• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মালয়েশিয়ার কাছে অসহায় বাংলাদেশ!
মালয়েশিয়ায় তিন হাজার ৬০৪ জন বাংলাদেশি সেকেন্ড হোম তৈরি করেছেন। ২০১৮ সালে বাংলাদেশিদের এই সংখ্যা ছিলো ১৫০ জন। মাত্র চার বছরে এই সংখ্যা বেড়েছে ২৪ গুণ। আর এই সেকেন্ড হোম করতে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ মালয়েশিয়ার ব্যাংকে জমা রাখতে হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, তারা বৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে অর্থ নেননি। মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোমের মালিকদের মধ্যে বাংলাদেশিদের অবস্থান এখন চতুর্থ।  বিশ্লেষকেরা বলছেন, মালয়েশিয়ার দেয়া সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের বৈধ-অবৈধ অর্থ সেখানে পাচার হচ্ছে। আবার কেউ কেউ তৃতীয় দেশে অর্থ পাচারের জন্য মালয়েশিয়াকে রুট হিসেবে ব্যবহার করছে। মালয়েশিয়া আরো আগ্রাসী ভাবে এই প্রক্রিয়া চালাতে এখন সেকেন্ড হোম করার শর্ত আরো সহজ করেছে। প্ল্যাটিনাম, গোল্ড ও সিলভার এই তিন ভাগে আবেদনকারীদের ভাগ করা হয়। প্ল্যাটিনাম স্তরের আওতায় অংশগ্রহণকারীদের অবশ্যই ৫০ লাখ রিঙ্গিত ( ১ রিঙ্গিত= ২৭ টাকা), গোল্ড স্তরের ২০ লাখ এবং সিলভার স্তরের অংশগ্রহণকারীদের পাঁচ লাখ এর একটি স্থায়ী আমানত থাকতে হবে। এ ছাড়া নির্বাচিত সব স্তরের অংশগ্রহণকারীদের অবশ্যই বার্ষিক মোট ৬০ দিন মালয়েশিয়ায় বসবাসের ন্যূনতম প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে হবে। আবেদন প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য অভিবাসন বিভাগের সঙ্গেও কাজ করবে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। সব ফরম পূরণ করার পর নিরাপত্তা অনুসারে আবেদনকারী যোগ্য কি না, তা তিন কার্যদিবসের মধ্যেই যাচাই করা হবে। সংশোধিত শর্ত অনুযায়ী, আবেদনকারীরা ১০ বছরের আগে তাদের সম্পত্তি পুনরায় বিক্রি করতে পারবেন না এবং তাদের ভিসা প্রতি পাঁচ বছর পর পর নবায়ন করতে হবে। দেশটির সরকার আবেদনকারীদের সন্তানের জন্য পছন্দের স্কুল বেছে নেওয়ার সুবিধা দেবে। গত ২৯ মার্চ মালয়েশিয়ার পর্যটন, শিল্প ও সংস্কৃতি মন্ত্রী টিয়ং কিং সিং এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, দেশটিতে গত ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ৫৬ হাজার ৬৬ জন সক্রিয় সেকেন্ড হোম পাস হোল্ডার রয়েছেন। তালিকায় ২৪ হাজার ৭৬৫ জন পাসধারী নিয়ে শীর্ষে রয়েছে চীন। এরপরে যথাক্রমে দক্ষিণ কোরিয়ার চার হাজার ৯৪০ জন, জাপানের চার হাজার ৭৩৩ জন, বাংলাদেশের তিন হাজার ৬০৪ জন, যুক্তরাজ্যের দুই হাজার ২৩৪ জন, তাইওয়ানের এক হাজার ৬১১ জন, যুক্তরাষ্ট্রের এক হাজার ৩৪০ জন রয়েছেন। এছাড়া, সিঙ্গাপুরের রয়েছেন এক হাজার ২৮২ জন, ভারতের এক হাজার ২২৩ জন এবং অস্ট্রেলিয়ার এক হাজার ৬৯ জন। মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম প্রোগ্রামে ২০১৮ সালে পাঁচ হাজার ৬১০টি এবং ২০১৯ সালে তিন হাজার ৯২৯টি আবেদন অনুমোদন দেয়। প্রোগ্রামটি ২০২০ সালের আগস্টে সাময়িক বন্ধ ছিল। এরপর ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে