• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
প্রাথমিকের শেষ ধাপের পরীক্ষা আজ, মানতে হবে যেসব সতর্কতা
সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম দুই ধাপে ছয় বিভাগের ৪০ জেলায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৯ মার্চ) ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগের ২৪ জেলার ৪১৪টি কেন্দ্রে শেষ ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এতে তিন লাখ ৪৯ হাজার ৪৩৮ জন চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছেন। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় ২০২৩ সালের ১৮ জুন। জানা গেছে, প্রার্থীকে অবশ্যই রঙিন প্রিন্ট করা প্রবেশপত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে কেন্দ্রে আসতে হবে। কেন্দ্রের সব প্রবেশপথ তালাবদ্ধ থাকবে এজন্য পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে দেড় ঘণ্টা আগে প্রার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে সতর্কীকরণ ঘণ্টা বাজিয়ে কেন্দ্রের সব প্রবেশপথ বন্ধ করে তালাবদ্ধ করা হবে। এরপর কোনো প্রার্থীকে প্রবেশ বা বের হতে দেওয়া হবে না। দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়া আর কাউকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে বা বের হতেও দেওয়া হবে না। পরীক্ষা কেন্দ্রে কোনো বই, উত্তরপত্র, নোট বা অন্য কোনো কাগজপত্র, ক্যালকুলেটর, মোবাইল ফোন, ভ্যানিটি ব্যাগ, পার্স, হাতঘড়ি বা ঘড়িজাতীয় বস্তু, ইলেকট্রনিক হাতঘড়ি বা যে কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, কমিউনিকেটিভ ডিভাইস বা এ জাতীয় বস্তু সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করা বা সঙ্গে রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কোনো পরীক্ষার্থী এসব দ্রব্য সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করলে তাৎক্ষণিক তাকে বহিষ্কারসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরীক্ষার কক্ষে নিজ আসনে কান খোলা রেখে বসতে হবে প্রার্থীদের। কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে প্রার্থীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। তা নিশ্চিত করতে পরীক্ষা কেন্দ্রের ফটকে প্রার্থীদের দেহতল্লাশি করা হবে। নারী প্রার্থীদের নারী পুলিশ ও পুরুষ প্রার্থীদের পুরুষ পুলিশ সদস্যরা তল্লাশি করবেন। প্রার্থীর কাছে কোনো ডিভাইস আছে কি না, তা মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে শনাক্ত করা হবে। এদিকে পরীক্ষা ঘিরে শিক্ষা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতেই চাকরি হবে। অর্থ লেনদেন বা অন্য কোনো অনৈতিক উপায়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এতে আরও বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম নিয়োগ বিধিবিধান অনুসরণ করে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করা হয়। প্রার্থীদের রোল নম্বর, আসনবিন্যাস, প্রশ্নপত্র পাঠানো ও মুদ্রণ, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, ফলাফল প্রস্তুতসহ যাবতীয় কাজ সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা হয়। এ ছাড়া জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় পরীক্ষাকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার রয়েছে। কোনো ধরনের অবৈধ হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। এমতাবস্থায়, দালাল বা প্রতারকচক্রের প্রলোভনে প্রলুব্ধ হয়ে কোনো ধরনের অর্থ লেনদেন না করা এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতে কোনো প্রকার অসদুপায় অবলম্বনের জন্য কোনো দালালচক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করাসহ অনুরোধ করা হলো। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, সম্পূর্ণ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি হবে। কেউ অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখালে তাকে নিকটবর্তী থানায় সোপর্দ করা অথবা থানা বা গোয়েন্দা সংস্থাকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করেছে অধিদপ্তর।
২৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:৪৭

প্রাথমিকের শেষ ধাপের পরীক্ষা শুক্রবার, মানতে হবে যেসব সতর্কতা
সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম দুই ধাপে ছয় বিভাগের ৪০ জেলায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগের ২৪ জেলার ৪১৪টি কেন্দ্রে শেষ ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এতে তিন লাখ ৪৯ হাজার ৪৩৮ জন চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছেন। এদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় ২০২৩ সালের ১৮ জুন।  জানা গেছে, এদিন প্রার্থীকে অবশ্যই রঙিন প্রিন্ট করা প্রবেশপত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে কেন্দ্রে আসতে হবে। কেন্দ্রের সব প্রবেশপথ তালাবদ্ধ থাকবে এজন্য পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে দেড় ঘণ্টা আগে প্রার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে সতর্কীকরণ ঘণ্টা বাজিয়ে কেন্দ্রের সব প্রবেশপথ বন্ধ করে তালাবদ্ধ করা হবে। এরপর কোনো প্রার্থীকে প্রবেশ বা বের হতে দেওয়া হবে না। দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়া আর কাউকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে বা বের হতেও দেওয়া হবে না। পরীক্ষা কেন্দ্রে কোনো বই, উত্তরপত্র, নোট বা অন্য কোনো কাগজপত্র, ক্যালকুলেটর, মোবাইল ফোন, ভ্যানিটি ব্যাগ, পার্স, হাতঘড়ি বা ঘড়িজাতীয় বস্তু, ইলেকট্রনিক হাতঘড়ি বা যে কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, কমিউনিকেটিভ ডিভাইস বা এ জাতীয় বস্তু সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করা বা সঙ্গে রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কোনো পরীক্ষার্থী এসব দ্রব্য সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করলে তাৎক্ষণিক তাকে বহিষ্কারসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরীক্ষার কক্ষে নিজ আসনে কান খোলা রেখে বসতে হবে প্রার্থীদের। কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে প্রার্থীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। তা নিশ্চিত করতে পরীক্ষা কেন্দ্রের ফটকে প্রার্থীদের দেহতল্লাশি করা হবে। নারী প্রার্থীদের নারী পুলিশ ও পুরুষ প্রার্থীদের পুরুষ পুলিশ সদস্যরা তল্লাশি করবেন। প্রার্থীর কাছে কোনো ডিভাইস আছে কি না, তা মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে শনাক্ত করা হবে। এদিকে পরীক্ষা ঘিরে শিক্ষা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতেই চাকরি হবে। অর্থ লেনদেন বা অন্য কোনো অনৈতিক উপায়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এতে আরও বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম নিয়োগ বিধিবিধান অনুসরণ করে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করা হয়। প্রার্থীদের রোল নম্বর, আসনবিন্যাস, প্রশ্নপত্র পাঠানো ও মুদ্রণ, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, ফলাফল প্রস্তুতসহ যাবতীয় কাজ সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা হয়। এ ছাড়া জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় পরীক্ষাকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার রয়েছে। কোনো ধরনের অবৈধ হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। এমতাবস্থায়, দালাল বা প্রতারকচক্রের প্রলোভনে প্রলুব্ধ হয়ে কোনো ধরনের অর্থ লেনদেন না করা এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতে কোনো প্রকার অসদুপায় অবলম্বনের জন্য কোনো দালালচক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করাসহ অনুরোধ করা হলো। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, সম্পূর্ণ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি হবে। কেউ অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখালে তাকে নিকটবর্তী থানায় সোপর্দ করা অথবা থানা বা গোয়েন্দা সংস্থাকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করেছে অধিদপ্তর।  
২৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:০০

নববর্ষ উদযাপনে মানতে হবে যেসব বিধিনিষেধ
বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে নববর্ষ উদযাপনে বেশ কিছু বিধিনিষেধের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। বুধবার (২৭ মার্চ) সচিবালয়ে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিদ্ধান্তগুলো জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, দেশব্যাপী বর্ষবরণ অনুষ্ঠান, বৈশাখী মেলা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও আয়োজকরা সমন্বয় করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। রমনার বটমূল, রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিল ও রবীন্দ্র সরোবরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ডগস্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। এসব অনুষ্ঠানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রয়োজনীয় ফোর্স ও গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষ নজরদারি থাকবে। নববর্ষ উদযাপন নিয়ে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যারা অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলা একাডেমি ও বিসিক বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে নববর্ষের মেলায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিল ও রবীন্দ্র সরোবরসহ নববর্ষের সব অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শেষ করতে হবে।  