রস্ত বা প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য এমন অস্ত্রোপচার হয়তো উপকারও বয়ে আনতে পারে৷ যেমন কারো মৃগী রোগ থাকলে বিসিআই আগে থেকেই সম্ভাব্য খিঁচুনি শনাক্ত করে সেটি এড়িয়ে যেতে সাহায্য করতে পারে৷ মাস্ক নিজেই অন্যান্য সম্ভাবনার উল্লেখ করেছেন৷ তাঁর বার্তা অনুযায়ী যারা নিজেদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ব্যবহার করতে পারেন না, তাঁরাই প্রাথমিক ব্যবহারকারী হবেন৷ ভেবে দেখুন, স্টিফেন হকিং যদি স্পিড টাইপিস্ট বা নিলামকারীর তুলনায় দ্রুত ভাবের আদানপ্রদান করতে পারতেন, তাহলে কী হতো? তিনি খুব সম্ভবত সেই প্রযুক্তি পছন্দ করতেন এবং সেটা থেকে উপকারও পেতেন৷ চিকিৎসাবিদ্যার ক্ষেত্রে বিসিআই-এর বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে৷ স্টিফেন হকিং এএলএস নামের দুরারোগ্য মোটর নিউরন রোগে ভুগছিলেন৷ এই রোগ হলে স্নায়ুর কোষগুলির ক্ষয় হতে থাকে৷ রোগীরা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নাড়াচাড়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন৷ বিসিআই হয়তো হকিং-কে চিন্তার মাধ্যমে টেক্সট টাইপ করার ক্ষমতা দিতে পারতো৷ কিন্তু নিউরালিংক সে রকম কিছু উদ্ভাবন করেনি৷ তবে অন্যান্য কিছু কোম্পানি মানুষের উপর সফলভাবে পরীক্ষা চালিয়েছে৷ যেমন সিনক্রোন নামে অস্ট্রেলিয়ার স্টার্ট-আপ কোম্পানি এ ক্ষেত্রে সাফল্য পেয়েছে৷ অন্যান্য গবেষকরা এমনকি ব্রেন ইমপ্লান্ট ও পেশির মধ্যে নতুন সংযোগ গড়ে তুলছেন৷ ২০২৩ সালের মে মাসে সুইজারল্যান্ডের নিউরোরিস্টোর নামের কোম্পানি এমন এক ব্যক্তিকে আবার হাঁটার ক্ষমতা ফিরিয়ে দিয়েছে, যিনি দুর্ঘটনার কারণে পঙ্গু হয়ে পড়েছিলেন৷ নিউরালিংক মডেলের তুলনায় এই দুই দৃষ্টান্তের একটা বড় সুবিধা রয়েছে৷ সেগুলিও রোগীর মাথায় ইমপ্লান্ট করতে হলেও সেই অপারেশন অনেক কম জটিল৷ তা সত্ত্বেও মাস্কের নিউরালিংক-কে ঘিরে কেন এত আলোড়ন চলছে? সত্যি কথা বলতে গেলে উল্লিখিত কোম্পানিগুলির মধ্যে কোনোটিই বিসিআই উদ্ভাবন করেনি৷ সেই ১৯৯৮ সালেই মস্তিষ্কে প্রথম চিপ বসানো হয়েছিল৷ কিন্তু এখনো পর্যন্ত মাস্কের মতো কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি সেই প্রযুক্তির উন্নতির জন্য চাপ দেননি৷ এমনকি জনসংযোগের ইভেন্টকেও তিনি প্রাণীর উপর পরীক্ষা চালানোর মঞ্চে পরিণত করতে দ্বিধা করেননি৷ ২০২০ সালে মাস্ক বিশ্বের সঙ্গে গ্যারট্রুড নামের এক শুকরের পরিচয় করিয়ে দেন, যেটির মধ্যে নিউরালিংক চিপ বসানো হয়েছে৷ ২০২১ সালে তিনি ঢাকঢোল পিটিয়ে পেজার নামের এক বানরকে তুলে ধরেছিলেন, যে চিপ ইমপ্লান্টের মাধ্যমে পং নামের ভিডিও গেম খেলতে পারে৷ সে সব ছাড়াও ইলন মাস্ক সেই প্রযুক্তির সম্ভাবনা সম্পর্কে বেশ কিছু বড়সড় পূর্বাভাস দিয়েছিলেন৷ যেমন ২০২০ সালে নিউরালিংকের