• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
গৃহবধূ হত্যা মামলার ৩ পরিকল্পনাকারী ঢাকায় গ্রেপ্তার
নওগাঁর ধামইরহাটে গৃহবধূ মহসিনা খাতুন ওরফে আয়না (৩০) হত্যা মামলার আসামি ও মূল পরিকল্পনাকারী শাশুড়ি, স্বামী ও দেবরকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকাল ৬টার দিকে ঢাকার আদাবর থানার সুনিবির হাউজিং এলাকায় র‌্যাবের যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ধামইরহাট উপজেলার বিহারী নগর গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে ও নিহতের স্বামী নুরুল আমিন ওরফে এরশাদ (৩২) ও দেবর শাকিল হোসেন (২২) এবং শাশুড়ি আমেনা বেগম। তারা সকলেই ওই গৃহবধূ হত্যা মামলার এজাহার নামীয় পলাতক আসামি।  মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে র‌্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্প থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানানো হয়। এতে বলা হয়, চলতি বছরের গত ১২ মার্চ ভোর রাতে ধামইরহাট উপজেলার উমার ইউনিয়নের বিহারীনগর গ্রামের নরুল আমিন ওরফে এরশাদ এর স্ত্রী মহসিনা খাতুন ওরফে আয়নাকে বাড়ির পূর্ব পাশে একটি আম গাছে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা। বিষয়টি দেখতে পেয়ে পরিবারের লোকজন থানা পুলিশকে খবর দিলে সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহ উদ্ধারের পর গৃহবধূর বাবার বাড়ির লোকজন স্বাভাবিকভাবে নেয়নি। তাদের অভিযোগ মৃত আয়না আক্তারের সঙ্গে শাশুড়ি, স্বামী ও দেবরের প্রায়ই বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা, সোফা সেট, আলমারি ও খাট ইত্যাদি আনার জন্য বিরোধ লেগেই থাকতো। এই বিরোধের জের ধরে তাকে মারপিট করে শ্বাসরোধে মেরে ফেলে বসত বাড়ির আম গাছে গলায় রশি পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে দাবি করেন মৃতের স্বজনরা। পরবর্তীতে মৃতের চাচা আব্দুল হামিদ বাদী হয়ে ধামইরহাট থানায় ভাতিজি আয়নাকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে মূল পরিকল্পনাকারী শাশুড়ি আমেনা, স্বামী এরশাদ, দেবর শাকিল এবং আমেনার জামাতা বিদ্যুতের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রুজু করেন। মামলার রুজু হওয়ার পর থেকেই আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা গত মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) ধামইরহাট উপজেলার গোপিরামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এজাহার নামীয় আসামি বিদ্যুৎকে গ্রেপ্তার করে।  এরপর অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। পরবর্তীতে র‌্যাব-২, সিপিসি-১ এর সহায়তায় হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী শাশুড়ি আমেনা, স্বামী এরশাদ ও দেবর শাকিলকে মঙ্গলবার সকালে ঢাকা জেলার আদাবর থানার সুনিবির হাউজিং এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
২৬ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৭

