• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিবেদন / মার্চে সড়কে ঝরল ৫৬৫ প্রাণ, আহত ১২২৮
গত মার্চে ৫৫২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৬৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১২২৮ জন। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, এ সময়ে ১৮১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২০৩ জন নিহত ও ১৬৬ জন আহত হয়েছেন। যা মোট দুর্ঘটনার ৩২.৭৮ শতাংশ, নিহতের ৩৫.৯২ শতাংশ ও আহতের ১৩.৫১ শতাংশ। একই সময়ে রেলপথে ৩৮টি দুর্ঘটনায় ৩১ জন নিহত ও ৮৬ জন আহত হয়েছেন। নৌপথে সাতটি দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত ও ১৭ জন আহত হয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌপথে সর্বমোট ৫৯৭টি দুর্ঘটনায় ৬১২ জন নিহত ও ১৩৩১ জন আহত হয়েছেন। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌপথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংগঠনটি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মার্চ মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে ১৬২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত ও ৩০৬ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে বরিশাল বিভাগে। সেখানে ২৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২ জন নিহত ও ৯২ জন আহত হয়েছেন। প্রতিবেদনে মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, প্রকাশিত এই তথ্য দেশে সংগঠিত সড়ক দুর্ঘটনার প্রকৃত চিত্র নয়। এটি কেবল গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য। দেশে সংগঠিত সড়ক দুর্ঘটনার একটি বড় অংশ প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত গণমাধ্যমে স্থান পায় না। তাই এসব তথ্য আমাদের প্রতিবেদনে তুলে ধরা সম্ভব হয় না। দেশে সড়ক দুর্ঘটনার প্রাথমিক উৎসস্থল দেশের হাসপাতালগুলোতে দেখলে এমন ভয়াবহ তথ্য মেলে।  ঢাকা জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (পঙ্গু হাসপাতালে) মার্চ মাসে ১৩৬৯ জন সড়ক দুঘর্টনায় গুরুতর আহত পঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। একটি দুঘর্টনায় ১০ জন আহত হলে তার মধ্যে কেবল একজন গুরুতর আহত বা পঙ্গু হন। বাংলাদেশে ১০ হাজার সরকারি ও ছয় হাজার বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। এসব হাসপাতালে প্রতিবছর সড়ক দুঘর্টনায় আহত প্রায় তিন লাখের বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছে। অথচ গণমাধ্যমে তার ১০ ভাগের এক শতাংশ তথ্যও প্রকাশিত হয় না বলে আমরা ঘটনার ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরতে পারি না। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে মার্চ মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হচ্ছে— ট্রাফিক আইনের অপপ্রয়োগ, দুর্বল প্রয়োগ, নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনিয়ম দুর্নীতি ব্যাপক বৃদ্ধি, মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও তিন চাকার যানের ব্যাপক বৃদ্ধি ও এসব যানবাহন সড়ক মহাসড়কে অবাধে চলাচল, সড়ক-মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কে বাতি না থাকা, রাতের বেলায় ফগ লাইটের অবাধ ব্যবহার, সড়ক-মহাসড়কে নির্মাণ ক্রটি, ফিটনেস যানবাহন ও অদক্ষ চালকের হার ব্যাপক বৃদ্ধি, ফুটপাত বেদখল, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা, উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি এবং অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালানো। দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশগুলো হচ্ছে, রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে প্রাথমিক উৎস থেকে সড়ক দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ডাটা ব্যাংক চালু করা, স্মার্ট গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা, মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মতো ছোট ছোট যানবাহন আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা, দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, ডিজিটাল পদ্ধতিতে যানবাহনের ফিটনেস প্রদান, রাতের