• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বেড়েছে বিদেশি ঋণের চাপ / ৯ মাসে সুদ পরিশোধ ১০০ কোটি ডলারের বেশি
বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ আরও বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসেই ঋণের সুদ বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে ১০০ কোটি ডলারের বেশি। গত জুলাই-মার্চ সময়ে বিদেশি ঋণের বিপরীতে ১০৫ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। একই সময়ে গত অর্থবছরে সুদ বাবদ ৪৮ কোটি ডলার পরিশোধ করেছিল বাংলাদেশ। রোববার (২১ এপ্রিল) দেশের বৈদেশিক ঋণের হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে প্রকাশিত সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তৈরি করা সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে। ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে বিদেশি ঋণের সুদাসল পরিশোধ বাবদ খরচ বেড়েছে। যা পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৮৯ কোটি ডলার। গত ৯ মাসে ২৫৭ কোটি ডলারের বেশি সুদ ও আসল পরিশোধ করা হয়েছে। গত বছর একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১৭৩ কোটি ডলার। বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ এসেছে এমন সময়ে, যখন দেশে কয়েক মাস ধরে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট চলছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ডলার-সংকটের এ সময়ে বিদেশি ঋণ পরিশোধের জন্য অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ের কারণে রিজার্ভ ও বাজেটের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চীন ও রাশিয়ার স্বল্প মেয়াদের ঋণের কারণে ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়ছে। ইতিমধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ শুরু হয়েছে। মেট্রোরেল প্রকল্পের ঋণ পরিশোধের কিস্তিও শুরু হয়েছে। এ ছাড়া কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পের ঋণ পরিশোধও শিগগিরই শুরু হবে।  আগামী দু-তিন বছরের মধ্যে অন্য মেগা প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ শুরু হলে চাপ আরও বাড়বে। অন্যদিকে ঋণের ছাড় আগের তুলনায় তেমন বাড়েনি। ইআরডি সূত্র বলছে, জুলাই-মার্চ সময়ে সব মিলিয়ে এসেছে ৫৬৩ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৫৩৬ কোটি ডলার।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫৮

‘বৈশাখ মাসে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়’
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের শিশু কিশোর কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রমের আওতায় বাংলাদেশ বেতারের আয়োজনে বহিরাঙ্গণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। চাঁদপুর প্রেসক্লাবের আয়োজনে ও চাঁদপুর পৌরসভার পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত মাসব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব বৈশাখী মেলার মঞ্চে শনিবার বিকেলে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান।  প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বৈশাখ মাসে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়। আর চৈত্র মাসে  স্বাধীনতা অর্জন হয়। শিশুরা জাতির ভবিষ্যৎ। তাদের জন্য আমরা ভবিষ্যৎ হিসাবে কি করতে পেরেছি সেটা মনে রাখা জরুরি। ১৯৭৪ সালে শিশু আইন প্রণয়ন করা হয়। তা করেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।  অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের সহযোগিতায় বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রেজওয়ানুল আহসান বিপুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন। তিনি উপস্থিত শিশুদের সঙ্গে যোগসূত্রের কথা বলেছেন।  তিনি বলেন, শিশুরা হলো জাতির ভবিষ্যৎ। আগামী ১৫-২০ বছর পরে এখন যারা পেছনের সারিতে বসে আছে তারাই হয়তো মঞ্চে অতিথির আসনে বসবে বক্তব্য রাখবে, মঞ্চে এসে কথা বলবে। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে এই শিশুদেরকে উপযুক্ত করে গড়ে তোলা। আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো অনেক উন্নত হয়েছে।  