নওগাঁয় গৃহবধূ হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
নওগাঁর ধামইরহাট থেকে গৃহবধূ মহসিনা খাতুন ওরফে আয়না (৩০) হত্যা মামলার পলাতক আসামি বিদ্যুৎকে (৪৪) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৫-এর সদস্যরা।  শনিবার (২৩ মার্চ) ভোরে উপজেলার গোপিরামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।  গ্রেপ্তার বিদ্যুৎ গাংরা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে এবং ওই গৃহবধু হত্যা মামলার এজাহার নামীয় পলাতক আসামি। এদিন দুপুরে র‌্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্প থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানানো হয়।  বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১২ মার্চ ভোর রাতে ধামইরহাট উপজেলার উমার ইউনিয়নের বিহারীনগর গ্রামের নরুল আমিন ওরফে এরশাদ এর স্ত্রী মহসিনা খাতুন ওরফে আয়নাকে বাড়ির পূর্ব পার্শ্বে একটি আম গাছে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা। বিষয়টি দেখতে পেয়ে পরিবারের লোকজন থানা পুলিশকে খবর দিলে সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। লাশ উদ্ধারের পর গৃহবধূর বাবার বাড়ির লোকজন স্বাভাবিকভাবে নেয়নি। তাদের অভিযোগ মৃত আয়না আক্তারের সাথে তার স্বামী ও স্বামীর পরিবারের লোকজনের ছোট খাটো বিষয় নিয়ে বিরোধ লেগেই থাকতো। এই বিরোধের জের ধরে তাকে মারপিট করে শ্বাসরোধে মেরে ফেলে বসত বাড়ির আম গাছে গলায় রশি পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে দাবি করেন মৃতের স্বজনরা। এ ঘটনায় নিহত আয়নার চাচা আব্দুল হামিদ বাদী হয়ে ধামুইরহাট থানায় শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে স্বামী নরুল আমিন, শ্বশুর, শাশুড়ীসহ চারজনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।  বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মামলার রুজু হওয়ার পর থেকেই র‌্যাব এর গোয়েন্দা দল হত্যা মামলার এজাহার নামীয় পলাতক আসামি বিদ্যুৎকে গ্রেপ্তারের জন্য তৎপরতা অব্যাহত রাখে। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩ জয়পুরহাট ক্যাম্পের একটি অভিযানিক দল শনিবার ভোর রাতে নওগাঁ জেলার ধামইরহাট থানার গোপিরামপুর এলাকা থেকে আসামি বিদ্যুৎকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।  হত্যা মামলার পলাতক আসামি বিদ্যুৎকে র‌্যাব গ্রেপ্তার করেছে জানিয়ে ধামইরহাট থানার ওসি (তদন্ত) হাবিবুর রহমান জানান, আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
২৩ মার্চ ২০২৪, ২০:০০

হলমার্কের দুর্নীতির এক মামলার রায় আজ
হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. তানভীর মাহমুদ ও তার স্ত্রী জেসমিন ইসলামের রায় ঘোষণার জন্য আজ দিন ধার্য রয়েছে।  মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ঢাকার ১ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আবুল কাশেম আদালত এই রায় ঘোষণা করবেন।  গত ১২ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. আবুল কাশেম রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন। মামলায় আদালত অভিযোগপত্রে মোট ৮১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।  হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. তানভীর মাহমুদ ও তার স্ত্রী জেসমিন ইসলামসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলার আসামিদের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ম্যানেজার তুষার আহমেদ, সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সাবেক জিএম মীর মহিদুর রহমান, উপ- মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. সফিজউদ্দিন আহমেদ, ডিএমডি মাইনুল হক, এজিএম মো. কামরুল হোসেন খান ও নকশী নিটের এমডি মো. আবদুল মালেক কারাগারে রয়েছেন।  পলাতক আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, প্যারাগন গ্রুপের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা, সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জিএম ননী গোপাল নাথ, প্রধান কার্যালয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির, সহকারী উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. সাইফুল হাসান, নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মতিন, ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক মীর জাকারিয়া, টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের পরিচালক তসলিম হাসান, ডিএমডি মো. আতিকুর রহমান ও সোনালী ব্যাংক ধানমন্ডি শাখার জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুন্নেসা মেরি। এছাড়া জামিনে রয়েছেন, উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শেখ আলতাফ হোসেন (সাময়িক বরখাস্ত) ও সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকার। ২০১২ সালের ৪ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাতে অভিযোগে রাজধানীর রমনা থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন দুদক।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১০:১৫

আলোচিত সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার রায় আজ
পারিবারিক দ্বন্দ্বে তিন যুগ আগে সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলার রায় আজ ঘোষণা করা হবে। বুধবার (১৩ মার্চ) ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ মোহাম্মদ আলী হোসাইন এ রায় ঘোষণা করবেন।  এর আগে, গত ২০ ফেব্রুয়ারি একই আদালতে মামলার রায় ঘোষণার কথা ছিল। কিন্তু ওইদিন বিচারক ছুটিতে থাকায় আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রায় ঘোষণার জন্য ১৩ মার্চ দিন ধার্য করেন। ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় রমনা থানায় মামলা করেন সগিরা মোর্শেদের স্বামী সালাম চৌধুরী। মামলার আসামিরা হলেন- সগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী ও তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহিন, শ্যালক আনাছ মাহমুদ রেজওয়ান, মারুফ রেজা ও মন্টু মণ্ডল ওরফে কুঞ্জ চন্দ্র মণ্ডল। আসামিদের মধ্যে আনাস মাহমুদ এবং মারুফ রেজা কারাগারে, অন্যরা জামিনে। মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সগিরা মোর্শেদ ভিকারুননিসা নূন স্কুল থেকে মেয়েকে আনতে যাচ্ছিলেন। বিকেলে সিদ্ধেশ্বরী রোডে পৌঁছালে মোটরসাইকেলে আসা ব্যক্তিরা তার হাতের সোনার চুড়ি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তখন তিনি দৌড় দিলে তাকে গুলি করা হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই সগিরা মোর্শেদ মারা যান। ২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। ছিনতাই নয়, মূল পরিকল্পনা ছিল সগিরাকে হত্যা।  অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, সগিরা মোর্শেদের পরিবারের সঙ্গে আসামি শাহীনের বিভেদ তৈরি হয়েছিল। এছাড়া শাশুড়ি সগিরাকে অপছন্দ করতেন এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সগিরা-শাহীনের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। এসব নিয়ে আসামিরা নিজেদের বাসায় বসে সগিরাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত সগিরা মোর্শেদের ভাসুরসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর মধ্যদিয়ে দীর্ঘ ৩১ বছর পর এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হয়। মামলাটিতে ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।  
১৩ মার্চ ২০২৪, ১১:৪১