বেলায় বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল চালকদের রিফ্লেক্টিং ভেস্ট পোশাক পরিধান বাধ্যতামূলক করা, সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা, রাতের বেলায় চলাচলের জন্য জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে পর্যাপ্ত আলোক সজ্জার ব্যবস্থা করা, ব্লাক স্পট নিরসন করা, সড়ক নিরাপত্তা অডিট করা, স্টার মানের সড়ক করিডোর গড়ে তোলা এবং দেশে সড়কে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ’র চলমান গতানুগতিক কার্যক্রম অডিট করে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা চিহ্নিত করা, প্রাতিষ্ঠানিক অকার্যকারিতা জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করা।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১৬

মার্চে সড়কে ঝরেছে ৫৫০ প্রাণ
গত বছরের প্রথম তিন মাসের তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েছে। গত মার্চ মাসে সারাদেশে ৬২৪টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ৫৫০ জন মানুষ মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ৬৮৪ জন। যেখানে গত বছরের মার্চে ৩৮৭টি দুর্ঘটনায় নিহত হন ৪১৫ জন। দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি চট্টগ্রাম বিভাগে আর সবচেয়ে কম বরিশাল বিভাগে।       বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদারের গত ৯ এপ্রিল স্বাক্ষরিত সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। বিআরটিএর বিভাগীয় অফিসের মাধ্যমে সারাদেশের সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান সংগ্রহ করা হয়েছে বলেও জানায় সংস্থাটি। প্রতিবেদনের তথ্যে বলা হয়েছে, ঢাকা বিভাগে ১০৫টি দুর্ঘটনায় ৯৮ জন নিহত এবং ৯০ জন আহত হয়েছেন। চট্টগ্রাম বিভাগে ১২২টি দুর্ঘটনায় ১০৪ জন নিহত এবং ১৫০ জন আহত হয়েছেন; রাজশাহী বিভাগে ১১৯টি দুর্ঘটনায় ১০৩ জন নিহত এবং ৭৮ জন আহত হয়েছেন; খুলনা বিভাগে ৮৪টি দুর্ঘটনায় ৭১ জন নিহত এবং ৮৯ জন আহত হয়েছেন; বরিশাল বিভাগে ৩২টি দুর্ঘটনায় ২৮ জন নিহত এবং ৮৪ জন আহত হয়েছেন; সিলেট বিভাগে ৩৭টি দুর্ঘটনায় ৩৫ জন নিহত এবং ৭৩ জন আহত হয়েছেন; রংপুর বিভাগে ৬৭টি দুর্ঘটনায় ৬০ জন নিহত এবং ৬৫ জন আহত হয়েছেন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৫৮টি দুর্ঘটনায় ৫১ জন নিহত এবং ৫৫ জন আহত হয়েছেন। মার্চ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত মোটরযানের মধ্যে মোটরকার/জিপ ৩০টি, বাস/মিনিবাস ৯০টি, ট্রাক/কাভার্ডভ্যান ২০৪টি, পিকআপ ৪০টি, মাইক্রোবাস ১৯টি, অ্যাম্বুলেন্স ৪টি, মোটরসাইকেল ২০৪টি, ভ্যান ২৯টি, ট্রাক্টর ৩০টি, ইজিবাইক ৪১টি, ব্যাটারিচালিত রিকশা ৪৪টি, অটোরিকশা ৭২টি ও অন্যান্য যান ১৪৮টিসহ সর্বমোট ৯৫৫টি যানবাহন রয়েছে। এগুলোর মধ্যে মোটরকার/জিপ দুর্ঘটনায় ১২ জন, বাস/মিনিবাস দুর্ঘটনায় ৪৬ জন, ট্রাক/কাভার্ডভ্যান দুর্ঘটনায় ৮৫ জন, পিকআপ দুর্ঘটনায় ১৬ জন, মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় ১৩ জন, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬১ জন, ভ্যান দুর্ঘটনায় ১৫ জন, ট্রাক্টর দুর্ঘটনায় ১৬ জন, ইজিবাইক দুর্ঘটনায় ২২ জন, ব্যাটারিচালিত রিকশা দুর্ঘটনায় ২০ জন, অটোরিকশা দুর্ঘটনায় ৫৯ জন ও অন্যান্য যান দুর্ঘটনায় ৮৪ জনসহ সর্বমোট ৫৫০ জন নিহত হয়।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২৮

মার্চে ১০ শতাংশ বেড়েছে রপ্তানি আয়
চলতি বছরের মার্চে পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছে ৫১০ কোটি ২৫ লাখ ডলার। এ সময় রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি প্রায় ১০ শতাংশ।  মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। মার্চের রপ্তানি ১০ শতাংশ বাড়লেও মাসিক লক্ষ্যমাত্রা ৫ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে শূন্য দশমিক ৮৮ শতাংশ কম। এ ছাড়া একক মাস হিসাবে মার্চে রপ্তানির নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি। মূলত তৈরি পোশাক পণ্যের চালান বৃদ্ধি পাওয়ায় রপ্তানি আয় বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) ৪৩ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেশি। তৈরি পোশাক, কৃষি, প্লাস্টিক খাতে রপ্তানি আয় বেড়েছে। অর্থবছরের ৯ মাসে তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় সাড়ে ৫ ভাগ।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৫৫

