• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
হুন্ডির মাধ্যমে তিন মাসে ৪০০ কোটি টাকা পাচার, গ্রেপ্তার ৫
‘জেট রোবোটিক’ নামে একটি অ্যাপের অ্যাডমিন কুমিল্লার শহিদুল ইসলাম ওরফে মামুন। তিনি ২০২০ সাল থেকে দুবাইতে আছেন। মধ্যপ্রাচ্যে বসে নিজস্ব এজেন্টের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিদের রেমিট্যান্স পাঠানোর দায়িত্ব নিতেন তিনি। গত তিন থেকে সাড়ে ৩ মাসে তিনি ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছেন জেট রোবোটিক অ্যাপের মাধ্যমে। তবে তিনি ঠিকই চাহিদা অনুযায়ী গন্তব্যে টাকা পাঠিয়েছেন। এজন্য ব্যবহার করা হয়েছে চট্টগ্রামের মোবাইল ব্যাংকিং ডিস্ট্রিবিউশন হাউজ তাসমিয়া অ্যাসোসিয়েটসকে। প্রতিষ্ঠানটির ৪৮টি মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট সিমে আগে থেকেই সমপরিমাণ বা বেশি অনলাইনে টাকা সংগ্রহ করে রাখা হয়। এরপর সংগ্রহ করা টাকা এজেন্ট সিম থেকে অ্যাপের ব্যবহার করে প্রবাসীদের আত্মীয়দের নম্বরে অর্থ পাঠিয়ে দিয়ে আসছিল সংঘবদ্ধ একটি চক্রটি বলে দাবি করেছে সিআইডি। বুধবার (২৭ মার্চ) রাতে ঢাকা ও চট্টগ্রামে পৃথক অভিযান চালিয়ে এই চক্রের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে হুন্ডির কাজে ব্যবহৃত মুঠোফোন, সিমকার্ড ল্যাপটপ ও ২৮ লাখ ৫১ হাজার নগদ টাকা উদ্ধার করা হয় এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডি বলছে, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রায় এক মাস ধরে অনুসন্ধান করে এই চক্রের সন্ধান পায়। এই চক্রের কারণে রেমিট্যান্স থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল দেশ। অনেকের অবৈধ উপার্জনের টাকা এই চক্রের মাধ্যমে বৈধ হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে মালিবাগে নিজ কার্যালয়ে সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন নাসির আহমেদ (৬২), ফজলে রাব্বি সুমন (৩২),  মো. কামরুজ্জামান (৩৩), খায়রুল ইসলাম (৩৪) ও জহির উদ্দিন (৩৭)। তাদের মধ্যে নাসির ডিস্ট্রিবিউশন হাউসের মালিক। ফজলে রাব্বি ও মো. কামরুজ্জামান ডিস্ট্রিবিউশন হাউজে কাজ করেন। আর পরের দুজন দুবাই থেকে শহিদুলের পাঠানো প্রবাসীদের আত্মীয়স্বজনের অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে দিতেন। সিআইডির প্রধান পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ আলী মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, এই চক্র দুই ভাগে হুন্ডির কাজ পরিচালনা করে। দুবাইয়ে থাকা চক্রের সদস্যরা প্রবাসীদের কাছ থেকে বিদেশি মুদ্রা সংগ্রহ করেন। আর দেশে থাকা চক্রের সদস্যরা ওই প্রবাসীর দেশে থাকা আত্মীয়স্বজনদের এমএফএস অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেয়। এতে প্রবাসীদের মাধ্যমে যে রেমিট্যান্স আসত, সেটা ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি দেশের কালোটাকার মালিকেরা এই চক্রের মাধ্যমে তাদের অবৈধ উপার্জন বৈধ করছেন। আর এই পুরো কাজটি পরিচালিত হতো জেট রোবোটিকস অ্যাপের মাধ্যমে। সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির প্রধান আরও বলেন, চক্রের সঙ্গে এমএফএস কোম্পানির চট্টগ্রামের তাসনিমা অ্যাসোসিয়েট নামের একটি ডিস্ট্রিবিউশন হাউসের লোকজন জড়িত। তাদের কাছ থেকে কম লেনদেন হয় এমন এমএফএস এজেন্ট অ্যাকাউন্ট সংগ্রহ করতেন চক্রের সদস্যরা। বিনিময়ে ডিস্ট্রিবিউশন হাউজের লোকজন হুন্ডির লাভের টাকার একটি ভাগ পেতেন। মোহাম্মদ আলী বলেন, এই চক্রের মূলহোতা শহিদুল ইসলাম ওরফে মামুন। তিনি ২০২০ সাল থেকে দুবাই বসবাস করেন। মালয়েশিয়ান একটি সফটওয়্যার কোম্পানির মাধ্যমে অ্যাপটি তৈরি করে দুবাই বসে শহিদুল  হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ করতেন। এই অ্যাপের সঙ্গে একটি এমএফএস কোম্পানির ৪১টি অ্যাকাউন্ট নম্বরের সংযোগ ছিল। গত তিন মাসে ওই  ডিস্ট্রিবিউশন হাউসের প্রায় ১৫০টি এজেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছে চক্রটি। সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ আলী বলেন, একটি ডিস্ট্রিবিউশন হাউসের অধীন প্রায় ১ হাজার ১০০ এজেন্ট থাকে। যেসব এজেন্ট অ্যাকাউন্টে লেনদেন কম হয়, সেই সব অ্যাকাউন্ট হুন্ডির কাজে ব্যবহার করা হয়। এ ক্ষেত্রে এমএফএস কোম্পানির নজরদারির ঘাটতি রয়েছে। নতুন নতুন অ্যাপসের মাধ্যমে কৌশলে এ ধরনের ডিজিটাল হুন্ডি কার্যক্রম চলতে পারে উল্লেখ করে সিআইডি প্রধান বলেন, এ ধরনের কার্যক্রমরোধে সিআইডিসহ সব দায়িত্বরত প্রতিষ্ঠানকে ইন্টেলিজেন্স, মনিটরিং আরও বাড়াতে হবে। তিন মাস ধরে অস্বাভাবিক লেনদেন, রেমিট্যান্স ব্লক হলো অথচ বাংলাদেশ ব্যাংক টের পেল না? তাদের তো একটা শক্তিশালী মনিটরিং সেল আছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যর্থতা কি-না জানতে চাইলে সিআইডিপ্রধান বলেন, ব্যর্থতা বলবো না, সার্ভিলেন্স সিস্টেমকে কতটা পেট্রলিং করছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আমাদের পেট্রলিংয়ে এটা ধরতে পেরেছি। এর দায়িত্ব শুধু সিআইডি’র নয়, ডিবি, র‌্যাব, বাংলাদেশ ব্যাংকেরও। হুন্ডি তো আগেও হতো, এটাকে ডিজিটাল হুন্ডি বলছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এ সিস্টেম আসলেই ডিজিটাল হুন্ডি। আগে ফোন করে বলে দিতো অমুকের টাকা অমুককে দিয়ে দাও। এটা ম্যানুয়াল সিস্টেমে। কিন্তু এখন এসবের দরকার নেই। ফোন বা লোকাল এজেন্ট অথবা ডিস্টিবিশন হাউজ দরকার পড়ে না। অ্যাপস যেভাবে ইনস্ট্রাকশন দেবে সেভাবে নম্বরে নম্বরে টাকা চলে যায়।
৯ ঘণ্টা আগে

আরটিভির মাধ্যমে সংগীত পরিচালনায় নাম লেখালেন জিকো
গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক ও সংগীতশিল্পী পিন্টু ঘোষ। দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় কাজ করা দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘চিরকুট’ ছেড়ে একক ক্যারিয়ার গড়েছেন তিনি। এবার তার পথেই হাঁটছেন তার ছোট ভাই জিকো। মূলত বড় ভাইয়ের অনুপ্রেরণায় সংগীত পরিচালনায় নিজের নাম লেখালেন তিনি। ছোট বেলা থেকেই গানের সঙ্গে যুক্ত জিকো। তিনি বাংলাদেশের যন্ত্রশিল্পীদের মাঝে অন্যতম একজন। তবে সংগীত পরিচালনা করেননি কখনো। এবার বড় ভাই পিন্টু ঘোষকে নিয়েই একসঙ্গে কাজ করলেন তিনি।  ইতোমধ্যে ৪টি গানের সংগীত পরিচালনা করেছেন জিকো। যেই চারটি গানের কণ্ঠ শিল্পী পিন্টু ঘোষ। ইতোমধ্যে আরটিভির জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ফোক স্টেশনের বড় আয়োজনের শুটিং সম্পন্ন হয়েছে। যা এই ঈদে প্রকাশ পাবে।  ফোক স্টেশনের সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন শুরুতেই বাজিমাত করবেন জিকো। 
২০ ঘণ্টা আগে

কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে গাঁজা পাচার, গ্রেপ্তার ‌১
পাবনায় অভিযান চালিয়ে  ১২ কেজি গাঁজাসহ কালু মোল্লা নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কালু মোল্লা পাবনা সদর উপজেলার  জালালপুর গ্রামের আতিয়ার মোল্লার ছেলে। পাবনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জানায়, লালমনিরহাট থেকে একজন গাঁজা ব্যবসায়ী তার ব্যবসার মালামাল পৌঁছে দেওয়ার জন্য করতোয়া কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ১২ কেজি গাঁজা কার্টুন করে পাঠিয়ে ছিলেন। কার্টুনের মধ্যে কসমেটিক সামগ্রী আনা হচ্ছে বলে উল্লেখ করা ছিল। তবে সকালে সেই কার্টুন কুরিয়ার সার্ভিস থেকে নিয়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন মাদক ব্যবসায়ী কালু মোল্লা।  