প্রায় এক হাজার ৪৬৮টি আবেদন অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। সেকেন্ড হোম ক্যাটাগরির নানা আলোচনা ও সমালোচনার মধ্যে ২০২২ সালের অক্টোবরে মালয়েশিয়া সরকার নতুন করে মালয়েশিয়াজ প্রিমিয়ার ভিসা প্রোগ্রাম (পিভিআইপি) নামে প্রিমিয়াম ভিসা চালু করে। যেটি প্রায় সেকেন্ড হোম ক্যাটাগরির। পিভিআইপি প্রোগ্রামে আবেদন করেছেন মোট ৪৭ জন বিদেশি ধনী বিনিয়োগকারী, যাদের মধ্যেও একজন বাংলাদেশি আছেন। সেকেন্ড হোমের নামে আসলে কী হয় বাংলাদেশে অভিবাসন নিয়ে কাজ করা অভিবাসন বিষয়ক বিশ্লেষক হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, যারা সেকেন্ড হোম করেন তারা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ মালয়েশিয়ার ব্যাংকে জমা রাখার পর বাড়ি ও গাড়ি কেনেন। তারা সেখানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও খোলেন। এসব কাজের জন্য তারা যে অর্থ মালয়েশিয়ায় নেন তা বৈধভাবে নেয়ার সুযোগ নেই। পুরো অর্থই তারা অবৈধ পথে নেন। তার কথা, কেউ তাদের স্ত্রী সন্তানদের ওই দেশে রাখেন। তারা স্থায়ীভাবে ওই দেশে থাকেন। আর একটি অংশ আছে নির্দিষ্ট সময়ের পর তারা ওই দেশে তাদের সম্পদ বিক্রি করে দিয়ে তৃতীয় কোনো দেশে পাঠান। তারা বাংলাদেশের অবৈধ অর্থ মালয়েশিয়ায় নিয়ে বৈধ করেন। তার পর সেই অর্থ অন্য দেশে পাঠান। আর এই প্রক্রিয়া তারা অব্যাহত রাখেন। মালয়েশিয়াকে তারা অর্থ পাচারের রুট হিসাবে ব্যবহার করেন। তিনি বলেন, মালয়েশিয়ার সরকার সেকেন্ড হোমধারীদের সংখ্যা প্রকাশ করলেও তাদের নাম ঠিকানা ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট প্রকাশ করে না। কারণ তারা এটাকে বিদেশি অর্থ দেশে নেয়ার একটি কৌশল হিসাবে কাজে লাগাচ্ছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাংলাদেশের সেকেন্ড হোমধারীরা যদি গড়ে ১০ হাজার কোটি টাকাও পাচার করে থাকেন তাহলে তার মোট পরিমাণ ৩৭ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু বাস্তবে এর পরিমাণ আরো বহু গুণ বেশি। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোমের নামে বাংলাদেশ থেকে দুই ভাবে অর্থ পাচার হচ্ছে। প্রথম আমদানি রপ্তানির নামে ওভার এবং আন্ডার ইনভয়েসের মাধ্যমে অর্থ পাচার হচ্ছে। আর সরাসরি হুন্ডির মাধ্যমেও অর্থ পাচার হচ্ছে। আর এই অর্থের বড় একটি অংশ অবৈধ আয়। ঘুস, দুর্নীতি, প্রতারণা ও মাদক ব্যবসাসহ অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে এই অর্থ আয় হচ্ছে। তার কথা, বাংলাদেশ থেকে একজন নাগরিক বছরে সর্বোচ্চ ১২ হাজার ডলার বিদেশে নিতে পারেন। এর বাইরে কোনো সুযোগ নেই। আর বিশেষ ক্ষেত্রে সরকার বিদেশে বিনিয়োগের কিছু অনুমোদন দেয়। মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোমের নামে পুরো টাকাই অবৈধভাবে নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ইন্ডেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), সিআইডি, দুদক আন্তরিক হলে এই পাচারকারী কারা তাদের চিহ্নিত করে আইনি পদক্ষেপ নিতে পারে। বাংলাদেশের মতো মালয়েশিয়া দুর্নীতি বিরোধী জাতিসংঘ সনদে স্বাক্ষরকারী দেশ। আন্তর্জাতিক