• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ফের মামুনুল হকের তিন মামলায় জামিন 
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ধর্ষণ মামলায় জামিন পাওয়ার পর হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হক ফের তিন মামলায় জামিন পেয়েছেন। এসব মামলা রাজধানীর পল্টন ও মতিঝিল থানায় বিভিন্ন সময় হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালত শুনানি শেষে জামিনের আদেশ দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছন মামুনুল হকের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল। তিনি বলেন, ২০১৩ সালের মতিঝিল থানার এক মামলায় ও ২০২১ সালের পল্টন থানার দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন। ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার রয়েল রিসোর্টে এক নারীসহ অবরুদ্ধ হন মামুনুল হক। পরে ওই রিসোর্ট ভাঙচুর করে মামুনুলকে ছিনিয়ে নেন তার অনুসারীরা। একই বছরের ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ। এ ঘটনার ২৭ দিন পর ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন তার সঙ্গে থাকা ওই নারী। একই বছরের ৩ নভেম্বর মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় পুলিশ। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় জামিন না পাওয়ায় এখনই তিনি কারামুক্ত হতে পারছেন না। তবে এসব মামলায় জামিন পেলে তিনি কারামুক্ত হতে পারবেন। 
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৫৫

ধর্ষণ মামলায় জামিন পেলেন হেফাজত নেতা মামুনুল হক
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় করা ধর্ষণ মামলায় জামিন পেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হক।  বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন।  জামিন শুনানির সময় আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন মামুনুল হক। আদালতে তার পক্ষে জামিন আবেদন করে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী ওমর ফারুক নয়ন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রকিবউদ্দিন আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার রয়েল রিসোর্টে এক নারীসহ অবরুদ্ধ হন মামুনুল হক। পরে ওই রিসোর্ট ভাঙচুর করে মামুনুলকে ছিনিয়ে নেন তার অনুসারীরা। একই বছরের ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ।  এ ঘটনার ২৭ দিন পর ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন তার সঙ্গে থাকা ওই নারী। একই বছরের ৩ নভেম্বর মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় পুলিশ।   
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১০

ঈদের আগে মামুনুল হককে মুক্তি না দিলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
মাওলানা মামুনুল হককে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর খলিল আহমাদ কাসেমী। শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর গুলশানে ‘পবিত্র মাহে রমজানের তাৎপর্য ও করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনাসভা ও ইফতার মাহফিলে তিনি এ দাবি জানান। খলিল আহমাদ কাসেমী বলেন, মামুনুল হককে ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এখনো তিনি কারাবন্দি। আমরা ঈদের আগেই তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।  তিনি বলেন, জামিন পাওয়া দেশের প্রত্যেক নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। মাওলানা মামুনুল হক দেশের একজন বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন। তাকে জামিন না দিয়ে বছরের পর বছর জেলে আটকে রাখা দেশে বিচারহীনতার প্রমাণ বহন করে। বিচারহীনতার এ ধারাবাহিকতা আর চলতে দেওয়া যায় না। মামুনুল হককে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। আমরা সরকার পতন আন্দোলন করি না। কিন্তু আমাদের বাধ্য করলে কোনো উপায় থাকবে না। এ সময় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নামে করা সব মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি জানান সংগঠনটির সিনিয়র নায়েবে আমীর খলিল আহমাদ কাসেমী। ইফতার মাহফিলে আরও বক্তব্য রাখেন আবদুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর, মাওলানা আবদুল আউয়াল, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা ড. আহমদ আব্দুল কাদের প্রমুখ।
২৯ মার্চ ২০২৪, ২৩:০৮

মামুনুল হকের মুক্তি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যা জানালেন
হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের মুক্তি প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল মুখ খুলেছেন। এর আগে তিনি মামুনুল হকের সংগঠনটির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সোমবার (১২ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে হেফাজতের মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমানের নেতৃত্বে সংগঠনটির শীর্ষ নেতাদের একটি দল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ওই বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হেফাজতের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব। তিনি বলেন, নিঃশর্তভাবে মাওলানা মামুনুল হককে মুক্তিসহ বৈঠকে হেফাজতের নেতারা জোরালোভাবে দুটি দাবি উত্থাপন করেছেন। ২০১৩ সাল থেকে আজ পর্যন্ত হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতাকর্মীদের নামে দায়েরকৃত সব মিথ্যা মামলা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহারেরও দাবি করা হয়। হেফাজত নেতাদের দাবির প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল রমজানের মধ্যেই মাওলানা মামুনুল হককে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে দৃঢ়তার সঙ্গে আশ্বাস দিয়েছেন এবং হেফাজত নেতাকর্মীদের নামে দায়েরকৃত সব মামলা প্রত্যাহারের ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। এ সময় নেতারা বলেন, ঈদুল ফিতরের আগে মাওলানা মামুনুল হককে মুক্তি না দিলে শীর্ষ নেতাদের পরামর্শক্রমে হেফাজত কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা নিয়ে মাঠে নামতে বাধ্য হব। বৈঠকে হেফাজত নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির মুফতি জসীমুদ্দীন, মাও. মাহফুজুল হক, মাও. আব্দুল আওয়াল, মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, মাও. বাহাউদ্দীন জাকারিয়া, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাও. জুনায়েদ আল হাবীব, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা বশীরুল্লাহসহ অনেকে। ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টের একটি কক্ষে মামুনুল হক ও তার কথিত স্ত্রীকে অবরুদ্ধ করে ছাত্রলীগ-যুবলীগ। পরে খবর পয়ে পুলিশ গিয়ে ওই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় হেফাজত ও মাদ্রাসার ছাত্ররা রিসোর্টে হামলা চালিয়ে তাদের ছিনিয়ে নেয়। ওই ঘটনার ১৫ দিন পর মামুনুল হককে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে ঢাকা মহানগর তেজগাঁও বিভাগের পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
১২ মার্চ ২০২৪, ২০:৩১

মামুনুল হকের জামিন বহাল
নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুরের দুটি মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। সোমবার (৫ জানুয়ার) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এদিন আদালতে মামুনুল হকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট এ আর রায়হান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম। এর আগে, গত বছরের ৯ মে বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় দায়ের করা দুটি মামলায় মামুনুল হককে জামিন দেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে ১০ মে জামিন স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এরপর ১০ জুলাই হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের বিরুদ্ধে আবেদনের শুনানি তিন মাসের জন্য স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) করেন আপিল বিভাগ। পরে ১৬ অক্টোবর জামিন স্ট্যান্ডওভার রাখেন আপিল বিভাগ। ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন তার দাবি করা দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝরনা। ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্টে ঝরনাসহ মামুনুল হককে আটক করে স্থানীয় লোকজন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে ঝরনাকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে দাবি করেন মামুনুল। এরপর ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর ঘিরে সহিংসতা ও রিসোর্টকাণ্ডে রাজধানীর পল্টন থানা ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দুটি মামলা হয় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে। পরে তাকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:১৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়