তিনি আরও বলেন, আমরা যারা অভিভাবক রয়েছি আমরা আমাদের সন্তানদের নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে থাকি। এখানে যেসব শিক্ষক এবং অভিভাবক রয়েছেন আপনাদের কাছে বলব, কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে সঠিকভাবে পরিচালনা করার চেষ্টা করবেন। যাতে শিশুরা মানুষের মতো মানুষ হতে বড় হতে পারে।   বাংলাদেশ বেতারের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) আল আমিন খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাখাওয়াত জামিল সৈকত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল হক চৌধুরী, চাঁদপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি সাহাদাত হোসেন শান্ত প্রমুখ।   আলোচনা শেষে সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন কিংবদন্তী লালন সম্রাজ্ঞী ফরিদা পারভীন, সঙ্গীত শিল্পী আসিফুর রহমান আগুন, কাজী শুভ ও মৌসুমী ইকবাল। এ ছাড়া জাদু পদর্শন করেন সজীব হোসেন ও বোরহান উদ্দিন। অনুষ্ঠানে উপমহাদেশের প্রখ্যাত বাঁশি বাদক গাজী আব্দুল হাকিম উপস্থিত ছিলেন ।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ২২:১৯

পাকিস্তানে রোজার মাসে ছিনতাই-ডাকাতির ঘটনায় ১৯ মৃত্যু
রোজার এক মাসে পাকিস্তানে ছিনতাই-ডাকাতির মত অপরাধের ঘটনা বেড়েছে। ওই সময়ে সংঘটিত ডাকাতির ঘটনায় বাধা বা প্রতিরোধের কারণে ১৯ জনের প্রাণ গেছে, আহত হয়েছেন ৫৫ জন। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, করাচিতে ডাকাতির সময় সশস্ত্র ডাকাতদের হাতে ওই ১৯ নাগরিক নিহত হয়েছেন। চলতি বছরেই ডাকাতি সংক্রান্ত প্রাণহানির ঘটনা অনেক বেড়েছে। এ পর্যন্ত ৫৬ জনের প্রাণ গেছে। আহত হয়েছেন ২০০ জনেরও বেশি মানুষ। গতবছরের একই সময় পর্যন্ত একই রকমের ঘটনায় ২৫ জন নিহত হন, আহত হন ১১০ জন। ওই বছর ডাকাতি প্রতিরোধ বা বাধা দেওয়ার সময় সশস্ত্র ব্যক্তিদের হাতে প্রাণ যায় ১০৮ জনের, আহত হন ৪৬৯ জন। অপরদিকে চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডাকাতদের প্রতিরোধে ৪২৫টি গোলাগুলির ঘটনায় যুক্ত হয়েছে করাচির পুলিশ। এসব ঘটনায় ৫৫ ডাকাত নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ৪৩৯ জন। সিটিজেন-পুলিশ লিয়াজোঁ কমিটির (সিপিএলসি) প্রতিবেদন বলছে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে করাচিতে ২২ হাজার ৬২৭টি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। এসব ঘটনায় প্রাণ গেছে ৫৯ জনের, আহত হয়েছেন ৭০০ জনেরও বেশি। এছাড়া ৩৭৩টি গাড়ি, ১৫ হাজার ৯৬৮ মোটরসাইকেল ও ৬ হাজার ১০২টি মোবাইল ফোন চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৫৪

মোবাইলে এক মাসে ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা লেনদেন
যতই দিন যাচ্ছে ততোই বিকাশ, নগদ ও রকেটের মতো মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) এর প্রতি মানুষের নির্ভরশীলতা বাড়ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় গত ফেব্রুয়ারিতে ১ লাখ ৩০ হাজার ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। যা এযাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ড লেনদেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের মোবাইল আর্থিক সেবার (এমএফএস) হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, এমএফএসের মাধ্যমে ফেব্রুয়ারিতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে পাঠানো হয়েছে ৩৯ হাজার ৩৭২ কোটি টাকা। এসময় ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি হিসাবে ৩৪ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। একইসঙ্গে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বাবদ চার হাজার ১০ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন পরিষেবার ২ হাজার ৩১৮ কোটি টাকার বিল পরিশোধ হয় এবং কেনাকাটায় ৬ হাজার ৪৫৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়। ফেব্রুয়ারিতে ৫৯০ কোটি টাকার রেমিট্যান্সও এসেছে মোবাইলের মাধ্যমে। এর আগে, একক মাসে হিসেবে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল গত বছরের জুনে। ওই মাসে বিকাশ, রকেট, নগদের মতো মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় ১ লাখ ৩২ হাজার ১৭৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল। বর্তমানে বিকাশ, রকেট, ইউক্যাশ, মাই ক্যাশ, শিওর ক্যাশসহ নানা নামে ১৩টির মতো ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান এমএফএস সেবা দিচ্ছে। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২ কোটি ১৪ লাখ ৭৮ হাজারে। গ্রাহক বেশি হওয়ার কারণ, অনেক গ্রাহক একাধিক হিসাব খুলছেন। নিবন্ধিত এসব হিসাবের মধ্যে পুরুষ গ্রাহক ১২ কোটি ৮৭ লাখ ৮৬ হাজার ও নারী ৯ কোটি ২৩ লাখ ৪৭ হাজার।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:২৮

ঈদের সময়সহ চলতি মাসে যেমন থাকবে আবহাওয়া
এপ্রিলে হালকা বৃষ্টি হলেও মাসজুড়েই গরমের দাপট থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ইতোমধ্যে ঢাকাসহ দেশের চার বিভাগের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বইছে। এ জন্য এসব এলাকায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা বা ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে। আর ঈদের সময় তাপমাত্রা থাকবে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি। আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামীকাল রোববার দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। তবে হালকা বৃষ্টিপাত হলেও তাপমাত্রা কমবে না। আর ঈদের সময় তাপমাত্রা থাকবে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি। রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ আরও কিছুদিন স্থায়ী হবে। এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, বর্তমানের আবহাওয়া অবস্থা আরও এক সপ্তাহ বিরাজ করবে। এপ্রিলজুড়েই সারাদেশে তাপপ্রবাহ থাকবে। তিনি বলেন, এপ্রিলে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হবে। ভৌগোলিক অবস্থা আর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণেই আবহাওয়ার এই পরিবর্তন। পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিসংখ্যানও বছরের পর বছর বেরিয়ে আসছে। ২০২৩ সাল এখন পর্যন্ত রেকর্ডে সবচেয়ে উষ্ণতম বছর ছিল। আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, বিদ্যমান তাপপ্রবাহের কারণে বাতাসে এখন জলীয়বাষ্পের আধিক্য থাকবে। এতে করে মানুষের শরীরে অস্বস্তিবোধ বৃদ্ধি হতে পারে। এপ্রিল উষ্ণতম মাস, এ সময় তাপমাত্রা এমনিতেও বেশি থাকে। কিন্তু এটিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া দরকার। যখন ঝড় হয়, তখন ভারী বৃষ্টি হয়। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা আর বাড়ে না। কিন্তু ৮-৯ এপ্রিলের আগে ভারী বৃষ্টি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তিনি বলেন, অনেকদিন ধরে তাপপ্রবাহ হলে কোনো কোনো এলাকার বায়ুর চাপ কমে যায়। বায়ুর চাপ কমলে সাগর থেকে আসা জলীয়বাষ্প বাতাসের কোথাও জড়ো হতে শুরু করে এবং তখন সেখানে বজ্রমেঘ তৈরি হয়। পরবর্তী সময়ে সেই মেঘ বৃষ্টিপাত ঘটায়। বাংলাদেশে সাধারণত মার্চ থেকে মে মাসকে বছরের উষ্ণতম সময় ধরা হয়। এর মধ্যে এপ্রিল মাসেই সাধারণত তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোর ক্ষেত্রে ২০১৪, ২০১৬, ২০১৯, ২০২২ ও ২০২৩ সাল ছিল উত্তপ্ত বছর। কিন্তু এগুলোর মাঝে ২০২৩ সালের কথা আলাদাভাবে উল্লেখযোগ্য। আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ বলেন, গত বছর চরম তাপপ্রবাহ ছিল। গত বছরের এপ্রিলে সারাদেশে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময়জুড়ে তাপপ্রবাহ ছিল। ২০২৩ সালে বাংলাদেশে একটানা ২০ থেকে ২৩ দিন তাপপ্রবাহ ছিল। ২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে এখন বেশি তাপমাত্রা বিরাজ করছে। এর কারণ হিসেবে আবহাওয়াবিদরা জানান, বাংলাদেশের ওই অঞ্চলের দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের অবস্থান। কিন্তু এসব প্রদেশের তাপমাত্রা অনেক বেশি। এসব জায়গায় বছরের এই সময়ে তাপমাত্রা ৪২ থেকে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মাঝে ওঠানামা করে। ড. কালাম মল্লিক বলেন, গত বছর ভারতের