পাচারবিরোধী জোট আছে (এগমন্ট গ্রুপ) , মিউচুয়্যাল লিগ্যাল অ্যাসিসট্যান্স আইন আছে। এগুলো সরকারের সংস্থাগুলো ব্যবহার করলে মালয়েশিয়ায় অর্থ পাচারকারীদের নাম প্রকাশে বাধ্য হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, মালয়েশিয়া সেকেন্ড হোমের জন্য সেখানে অর্থ পাঠানোর কোনো অনুমোদন বাংলাদেশ ব্যাংক দেয়নি। বৈধভাবে ব্যাংকিং চ্যানেলে ওই অর্থ যায়নি। ওই অর্থ সেখানে কীভাবে গেল সেটা বিএফআইইউ এবং এনবিআর তদন্ত করে দেখতে পারে। এদিকে দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম বলেন, সেকেন্ড হোমের নামে মালয়েশিয়ায় যে অর্থ পাচার হয়েছে সেটা নিয়ে দুদকের সরাসরি কাজ করার কোনো সুযোগ নাই। যদি বাংলাদেশ ব্যাংক বা সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্য কোনো সংস্থা আমাদের তালিকা দেয়, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেয় তাহলে দুদক কাজ শুরু করতে পারে। তার কথা, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পেলে দেশে মানি লন্ডারিং আইন আছে, আন্তর্জাতিক আইন আছে। সেই আইনেই আমরা কাজ শুরু করতে পারি। বাংলাদেশের কারা মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম গড়েছে তা জানতে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছিল কয়েক বছর আগে। কিন্তু তাতে কোনো ফল আসেনি। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা মালয়েশিয়ার কাছে একটি তালিকা চেয়েছিলাম কিন্তু তারা দেয়নি। পরে বিভিন্ন ফোরামে আমরা যখন মালয়েশিয়ার প্রতিনিধিদের কাছে আবারো বিষয়টি তুলে ধরি তখন তারা বলে, এটা মালয়েশিয়া সরকারের একটি প্রণোদনা প্যাকেজ। আমরা (বিএফআইইউ) যদি তাদের প্রমাণ দিতে পারি যে কারা মানি লন্ডারিং করেছে বা কাদের বিরুদ্ধে এ সংক্রান্ত মামলা আছে তাহলে তাদের তথ্য তারা (মালয়েশিয়া) দেবে। কিন্তু তারা তালিকা দিলেই তো আমরা সেটা চেক করতে পারতাম। তারা দিচ্ছে না। তারা অ্যাভয়েড করছে। তালিকা দেবে না। তারা ইচ্ছে করে এটা করছে। আন্তর্জাতিক আইনের সহায়তা নেয়া যায় কী না তালিকা পেতে-এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওইসব আইনে কোনো দেশকে বাধ্য করা কঠিন। কোনো বাইন্ডিংস নেই।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪০

ঈদ উপলক্ষে দুদিনের টোল ফ্রি ঘোষণা মালয়েশিয়ার
পবিত্র রমজান শেষে নির্বিঘ্নে ঘরে ফেরা মানুষের সুবিধার্থে এবার ৮ ও ৯ এপ্রিল টোল ফ্রি ঘোষণা করেছে মালয়েশিয়া সরকার। বৃহস্পতিবার সরকারের তরফ থেকে এক বার্তায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়। ঘোষণা অনুযায়ী ৮ এপ্রিল রাত ১২টা থেকে হাইওয়েসহ সকল সড়কে টোল ফ্রি করা হবে। যা চলবে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত। ক্যাবিনেটে আলোচনার পর আনুষ্ঠানিক এ ঘোষণা আসে। হিসাব বলছে দুদিনের টোল ফ্রির এ ঘোষণায় ৩৭.৬ মিলিয়ন রিঙ্গিত টোল আদায় থেকে বঞ্চিত হবে সরকার। তবে বিপুল পরিমাণ মুসলিম সম্প্রদায়ের কথা চিন্তা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ওই বিবৃতিতে জানানো হয়। এ সময় নির্বিঘ্ন যাতায়াতে সবাইকে সচেতনভাবে চলাচলের জন্যও পরামর্শ দেওয়া হয়। প্রতি বছর ঈদ ও নতুন বছরকে সামনে রেখে এ ধরনের ঘোষণা দেন মালয়েশিয়ান সরকার।  সরকারের এ ঘোষণায় ৮ ও ৯ এপ্রিল রাস্তায় তুলনামূলক বেশি যানজটের আশঙ্কা করে বাড়তি সতর্ক অবস্থায় রয়েছে প্রশাসন। উল্লেখ্য, ঈদ পালনে বেশির ভাগ মালয়েশিয়ান গ্রামে ফিরতে পছন্দ করেন। সেখানে নিজেদের আত্মীয় স্বজনকে নিয়ে বেশ আনন্দঘন পরিবেশে ঈদ পালন করেন তারা।