স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকতে হবে। নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সমন্বয় করে নিরাপত্তা দেবে। নববর্ষে কূটনৈতিক এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও স্থাপনার বিশেষ নিরাপত্তা প্রদান করা হবে। নববর্ষ উদযাপনকালে ঢাকা মহানগরের অনুষ্ঠানে ও সারাদেশে অনুষ্ঠেয় অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অগ্নিনির্বাপক গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্সসহ ফায়ার সার্ভিস টিম থাকবে। মেডিকেল টিম থাকবে। এছাড়া বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে ইভটিজিং, ছিনতাই, পকেটমারসহ যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে মোবাইল কোর্ট ও গোয়েন্দা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ভুভুজেলা বাঁশি বাজানো নিষিদ্ধ থাকবে। নববর্ষে দেশের কারাগারে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হবে এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও আয়োজন করা হবে। কোন ধরনের ফানুস বা আতশবাজি ফুটানো যাবে না। বাংলা নববর্ষে মাদকের অপব্যবহার রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪৪

পহেলা বৈশাখে ঢাবিতে মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) বাংলা নববর্ষ-১৪৩১ উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপনের লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন কর্মসূচি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নববর্ষ উদযাপনের জন্য উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। রোববার (২৪ মার্চ) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য এই আহ্বান জানান। সভায় জানানো হয়, বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ‘আমরা তো তিমিরবিনাশী’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এ বছর মঙ্গল শোভাযাত্রা চারুকলা অনুষদ থেকে সকাল ৯টায় বের করা হবে। মঙ্গল শোভাযাত্রা শাহবাগ মোড় হয়ে শিশুপার্কের সামনে থেকে ঘুরে শাহবাগ হয়ে টিএসসিতে শেষ হবে। পহেলা বৈশাখে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের মুখোশ পরা এবং ব্যাগ বহন করা যাবে না। তবে চারুকলা অনুষদের প্রস্তুত করা মুখোশ হাতে নিয়ে প্রদর্শন করা যাবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভুভুজিলা বাঁশি বাজানো ও বিক্রি করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে। সভায় আরও জানানো হয়, ক্যাম্পাসে নববর্ষের অনুষ্ঠান বিকাল ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে। নববর্ষের দিন ক্যাম্পাসে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ঢোকা যাবে। এরপর শুধু বের হওয়া যাবে। নববর্ষের আগের দিন ১৩ এপ্রিল (শনিবার) সন্ধ্যা ৭টার পর ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে না। নববর্ষের দিন ক্যাম্পাসে যানবাহন চালানো যাবে না। মোটরসাইকেল চালানোও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। নববর্ষের দিন টিএসসির সামনের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট বন্ধ থাকবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢুকতে চারুকলা অনুষদের সামনের ছবির হাটের গেট, বাংলা একাডেমির সামনের গেট এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের পাশের গেট ব্যবহার করা যাবে। এছাড়া, টিএসসির সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের হেল্প ডেস্ক, কন্ট্রোল রুম এবং অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প থাকবে। হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল মাঠ সংলগ্ন এলাকা, টিএসসি সংলগ্ন এলাকা, দোয়েল চত্বরের আশপাশের এলাকা ও কার্জন হল এলাকায় মোবাইল পাবলিক টয়লেট স্থাপন করা হবে। 
২৫ মার্চ ২০২৪, ১০:১১

রোজায় সহবাসে মানতে হবে যেসব বিধান
চলছে পবিত্র রমজান মাস। এ মাসটি হলো কোরআন নাজিলের মাস, সংযমের মাস ও ত্যাগের মাস। এ মাসটি হলো ইবাদত-বন্দেগির মাস। আর মহিমান্বিত এই মাসে আমরা অনেকেই জেনে না জেনে সহবাসে লিপ্ত হই। এতে করে আমাদের রোজা ভেঙ্গে যায়। তাই চলুন, বরকতের এই মাসে সহবাস সংক্রান্ত বিধি বিধানগুলো জেনে নেই।     পবিত্র রমজান মাসে স্ত্রী সহবাস সম্পর্কে সূরা আল-বাকারা’র ১৮৭ নং আয়াতে বলা হয়েছে, রোজার রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সঙ্গে সহবাস করা তোমাদের জন্য সম্পূর্ণ হালাল করা হয়েছে। আর পবিত্র কোরআনের এই আয়াত থেকে এটা প্রমাণিত হয় যে, রোজাদারের জন্য দিনের বেলা সহবাস হালাল করা হয়নি।  