• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সাময়িক বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়ে লাপাত্তা রেস্টুরেন্ট মালিকরা
রাজধানীর বেইলি রোডে ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টে অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যুর পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ-অননুমোদিত রেস্টুরেন্ট ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অভিযানের খবরে ‘সাময়িক বন্ধ’ নোটিশ ঝুলিয়ে লাপাত্তা রেস্টুরেন্ট মালিকরা। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানের খবর পেয়ে সকাল থেকেই খিলগাঁওয়ের শহীদ বাকি সড়কের দুই পাশের শতাধিক রেস্তোরাঁ বন্ধ রেখেছে মালিকপক্ষ। মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার ৫৮৯/সি ঠিকানার ভবনটিতে ‘কাচ্চি ভাই’, ‘সিরাজ চুইগোস্ত’সহ পাঁচটি রেস্তোরাঁ রয়েছে। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ভবনের মূল ফটকে তালা দেওয়া। ‘রেস্টুরেন্টের উন্নয়নকাজের জন্য প্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধ’ এমন একটি নোটিশ ঝুলানো। এতে ভবনটি আর পরিদর্শন করতে পারেননি ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম। পরে সেখানকার বহুতল একটি ভবনে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। সাত তলা ভবনটির প্রতিটি তলাতেই রেস্তোরাঁ ছিল। ভবনের দ্বিতীয় তলায় শর্মা কিং রেস্তোরাঁয় অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে এ সময় রেস্তোরাঁর মালিক বা ব্যবস্থাপক ছিলেন না। তাদের মোবাইলে কল দিয়েও পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া রেস্তোরাঁর কর্মীরাও কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। একই ভবনের তৃতীয় তলায় পাস্তা ক্লাব নামে আরেকটি রেস্তোরাঁয় ঢুকে মালিককে পাননি ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ভবনটি অগ্নিনিরাপত্তার ক্ষেত্রে অত্যাধিক ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ লেখা একটি ব্যানার টানিয়ে দেয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রতিনিধিরা। পরে সাততলা এ ভবনটি সিলগালা করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অগ্নিঝুঁকি থাকায় ভবনটি আপাতত বন্ধ থাকবে। ভবন মালিক এবং সংশ্লিষ্ট রেস্তোরাঁর মালিকরা সঠিক কাগজপত্র দেখাতে পারলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে সকালে রাজধানীর বেইলি রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে সুলতান’স ডাইন রেস্তোরাঁ সিলগালা করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। কাগজপত্র দেখাতে না পারায় রেস্তোরাঁটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া ‘নবাবী ভোজ’ নামে বেইলি রোডের আরেকটি রেস্টুরেন্ট সিলগালা করে দেওয়া হয়। অভিযানে রেস্টুরেন্টটি বন্ধ পাওয়া যায়। রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনির হোসেন বলেন, রাজউক নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। শুধু রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে না। যেখানে সমস্যা বা কোনো ব্যাত্যয় পাওয়া যাচ্ছে, সেখানেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী ও ৮ জন শিশু। ভয়াবহ এই ঘটনার পরেই অবৈধ-অননুমোদিত রেস্টুরেন্ট ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। অভিযানে নামে রাজউকসহ বিভিন্ন সংস্থা।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৯:০৯

মেট্রোর চাপে দিশেহারা বাস মালিকরা
মেট্রোরেল চালুর পর পাল্টে গেছে রাজধানীর মিরপুর-মতিঝিল রুটের দৃশ্য। পথের যানজট অনেকটাই কমেছে। যাত্রীর অভাবে বন্ধ প্রায় অর্ধেক বাস-মিনিবাস। যানবাহন বিক্রির চেষ্টা করছেন অনেক মালিক। আর পরিবহন শ্রমিকরা পেশা পরিবর্তনের উপায় খুঁজছেন। এ যেন প্রদীপের নীচে অন্ধকার! উপরে যখন ঝা চকচকে আধুনিক গণপরিবহন মেট্রোরেলে যাত্রীদের উপচে পড়া ভীড়, ঠিক তার নীচে ধুকে ধুকে চলা মেয়াদহীন বাস-মিনিবাসে যাত্রী খড়া। আধুনিক যাতায়াতের সুযোগ পেয়ে উত্তরা-মিরপুর-মতিঝিল রুটের যাত্রীরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন ফিটনেস আর শৃঙ্খলাহীন বাস মিনিবাস থেকে। যুগের পর যুগ যাদের হাতে জিম্মি ছিলেন এ পথে যাত্রীরা।  