২৯ মার্চ ২০২৪, ১১:০৯

বাংলাদেশি শ্রমিক সংকটে দুশ্চিন্তায় মালয়েশিয়ার চাষিরা
অপ্রত্যাশিত বিদেশি শ্রমিক সংকটে আগামী কয়েক মাসে সবজি চাষ কমিয়ে আনার চিন্তা করছে মালয়েশিয়ার ক্যামেরুন হাইল্যান্ডের সবজি খামারিরা। শুক্রবার (১৫ মার্চ) ক্যামেরুন হাইল্যান্ড মালয় ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দাতুক সৈয়দ আবদুল রহমানের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে মালয়েশিয়ার নিউ স্ট্রিট টাইমস। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারের বিদেশি শ্রমিকদের কোটা বাতিল করার পদক্ষেপ চলতি বছরের মে বা জুন থেকে দেশটির অর্থনীতিতে একটি বড় প্রভাব পড়বে। ক্যামেরুন হাইল্যান্ডসে প্রায় ৬০০০ জন ভাড়া করা বিদেশি শ্রমিক ছিল। এপ্রিল শুরুর আগেই বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার বেশির ভাগ শ্রমিক ঈদে তাদের নিজ নিজ দেশে ফিরে যাচ্ছে। যেসব শ্রমিক ১০ বছর খামারে কাজ করছেন তাদের অধিকাংশের ওয়ার্ক পারমিট আর রিনিউ হবে না। যাদের বৈধ পারমিট আছে তারা এখনও ১০ বছর কাজ করতে পারবেন কিন্তু ঈদের পরে মালয়েশিয়ায় না ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা, যা খুবই খুবই হতাশাজনক। এতে বলা হয়েছে, দেশটির পাইকারি বাজারের জন্য দৈনিক ১০০০ টন সবজি উৎপাদন করে ক্যামেরুন হাইল্যান্ড। কিন্তু শ্রমিকের ঘাটতি এ উৎপাদনকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করবে। খামারিরা বলেন, শ্রমিকের অভাবে অল্প জমি চাষ করবেন তারা। যদি একজন খামারির ১.৬ হেক্টর জমি থাকে, তবে তিনি ০.৮ হেক্টর চাষ করবেন। ফেডারেশন অব ভেজিটেবল ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন অব মালয়েশিয়ার চেয়ারম্যান লিম সের কুই বলেন, বিদেশি শ্রমিক কোটা বাতিল করায় বাজারে সবজির দাম বাড়বে। সৈয়দ আব্দুল রহমান বলেন, বিদেশি শ্রমিকের অভাব এবং পরবর্তীতে উৎপাদনে হ্রাস সরকারকে দাম স্থিতিশীল করতে বাইরে থেকে সবজি আমদানি করতে হবে। কর্মীর অভাব রোধে দেশটির সবজি অ্যাসোসিয়েশন সরকারের কাছে বিদেশি শ্রমিকদের আনার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করার চিঠি দিয়েছে।  
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৭:০৭

হাসপাতালে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির
মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাকে দেশটির ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) মাহাথিরের মুখপাত্র তার অসুস্থতার কথা নিশ্চিত করেন। তিনি ইনফেকশনে ভুগছেন বলা জানা গেছে। আধুনিক মালয়েশিয়ার জনক ৯৮ বছর বয়সী মাহাথির দীর্ঘদিন ধরে হার্টের জটিলতায় ভুগছেন। তাকে হার্টে বাইপাস করা হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে তাকে হাসপাতালে আনা নেওয়ার মধ্যেই রাখা হয়েছে। মালয়েশিয়ান বার্তাসংস্থা বার্নামা জানিয়েছে, মঙ্গলবার একটি মামলায় কোর্টে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল দীর্ঘ দুই দশক প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা মাহাথিরের। তবে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় আদালতে যেতে পারেননি তিনি। সবশেষ গত ২৬ জানুয়ারি মাহাথিরকে মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল হার্ট ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে মাহাথিরের মুখপাত্র বলেছেন, মাহাথির গত ২৬ জানুয়ারি হার্ট ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন। বর্তমানে প্রদাহজনিত সমস্যার চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি। এর আগে রিকভারির জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম নেন তিনি। ২০২৩ সাল পর্যন্ত মাহাথির মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টানা ২২ বছর ছিলেন। পরে ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি আবারও নির্বাচিত হন। তখন ৯২ বছর বয়সে সংস্কারবাদী জোটের প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন তিনি। কিন্তু রাজনৈতিক অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে দুই বছরও টিকতে পারেনি তার সরকার।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪৯

অবৈধ অভিবাসীদের জন্য মালয়েশিয়ার ‘বিশেষ সুযোগ’
মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে নিয়মিত চলছে অভিযান। তা সত্ত্বেও অবৈধ অভিবাসীদের বড় একটি অংশ রয়ে গেছে দেশটির অভিবাসন পুলিশের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এবার অবৈধ এই অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরার জন্য বিশেষ সুযোগ দিতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। শিগগিরই তাদের জন্য প্যাকেজ ঘোষণা করবে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। এমন সিদ্ধান্তে খুশি প্রবাসী বাংলাদেশিরাও। মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, সাধারণ ক্ষমার আওতায় স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে চলতি বছরের ১ মার্চ থেকে বাস্তবায়ন করা হবে নতুন এই কর্মসূচি।   তবে, যথাযথ কাগজপত্র ছাড়া মালয়েশিয়ায় প্রবেশ, অভিবাসন আইন লঙ্ঘন এবং ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরার আগে অভিবাসন সংক্রান্ত অপরাধের জন্য অবৈধ অভিবাসীদের কাছ থেকে জরিমানা বাবদ ৩০০ থেকে ৫০০ রিঙ্গিত জরিমানা করা হবে। এর মধ্য দিয়ে পুলিশের হাতে আটক ও কারাগারে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবেন অভিবাসীরা।   এর আগে, দেশটির সরকার অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা দিতে ‘আরটিকে ২.০’ নামের একটি প্রোগ্রামের ঘোষণা দেয়, যার মেয়াদ বিদায়ী বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়ে গেছে। তবে রেজিস্ট্রেশন পর্ব শেষ হলেও, এর যাচাইকরণ প্রক্রিয়া চলবে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত।    এই প্রোগ্রামে এখন পর্যন্ত ম্যানুফ্যাকচারিং, কনস্ট্রাকশন, ফার্মিং, এগ্রিকালচার ও সার্ভিস সেক্টরে প্রায় ৫ লাখ ১৮ হাজার অবৈধ অভিবাসী তাদের নাম নিবন্ধন করেছেন।