এক ইভেন্টে তিনি বলেন, আমরা স্মৃতি ধরে রেখে রিপ্লে করতে পারি৷ ভবিষ্যৎ বেশ অদ্ভুত হতে চলেছে৷ মনে হচ্ছে, মাস্ক আমাদের ব্রেন হ্যাক করতে বদ্ধপরিকর৷ তাঁর বিশ্বাস, বিসিআই মানুষের মধ্যে উন্নতি আনতে পারে৷ সেই উন্নতি শুধু চিকিৎসা ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকবে না৷ কিন্তু প্রশ্ন হলো, আপনি কি মাস্কের কোনো কোম্পানির হাতে নিজের মস্তিষ্ক তুলে দিতে প্রস্তুত? ভেবে দেখুন, আপনার চিন্তাভাবনার জগতে উঁকি মেরে কত সংবেদনশীল তথ্য রেকর্ড করা হতে পারে!
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫২

বেজোস-ইলন মাস্ক এখন বিশ্বের দ্বিতীয়-তৃতীয় ধনী, শীর্ষে কে?
অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস ও টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ককে সরিয়ে প্রথমবারের মতো ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেছেন ফরাসি বিলাসদ্রব্য নির্মাতা লুই ভিতো কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা বেনাখ আরনো। শনিবার (৯ মার্চ) মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে এনডিটিভি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে মোট ৪ হাজার কোটি ডলার হারিয়ে বিশ্বের শীর্ষ ধনী তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে নেমেছেন ইলন মাস্ক। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ১৮৯ বিলিয়ন বা ১৮ হাজার ৯০০ কোটি মার্কিন ডলারে নেমেছে। মোট ১৯ হাজার ৮০০ কোটি ডলার সম্পদ নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন আমাজন ও মহাকাশ পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠান ব্লু অরিজিনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। আর ২০ হাজার ১০০ কোটি ডলার সম্পদ নিয়ে বিশ্বে ধনীর তালিকার শীর্ষে আছেন ফরাসি বিলাসদ্রব্য নির্মাতা লুই ভিতো কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা বেনাখ আরনো। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই মাস্ককে ছাড়িয়ে সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হন বেজোস। এবার তাকেও ছাড়িয়ে গেলেন বেনাখ আরনো। প্রসঙ্গত, ২০২১ সাল থেকেই বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় শীর্ষ অবস্থান নিজের দখলে রেখেছিলেন ইলন মাস্ক। এই সপ্তাহের শুরুতে চীনে খুব কম সংখ্যক বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি করছে টেসলা। নাশকতার কারণে বার্লিনের কাছে কারখানাটির উৎপাদনও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এসব ঘটনা কোম্পানিটির শেয়ারের দামকে প্রভাবিত করেছে।
০৯ মার্চ ২০২৪, ২৩:২৪

ইলন মাস্ক এখন বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী, শীর্ষে কে?
বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা, টুইটার, স্পেসএক্স ও নিউরালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ককে সরিয়ে এখন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ই-কমার্স সাইট অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস।  দীর্ঘদিন পর ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় শীর্ষ স্থান হারালেন ইলন মাস্ক। আর প্রথমবারের মতো এই তালিকায় সবার ওপরে উঠল বেজোস। সোমবার (৪ মার্চ) ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ারস ইনডেক্সে থেকে এ খবর জানা গেছে। খবর এনডিটিভির। জানা গেছে, ব্লুমবার্গের হিসাব অনুযায়ী এদিন টেসলার শেয়ারের দরপতন হয় ৭ দশমিক ২ শতাংশ। ফলে ইলন মাস্কের সম্পদ কমে ১৯৭ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারে নামে। এদিন বেজোসের মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ২০০ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার।  উল্লেখ্য, ২০২১ সাল থেকেই বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় শীর্ষ অবস্থান নিজের দখলে রেখেছিলেন ইলন মাস্ক।   
০৫ মার্চ ২০২৪, ১২:০২

কালার করে চুলের দফারফা, যে উপায়ে করবেন সমাধান
ফ্যাশানের যুগে অনেকেই চুলে পছন্দের রঙ করান। আর এতেই তৈরি হয় সব ঝামেলা। সঠিক পরিচর্চা না করলে চুলের হাল বেহাল হয়ে যায়, চুল একেবারেই নষ্ট হয়ে যায়। চুল রুক্ষ হয়ে যায়, নষ্ট হয়ে যায় চুলের মানও। শুরু হয় চুল পড়া। একই সঙ্গে হারাতে শুরু করে চুলের সৌন্দর্য। তাই এই সময় চুলের প্রয়োজন বাড়তি যত্ন। এক্ষেত্রে ঘরোয় উপায়েই নিতে পারেন চুলের যত্ন। তার জন্য কী করতে হবে জেনে ঝটপট যত্ন নিন চুলের। জেনে নিন উপায়গুলো- >> সবার আগে যেটা প্রয়োজন তা হলো চুলের রুক্ষভাব কাটানো। তার জন্য মাথায় তেল ব্যবহার করতে পারেন। আজকাল অনেকেই তেলের নাম শুনলে নাক সিঁটকোন ঠিকই। তবে তারা হয়তো জানেন না যে চুলের জন্য তেল কতটা গুরুত্বপূর্ণ। সপ্তাহে দু থেকে একদিন ক্যাস্টর অয়েল গরম করে চুলে লাগালে দূর হবে রুক্ষভাব। >> এ ছাড়া ব্যবহার করতে পারেন কারিপাতার তেল। নারকেল তেলের মধ্যে কয়েকটি কারিপাতা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। এ বার এটি ছেঁকে নিতে হবে। ঠান্ডা হলে তারপর চুলে প্রয়োগ করুন। >> মাথায় মাখতে পারেন ডিম। এতে চুল নরম ও উজ্জ্বল হবে। হেনার সঙ্গে মিশিয়েও ডিম মাখতে পারেন। এতে আরও ভালো ফল পাবেন। >> সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন শ্যাম্পু করুন। এবং শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার ব্যবহার করতে ভুলবেন না। এ ছাড়া ব্যবহার করতে ভুলবেন না হেয়ার মাস্কও। 
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:২৫

মানব মস্তিষ্কে চিপ স্থাপনে সফলতা পেলেন মাস্ক
সফলভাবে প্রথমবারের মতো মানুষের মস্তিষ্কে চিপ স্থাপন করেছে ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান নিউরালিংক। রোববার (২৮ জানুয়ারি) এ চিপ স্থাপন করা হয় বলে এক্সের (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে জানিয়েছেন মাস্ক নিজেই। খবর বিবিসির। ইলন মাস্ক জানিয়েছেন, মানব মস্তিষ্কে চিপ প্রতিস্থাপনের পর প্রাথমিক ফলাফল অনুসারে, চিপটি নিউরনের স্পাইক শনাক্তকরণে বেশ ভালো সক্ষমতা দেখিয়েছে। মূলত, মানুষের মস্তিষ্ক যে বৈদ্যুতিক ও রাসায়নিক সংকেতের মাধ্যমে সারা দেহে তথ্য আদান-প্রদান করে সেই প্রক্রিয়াকে স্পাইক বলা হয়। এই চিপ স্থাপনের মধ্য দিয়ে পক্ষাঘাতগ্রস্ত ও স্নায়বিক সমস্যায় ভোগা রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে একটি নতুন দিগন্ত উন্মেচিত হলো।   