মার্চে প্রবাসী আয় প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা
চলতি বছরের মার্চ মাসে প্রবাসীরা ১৯৯ কো‌টি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরে যার পরিমাণ ২১ হাজার ৯৬৫ কোটি টাকা।  সোমবার (১ এপ্রিল) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৬৯ কোটি ১৭ লাখ ডলার এসেছে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে।  এ ছাড়া রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৬ কোটি ১৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, শেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩ কোটি ৫২ লাখ ৭ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৮১ লাখ ১০ হাজার ডলার। সাতটি ব্যাংকে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এর আগে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রবাসীরা ২১০ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রবাসীরা ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। এ ছাড়া ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বর ১৯৩ কোটি ডলার এবং ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স। উল্লেখ্য, ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রবাসীরা ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।  
০১ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৫৫

ঢাকা-চট্টগ্রাম আট লেন প্রকল্পের সমীক্ষা শুরু হচ্ছে মার্চে
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী জানিয়েছেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক আট লেন প্রশস্তকরণ ও উভয় পাশে সার্ভিস লেন নির্মাণ প্রকল্পের সমীক্ষা আগামী মার্চে শুরু হচ্ছে।  রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আয়োজনে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এই তথ্য জানান। আমিন উল্ল্যাহ জানান, কোন এলাকায় ছয় লেন; কোন এলাকায় আট লেন হবে তা সমীক্ষায় নির্ধারণ করা হবে। এটি নির্ধারিত হবে যানবাহনের চাপের ওপর ভিত্তি করে। তবে এটি আমাদের ফাইনাল মিটিং নয়। আমরা সবগুলো স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বসবো। সবার পরামর্শ নেওয়া হবে। তারপর চূড়ান্ত ডিজাইন করা হবে। সভায় জানানো হয়, নতুন প্রকল্পের আওতায় নারায়ণগঞ্জের মদনপুর, কুমিল্লা, চট্টগ্রামের বারইয়ারহাট থেকে সিটি গেট পর্যন্ত যেসব স্থানে যানজট তৈরি হতে পারে, সেসব স্থানে ওভারপাস করে দেওয়া হবে। যেসব স্থানে সড়ক বাঁকা, সেগুলো সোজা করা হবে। এটি সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প। প্রকল্পটিতে অর্থায়নে অনেক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা আগ্রহ দেখিয়েছে। সভায় চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম বলেন, আমাদের গভীর সমুদ্র বন্দর চালু হলে আট লেনে হবে না। তাই চট্টগ্রাম থেকে রামগড় পর্যন্ত এই সড়কে দশ হাজার গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করা দরকার। একই সঙ্গে রামগড় স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য ব্যবহার করে সুনামগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার ৩ ঘণ্টায় যাতায়াত করা যাবে। এটি বাস্তবায়ন করতে পারলে আমাদের সময় ও অর্থ খরচ দুটোই কম হবে। চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি আট লেনে উন্নীত করার দাবি জানিয়ে আসছি। আট লেনে উন্নীত হলে যানজট কমবে, খরচও কমবে। তবে চট্টগ্রাম ছাড়া সারাদেশে কোথায় ওয়েট স্কেল নেই। এটির কারণে দেশের অন্যান্য স্থানের তুলনায় আমাদের পরিবহন খরচ বেড়ে যায়। এটি সমাধান করা উচিত।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৫২

বেলুচ ন্যাশনাল মুভমেন্টের লং মার্চে অনেকের সংহতি