এ সময় তাকে সন্দেহ হলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি টিম কার্টুন খুলে দেখেন সেখানে রয়েছে গাজা। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, করতোয়া কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে কসমেটিক আনার নামে গাঁজা পরিবহন করতেন তারা।   এ বিষয়ে আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আসামির বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর কুরিয়ার সার্ভিসে মাদক পরিবহণের বিষয়টি তদন্ত চলছে।
২৬ মার্চ ২০২৪, ১৭:৩৭

স্মার্টফোনের মাধ্যমে জনগণের ওপর নজরদারি করছে সরকার : ফখরুল
স্মার্টফোনের মাধ্যমে সরকার দেশের প্রতিটি মানুষের ওপর নজরদারি করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেইসঙ্গে দেশে এখন ছদ্মবেশী গণতন্ত্র চলছে বলেও দাবি তার।  সোমবার (২৫ মার্চ) নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।  মির্জা ফখরুল বলেন, জোর করে ক্ষমতা দখলকারী সরকার আজ মানুষের বুকে চেপে বসেছে। অথচ তাদের ক্ষমতায় বসার কোনো বৈধতা নেই। এরা ১৯৭৫ সালেও বাকশালের মাধ্যমে প্রতারণা করেছিল, আর এখন ছদ্মবেশী গণতন্ত্রের মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে। সত্য কথা বললেই এখন গ্রেপ্তার করা হয় দাবি করে এরপর তিনি বলেন, আজ সত্য কথা বললেই গ্রেপ্তার করা হয়। আমরা এই অবস্থার পরিবর্তন করতে চেয়েছি, তা নিয়ে সংগ্রাম করেছি। খালেদা জিয়া সুষ্ঠু নির্বাচনের একটি পরামর্শ দিয়েছিলেন, যে নির্বাচন হবে একটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে। কিন্তু এসব কিছুই বাস্তবায়ন না করে বাকশালের মত একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করা হয়েছে। আর এজন্য দেশের যাবতীয় গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি স্থানে দলীয় লোক বসানো হয়েছে। জনগণ আজ রাষ্ট্রের মালিকানা হারিয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, যে ভোটাধিকারের মাধ্যমে দেশে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়, সে অধিকার আজ কেড়ে নেওয়া হয়েছে।  ১৯৭১ সালে একটি স্বপ্ন নিয়ে এ দেশটা স্বাধীন করা হয়েছিল, আর তা হলো রাষ্ট্রের মালিক হবে তারা (জনগণ)।এরপর যখন সংবিধান তৈরি করা হলো, সেখানে স্পষ্ট ভাবে লেখা ছিল দেশের মালিক হবে জনগণ। অথচ দুর্ভাগ্য এই যে স্বাধীনতার ৫২ বছর পর এদেশের মানুষ তার দেশের মালিকানা হারিয়েছে। তিনি আরও বলেন, স্মার্টফোনের মাধ্যমে সরকার দেশের প্রতিটি লোকের ওপর নজরদারি করছে। ফলে মানুষ যখনই কথা বলতে চায়, বিদ্রোহ করতে চায়, তখনই তাকে তুলে নেওয়া হয়। এই ভয়াবহ ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে লড়াই করা এতো সহজ নয়। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি, এখনো চালাচ্ছি। জনগণকেও আমাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, তাহলেই বিজয় আসবে।
২৫ মার্চ ২০২৪, ১৩:২৮

গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে ঈদযাত্রার ভাড়া পর্যবেক্ষণের পরামর্শ
আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সড়ক-মহাসড়কে বাড়তি ভাড়া আদায় বন্ধে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে গণপরিবহনের ভাড়া পর্যবেক্ষণের পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গা। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কার্যালয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে সড়কপথে যাত্রীসাধারণের যাতায়াত নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করার লক্ষ্যে আয়োজিত প্রস্তুতিমূলক সভায় এ পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী প্রমুখ। মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ঈদে মালিকদের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত কোনো ভাড়া নির্ধারণ করা হয় না। তারপরও প্রতিবার অতিরিক্ত ভাড়ার অভিযোগ আসে। আমাদের আসলে এতো পরিমাণ গাড়ি যে, সবগুলোকে একসঙ্গে দেখা সম্ভব হয় না। প্রতিবার কিছু অসাধু ব্যক্তি আগেই বেশি করে টিকিট কেটে রেখে দেয়, এরপর ঈদের আগে বেশি দামে বিক্রি করে। এ বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থাকে কাজে লাগালে প্রতিকার পাওয়া যাবে। সড়কের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এবার অন্যান্য সময়ের তুলনায় রাস্তাঘাট অনেক ভালো হয়েছে। দুই লেনের রাস্তাগুলো এখন চার লেন হচ্ছে। আশা করি এই ঈদে যানবাহন চলাচলে সমস্যা হবে না। গতবার ট্রাফিক পুলিশ ড্রোন দিয়ে রাস্তার সার্বিক অবস্থা দেখার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল, যে কারণে ক্যামেরায় দেখে সঙ্গে সঙ্গে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পেরেছি। এবারও যদি এ রকমটা হয়, তাহলে অনেকটাই সুবিধা হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা দেখি প্রতিবারই রাস্তার পাশে হাটবাজার থাকার কারণে যানবাহন চলাচল করতে সমস্যা হয়। এগুলো বন্ধ করার অনুরোধ রইলো। অন্তত মূল সড়ক থেকে হাটবাজার যেন দূরে হয়। তাহলে এবার ঈদে অন্য বছরগুলোর মতো ভোগান্তি পোহাতে হবে না। ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি বলেন, প্রতি ঈদেই রাজধানীতে বাড়তি গাড়ি চলে আসে, যেগুলোর কোনো ফিটনেস থাকে না। এগুলোর কারণেই দুর্ঘটনা বেশি ঘটে। এবার ঈদে এগুলো যেন চলতে না পারে। দুর্ঘটনার আরেকটি কারণ হলো মহাসড়কগুলোতে অনেক স্পিডে গাড়ি চলে। এছাড়া মহাসড়কে নসিমন-করিমন চলাচলের কারণেও দুর্ঘটনা দেখা যায়। আগামীতে সমস্যা থাকবে না।  
২১ মার্চ ২০২৪, ১৩:১৮

‘জলদস্যুদের সঙ্গে সেকেন্ড পার্টির মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে’
সোমালি জলদস্যুর কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ ও এর ভেতরে থাকা ২৩ জন নাবিকদের উদ্ধারে সেকেন্ড পার্টির মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বুধবার (১৩ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সেমিনার শেষে তিনি এ কথা জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাহাজটি হাইজ্যাক করা জলদস্যুদের সঙ্গে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে যোগাযোগ করা যায়নি। আমরা সেকেন্ড পার্টির মাধ্যমে চেষ্টা করছি এবং যেখানে জানানো প্রয়োজন, সেখানে জানিয়েছি। তাদের উদ্ধারে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে। বিষয়টি মন্ত্রিসভায়ও আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে রিপোর্টিং সেন্টার ইন কুয়ালালামপুর, ইন্ডিয়ান ফিউশন সেন্টার ইন নিউ দিল্লি, সিঙ্গাপুর,  ইউএসএ, ইউকে এবং চীনসহ সব এরিয়ার নেভাল শিপে আমরা রিপোর্ট করেছি। অন্যান্য সূত্রের মাধ্যমেও আমরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য জাহাজটাকে এবং নাবিকদের মুক্ত করা। কিন্তু স্ট্র্যাটেজি কী হবে, এটা পাবলিক বলার বিষয় নয়। ইতোপূর্বে একই কোম্পানির একটি জাহাজ জলদস্যুরা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল। তিন মাস পর সেই জাহাজ ও ক্রুদের উদ্ধার করা হয়েছিল। এর আগে, ভারত মহাসাগরে এমভি আবদুল্লাহ নামের বাংলাদেশি জাহাজটি মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে। ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে সোমালিয়ার জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর জাহাজে থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে জিম্মি করে। জানা গেছে, নাবিকদের ছাড়তে ‘৫০ লাখ’ মার্কিন ডলার চেয়েছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। মুক্তিপণ না পেলে বাংলাদেশি নাবিকদের মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। জাহাজটি প্রধান কর্মকর্তা (চিফ অফিসার) মো. আতিক উল্লাহ খান তার স্ত্রীকে পাঠানো সর্বশেষ এক অডিও বার্তায় বলেন, আমাদের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে নিচ্ছে। টাকা না দিলে তারা একে একে আমাদের সবাইকে মেরে ফেলবে। তাদের যত তাড়াতাড়ি টাকা দেবে, তত তাড়াতাড়ি ছাড়বে বলেছে। এই বার্তাটা সবদিকে পৌঁছে দিও। দেশের শীর্ষ শিল্প গ্রুপ কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। ২০১৬ সালে তৈরি জাহাজটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্ত ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। প্রথমে জাহাজটির নাম ছিল ‘গোল্ডেন হক’। পরে বাংলাদেশের কেএসআরএম গ্রুপের বহরে যুক্ত হওয়ার পর এর নাম হয় ‘এমভি আবদুল্লাহ’। এটি একটি বাল্ক কেরিয়ার।
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৬

আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নারী সমাজ এগিয়ে যাবে : প্রধানমন্ত্রী
আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে নারীসমাজ এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দেওয়া এক বাণীতে এ প্রত্যাশা করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটি উপলক্ষ্যে বিশ্বের সকল নারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগ; এগিয়ে নিতে হবে বিনিয়োগ’ যা অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে। তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে প্রতিটি কাজে নারী-পুরুষের সম-অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে নারী-পুরুষ সমতা অর্জন ও নারী ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে বিনিয়োগ এবং জেন্ডার-রেসপনসিভ অর্থায়নকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নারীদের এগিয়ে নেওয়ার জন্য এবং ২০৪১ সালের উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিভিন্ন উদ্যোগ গৃহীত হয়েছে। শেখ হাসিনা আরও বলেন, মা ও শিশু স্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণ ও নারীদের স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। শুধুমাত্র চাকরি নির্ভর না হয়ে প্রতিটি নারী যেন নিজ নিজ ক্ষেত্রে উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রস্তুত করতে পারে এ লক্ষ্যে বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমসহ তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ কর্মঘণ্টা আর মজুরি বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে নারী আদায় করেছিল তার অধিকার। নারী তার মেধা ও শ্রম দিয়ে যুগে যুগে সভ্যতার সকল অগ্রগতি এবং উন্নয়নে করেছে সমঅংশীদারীত্ব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের পুনর্বাসন ও ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে ‘নারী পুনর্বাসন বোর্ড’ গঠন করেন। তিনি জাতীয় জীবনের সকল ক্ষেত্রে নারীর সমানাধিকারের বিষয়টি সংবিধানে নিশ্চিত করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিসিএ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের উপকূলীয় এলাকায় নারীর জন্য জলবায়ু সহিষ্ণু বিকল্প জীবিকা এবং সুপেয় পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন সেবা প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারীদের হাতের মুঠোয় এনে দেওয়ার জন্য কাজ করছে ‘তথ্য আপা’ প্রকল্প।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১০:১০