৩২ মামলার আসামিকে কুপিয়ে হত্যা
যশোরে হত্যা ও অস্ত্রসহ ৩২ মামলার আসামি রমজান আলীকে (৩০) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।  শুক্রবার (৮ মার্চ) রাত ১০টার দিকে শহরের রেলগেট কলাবাগান পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত রমজান শহরের রেলগেট পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা ফয়েজ শেখের ছেলে। জানা যায়, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে যশোর শহরের রেলগেট কলাবাগান এলাকায় রমজান শেখকে কুপিয়ে জখম করে সন্ত্রাসীরা। তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসক জানান, রমজানের বুকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়। নিহতের স্ত্রী পপি খাতুন বলেন, স্থানীয় সন্ত্রাসী পিচ্চি রাজা বিভিন্ন স্থানে অপকর্ম করে এসে তার স্বামীর কাছে শেল্টার নিতেন। বর্তমানে পিচ্চি রাজা পুলিশের গ্রেপ্তার আতঙ্কে ছিলেন। তার স্বামী পিচ্চি রাজাকে পুলিশে ধরিয়ে দিতে পারেন আশঙ্কা থেকে হত্যা করা হয়েছে। যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান বলেন, যশোর শহরের রেলগেট এলাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী রমজান আলীকে অজ্ঞাতনামা আসামিরা কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরবর্তীতে যশোর জেনারেল হাসপাতালে মারা যান। আমরা ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। জড়িতদের শনাক্ত করা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে। থানার রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে রমজান আলীর বিরুদ্ধে হত্যা ও অস্ত্রসহ ৩২টি মামলা রয়েছে।
০৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:০১