বেলুচ ন্যাশনাল মুভমেন্ট জার্মানি চ্যাপ্টার শনিবার বালুচ নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারের জন্য লং মার্চের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। জার্মানিতে বসবাসরত বেলুচ সম্প্রদায়ের বিপুল সংখ্যক সদস্য এই বিক্ষোভে অংশ নেন। বেলুচিস্তানে পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক সংঘটিত ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং বেলুচ গণহত্যার বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ লং মার্চের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি তুলে ধরা হয় বিক্ষোভ সমাবেশে। বেলুচ ন্যাশনাল মুভমেন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাম্মাল খান বিক্ষোভে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, বালাচ মোলা বখশের ভুয়ো এনকাউন্টারের পরে তুরবাতে শুরু হওয়া এই আন্দোলন কোনও ব্যক্তি বা কোন পরিবারের জন্য নয়। বরং এটি সমগ্র বেলুচ জাতির জন্য। কারণ কোনও আন্দোলন কোনও ব্যক্তি বা কোনও নির্দিষ্ট অঞ্চলের জন্য নয় বা কোনও দলের নয়। প্রকৃতপক্ষে, এটি সমগ্র জাতির আন্দোলন। মাতৃভূমি থেকে আমরা যতই দূরে থাকি না কেন, জাতীয় স্বকীয়তা বোধ আমরা আমাদের ভেতরে বহন করি। হাম্মাল খান আরও বলেন, আজ আমরা এখানে আছি এবং আমাদের জনগণের কণ্ঠস্বর হওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। তিনি আরও সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যেদিন আমরা জাতীয় স্বকীয়তা বোধ থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নেব, সেই দিনটি হবে আমাদের মৃত্যুর দিন। বেলুচ ন্যাশনাল মুভমেন্ট জার্মানি চ্যাপ্টারের সভাপতি আসগর আলী এমন একটি শক্তিশালী আন্দোলন সংগঠিত করার জন্য বেলুচ মহিলাদের ভূমিকার প্রশংসা করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি ২০০৯ সালে অপহৃত বেলুচ স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশনের নেতা জাকির মজিদের মায়ের উদ্ধৃতি দেন। তিনি বলেন, ‘আমি জানি, যতদিন বেঁচে আছি, হয়তো আমার ছেলে জাকির জানকে ফিরে পাব না। তবে আমি বিক্ষোভে অংশ নিতে থাকব, কারণ আমি যখন এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাব, তখন কেউ জাকির জানকে এই ছবিগুলি দেখাতে পারে এবং তাকে বলতে পারে, দেখো! তোমার মা বেঁচে থাকা পর্যন্ত তোমার জন্য লড়াই করে গেছেন। বেলুচ ন্যাশনাল মুভমেন্ট জার্মানি চ্যাপ্টারের সহ-সভাপতি সামুল বালুচ স্পষ্টভাবে তার মতামত ব্যক্ত করে বলেন, মিডিয়া হয়তো দুর্দশার সত্য প্রকাশ করবে না, তথাকথিত রাজনীতিবিদরা অন্ধ ও বধির হতে পারে, বিশ্ব হয়তো বেলুচ জনগণের আশা ও হতাশা সম্পর্কে অজ্ঞ হতে পারে, কিন্তু বিশ্বকে শুনতে বাধ্য না করা পর্যন্ত আমরা চিৎকার করব। বেলুচ ন্যাশনাল মুভমেন্ট জার্মানি চ্যাপ্টারের যুগ্ম সম্পাদক শার হাসান বলেন, পাকিস্তান একটি নিষ্ঠুর রাষ্ট্র, যার মানবাধিকারের প্রতি কোনো শ্রদ্ধা নেই। পাকিস্তান কেবল সহিংসতায় বিশ্বাস করে এবং তাদের নীতিগুলি ঔপনিবেশিক। বেলুচিস্তানে মানবাধিকার লঙ্ঘন চরমে পৌঁছেছে যেখানে নিরাপত্তা বাহিনী বেলুচিস্তানকে একটি বর্ধিত কারাগারে পরিণত করেছে। আর পাকিস্তানে মানবাধিকারের পক্ষে কথা বলা অপরাধ এবং যারা মানবাধিকারের পক্ষে কথা বলবে তাদের সন্ত্রাসী হিসেবে গণ্য করা হবে। বেলুচ ন্যাশনাল মুভমেন্ট জার্মানি চ্যাপ্টারের সদস্য সাফিয়া মনজুর বলেন, মানবাধিকারের বৈশ্বিক অভিভাবক হিসেবে জাতিসংঘের উচিত বেলুচিস্তানে সংঘটিত নৃশংসতার প্রতি চোখ খোলা রাখা। মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্রে উল্লিখিত নীতিগুলি অবশ্যই সমুন্নত রাখতে হবে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই বেলুচ জনগণের সাথে সংহতি প্রকাশ করতে হবে। বেলুচিস্তানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত করা এবং দায়ী পক্ষগুলোকে তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহি করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিস্ট ফেলিক্স জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের জন্য লং মার্চের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন এবং তিনি ইসলামাবাদে বেলুচ কর্মীদের শান্তিপূর্ণ লং মার্চের বিরুদ্ধে বল প্রয়োগের নিন্দা করেছেন।
০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:১৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়