সিয়ামের রাতে তোমাদের জন্যে তোমাদের স্ত্রীদেরকে বৈধ করা হয়েছে। তারা তোমাদের জন্যে এবং তোমরাও তাদের জন্যে পরিচ্ছদ। আল্লাহ জেনেছেন যে, তোমরা তোমাদের নিজেদের সঙ্গে খিয়ানত করছিলে, অতঃপর তিনি তোমাদের তওবা কবুল করেছেন এবং তোমাদেরকে মার্জনা করেছেন, সুতরাং এখন তোমরা তাদের সঙ্গে সংগত হও এবং আল্লাহ তোমাদের জন্যে যা নির্ধারণ করে রেখেছেন (অর্থাৎ সন্তান) তা অন্বেষণ করো। আর তোমরা আহার করো ও পান করো যতক্ষণ তোমাদের জন্যে (রাত্রির) কালো রেখা থেকে ফজরের সাদা রেখা স্পষ্ট হয়ে যায়। এরপর রাত পর্যন্ত সিয়াম পূর্ণ করো। আর তোমরা মসজিদে ইতিকাফ অবস্থায় তাদের সঙ্গে সংগত হয়ো না। এগুলো আল্লাহর (নির্ধারিত) সীমা, সুতরাং এর নিকটবর্তী হইও না। এভাবেই আল্লাহ মানুষের জন্যে তার আয়াতসমূহ স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন, যাতে তারা তাকওয়া বা আল্লাহভীরুতা অবলম্বন করতে পারে।’ (সূরা বাকারাহ-১৮৭) শরিয়তে যৌন সম্পর্ক বলতে পুরুষাঙ্গের সঙ্গে স্ত্রী-অঙ্গের মিলনকে বোঝানো হয়েছে। এখানে বীর্যপাত শর্ত নয়। এই দুই অঙ্গ সংস্পর্শে আসলেই ভেঙে যাবে রোজা। এমনকি বীর্যপাত না ঘটলেও। তবে যৌন মিলনের দ্বারা কেউ রোজা ভাঙলে সেটি পরবর্তীতে কাযা করতে হবে এবং কাফফারাও দিতে হবে। স্বামী-স্ত্রীর মাঝে শারীরিক স্পর্শ বা শুধু চুমুর কারণে রোজা ভাঙবে না। তবে এর ফলে যদি বীর্যপাত ঘটে, সেক্ষেত্রে রোজা ভেঙে যাবে। তাই রোজার সময় এগুলো পরিহার করাটাই উত্তম। আবার, কেউ যদি স্বপ্রণোদিত হয়ে নিজের বীর্যপাত ঘটান, সেক্ষেত্রে তার রোজা ভেঙে যাবে। যেমন- নিজে বা স্ত্রী কর্তৃক হস্তমৈথুনের মাধ্যমে যদি বীর্যপাত ঘটে, এক্ষেত্রে রোজা ভেঙে যাবে। ইচ্ছেকৃতভাবে বীর্যপাত ঘটালে রোজা ভাঙবে। এ বিষয়ে বুখারি শরিফের একটি হাদিসে বলা হয়, সে (বান্দা) আমার জন্যই খাদ্য, পানীয় ও কামনা-বাসনা পরিত্যাগ করে। তবে এভাবে রোজা ভেঙে গেলে, কাযা করাই যথেষ্ট। সহবাসের ক্ষেত্রে যে কাফ্ফারা দিতে হয়, এক্ষেত্রে সেটি দিতে হবে না। তবে বীর্যপাত যদি স্বতঃপ্রণোদিত না হলে, সেক্ষেত্রে রোজা ভাঙবে না। যেমনঃ স্বপ্নদোষের ফলে রোজা ভাঙবে না। তাছাড়া, কোনো ব্যক্তির চিন্তায় যদি আচমকা যৌন ভাবনার উদয় হয় যা সে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মাথায় আনেনি। এবং যদি বীর্যপাত ঘটে, সে ক্ষেত্রে রোজা ভাঙবে না। তাই আসুন আমরা শরিয়াতের বিধি বিধান মেনে চলি। রোজা রেখে দিনের বেলায় সহবাস থেকে বিরত থাকি। শারীরিক ও মানসিক শুদ্ধির মাধ্যমে রমজানের পবিত্রতা বজায় রাখি।   
২৩ মার্চ ২০২৪, ০০:৫৭

জাবিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু, মানতে হবে ৯ নির্দেশনা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার আজ থেকে শুরু হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ‘এ’ ইউনিট দিয়ে সকাল ৯টায় শুরু হওয়া ভর্তি পরীক্ষা চলবে আগামী ৫ মার্চ পর্যন্ত।  বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) সৈয়দ মোহাম্মদ আলী রেজা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। পরীক্ষার রুটিন ২২ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সকাল নয়টায় শুরু হয়ে মোট ৬ শিফটে ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ২৫ ফেব্রুয়ারি (রোববার) সকাল নয়টায় প্রথম শিফটে ‘সি’-১ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরে সকাল ১০টা ২৫ মিনিট থেকে দ্বিতীয় শিফটে ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। একই দিনে পঞ্চম শিফটে ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ২৭ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) ও ২৮ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) দুই দিনে ‘ডি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ২৯ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) প্রথম দুই শিফটে ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরে সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া ওই দিন শেষ দুই শিফটে ‘ই’ ইউনিটের পরীক্ষা।  এ ছাড়া ৩ থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ব্যবহারিক পরীক্ষা এবং ৫ মার্চ চারুকলা বিভাগের ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।  এ ছাড়া ৩ থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ব্যবহারিক পরীক্ষা এবং ৫ মার্চ চারুকলা বিভাগের ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য মানতে হবে যেসব নির্দেশনা ১. ওএমআর ফরমের বৃত্ত সাধারণ কালো বলপেন দ্বারা পূরণ করতে হবে। ওএমআর ফরম পূরণে ভুল হলে উত্তরপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে। যৌক্তিক কারণ ছাড়া পরীক্ষার্থীকে অতিরিক্ত ওএমআর ফরম দেওয়া হবে না। ওএমআর ফরম ভাঁজ করা, কাটাকাটি করা, অবাঞ্ছিত দাগ দেওয়া, স্ট্যাপলার বা পিনআপ (Pin-up) করা এবং ফরমের ওপর পানি ফেলা যাবে না। ২. ভর্তি পরীক্ষার রোল নম্বর, দিনের শিফট ও প্রশ্নপত্রের সেট কোড অবশ্যই ইংরেজিতে লিখতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ঘর যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে। পরীক্ষা শেষে ওএমআর শিট ও প্রশ্নপত্র পরিদর্শকের কাছে জমা দিতে