• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ভাসানটেকে সিলিন্ডারের আগুনে দগ্ধ ৬, মায়ের পর মারা গেলেন মেয়েও
রাজধানীর পশ্চিম ভাসানটেকে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুন লেগে দগ্ধ একই পরিবারের ছয়জনের মধ্যে সূর্য বানু (৪০) নামে আরও এক নারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ নিয়ে আগুনের ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হলো। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তিনি মারা যান। এর আগে শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে সূর্য বানুর মা দগ্ধ মেহেরুন্নেছার (৬৫) মৃত্যু হয়। দগ্ধ অন্য চারজন বর্তমানে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। তারা হলেন সূর্য বানুর স্বামী মো. লিটন (৫২) এবং তাদের তিন সন্তান লিজা (১৮), লামিয়া (৭) ও সুজন (৮)। গত শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে ভাসানটেকের একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুন লেগে একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হন। পরে তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। স্থানীয়রা জানান, মশার কয়েল জ্বালাতে গেলে গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপের লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাসে ঘরের মধ্যেআগুন ধরে যায়। এতে ওই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হন। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম ঘটনার দিন দুপুরে জানিয়েছেন, দগ্ধদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি আরও জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে সূর্য বানুর শরীরের ৮২ শতাংশ, লিটনের ৬৭ শতাংশ, লামিয়ায় ৫৫ শতাংশ, মেহরুন্নেচ্ছার ৪৭ শতাংশ, সুজনের ৪৩ শতাংশ ও লিজার দগ্ধ হয়েছে ৩০ শতাংশ।  
১২ ঘণ্টা আগে

শিশু মারা যাওয়ায় চিকিৎসককে আইসিইউতে পাঠালেন স্বজনরা
চট্টগ্রামের একটি মেডিকেল সেন্টার নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালের এনআইসিইউতে শিশু মারা যাওয়ায় চিকিৎসককে বেধড়ক মারধর করেছেন স্বজনরা। রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত চিকিৎসককে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়েছে। জানা গেছে, গত ১৩ এপ্রিল রাত  ১০টার দিকে চট্টগ্রামে মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত এক বছর বয়সী এক শিশুকে নিওনাটাল আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। শিশুটির অবস্থা খুবই সংকটপূর্ণ ছিল। রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে শিশুটি মারা যায়। এ ঘটনার পরপরই চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ এনে চিকিৎসক রিয়াজ উদ্দিন শিবলুর ওপর হামলা চালায় শিশুটির বাবাসহ স্বজনরা। এতে মাথায় গুরুতর আঘাত পান চিকিৎসক রিয়াজ। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল সেন্টারের ম্যানেজার ডা. মো. ইয়াসিন আরাফাত বলেন, সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপো এলাকা থেকে এক শিশুকে শনিবার রাতে এনআইসিইউতে ভর্তি করা হয়। শিশুটি মারা যাওয়ার পর হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসকের ওপর হামলা চালায় তার স্বজনরা। গুরুতর ওই চিকিৎসককে চমেক হাসপাতালে আইসিইউর ১৫ নম্বর বেডে ভর্তি করা হয়েছে।  বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী বলেন, বিষয়টি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছি। দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে আমরা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি।  তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।  
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০৪

ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে মারা গেলেন মা
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় নিখোঁজ সন্তানের মৃত্যুর খবর শুনে মারা গেছেন এক মা।  শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে নিহত স্কুলছাত্র হাসিব মোল্যার (১৮) পরিবারের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। জানা যায়, নিহত হাসিবের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার পূর্ব সদরদীতে। নিখোঁজের একদিন পর খাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ছেলের মরদেহ পাওয়া গেছে শুনে মারা যান তার মা হেলেনা বেগম (৪৫)। হাসিব মোল্যা পূর্ব সদরদীর বাস্তখোলা গ্রামের ফরহাদ হোসেন মোল্যার ছেলে। তবে হাসিবের পরিবার জীবিকার তাগিদে দীর্ঘ বছর ধরে ঢাকার ডেমরার সারুলিয়া নামক এলাকায় বসবাস করে আসছেন। বাবা ফরহাদ হোসেন ডেমরা এলাকার একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করেন। হাসিব ডেমরা এলাকার একটি স্কুলে দশম শ্রেণির ছাত্র।  এ ঘটনায় শোকে স্তব্ধ ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার পৌরসভা এলাকার ছিলাধরচর বাস্তুখোলা গ্রামে নিহতদের স্বজনরা। এ ব্যাপারে হাসিবের চাচা মো. বিপ্লব মোল্যা বলেন, ঈদের নামাজ পড়তে বন্ধুদের নিয়ে বাসা থেকে বের হয় হাসিবুল। এরপর হাসিবুল মোল্যা আর বাসায় ফেরেনি। তার ব্যবহৃত মোবাইলটি বন্ধ ছিল। হাসিবকে তার বন্ধুরা ডেকে নিয়ে হত্যা করে খালে ফেলে দিয়েছে। আমরা এ হত্যার বিচার চাই।   এ বিষয়ে ডেমরা থানার ওসি মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার ডেমরার একটি খাল থেকে হাসিবের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত কিছু সিসি ক্যামেরার ফুটেজ হাতে পেয়েছি। সেখানে দেখা গিয়েছে হাসিবসহ তিন বন্ধু মিলে মদ নিয়ে ঘুরছেন। পরে একটি বাড়িতে গিয়ে তিন বন্ধু মিলে মদ পান করেন। ওই রাতেই কাউকে না বলেই হাসিব বাড়ি থেকে বের হন। রাস্তা দিয়ে হেঁটে একটি ব্রিজে বসেন।  ওসি আরও বলেন, সেখান থেকে খালের পানিতে পড়ে হাসিবের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল মর্গে পাঠিয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। আপাতত থানাতে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৪

হেপাটাইটিসে প্রতিদিন সাড়ে ৩ হাজারের বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে : ডব্লিউএইচও     
বিশ্বজুড়ে হেপাটাইটিস ভাইরাসে প্রতিদিন মারা যাচ্ছে সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ। বিশ্বব্যাপী এই সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সতর্ক করে দ্বিতীয় বৃহত্তম সংক্রামক ঘাতকের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এই সপ্তাহে পর্তুগালে বিশ্ব হেপাটাইটিস সম্মেলন উপলক্ষে রেখে প্রকাশিত ডব্লিউএইচও রিপোর্ট অনুসারে ১৮৭টি দেশের নতুন তথ্যে দেখা গেছে, ভাইরাল হেপাটাইটিসে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ২০২২ সালে ১৩ লাখে দাঁড়িয়েছে, যা ২০১৯ সালে ছিল ১১ লাখ। ডব্লিউএইচওএর গ্লোবাল এইচআইভি, হেপাটাইটিস এবং যৌন-সংক্রমিত সংক্রমণ কর্মসূচির প্রধান মেগ ডোহার্টি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এগুলো হল ‘আশঙ্কাজনক প্রবণতা।’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হেপাটাইটিস সংক্রমণে বিশ্বব্যাপী প্রতিদিন ৩,৫০০ জন মারা যাচ্ছে। এদের মধ্যে হেপাটাইটিস বি থেকে ৮৩ শতাংশ, হেপাটাইটিস-সি থেকে ১৭ শতাংশ। কার্যকর এবং সস্তা জেনেরিক ওষুধ রয়েছে যা এই ভাইরাসগুলো প্রতিরোধ করতে পারে। তবুও দীর্ঘস্থায়ী হেপাটাইটিস-বি আক্রান্তদের মধ্যে মাত্র তিন শতাংশ ২০২২ সালের শেষ নাগাদ অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসা পেয়েছে। হেপ সি-এর জন্য, মাত্র ২০ শতাংশ - বা ১২.৫ মিলিয়ন লোককে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।  ডোহার্টি বলেন, ‘এই ফলাফলগুলো ২০৩০ সালের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী হেপ বি এবং সি এর সাথে বসবাসকারী সমস্ত লোকের ৮০ শতাংশের চিকিৎসা করার জন্য বিশ্বব্যাপী লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক নিচে নেমে গেছে।’ হেপাটাইটিস সংক্রমণের সামগ্রিক হার কিছুটা কমেছে। তবে ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসাস জোর দিয়েছিলেন যে, প্রতিবেদনটি ‘একটি উদ্বেগজনক চিত্র এঁকেছে’। তিনি একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘হেপাটাইটিস সংক্রমণ প্রতিরোধে বিশ্বব্যাপী অগ্রগতি সত্ত্বেও, মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে কারণ হেপাটাইটিসে খুব কম লোকেরই নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা হচ্ছে।’  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফ্রিকার নতুন হেপ বি সংক্রমণের ৬৩ শতাংশের জন্য দায়ী, তবুও মহাদেশে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজনের কম শিশুর জন্মের সময় টিকা দেওয়া হয়। জাতিসংঘের সংস্থাটিও দুঃখ প্রকাশ করেছে, ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোতে জেনেরিক হেপাটাইটিস ওষুধের পর্যাপ্ত অ্যাক্সেস নেই এবং তাদের আরও বেশি অর্থ প্রদান করা উচিত।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হেপাটাইটিসের দুই তৃতীয়াংশই বাংলাদেশ, চীন, ইথিওপিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, রাশিয়া এবং ভিয়েতনামে। ডব্লিউএইচও এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘২০২৫ সালের মধ্যে এই ১০টি দেশে প্রতিরোধ, রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার সার্বজনীন সুবিধা এবং আফ্রিকান অঞ্চলে জোর প্রচেষ্টার পাশাপাশি এ লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী কার্যক্রম সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা অপরিহার্য।’ 
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩১