ভিকারুননিসার ছাত্রী অরিত্রী হত্যা মামলার রায় ফের পেছাল
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকা নাজনীন ফেরদৌস ও জিন্নাত আরার বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণা তৃতীয়বারের মতো পেছানো হয়েছে। রোববার (৩ মার্চ) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ১২-এর বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুনের আদালতে এ রায় ঘোষণার জন্য ধার্য ছিল। তবে রায় প্রস্তুত না হওয়ায় এ দিন রায় ঘোষণা করেননি। আগামী ৯ এপ্রিল রায়ের নতুন তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।   গত ২১ জানুয়ারি মামলাটি রায়ের জন্য ছিল। তবে ওই দিনও রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তা পিছিয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেন আদালত। কিন্তু ওই দিনও রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তা পিছিয়ে আজ (৩ মার্চ) দিন ধার্য করেন আদালত। গত বছরের ২৭ নভেম্বর একই আদালত রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেন। গত ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর শান্তিনগরের বাসায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী (১৫)। তার আগের দিন পরীক্ষায় নকল করার অভিযোগে তাকে পরীক্ষা হল থেকে বের করে দিয়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, অরিত্রী পরীক্ষায় মোবাইল ফোনে নকল নিয়ে টেবিলে রেখে লেখছিল। অন্যদিকে স্বজনদের দাবি, নকল করেনি অরিত্রী। এরপর অরিত্রীর বাবা-মাকে ডেকে নেওয়া হয় স্কুলে। তখন অরিত্রীর সামনে তার বাবা-মাকে অপমান করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। ওই দিনই আত্মহত্যা করেন অরিত্রী। অরিত্রীর আত্মহত্যার পর তার সহপাঠীরা বিক্ষোভে নামে। ৪ ডিসেম্বর তার বাবা দিলীপ অধিকারী আত্মহননে প্ররোচনার অভিযোগ এনে মামলা করেন। ওই মামলায় অরিত্রীর শিক্ষকদের পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও পরে তারা জামিন পান। মামলার এজাহারে অরিত্রীর বাবা লেখেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ মেয়ের সামনে তাদের অপমান করে। ওই অপমান এবং পরীক্ষা দিতে না পারার মানসিক আঘাত সইতে না পেরে অরিত্রী আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।  তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ নাজনীন ও জিনাতকে আসামি করে মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার। সেখানে বলা হয়, আসামিদের ‘নির্দয় ব্যবহার ও অশিক্ষকসুলভ আচরণ’ অরিত্রী অধিকারীকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করে। মামলার এজাহারে অরিত্রীর শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনাও আসামি ছিলেন। তবে অভিযোগপত্রে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরপর ২০১৯ সালের ১০ জুলাই অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে নাজনীন ফেরদৌস জিনাত আক্তারের বিচার শুরু করে আদালত। মামলার ১৮ সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য নেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম। অরিত্রীর বাবা, মামলার বাদী দিলীপ অধিকারী, মা বিউটি অধিকারী, অরিত্রীদের বাড়ির নৈশ প্রহরী শুকদেব, অরিত্রীর বাবার সহকর্মী সনজয় অধিকারী, প্রতিবেশী মেরিনা মণ্ডল সাক্ষ্য দিয়েছেন এ মামলায়। আসামিদের বিরুদ্ধে যে ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে ওই ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড অথবা অনধিক ১০ বছর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। 
০৩ মার্চ ২০২৪, ১৪:১৩

সাগর-রুনি হত্যা / ১০৬ বার পেছাল মামলার প্রতিবেদন
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ ফের পেছানো হয়েছে। এনিয়ে ১০৬ বার পেছাল। র‌্যাব প্রতিবেদন দাখিল না করায় মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক আগামী ২ এপ্রিল নতুন দিন ধার্য করেন। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে হত্যা করা হয়।  এ ঘটনায় নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। প্রথমে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)। এরপর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি)। তারা রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হলে হাইকোর্টের নির্দেশে মামলার তদন্তভার র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৩২

রিজার্ভ চুরি মামলার প্রতিবেদন দাখিলের নতুন তারিখ
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ৬ মে ধার্য করেছেন আদালত। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। তাই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ তারিখ নির্ধারণ করেন। ২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করে নেয় হ্যাকাররা। সংশ্লিষ্টদের ধারণা, দেশের অভ্যন্তরে কোনো একটি চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থপাচার করেছে। এ ঘটনায় ওই বছরের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপপরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। তিনি মতিঝিল থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলাটি করা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়। পরের দিন ১৬ মার্চ মামলাটি তদন্ত করে সিআইডিকে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেন আদালত।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:২৫