সিটিং সার্ভিসের নামে ওয়েবিলের অত্যাচার, কিংবা ১৫ টাকা জ্বলানির দাম বাড়ায় ২৭ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি। প্রতিবাদ করলে এসব পরিবহন থেকে নামিয়ে দেওয়ার রেকর্ড পর্যন্ত আছে। অথচ সেইসব পরিবহনই এখন যাত্রী খুঁজছে। মিরপুর ১২ থেকে যাত্রীবাড়িগামী বিকল্প পরিবহনের এই সহকারীর আয় অর্ধেকের নীচে নেমে আসায় তিনি গ্রামে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আধাঘন্টা ডাকাডাকি করেও পিক আওয়ারে তার গাড়িতে উঠেছেন দুজন যাত্রী। পরিবহন শ্রমিকরা বলছেন, আগে যে পরিমাণ যাত্রী হত তা এখন নাই বললেই চলে। মেট্রোরেল চালুর আগে দৈনিক যে বেতন পাওয়া যেতো তা এখন অর্ধেকে নেমে এসেছে। এখন নিজে চলবো কিভাবে আর সংসারই বা চালাবো কি করে।    শ্রমিকদের হতাশায় দ্বগ্ধ মালিকরাও। চালক খরায় কেউ গাড়ি বন্ধ রেখেছেন, কেউ আবার বাস বিক্রির উপায় খুঁজছেন। বিকল্প পরিবহনের ম্যানেজার মো. সবুজ জানান, যাত্রী স্বল্পতায় ৪৫টি বাসের ২৫টি রাস্তায় নামাতে পারেননি। এ রুটের অন্য পরিহবনগুলোরও প্রায় একই অবস্থা। পরিবহন নেতারা বলছেন, বাস মালিকদের বাঁচাতে বিকল্প পথ পাচ্ছেন না তারা। ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান বলেন, এখন কোনো রকম টিকে আছে বাস মালিকরা। হয়ত অনেকেই এই গাড়ির ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে পারবে না। সরকার যদি এদের ব্যাপারে কোনো নতুন উদ্যোগ না নেয় তাহলে এ ব্যবসা থেকে মালিকদের সরে যেতে হবে।    এমন বাস্তবতা থেকে পরিবহন মালিকদের শিক্ষা নিতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। জনগনকে জিম্মি করে নয়, বরং নিয়ম মেনে সেবা দেওয়ার মানসিকতা নিয়ে ব্যবসা পরিচালনার পরামর্শ তাদের।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:১০

‘মিল মালিকরা শিয়ালের চেয়েও ধূর্ত’
চাল ব্যবসার সঙ্গে জড়িত মিল মালিকরা শিয়ালের চেয়েও ধূর্ত বলে তীর্যক মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বগুড়া জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে করণীয় নির্ধারণে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। ‘চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে করণীয়’ নির্ধারণে এ সভায় খাদ্যমন্ত্রী চালের দাম মাঝে মাঝে অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ার পেছনে চাল ব্যবসায়ীদের ভূমিকা আছে বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে নয় মাস চালের দাম বাড়েনি। নির্বাচন পরবর্তী সরকার গঠনের সময় লোভী ব্যবসায়ীরা লোভ দমাতে পারেননি বলে দাম বেড়ে গেছে। আমনের ভরা মৌসুমে চালের দাম বৃদ্ধি কোনভাবেই যুক্তিসঙ্গত নয়। খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের অবহেলার জন্য তাদের ‘তোমার কি ঘোড়ার ঘাস কাট’ বলেও তিরস্কার করেন খাদ্যমন্ত্রী। মিল মালিকদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। আপনারা জানেন? মিনিকেট বলে কোনো চাল নেই, আপনি মিনিকেট বলে কোনো চাল বিক্রি করতে পারবেন না। বস্তার গায়ে ধানের জাত উল্লেখ করতে হবে। মিল গেটে চালের রেট লিখতে হবে, উৎপাদনের তারিখ লিখতে হবে। আর ছাঁটাই কমাতে হবে। আমাদের প্রায় ১৬-২০ লাখ টন চাল আপনারা বাতাসে উড়ায় দেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এতগুলো মিলের মধ্যে সিন্ডিকেট আছে, সেটা আমি বিশ্বাস করি না। তবে হ্যাঁ মিল মালিকদের মধ্যে কিন্তু সেরকম প্রবণতা আছে। যদি বলেন কুষ্টিয়ার দুজন, চাঁপাইয়ের একজন বা দুজন, নওগাঁর দুজন, দিনাজপুরের দুই থেকে তিনজন, ঝিনাইদহের আছে দুজন। তারা নিজেদের মধ্যে মেসেজ চালাচালি করে যে, আজ এই দরে (চাল) বিক্রি করব, আর এই দামে ধান কিনব।’ খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, যখন একটা শিয়াল ডাক দেয়, তখন সব শিয়াল একসঙ্গে ডাক দেয়। এখন বেয়াদবি মাপ করবেন। এই না যে, আমি আপনাদের শিয়াল বলছি। তবে এটাও ঠিক, চাউলের ব্যবসার বিষয়ে আপনারা শিয়ালের চেয়েও ধূর্ত। এটা অকপটে আমাকে বলতে হয়। এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার পাল, খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন, পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাজী সাইফুদ্দীন, শেরপুর ইউএনও সুমন জিহাদী, ব্যবসায়ীদের পক্ষে আমিনুল ইসলাম দুদু, গোলাম কিবরিয়া বাহার, শাহ আবুল কালাম আজাদ, নাহিদুল ইসলাম, ফরিদ আহমেদ মোল্লা প্রমুখ।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৫৯