‘ঈশ্বর কণা’ আবিষ্কারক নোবেলজয়ী পিটার হিগস মারা গেছেন
বিস্ময়কণা ‘ঈশ্বর কণা’ বা হিগস বোসন’র আবিষ্কারক নোবেলজয়ী ও ব্রিটিশ বিজ্ঞানী পিটার হিগস ৯৪ বছর বয়সে মারা গেছেন।  বুধবার (১০ এপ্রিল) এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিজ্ঞানী পিটার হিগস স্থানীয় সময় সোমবার (৮ এপ্রিল) স্কটল্যান্ডের রাজধানী এডিনবরায় নিজের বাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। প্রায় ২৫ বছরের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন তিনি। তিনি ছিলেন একজন সত্যিকারের প্রতিভাধর বিজ্ঞানী। যার দূরদর্শী চিন্তা ও কল্পনা এই বিশ্ব সম্পর্কে আমাদের ধারণাকে সমৃদ্ধ করেছে। পিটার হিগস ছিলেন সেই মহান বিজ্ঞানী, যার কল্পনা ও ভাবনা আমাদের পরিপার্শ্ব সম্পর্কে জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করেছে। প্রসঙ্গত, পিটার হিগস হিগস বোসন কণা আবিষ্কারের জন্য ২০১৩ সালে তাকে নোবেল পুরষ্কার পান। যা বদলে দিয়েছিল বিজ্ঞানের গতিপথ। প্রায় ৫০ বছর পর আরেক যুগান্তকারী গবেষণায় প্রমাণ হয়, ‘হিগস বোসন’ কণা সত্যিই আছে।  তিনি তার তত্ত্বে বলেছিলেন, শনাক্ত হয়নি- এমন এক কণার কল্যাণেই মহাবিশ্বের সবকিছু ‘ভর’ পেয়েছে, আর ওই কণার কারণেই অটুট আছে মহাবিশ্ব।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৯

ইতেকাফ অবস্থায় মারা গেলেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান
ময়মনসিংহের ত্রিশালে ইতেকাফরত অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আনিছুর রহমান ভুট্টু (৬৫) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি উপজেলার আমিরাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। শনিবার (৬ এপ্রিল) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ত্রিশাল বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে ঢাকা নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। আনিছুর রহমানের বেয়াই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন জানান, গত ২১ রমজান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তিনি ইতেকাফ বসেন। কয়েক দিন ধরে দিন উনার শরীরটা ভালো যাচ্ছিলনা। মসজিদেই প্রাথমিক চিকিৎসা চলছিল। শনিবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুয়েল আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আমিরাবাড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান ভুট্টু ইতেকাফরত অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছেন। তার মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আনিছুর রহমান ভুট্টু ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল আমিরাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। রোববার (৭ এপ্রিল) বেলা ১১টায় উপজেলার আমিরাবাড়ি ইউনিয়নের গুজিয়াম গ্রামের নিজবাড়িতে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।   
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫৫

জন্মদিনেই ডুবে মারা গেল মেহেরুন
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে নদে ডুবে তিন বছর বয়সী মেহেরুন নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের বেড়াবাজুয়া গ্রামের ফুলজোড় নদে এ ঘটনা ঘটে।  মেহেরুন বেড়াবাজুয়া গ্রামের জাহিদুল ইসলাম সরকার ও মলিনা বেগমের সন্তান। দুই ভাই-বোনের মধ্যে মেহেরুন ছোট ছিল। গতকালই শিশুটির জন্মদিন ছিল। ওই দিনেই সে মারা গেল। শিশুটির চাচাতো ভাই মেহেদী হাসান বলেন, বাড়ির লোকজনের অজান্তে মেহেরুন কখন নদে চলে গেছে কেউ বলতে পারেন না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর নদের ভাটি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর গতকাল সন্ধ্যায় জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। শিশুটির মা মলিনা বেগম গণমাধ্যমকে বলেন, ঈদের পোশাক কেনা হয়েছিল। এখন এসব কে পরবে? শিশুটির বাবা বলেন, বাড়ির পাশের নদ যে আমার জীবনে এত বড় দুঃখের কারণ হবে, বুঝতে পারিনি।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫৪

মারা গেছেন মিমকে সোনার ব্রেসলেট উপহার দেওয়া সেই ভক্ত
গেল বছর মুক্তি পায় বিদ্যা সিনহা মিম ও সিয়াম অভিনীত সিনেমা ‘অন্তর্জাল’। এটি নির্মাণ করেছিলেন দীপংকর দীপন। মুক্তির পর দারুণ সাড়া ফেলে সিনেমাটি। তবে এই সিনেমা মুক্তির পর প্রেক্ষাগৃহে মিমের সঙ্গে ঘটে যায় এক অভাবনীয় ঘটনা। সিনেমাটি হলে দেখতে এসে মিমকে সোনার ব্রেসলেট উপহার দেন তার ভক্ত চিকিৎসক নাজিয়া যাবিন।     সেই ঘটনার বছর না গড়াতেই জানা গেল না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন মিমের সেই ভক্ত। বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভক্তদের মৃত্যুর খবরটি জানান অভিনেত্রী নিজেই। এদিন নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে নাজিয়ার সঙ্গে তোলা একটি ছবি শেয়ার করে আবেগঘন পোস্ট দেন মিম।   পাঠকদের সুবিধার জন্য মিমের পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো—   ‘আজ (বুধবার) আমি এমন এক মানুষের ব্যাপারে কথা বলছি যাকে আমি চিনেছি খুব অল্প সময়ের জন্য। কিন্তু এই অল্প সময়ে উনি আমার খুব কাছের একজন হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাকে আরও ভালো করে জানার আগেই তিনি চলে গেলেন আমাদের সবাইকে ছেড়ে। ডক্টর নাজিয়া আমার এত বছরের ক্যারিয়ারে যদি সত্যিকারের স্পেশাল একজন ভক্ত পেয়ে থাকি, তবে সেটা ছিলেন উনি। আমার এই পর্যন্ত মুক্তি পাওয়া সকল সিনেমার ফার্স্ট শো তিনি দেখতেন!  গত বছর ‘অন্তর্জাল’ যখন মুক্তি পায় তিনি তখন জানতে পরেন আমি ওইদিন আসব। আমার অপেক্ষায় উনি সারাদিন ওখানে বসে ছিলেন। যাওয়ার পর আমাকে দেখেই তিনি এত খুশি হয়েছিলেন। আমাকে তখনই একটা ব্রেসলেট দেন। আমি নিজেই খুব অবাক হই যে আমাকেও কেউ কখনও না জেনে না দেখে এতটা পছন্দ করতে পারে। আমি আজকেও তার দেওয়া সেই ব্রেসলেট পরেছিলাম।  আজ কী মনে করে যেন আপুর প্রোফাইলে গিয়ে দেখি আপুর কাছের মানুষ লিখছেন আপু আর নেই। প্রথমে আসলেই মানতে পারিনি। আপুকে অনেকবার ফোন করলাম এই আশায় যে তিনি ধরে বলবেন সব ঠিক আছে আর আমি ভুল দেখছি। আমার ভুল ভেঙেছে এবং ওটাই সত্যি যেটা মেনে নিতে আমার কষ্ট হচ্ছে। আপু আর নেই আমাদের মাঝে। জীবনটা আসলেই অনেক অনিশ্চিত। কাল রাত থেকে মন খুব খারাপ। নাজিয়ার সঙ্গে আমার খুব অল্প সময়ের পরিচয়, কিন্তু যেইটুকু সময় তাকে জেনেছি সেই সময়টুকু খুব সুন্দর কেটেছে। আপুর জন্য সবাই দোয়া করবেন।’ প্রসঙ্গত, বারডেম হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন নাজিয়া যাবিন। চলতি রমজানেই ইফতারের আগে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। 
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৪০