ওইসব অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেহেতু সেগুলো উত্তপ্ত অঞ্চল, তাই ওখানকার গরম বাতাস চুয়াডাঙ্গা, যশোর, কুষ্টিয়া, রাজশাহী হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এবং তা আমাদের তাপমাত্রাকে গরম করে দেয়। এই আন্তঃমহাদেশীয় বাতাসের চলাচল ও স্থানীয় পর্যায়েও তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে দেশব্যাপী এ বছর তাপপ্রবাহ তুলনামূলক বেশি থাকতে পারে। বিগত বছরের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে এটা প্রতীয়মান হচ্ছে যে, ২০২৪ সাল উত্তপ্ত বছর হিসেবে যাবে। আমরা এ বছর তাপপ্রবাহের দিন এবং হার বেশি পেতে যাচ্ছি। এদিকে শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে, ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ। গত বছর রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৭ এপ্রিল, ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৫২

তিন মাসে ধর্ষণের শিকার ১১৪ নারী
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১১৪ নারী। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে তিন জনকে। ধর্ষণের পর একজন নারী আত্মহত্যা করেছেন। ৩১ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়েছে। পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১৩৭ জন নারী। এর মধ্যে ৬৫ জন নারীকে হত্যা করা হয়েছে। পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন ৪৯ জন। এছাড়া ২৩ জনকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। সোমবার (১ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো মানবাধিকার বিষয়ক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। প্রতিবেদনে বলা হয়, যৌতুককে কেন্দ্র করে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১৬ জন। যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে পাঁচ জনকে এবং নির্যাতনের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন দুই জন নারী। এর মধ্যে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন আট জন। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন সাত জন গৃহকর্মী। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৫ জন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন ৭৯ জন নারী-পুরুষ। তাদের মধ্যে ৫৫ জন নারী ও ২৪ জন পুরুষ হামলার শিকার হয়েছেন। বখাটেদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন ৪৫ জন। বখাটেদের উৎপাতকে কেন্দ্র করে সংঘাতে ২৬ জন আহত হয়েছেন। আসকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তিন মাসে ৩২৫ শিশু বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন ও হত্যার শিকার হয়েছে। এরমধ্যে হত্যা করা হয়েছে ১৩৯ জনকে শিশুকে।  আত্মহত্যা করেছে ২৭ শিশু। বিভিন্ন সময়ে ৩২ শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বলাৎকারের শিকার হয়েছে ১৪ ছেলে শিশু এবং বলাৎকারের চেষ্টা করা হয়েছে একজনকে। একজন ছেলে শিশুকে বলাৎকারের পর হত্যা করা হয়েছে। আসক বলছে, সীমান্তে হত্যা, হেফাজতে মৃত্যু, সাংবাদিক নিপীড়নসহ মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা দেওয়ার মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধে আইনের শাসন ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। অন্যথায়, বিচারহীনতার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা পেয়ে যায় এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বাড়তে থাকে। রাষ্ট্রের কাছে নাগরিকের সব ধরনের মানবাধিকারের সুরক্ষা এবং ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার দ্রুততার সঙ্গে নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে আসক। আসক বলছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা, সিটি করপোরেশন নির্বাচন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতাসহ বিভিন্ন জায়গায় ২৬৮টি রাজনৈতিক সংঘাত ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এতে ২৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২ হাজার ৩৬৮ জন। দেশের গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আটক ও নির্যাতন করে কারাগারে পাঠানোর পর ঢাকা ও চট্টগ্রামে ২ জনের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বিগত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে কারা হেফাজতে মারা গেছেন ৩৫ জন। এর মধ্যে কয়েদি ১৪ জন এবং হাজতি ২১ জন। গত তিন মাসে ২০টি ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ১৩টি বাড়িসহ ২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ছাড়া ১৫টি প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের একটি মন্দিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। গত তিন মাসে বিভিন্নভাবে নির্যাতন, হয়রানি, হুমকি, মামলা ও পেশাগত কাজ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন ৮১ জন সাংবাদিক। সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের গুলি ও নির্যাতনে ছয় বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও চার জন। অপর দিকে মিয়ানমার সীমান্তে মর্টার শেলের আঘাতে একজন বাংলাদেশি এবং বাংলাদেশে আশ্রিত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর একজন নিহত হয়েছেন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তিন মাসে গণপিটুনীর ঘটনায় ১৭ জন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে ঢাকা বিভাগে ৯ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫ জন, চট্টগ্রাম, খুলনা এবং সিলেট বিভাগে একজন করে নিহত হয়েছেন।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৬

‘এক মাসে ৫৩ নারীর আত্মহত্যা’
গত মার্চ মাসে সারাদেশে ৫৩ নারী আত্মহত্যা করেছেন। পাশাপাশি ২৪৭টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। দেশের ১২টি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে সংগঠনটি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মার্চ মাসে ৩৮টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ৯টি সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ধর্ষণের পরে হত্যার ঘটনা একটি ও ১৪টি ধর্ষণচেষ্টা হয়েছে। দেশে উল্লেখযোগ্য হারে অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনাও বাড়ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, সারাদেশে গত মার্চ মাসে ৪২ অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে ৩৪টি অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার হয়েছিল। মরদেহগুলোর অধিকাংশই ডোবা খাল, নদীতে ভাসমান, বস্তাবন্দি, মহাসড়কের পাশে, ব্রিজ ও রেললাইনের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এমএসএফের হিসেব অনুযায়ী, মার্চ মাসে কারা হেফাজতে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া গণপিটুনিতে ৯ জন এবং সীমান্তে ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ মাসে ২১টি রাজনৈতিক সহিংসতায় ৯৩ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। পাশাপাশি পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ৪০ জন সাংবাদিক নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে একটি।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩৫

হুন্ডির মাধ্যমে তিন মাসে ৪০০ কোটি টাকা পাচার, গ্রেপ্তার ৫
‘জেট রোবোটিক’ নামে একটি অ্যাপের অ্যাডমিন কুমিল্লার শহিদুল ইসলাম ওরফে মামুন। তিনি ২০২০ সাল থেকে দুবাইতে আছেন। মধ্যপ্রাচ্যে বসে নিজস্ব এজেন্টের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিদের রেমিট্যান্স পাঠানোর দায়িত্ব নিতেন তিনি। গত তিন থেকে সাড়ে ৩ মাসে তিনি ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছেন জেট রোবোটিক অ্যাপের মাধ্যমে। তবে তিনি ঠিকই চাহিদা অনুযায়ী গন্তব্যে টাকা পাঠিয়েছেন। এজন্য ব্যবহার করা হয়েছে চট্টগ্রামের মোবাইল ব্যাংকিং ডিস্ট্রিবিউশন হাউজ তাসমিয়া অ্যাসোসিয়েটসকে। প্রতিষ্ঠানটির ৪৮টি মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট সিমে আগে থেকেই সমপরিমাণ বা বেশি অনলাইনে টাকা সংগ্রহ করে রাখা হয়। এরপর সংগ্রহ করা টাকা এজেন্ট সিম থেকে অ্যাপের ব্যবহার করে প্রবাসীদের আত্মীয়দের