ইলন মাস্কের কোম্পানি নিউরালিংক জানিয়েছে, প্রথমবারের মতো সফলভাবে ওয়্যারলেস ব্রেইন চিপ মানুষের মস্তিষ্কে প্রতিস্থাপন করেছে তারা। প্রাথমিক ফলাফলে আশাজনক নিউরন স্পাইক বা স্নায়ু আবেগ শনাক্ত হয়েছে এবং রোগী সুস্থ হয়ে উঠছেন। নিউরালিংকের লক্ষ্য মানুষের মস্তিষ্ককে কম্পিউটারের সঙ্গে সংযুক্ত করা এবং জটিল স্নায়বিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় সহায়তা করা। এর মধ্যে আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানও অনুরূপ ডিভাইস তৈরি করেছে বলে জানা গেছে।   এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য নিউরালিংক এবং যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসা নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বিবিসি। এফডিএ জানায়, গত মে মাসে তারা মাস্কের কোম্পানিকে মানুষের ওপর এই চিপ পরীক্ষার অনুমতি দেয়।  নিউরালিংক ছয় বছরের একটি গবেষণা শুরু করার অনুমোদন পেয়েছে যেখানে একটি রোবট অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মস্তিষ্কের একটি অংশে মানুষের চুলের থেকেও সূক্ষ্ম ৬৪টি পাতলা সুতা (থ্রেড) প্রবেশ করাবে। ওয়্যারলেস চার্জযোগ্য ব্যাটারি দ্বারা চালিত এই থ্রেডগুলো মস্তিষ্কের ইমপ্লান্টে পরীক্ষামূলক সংকেত রেকর্ড করতে এবং প্রেরণ করতে পারে। ইমপ্ল্যান্ট থেকে প্রাপ্ত সংকেতগুলো পরে একটি সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশনে যায় এবং তা নির্ণয় করে একজন মানুষ কীভাবে চলাচল করে।  সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স (সাবেক টুইটার) এর মালিক ইলন মাস্ক ঘোষণা দিয়েছেন, নিউরালিংকের প্রথম পণ্যটির নাম হবে 'টেলিপ্যাথি'। এই প্রযুক্তির লক্ষ্য, ব্যবহারকারীদের তাদের চিন্তাভাবনার মাধ্যমে ফোন বা কম্পিউটারের মতো ডিভাইসগুলো নিয়ন্ত্রণ করার অনুমতি দেওয়া।  মূলত মাস্ক এমন একটি ভবিষ্যতের কল্পনা করেছেন, যেখানে স্টিফেন হকিংয়ের মতো মোটর নিউরন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা টাইপিংয়ের মতো প্রচলিত পদ্ধতির চেয়ে আরও দ্রুত যোগাযোগ করতে পারবেন।  এছাড়া, নিউরালিংকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা কোম্পানি 'প্রিসিশন নিউরোসায়েন্স' পক্ষাঘাতগ্রস্ত ব্যক্তিদের সহায়তা করার জন্য কাজ করছে। তাদের ইমপ্লান্টটি দেখতে টেপের একটি পাতলা টুকরোর মতো এবং 'ক্রেনিয়াল মাইক্রো-স্লিট' নামে একটি সহজ পদ্ধতির মাধ্যমে মস্তিষ্কের পৃষ্ঠে স্থাপন করা হয়।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৮

করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বাড়ছে, মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১-এর সংক্রমণ বেড়েছে। এ অবস্থায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমন্বিত নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বের বেশ কিছু দেশে কোভিড-১৯-এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১-এর সংক্রমণ বেড়েছে। এ অবস্থায় উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে যেমন হাসপাতাল, চিকিৎসা কেন্দ্র এবং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি, যাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম, তাদের সতর্কতা হিসেবে মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হলো। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের বাড়তি সতর্ক করে চতুর্থ ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয় বিজ্ঞপ্তিতে। সার্জারি অথবা অন্য কোনও রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে কেবল কোভিড-১৯ লক্ষণ বা উপসর্গ থাকলে কেভিড-১৯ পরীক্ষা করার পরামর্শ দেয় অধিদপ্তর। এর আগে ৪ জানুয়ারি একই পরামর্শ দিয়েছিল করোনাবিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। 
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:০২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়