মারা গেলেন পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি
বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি জুয়ান ভিসেনটি পেরেজ মোরা শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। ১১৪ বছর বয়সী মোরা গত মঙ্গলবার মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন মোরার পরিবারের সদস্যরা। খবর- এএফপি দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার নাগরিক মোরার মৃত্যু সংবাদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছেন অনেকেই; ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোও রয়েছেন তাদের মধ্যে। মঙ্গলবার নিজের এক্স অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা এক বার্তায় মাদুরো বলেন, ‘১১৪ বছর বয়সী জুয়ান ভিসেনটি পেরেজ মোরা আজ আমাদের ছেড়ে অনন্তলোকে যাত্রা করেছেন।’ ২০২২ সালে পেরেজকে বিশ্বের সবচেয়ে বৃদ্ধ ব্যক্তি বলে স্বীকৃতি দেয় গিনেজ। সে সময়ে তার বয়স ছিল ১১২ বছর।  পেরেজের ১১ সন্তান এবং ৪১ জন নাতি-নাতনি রয়েছে। এই ৪১ জনের আবার ১৮ সন্তান আছে, আর এই ১৮ জনেরও আছে ১২ সন্তান।  পেরেজ, যার ডাকনাম ছিল টিও ভিনসেন্ট, এল কোবরে শহরে ১৯০৯ সালের ২৭ মে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পেশায় আখ ও কফি কৃষক ছিলেন। জীবনের এক পর্যায়ে তিনি ওই শহরের শেরিফের দায়িত্ব নেন এবং স্থানীয় জমি ও পারিবারিক বিবাদ মেটানোর কাজ করেন। 
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:০৩

সারাহর কিডনি নেওয়া শামীমাও মারা গেলেন
সারাহ ইসলামের মরণোত্তর কিডনি নেওয়া শামীমা আক্তার মারা গেছেন। এর ফলে ‘ব্রেন ডেড’ ওই তরুণীর কিডনি নেওয়া দুই নারীরই মৃত্যু হলো। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) আইসিইউতে শামীমার মৃত্যু হয়। তার গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায়। শামীমার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএসএমএমইউর ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল। তিনি বলেন, শামীমা শেষ ছয় মাস আমাদের আওতার বাইরে ছিলেন। কিছুদিন আগে তার ভাই আমাদের জানান, শামীমার ক্রিয়েটিনিন বেড়েছে, একেবারে শুকিয়ে গেছে। পরে তিন সপ্তাহ আগে তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। শুরুর দিকে কিছুটা উন্নতি হলেও পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কোনো উপায় না দেখে চার দিন আগে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। এরমধ্যে তার সি ভাইরাস ও বিরল নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। আমরা তার ডায়ালাইসিসও শুরু করেছিলাম, কিন্তু উন্নতি হয়নি। সবশেষ আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়। গত বছরের ১৯ জানুয়ারি সারাহ ইসলাম নামে ২০ বছরের এক তরুণীকে ব্রেন ডেড ঘোষণা করেন বিএসএমএমইউ চিকিৎসকরা। ওই রাতেই তার কিডনি  শামীমা আক্তার এবং হাসিনা নামে দুই নারীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। সেসময় দেশে প্রথমবারের মতো এই ক্যাডাভেরিক কিডনি ট্রান্সপ্লান্টকে সফল বলে দাবি করেছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু এর মাত্র ৯ মাস পর অক্টোবরে হাসিনা মারা যান। তবে শামীমা আক্তার বেঁচে ছিলেন। এখন তিনিও না ফেরার দেশে চলে গেলেন। অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, প্রথমজন ফুসফুসের সংক্রমণে মারা গেছেন। এবার দ্বিতীয়জনও চলে গেলেন। এটি আমাদের জন্য খুবই কষ্টের।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়