নম্বরে অর্থ পাঠিয়ে দিয়ে আসছিল সংঘবদ্ধ একটি চক্রটি বলে দাবি করেছে সিআইডি। বুধবার (২৭ মার্চ) রাতে ঢাকা ও চট্টগ্রামে পৃথক অভিযান চালিয়ে এই চক্রের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে হুন্ডির কাজে ব্যবহৃত মুঠোফোন, সিমকার্ড ল্যাপটপ ও ২৮ লাখ ৫১ হাজার নগদ টাকা উদ্ধার করা হয় এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডি বলছে, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রায় এক মাস ধরে অনুসন্ধান করে এই চক্রের সন্ধান পায়। এই চক্রের কারণে রেমিট্যান্স থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল দেশ। অনেকের অবৈধ উপার্জনের টাকা এই চক্রের মাধ্যমে বৈধ হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে মালিবাগে নিজ কার্যালয়ে সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন নাসির আহমেদ (৬২), ফজলে রাব্বি সুমন (৩২),  মো. কামরুজ্জামান (৩৩), খায়রুল ইসলাম (৩৪) ও জহির উদ্দিন (৩৭)। তাদের মধ্যে নাসির ডিস্ট্রিবিউশন হাউসের মালিক। ফজলে রাব্বি ও মো. কামরুজ্জামান ডিস্ট্রিবিউশন হাউজে কাজ করেন। আর পরের দুজন দুবাই থেকে শহিদুলের পাঠানো প্রবাসীদের আত্মীয়স্বজনের অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে দিতেন। সিআইডির প্রধান পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ আলী মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, এই চক্র দুই ভাগে হুন্ডির কাজ পরিচালনা করে। দুবাইয়ে থাকা চক্রের সদস্যরা প্রবাসীদের কাছ থেকে বিদেশি মুদ্রা সংগ্রহ করেন। আর দেশে থাকা চক্রের সদস্যরা ওই প্রবাসীর দেশে থাকা আত্মীয়স্বজনদের এমএফএস অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেয়। এতে প্রবাসীদের মাধ্যমে যে রেমিট্যান্স আসত, সেটা ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি দেশের কালোটাকার মালিকেরা এই চক্রের মাধ্যমে তাদের অবৈধ উপার্জন বৈধ করছেন। আর এই পুরো কাজটি পরিচালিত হতো জেট রোবোটিকস অ্যাপের মাধ্যমে। সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির প্রধান আরও বলেন, চক্রের সঙ্গে এমএফএস কোম্পানির চট্টগ্রামের তাসনিমা অ্যাসোসিয়েট নামের একটি ডিস্ট্রিবিউশন হাউসের লোকজন জড়িত। তাদের কাছ থেকে কম লেনদেন হয় এমন এমএফএস এজেন্ট অ্যাকাউন্ট সংগ্রহ করতেন চক্রের সদস্যরা। বিনিময়ে ডিস্ট্রিবিউশন হাউজের লোকজন হুন্ডির লাভের টাকার একটি ভাগ পেতেন। মোহাম্মদ আলী বলেন, এই চক্রের মূলহোতা শহিদুল ইসলাম ওরফে মামুন। তিনি ২০২০ সাল থেকে দুবাই বসবাস করেন। মালয়েশিয়ান একটি সফটওয়্যার কোম্পানির মাধ্যমে অ্যাপটি তৈরি করে দুবাই বসে শহিদুল  হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ করতেন। এই অ্যাপের সঙ্গে একটি এমএফএস কোম্পানির ৪১টি অ্যাকাউন্ট নম্বরের সংযোগ ছিল। গত তিন মাসে ওই  ডিস্ট্রিবিউশন হাউসের প্রায় ১৫০টি এজেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছে চক্রটি। সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ আলী বলেন, একটি ডিস্ট্রিবিউশন হাউসের অধীন প্রায় ১ হাজার ১০০ এজেন্ট থাকে। যেসব এজেন্ট অ্যাকাউন্টে লেনদেন কম হয়, সেই সব অ্যাকাউন্ট হুন্ডির কাজে ব্যবহার করা হয়। এ ক্ষেত্রে এমএফএস কোম্পানির নজরদারির ঘাটতি রয়েছে। নতুন নতুন অ্যাপসের মাধ্যমে কৌশলে এ ধরনের ডিজিটাল হুন্ডি কার্যক্রম চলতে পারে উল্লেখ করে সিআইডি প্রধান বলেন, এ ধরনের কার্যক্রমরোধে সিআইডিসহ সব দায়িত্বরত প্রতিষ্ঠানকে ইন্টেলিজেন্স, মনিটরিং আরও বাড়াতে হবে। তিন মাস ধরে অস্বাভাবিক লেনদেন, রেমিট্যান্স ব্লক হলো অথচ বাংলাদেশ ব্যাংক টের পেল না? তাদের তো একটা শক্তিশালী মনিটরিং সেল আছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যর্থতা কি-না জানতে চাইলে সিআইডিপ্রধান বলেন, ব্যর্থতা বলবো না, সার্ভিলেন্স সিস্টেমকে কতটা পেট্রলিং করছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আমাদের পেট্রলিংয়ে এটা ধরতে পেরেছি। এর দায়িত্ব শুধু সিআইডি’র নয়, ডিবি, র‌্যাব, বাংলাদেশ ব্যাংকেরও। হুন্ডি তো আগেও হতো, এটাকে ডিজিটাল হুন্ডি বলছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এ সিস্টেম আসলেই ডিজিটাল হুন্ডি। আগে ফোন করে বলে দিতো অমুকের টাকা অমুককে দিয়ে দাও। এটা ম্যানুয়াল সিস্টেমে। কিন্তু এখন এসবের দরকার নেই। ফোন বা লোকাল এজেন্ট অথবা ডিস্টিবিশন হাউজ দরকার পড়ে না। অ্যাপস যেভাবে ইনস্ট্রাকশন দেবে সেভাবে নম্বরে নম্বরে টাকা চলে যায়।
২৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:০৬

রমজান মাসে ৪ বিশেষ আমল
রহমত, মাগফিরাত এবং নাজাতের মাস হলো রমজান। অন্য সব মাস থেকে এ মাসটি অধিক ফজিলতপূর্ণ। রমজান মাসের একটি নফল ইবাদত অন্য মাসের একটি ফরজ ইবাদতের সমান। মাসটিতে রয়েছে চারটি আমল বিশেষ। রমজান মাস প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে, ‘হে ঈমানদারগণ, তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর, যেন তোমরা পরহেজগারি অর্জন করতে পার।’ রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মাহে রমজানের প্রতি রাতেই একজন ফেরেশতা ঘোষণা করতে থাকেন: ‘হে পুণ্য অন্বেষণকারী, অগ্রসর হও। হে পাপাচারী, থামো এবং চোখ খোলো।’ তিনি আবার ঘোষণা করেন ‘ক্ষমাপ্রার্থীকে ক্ষমা করা হবে। অনুতপ্তের অনুতাপ গ্রহণ করা হবে। প্রার্থনাকারীর প্রার্থনা কবুল করা হবে।’ রমজান মাসে চারটি আমল বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে করার নির্দেশ দিয়েছেন রাসুল (সা.)।  হজরত সালমান (রা.) থেকে বর্ণিত-রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, এ মাসে তোমরা চারটি কাজ বেশি পরিমাণে করো। দুটি কাজ এমন, যা দিয়ে তোমরা তোমাদের প্রভুকে সন্তুষ্ট করবে। আর দুটি কাজ এমন, যা তোমাদের নিজেদেরই খুব প্রয়োজন। যে দুটি কাজ দিয়ে তোমরা তোমাদের প্রভুর সন্তুষ্টি অর্জন করবে। তা হলো- ১. কালেমায়ে তাইয়্যিবার সাক্ষ্যপ্রদান অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালার একত্ববাদের সাক্ষ্যদান। ২. আল্লাহর নিকট ইস্তেগফার করা অর্থাৎ নিজের গুনাহের জন্য তার কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করা।   আর যে দুটি বিষয় তোমাদের নিজেদেরই অধিক প্রয়োজন তা হলো- ১. তোমরা আল্লাহ তায়ালার কাছে জান্নাত প্রার্থনা করবে। ২. আর জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চাইবে (ইবনে খুজাইমা : হাদিস ১৮৮৭; বায়হাকি : হাদিস ৩৬০৮)।
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৩:০৪

মডেলিংয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মাসে আয় ১২ লাখ টাকা
বর্তমান এই সময়ে সব কিছুতেই লেগেছে প্রযুক্তির ছোঁয়া। রোবটের মাধ্যমে বিভিন্ন কাজ করা হচ্ছে বিভিন্ন সময়। আর এবার  এবার মডেলিংয়ে আসলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। আয়তানার গোলাপি চুল, সুন্দর চোখ, বয়স ২৫। কাজ করে বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবে। মাসে আয় করে ১২ লাখ টাকার কাছাকাছি। যে কেউ এই মডেলকে দেখে মুগ্ধ হবেন। কিন্তু আয়তানার বাস্তবে কোনো অস্তিত্ব নেই। কারণ, সে ভার্চুয়্যাল জগতের বাসিন্দা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন একটি প্রোগ্রাম। স্পেনের প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন (এআই) মডেল সে। তাকে তৈরি করেছে স্পেনের দ্য ক্লুলেস নামের একটি সংস্থা। আয়তানাকে তৈরির আগে দ্য ক্লুলেসের উদ্যোক্তা ও নকশাবিদ রুবেন ক্রুজকে কঠিন সময় পার করতে হচ্ছিল। তার সংস্থার কাছে তেমন কোনো গ্রাহক ছিল না। ইউরোনিউজকে ক্রুজ সেই সময়ের কথা তুলে ধরে বলেন, কঠিন এক সময়ে আতিয়ানা জন্ম নেয়। আমরা পরিস্থিতি বিবেচনা করতে বুঝতে পেরেছিলাম যে অনেক কাজ আমাদের বাতিল হচ্ছে। অনেক সমস্যার আমরা সমাধান করতে পারছি না। এর পেছনে কারণ ছিল, অনেক মডেল বা ইনফ্লুয়েন্সার ঠিকমতো কাজ করছে না। ক্রুজ বলেন, ওই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে আমরা নিজেদের ইনফ্লুয়েন্সার তৈরির কথা ভাবি। এমন একটি ইনফ্লুয়েন্সার তৈরি করতে চেয়েছিলাম যে মডেল হিসেবে কাজ করবে এবং বিভিন্ন ব্র্যান্ড তার প্রতি আকৃষ্ট হবে। তাদের আশা, এ ধরনের কৃত্রিম মডেল ব্যবহার করে বিজ্ঞাপনী প্রচারে খরচ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
২৬ মার্চ ২০২৪, ২১:০৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়