ইইউর কাছে ন্যায্যমূল্য দাবি করলো শিল্প মালিকরা
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কর্মকর্তারা বলেছেন, মানবাধিকার ও পরিবেশ সুরক্ষায় বাংলাদেশকে ডিউ ডিলিজেন্স মানতে হবে। সেটা না মানলে নিষেধাজ্ঞা ও জরিমানা করা হবে। এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে ব্র্যান্ডগুলোকে বাধ্য করা হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের উৎপাদকরা জানিয়েছেন, নিয়মকানুন মানলে খরচ বেশি হবে। সেজন্য ক্রেতাদের কাছ থেকে পণ্যের ন্যায্যমূল্য পরিশোধ করতে হবে। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ‘আইনের যথাযথ পরিপালন’ শীর্ষক বৈঠকে এসব কথা বলেন দেশের তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের ব্যবসায়ীরা। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ (আইবিএফবি) এই বৈঠকের আয়োজন করে। আইবিএফবি সভাপতি হুমায়ুন রশীদের সভাপতিত্বে বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডেপুটি হেড অব ইইউ মিশন বার্নড স্প্যানিয়ার। বৈঠকে আলোচক ছিলেন, বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান, নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন এবং আইবিএফবি সহসভাপতি এম এস সিদ্দিকী। 
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:৫৮

ওষুধের দাম বাড়াতে চান শিল্প মালিকরা
অভ্যন্তরীণ বাজারে ওষুধের দাম আরও বাড়াতে চাচ্ছেন শিল্প-মালিক সমিতির নেতারা। এর পেছনে ব্যাংক ঋণের সুদ, জ্বালানি খরচ এবং ডলারের চড়া দরের অজুহাত দিচ্ছেন তারা। বাংলাদেশ ওষুধশিল্প মালিক সমিতির নেতাদের ভাষ্য, সার্বিকভাবে ব্যবসার খরচ বেড়ে যাওয়ায় দামের সমন্বয় দরকার। বৃহৎ এই শিল্পের ৮০ শতাংশ কাঁচামাল আমদানি নির্ভর। ফলে ডলারের চড়া মূল্যের কারণে সংকটে পড়েছেন উদ্যোক্তারা। এ ছাড়া জ্বালানি সরবরাহ কমে যাওয়ায় পুরোদমে চলছে না কারখানাগুলো। সার্বিকভাবে যা বাড়িয়েছে উৎপাদন ব্যয় এবং ব্যবসার খরচ। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে আবারো দাম বাড়ানোর ইঙ্গিত দিলেন মালিক সমিতির নেতারা। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প মালিক সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি আবদুল মুক্তাদির বলেন, এখন ডলারের দাম বেড়ে অফিসিয়ালি ১১০ থেকে ১১১ টাকা হয়েছে। আগে যা ছিল ৮৬ টাকা। আমরা ওষুধের কাঁচামাল আমদানি করতে ১১৯ থেকে ১২০ টাকায় ডলার কিনছি। ফলে পর্যায়ক্রমে ওষুধের দর বিন্যস্ত করার চিন্তা করছি।     প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ‘আগে ডলারের মূল্য ছিল ৮৬ টাকা। এখন সেটা ১১০ টাকা। স্বাভাবিকভাবেই খরচ বেড়ে গেছে। ফলে ওষুধের দাম বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে। অন্যথায় ব্যবসায়ীদের লোকসান গুনতে হবে। এভাবে তো ব্যবসা চলতে পারে না।‘  সময়ের সঙ্গে ওষুধশিল্পের বিকাশ ঘটলেও কাঁচামাল উৎপাদনে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছেন না উদ্যোক্তারা। এমনকি বছর দশেক আগে এপিআই পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা এখনও পড়ে আছে পরিত্যক্ত অবস্থায়। এমন অবস্থায়  প্রয়োজনে বিকল্প জ্বালানি ব্যবহার করে হলেও সেখানে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর  উপদেষ্টা। প্রসঙ্গত, বর্তমানে দেশে ওষুধের বাজার প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার। যার ৯৮ শতাংশের জোগানই আসে দেশীয় কারখানাগুলো থেকে। তাছাড়া চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে রপ্তানি হয়েছে এক হাজার কোটি টাকার পণ্য। গেলো বছরের একই সময়ের তুলনায় যা বেড়েছে সোয়া ৮ শতাংশ। বর্তমানে প্রায় ১৫০টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশের তৈরি ওষুধ।  
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:২৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়