হবে। ৩. পরীক্ষার্থী কর্তৃক ডাউনলোড করা প্রবেশপত্রের মাধ্যমে পরীক্ষার আসন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবে। ৪. সপরীক্ষা শুরু হওয়ার নির্ধারিত সময়ের অন্তত ১০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রের নির্ধারিত কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। ৫. পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষাকেন্দ্রে ব্যাগ, বইপত্র, মোবাইল ফোন, ঘড়ি, ক্যালকুলেটর কিংবা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না। সময় দেখার জন্য পরীক্ষার হলে ঘড়ির ব্যবস্থা থাকবে। ৬. পরীক্ষার্থী ও পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যক্তিরা ছাড়া অন্য কেউ পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। ৭. ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর থেকে সর্বোচ্চ ৭ (সাত) দিনের মধ্যে ju-admission.org এবং juniv.edu/admission থেকে জানা যাবে। ৮. ভর্তি পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীকে মাধ্যমিক পরীক্ষার মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড এবং ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র অবশ্যই সঙ্গে আনতে হবে। ৯. ঢাকা শহর থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এ জন্য যেসব পরীক্ষার্থী ঢাকা শহর বা দূরবর্তী অন্য কোনো স্থান থেকে এসে পরীক্ষা দেবে, তাদের যানজটসহ অপ্রত্যাশিত দুর্ভোগ এড়ানোর জন্য পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে আসার পরামর্শ দেওয়া হলো। উল্লেখ্য যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বাসে পরীক্ষার্থী বা তাদের অভিভাবকেরা আসা-যাওয়া করতে পারবেন না। উল্লেখ্য, ভর্তি পরীক্ষার আসন বিন্যাস, ফলসহ ভর্তি পরীক্ষা-সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪৯

জাবি ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে কাল, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি)। এদিন ‘এ’ ইউনিট দিয়ে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে। আগামী ৫ মার্চ সি-১ ইউনিটের ব্যবহারিক পরীক্ষার মধ্যদিয়ে ভর্তি পরীক্ষা শেষ হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) সৈয়দ মোহাম্মদ আলী রেজা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। পরীক্ষার সূচি অনুযায়ী, ২২ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সকাল নয়টায় শুরু হয়ে মোট ৬ শিফটে ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা চলাকালীন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্যে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে : ওএমআর ফরমের বৃত্ত সাধারণ কালো বলপেন দ্বারা পূরণ করতে হবে। ওএমআর ফরম পূরণে ভুল হলে উত্তরপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে। যৌক্তিক কারণ ছাড়া পরীক্ষার্থীকে অতিরিক্ত ওএমআর ফরম দেওয়া হবে না। ওএমআর ফরম ভাঁজ করা, কাটাকাটি করা, অবাঞ্ছিত দাগ দেয়া, স্ট্যাপলার বা পিনআপ (Pin-up) করা এবং ফরমের ওপর পানি ফেলা যাবে না। ভর্তি পরীক্ষার রোল নম্বর, দিনের শিফট ও প্রশ্নপত্রের সেট কোড অবশ্যই ইংরেজিতে লিখতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ঘর যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে। পরীক্ষা শেষে ওএমআর শিট ও প্রশ্নপত্র পরিদর্শকের কাছে জমা দিতে হবে। পরীক্ষা শুরু হওয়ার নির্ধারিত সময়ের অন্তত ১০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রের নির্ধারিত কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষার্থী কর্তৃক ডাউনলোড করা প্রবেশপত্রের মাধ্যমে পরীক্ষার আসন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবে। পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষাকেন্দ্রে ব্যাগ, বইপত্র, মোবাইল ফোন, ঘড়ি, ক্যালকুলেটর কিংবা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না। সময় দেখার জন্য পরীক্ষার হলে ঘড়ির ব্যবস্থা থাকবে। পরীক্ষার্থী ও পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যক্তিরা ছাড়া অন্য কেউ পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। ভর্তি পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীকে মাধ্যমিক পরীক্ষার মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড এবং ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র অবশ্যই সঙ্গে আনতে হবে। ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর থেকে সর্বোচ্চ ৭ (সাত) দিনের মধ্যে ju-admission.org এবং juniv.edu/admission থেকে জানা যাবে। ঢাকা শহর থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এ জন্য যেসব পরীক্ষার্থী ঢাকা শহর বা দূরবর্তী অন্য কোনো স্থান থেকে এসে পরীক্ষা দেবে, তাদের যানজটসহ অপ্রত্যাশিত দুর্ভোগ এড়ানোর জন্য পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে আসার পরামর্শ দেওয়া হলো। উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বাসে পরীক্ষার্থী বা তাদের অভিভাবকেরা আসা-যাওয়া করতে পারবেন না। এদিকে ২৫ ফেব্রুয়ারি (রোববার) সকাল নয়টায় প্রথম শিফটে ‘সি’-১ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরে সকাল ১০টা ২৫ মিনিট থেকে দ্বিতীয় শিফটে ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। একই দিনে পঞ্চম শিফটে ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ২৭ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) ও ২৮ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) দুই দিনে ‘ডি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ২৯ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) প্রথম দুই শিফটে ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরে সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন শেষ দুই শিফটে ‘ই’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া ৩ থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ব্যবহারিক পরীক্ষা এবং ৫ মার্চ চারুকলা বিভাগের ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া ৩ থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ব্যবহারিক পরীক্ষা এবং ৫ মার্চ চারুকলা বিভাগের ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:১৩

এসএসসি পরীক্ষা আজ, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
আজ শুরু হচ্ছে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা।  বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া পরীক্ষা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে দুপুর ১টায়। এবারের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এসএসসিতে ১৬ লাখ ৬ হাজার ৮৭৯ জন, দাখিলে ২ লাখ ৯০ হাজার ৯৪০ জন, এসএসসি (ভোকেশনাল) ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেবেন। সারাদেশে ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ৩ হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবেন। আর বিদেশের ৮ কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে বেলা ১টায়। এদিকে কেন্দ্রগুলোতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এতে বলা হয়, নিষেধাজ্ঞায় পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে পরীক্ষার্থী ছাড়া জনসাধারণের প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ আদেশ বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার দিনগুলোতে পরীক্ষা চলার সময় পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়াও পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে কিছু ব্যবস্থা ও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সভাপতি প্রফেসর তপন কুমার সরকার। নির্দেশনাগুলো হলো- ১. পরীক্ষা শুরু হওয়ার সময় সকাল ১০টা এবং শেষ হওয়ার সময় দুপুর ১টা। পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীকে এর পরে প্রবেশ করতে দিলে তাদের নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, বিলম্ব হওয়ার কারণ ইত্যাদি একটি রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করে ওই দিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন দিতে হবে। ২.  ট্রেজারি থেকে নির্দিষ্ট তারিখের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সকল সেট কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে। ৩.  পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট পূর্বে এসএমএসর মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের নিকট প্রশ্নপত্রের সেট কোড জানিয়ে দেওয়া হবে। ৪.  কেন্দ্র সচিব ব্যতীত অন্য কেউ মোবাইল ফোন/ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না; শুধু কেন্দ্র সচিব মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন (ছবি তোলা যায় না, এমন ফোন)। ৫.  পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ (পরীক্ষার্থী, কক্ষ প্রত্যবেক্ষক, মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন টিম, বোর্ডের পরিদর্শন টিম, জেলা ও উপজেলা পরিদর্শন টিম, নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য) ব্যতীত অন্য কেউই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না। ৬.  ২০২৪ সালের পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৭.  পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হবে। ৮.  সাধারণ শিক্ষা বোর্ডসমূহ: তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ মার্চ শুরু হয়ে ২০ মার্চ শেষ হবে। ৯.  মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড: তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪ মার্চ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৬ মার্চ শুরু হয়ে ২১ মার্চ শেষ হবে। ১০.  কারিগরি শিক্ষা বোর্ড: তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ মার্চ শুরু হয়ে ২১ মার্চ শেষ হবে। ১১.  আসন্ন এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠু, সুন্দর ও নকলমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। ১২. শিক্ষা বোর্ডসমূহের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো অনলাইনে সার্বক্ষণিকভাবে তথ্যাদি আদান-প্রদান করবে।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:০৪

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী দেশের ১৯টি পরীক্ষাকেন্দ্রের ৪৪টি ভেন্যুতে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে এ পরীক্ষা। এ উপলক্ষে পরীক্ষার্থীদের জন্য কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, এমবিবিএস ভর্তিপ্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনা, প্রকৃত শিক্ষার্থীদের প্রতি হয়রানি ও অনিয়ম বন্ধ এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ভর্তিপ্রক্রিয়া ডিজিটালাইজেশনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারি মেডিকেল কলেজে বিগত কয়েক বছর অনলাইনে ভর্তিপ্রক্রিয়া সম্পন্নকরণ ও ডিজিটালাইজেশনের ফলে প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ হয়েছে এবং একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। সরকারি মেডিকেল কলেজের ধারাবাহিকতায় ভর্তিপ্রক্রিয়ায় অনিয়ম রোধ এবং শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় বন্ধে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তিপ্রক্রিয়ায় ডিজিটালাইজেশনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তিপ্রক্রিয়া ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে অনলাইন প্রক্রিয়ায় শুরু হওয়ায় প্রকৃত শিক্ষার্থীদের হয়রানি, অনিয়ম ও অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের পথ বন্ধ হয়েছে। মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিতের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মানতে হবে যেসব নির্দেশনা *প্রশ্নপত্র বহনকারী ট্রাংকে একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস রয়েছে, যার মাধ্যমে স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রে আনা-নেওয়ার কার্যক্রম মনিটরিং করা হয়; *৯ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষার কেন্দ্র/ভেন্যুর গেট খোলা হবে সকাল আটটায়। পরীক্ষার দিন সকাল সাড়ে ৯টার পর কোনো পরীক্ষার্থী হলে প্রবেশ করতে পারবেন না; *পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রের রঙিন প্রিন্ট কপি নিয়ে আসতে হবে; *কেন্দ্র/ভেন্যুতে পরীক্ষার্থীদের (ছেলে ও মেয়ে) পৃথক পৃথক তল্লাশির ব্যবস্থা থাকবে। পরীক্ষার্থীরা প্রবেশপত্র ও বলপয়েন্ট কলম ব্যতীত অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে যাতে প্রবেশ করতে না পারেন, সে লক্ষ্যে মেটাল ডিটেক্টরের পাশাপাশি আর্চওয়ে দিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রবেশের বিষয়টি তদারক করা হবে; * ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র/ভেন্যুতে সকাল আটটা থেকে শিক্ষার্থীরা প্রবেশ করতে ইনভিজিলেটর (কক্ষ পরিদর্শক) সকাল আটটা থেকে পরীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত কক্ষে অবস্থান করে প্রবেশপত্রে পরীক্ষার্থীর ছবির জলছাপ ও রঙিন ছবির সঙ্গে পরীক্ষার্থীর চেহারা মিলিয়ে পরীক্ষাকক্ষে প্রবেশের অনুমতি প্রদান করবেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা কেন্দ্রে উপস্থিত থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করবেন; *পরীক্ষার্থী, ইনভিজিলেটর, ভেন্যুর কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মন্ত্রণালয়/অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কোনোভাবেই মোবাইল, ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্লুটুথ, এয়ারফোন ইত্যাদি বহন করবেন না; *ভর্তি পরীক্ষার হলে ভর্তি পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট কাজের সঙ্গে জড়িত কেউ মুঠোফোন নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না; *ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র/ভেন্যুতে ভর্তি পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি প্রবেশ করতে পারবেন না; *গত ১০ জানুয়ারি থেকে মেডিকেল ভর্তি কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধের নির্দেশনার পর জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে অফলাইন কোচিং সেন্টার বন্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া অনলাইন কোচিং বন্ধ ও সাইবার অপরাধ রোধকল্পে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে; *পরীক্ষার দিন পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোর আশপাশের ফটোকপির মেশিন বন্ধ থাকবে। পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যেকোনো প্রকার অসদাচরণ/প্রতারণা/গুজব ছড়ানোর সঙ্গে জড়িত কাউকে চিহ্নিত করা গেলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে মোট আসন ৫ হাজার ৩৮০টি। এ ছাড়া বেসরকারি পর্যায়ে অনুমোদিত ৬৭টি মেডিকেল কলেজে মোট আসন ৬ হাজার ২৯৫টি।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:২৬

‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ লেখা স্মার্টকার্ড দিতে যেসব নির্দেশনা মানতে হবে
আবেদনের মাধ্যমে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ লেখা স্মার্টকার্ড পাচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধারা। সম্প্রতি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এবার স্মার্টকার্ড দিতে মাঠ কর্মকর্তাদের চারটি নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি।  বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) উপপরিচালক (তথ্য অনুসন্ধান) মো. রশিদ মিয়া নির্দেশনাটি পাঠিয়েছেন। এতে ইসির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য নিম্নের চার নির্দেশনা মানতে বলা হয়েছে। নির্দেশনাগুলো হলো ১) বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ শব্দ খচিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তির নিমিত্ত উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন দাখিল করবেন। আবেদনের সঙ্গে এতদসংক্রান্ত গেজেটসহ সাম্প্রতিককালে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক সংশ্লিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাদেরকে প্রদত্ত এমআইএস নম্বরসহ স্মার্ট কার্ড এবং ডিজিটাল সনদের সত্যায়িত কপি সংযুক্ত করতে হবে। ২) মাসিক ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসাররা যথাযথ প্রক্রিয়ায় সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন অফিসারের মাধ্যমে ওই আবেদনসমুহ মহাপরিচালক, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, ঢাকা বরাবর প্রেরণ করবেন। ৩) আঞ্চলিক/সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন অফিসাররা একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মাসিক/ত্রৈমাসিকভাবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। ৪) বিতরণের ক্ষেত্রে ম্যানুয়ালি রেজিস্ট্রারে এবং ডিজিটালি এনআইডি সিস্টেমে প্রাপ্তি স্বীকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এর আগে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ূন কবীর ইসির মাসিক সমন্বয় সভায় নেওয়া এমন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট শাখাকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এতে বলা হয়েছে, ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত যে বীর মুক্তিযোদ্ধারা স্মার্টকার্ডের জন্য আবেদন করবেন, তাদের মুক্তিযোদ্ধা গেজেট অনুসারে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে যাচাইপূর্বক বীর মুক্তিযোদ্ধা খচিত স্মার্টকার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। জানা গেছে, কে এম নূরুল হুদার বিগত কমিশন জাতির সূর্য সন্তানদের সম্মানার্থে ২০২২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১০০ জন মুক্তিযোদ্ধার হাতে স্মার্টকার্ড ‍তুলে দিয়েছিলেন। আর ২০২৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের উপস্থিতে অনুষ্ঠিত সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের চিপসের নিচে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ শব্দ দুটি স্থাপনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় পত্রের মাধ্যমে তাদের সম্মতি দেয়। তবে কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধা এ আবেদন করলে তা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভেটিং করিয়ে সন্নিবেশের সিদ্ধান্ত হয়। ওই সময় কে এম নূরুল হুদার কমিশন গেজেট অনুযায়ী ১ লাখ ৮৩ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে বিশেষ এ স্মার্টকার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এ জন্য প্রথমবারের মতো কোনো একটি সুনির্দিষ্ট শ্রেণির জন্য স্মার্টকার্ডের নকশায় পরিবর্তন আনে। তবে আলোচনা না করে মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ স্মার্টকার্ড দেওয়ার আপত্তি জানায় মন্ত্রণালয়। ফলে বন্ধ হয়ে যায় উদ্যোগটি। এবার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেই স্মার্টকার্ড দিচ্ছে বর্তমান নির্বাচন কমিশন। ফলে মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ এ কার্ড নিতে শুধু নির্বাচন কমিশনে আবেদন করলেই হবে।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৩৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়