হত্যা মামলার আসামিকে শিশু প্রমাণের পায়তারা
ফেনীতে হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা ১৯ বছর বয়সী এক আসামিকে জন্মতারিখ পরিবর্তন করে শিশু প্রমাণের পায়তারা করা হচ্ছে। ওই আসামির নাম শুভ, সে ফেনী জেলার সদর উপজেলার মাথিয়ারা এলাকার সেলিমের ছেলে। সম্প্রতি দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের বারাহিগুনী এলাকায় প্রবাসী আতাউর রহমানের স্ত্রী মমতাজ বেগম পারুলকে (৫৬) পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, শুভ ২০১৬ সালে পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের তেমুহনী এলাকায় জামাল একাডেমী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় পাশ করে। এরপর ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হতে বিদ্যালয় থেকে তাকে দেয়া প্রত্যয়নপত্রে জন্মতারিখ ২১.০৪.২০০৪ইং উল্লেখ করা হয়। ২০১১ সালের ১১ জানুয়ারিতে ভর্তি হওয়ার পর পাঁচগাছিয়া এ জেড খাঁন মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের রেজিষ্ট্রারেও তার জন্মতারিখ ২১.০৪.২০০৪ইং লিপিবদ্ধ রয়েছে। অথচ, গত ডিসেম্বরে মমতাজ বেগম পারুল হত্যাকান্ডে তার সংশ্লিষ্টতার পর তার জন্মতারিখ পরিবর্তন করা হয়। পাঁচগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ইস্যু হওয়া নতুন জন্মনিবন্ধনে তার জন্মতারিখ ২১.০৪.২০০৬ইং দেখানো হয়েছে। অপর একটি সূত্র জানায়, নতুন জন্মনিবন্ধন উপস্থাপন করে গত মঙ্গলবার আদালতে শুভ'র জামিন আবেদন করা হয়। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট অপরাজিতা দাস ওই আবেদন না মঞ্জুর করেন। এর আগে বারাহিগুনী দরবার শরীফ এলাকার ভাড়া বাসা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া লক্ষ্মীপুর জেলার টুমচর গ্রামের মাঈন উদ্দিনের ছেলে মোবারক হোসেনের দেয়া ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি অনুযায়ী শুভকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১৭ ডিসেম্বর (সোমবার) জবানবন্দিতে দস্যুতার ঘটনায় বাধা দেয়ায় শুভ ছাড়াও ফিরোজ নামে আরও একজন ওই হত্যাকান্ড ঘটায় বলে মোবারক উল্লেখ করে। মামলার বাদিপক্ষের আইনজীবী এম. শাহজাহান সাজু জানান, আদালতের অনুগ্রহ পেতে আসামি শুভকে শিশু প্রমাণ করতে তার বয়স কমানো হয়েছে। বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দাগনভূঞা থানার ওসি (তদন্ত) মো. রাসেল মিয়া জানান, মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। জন্মতারিখ বিতর্কের বিষয়টি আদালতে প্রমাণসাপেক্ষ বিষয়। প্রসঙ্গত, ১৩ ডিসেম্বর রাতে পারুলকে নিজ ঘরে ঢুকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এরপর ঘরের আলমারি, শোকজ এবং ওয়ারড্রপ ভেঙ্গে স্বর্নালংকার এবং মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহত পারেুলের ছোট ছেলে মাহমুদুল হাসান তন্ময় বাদি হয়ে দাগনভূঞা থানায় মামলা  দায়ের করেন।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:২৪

বিচারক ছুটিতে / ফের পেছাল সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার রায়
পারিবারিক দ্বন্দ্বে তিন যুগ আগে সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলার রায় ফের পেছানো হয়েছে। ঢাকার বিশেষ জজ মোহাম্মদ আলী হোসাইন ছুটিতে থাকায় মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রায় ঘোষণা না করে আগামী ১৩ মার্চ নতুন দিন ধার্য করা হয়। আসামিপক্ষের অন্যতম আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল এ তথ্য জানান। এর আগে, দুই পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে গত ২৫ জানুয়ারি রায় ঘোষণার জন্য ৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত। কিন্তু ওইদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় বিচারক রায় ঘোষণা পিছিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন। ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় রমনা থানায় মামলা করেন সগিরা মোর্শেদের স্বামী সালাম চৌধুরী। মামলার আসামিরা হলেন- সগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী ও তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহিন, শ্যালক আনাছ মাহমুদ রেজওয়ান, মারুফ রেজা ও মন্টু মণ্ডল ওরফে কুঞ্জ চন্দ্র মণ্ডল। আসামিদের মধ্যে আনাস মাহমুদ এবং মারুফ রেজা কারাগারে, অন্যরা জামিনে। মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সগিরা মোর্শেদ ভিকারুননিসা নূন স্কুল থেকে মেয়েকে আনতে যাচ্ছিলেন। বিকেলে সিদ্ধেশ্বরী রোডে পৌঁছালে মোটরসাইকেলে আসা ব্যক্তিরা তার হাতের সোনার চুড়ি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তখন তিনি দৌড় দিলে তাকে গুলি করা হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই সগিরা মোর্শেদ মারা যান। ২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে উল্লেখ করা হয়, সগিরা মোর্শেদের পরিবারের সঙ্গে আসামি শাহীনের বিভেদ তৈরি হয়েছিল। এছাড়া শাশুড়ি সগিরাকে অপছন্দ করতেন এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সগিরা-শাহীনের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। আসামিরা নিজেদের বাসায় বসে সগিরাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ডা. হাসান আলী তার চেম্বারে অন্য আসামি মারুফ রেজার সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় হত্যার চুক্তি করেন। এরপর ২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত সগিরা মোর্শেদের ভাসুরসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর মধ্যদিয়ে দীর্ঘ ৩১ বছর পর এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হয়। মামলাটিতে ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:২০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়