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:০৩

মালয়েশিয়ার নতুন রাজা সুলতান ইব্রাহিম
মালয়েশিয়ার ১৭তম রাজা হিসেবে শপথ নিলেন ধনকুবের সুলতান ইব্রাহিম। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানী কুয়ালালামপুরে শপথ নিয়েছেন তিনি, অভিষেক অনুষ্ঠানও হয়েছে সেখানেই। আগামী ৫ বছর এই পদে থাকবেন সুলতান ইব্রাহিম। দেশটির জোহর রাজ্যের শাসক ছিলেন নতুন এই রাজা। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এই খবর জানিয়েছে। গেল বছরের ২৭ অক্টোবর দেশটির রয়্যাল কাউন্সিল নতুন রাজা হিসেবে সুলতান ইব্রাহিমের নাম ঘোষণা করে। আজ শপথগ্রহণের মধ্য দিয়ে তিনি মালয়েশিয়ার সদ্যবিদায়ী রাজা আল সুলতান আবদুল্লাহর স্থলাভিষিক্ত হলেন। বস্তুত, মালয়েশিয়ায় এক ধরনের ব্যতিক্রমী রাজতন্ত্র চালু আছে। দেশটির ১৩টি প্রদেশের ৯টি’র প্রত্যেকটিতে এক একটি প্রাচীন রাজনৈতিক পরিবার রয়েছে। এসব পরিবার থেকেই চক্রাকারে প্রতি পাঁচ বছরের জন্য বেছে নেওয়া হয় রাজা। ১৯৫৮ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে মালয়েশিয়া। রাজতন্ত্রকে মূলত রাজনীতির ঊর্ধ্বের বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু নতুন রাজা সুলতান ইব্রাহিম তার স্পষ্টবাদিতা ও অনন্য ব্যক্তিত্বের জন্য সুপরিচিত। তিনি প্রায়ই দেশের রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে কথা বলেন।  সুলতান ইব্রাহিমের আবাসন থেকে শুরু করে খনি পর্যন্ত বিস্তৃত ব্যাপক ব্যবসা আছে। তার সংগ্রহে বহু বিলাসবহুল গাড়ি ও মোটরবাইক আছে। অভিষেকের আগে তিনি সিঙ্গাপুরের স্ট্রেইটস টাইমস সংবাদপত্রকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি একজন সক্রিয় রাজা হতে চান। তিনি প্রস্তাব করেন, মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি পেট্রলিয়াম ন্যাশিওনাল ও দেশটির দুর্নীতি দমন সংস্থা সরাসরি রাজার কাছে প্রতিবেদনে পেশ করুক। তিনি মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে হাই স্পিড রেল সংযোগ প্রকল্প পুনরুজ্জীবনে নিজের পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেছিলেন। তার এসব বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় পরে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, ফেডারেল সংবিধানকে মেনেই সব ধরনের মতামত নিয়ে আলোচনা চালানো যায়।  রাজার মূলত প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার পরামর্শ মতোই চলার কথা। তবে ফেডারের সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে তারও কিছু বিবেচনামূলক ক্ষমতা আছে। পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের নেতা বলে যাকে তিনি বিবেচনা করবেন তাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করার ক্ষমতা আছে তার।
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:১৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়