তামিমের উইকেট উদযাপন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় 
চলমান বিপিএলের লিগ পর্বের ৩৮তম ম্যাচে রংপুরের মুখোমুখি হয়েছিল বরিশাল। এই ম্যাচে এক উইকেটে জয় পেয়েছে রংপুর রাইডার্স। তবে সবকিছু ছাপিয়ে আলোচনায় সাকিবের আউটের পর তামিমের উইকেট উদযাপন। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুহূতেই ছড়িয়ে পড়েছে। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) প্লে-অফ ওঠার কঠিন সমীকরণ মাথায় রেখে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ফরচুন বরিশাল। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই ব্যাট চালাতে থাকেন টাইগার ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। একের এক বাউন্ডারি মেরে রান তুলতে থাকে তামিম। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ২০ বলে ৩৩ রান করে আউট হন বরিশাল অধিনায়ক। তামিম ব্যাটিং তাণ্ডব দেখে চতুর্থ ওভারে বোলিংয়ে আসেন সাকিব আল হাসান। সাকিবের প্রথম বল বুঝতে না পেরে ক্যাচ তুলে দেন তামিম। এ সময় হাত মুখো শক্ত করে উদযাপন করেন সাকিব। অন্যদিকে বরিশালের ১৫২ রানের জবাব ব্যাটিংয়ে নেমে তাণ্ডব শুরু করেন সাকিবও। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ১৫ বলে ২৯ রান করে ,মিরাজকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন এই টাইগার অলরাউন্ডার। এসময় দেখা যায় সাকিবের দিকে লক্ষ্য করে সাকিবের উদযাপনের ব্যাঙ্গ করে মুখ ভেংচির রিয়েকশন দিয়ে উদযাপন করে। যদিও ততক্ষণে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছেন সাকিব। এই ভিডিও মুহূতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। প্রসঙ্গ গত বিশ্বকাপের দল থেকে তামিম ইকবালের দল থেকে বাদ পড়া নিয়ে সাকিবের উপর আঙুল ওঠে। যা নিয়ে গত ছয় মাসে নানা ঘটনার সাক্ষী হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। তাই তামিমের এমন উদযাপন নিয়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। এ ছাড়াও এই তামিমকে প্রথম বলে আউট করেও উইকেট উদযাপনের ক্ষেত্রে নিজেকে সংযত রাখেন সাকিব। অনেক সময় আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে উদযাপন করলেও তামিমের বেলায় শান্ত ছিলেন তিনি। তাই তামিমের এমন উদযাপন মানতে পারেনি অনেকেই।  
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৩

‘প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আবদুর রহমান বলেছেন, নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠন করা হবে।   মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ-এ কৃষিবিদ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ার লক্ষ্যে টেকসই উন্নয়নের জন্য মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জেলেদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, মৎস্য ও মৎস্য পণ্য রপ্তানির বাজার সম্প্রসারণ, নিরাপদ মৎস্য উৎপাদন, ইকো-সেনসেটিভ অঞ্চলে মৎস্য অভয়াশ্রম, ইলিশ সম্পদের উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা, সুনীল অর্থনীতির সম্ভাবনা বিকাশে সামুদ্রিক মাছের মজুত নিরুপণ ইত্যাদি কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এর ফলে আমাদের চাহিদা পূরণ করে মাছ, মাংস বিদেশে রপ্তানি করার বিশাল সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে মন্ত্রী বলেন। মন্ত্রী বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও মাথাপিছু জমির পরিমাণ হ্রাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদা দিনদিন বাড়ছে। এই চাহিদা পূরণে কৃষিবিজ্ঞানীদের নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে অধিক উৎপাদনশীল বীজ, উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ মাছ, মাংস, ডিম, দুধ উৎপাদনে নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশ্বের মধ্যে একজন সৎ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে একজন কৃষিবান্ধব প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অভিহিত করে তার দিক নির্দেশনা অনুযায়ী সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান। কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ এর সভাপতি কৃষিবিদ প্রফেসর ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে কৃষি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি, কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এমপি ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোহাং সেলিম উদ্দিন ও কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ’র মহাসচিব কৃষিবিদ মো. খায়রুল আলম প্রিন্স অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪৩

‘আন্তর্জাতিক তদন্তের মাধ্যমে নেতাকর্মীর হত্যার বিচার করা হবে’ 
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর দাবি, ১৯৭২ থেকে ’৭৫ সাল পর্যন্ত আওয়ামী সরকারের আমলে সিরাজ সিকদারসহ জাসদ ও বিরোধী দলের ২০ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। বর্তমান আওয়ামী সরকারের আমলে বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী হত্যা করা হয়েছে। ইলিয়াস আলী ও চৌধুরী আলমসহ অসংখ্য মানুষকে গুম করা হয়েছে।আন্তর্জাতিক তদন্তের মাধ্যমে এর বিচার করা হবে।     মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ফকিরাপুল এলাকায় ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও’ লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন তিনি। ডামি নির্বাচনে সরকারের আমলে দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি, খুন, ধর্ষণ, গ্যাস ও জ্বালানি সংকটের প্রতিবাদ এবং গণতন্ত্র-মানবাধিকার, ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার পাশাপাশি মাতৃভূমির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির পক্ষে থেকে লিফলেট বিতরণ করা হয়। রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা বলেছেন জিয়াউর রহমানের সময় নাকি সেনাবাহিনীর অফিসারদের দমন করা হয়েছে, অনেককে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলেতো সেখানে বিচার হবেই। জিয়াউর রহমানতো আইনি প্রক্রিয়ায় বিচার করেছে, সেনা আইনে তাদের বিচার হয়েছে। আর আপনি সামরিক কর্মকর্তাদের গায়েব করে দিয়েছেন, অদৃশ্য করে দিয়েছেন। আজকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজমী কোথায়? তিনি কি গায়েব হননি। আপনার সরকারের সময় তারা গায়েব হয়েছেন। ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচন জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে দাবি করে রিজভী বলেন, এর বিরুদ্ধে মানুষ জেগে উঠেছে। সরকার পতনের লক্ষ্যে সবাই এখন মাঠে আছে, আন্দোলনে আছে। গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ। সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ সরকারের পতন ঘটানো হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহযুববিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।  
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:২৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়