• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘যত জঙ্গি গ্রেপ্তার করেছি, একজনও মাদরাসার ছাত্র নন’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, জঙ্গিবিরোধী অভিযানে আমরা যত জঙ্গি গ্রেপ্তার করেছি, তার মধ্যে একজনও মাদরাসার ছাত্র নন। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে এক আলোচনা সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। আসাদুজ্জামান খান বলেন, জঙ্গিবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার জঙ্গিদের একজনও মাদরাসার ছাত্র নন। তারা সম্ভ্রান্ত পরিবারের ও অন্য ব্যাকগ্রাউন্ডের মানুষ। সে সময় আমরা সব ধর্মের ধর্মগুরুদের নিয়ে প্রতি বিভাগে সভা করলাম। খুব অল্প দিনের মধ্যে আমরা দেশকে সে জায়গা থেকে বাঁচিয়ে এনেছি। এখন পৃথিবীর যেখানে যাই, সবাই বলে তোমরা অসম্ভবকে সম্ভব করেছ। তিনি বলেন, দেশে জঙ্গি উত্থান হয়েছিল। আমরা দেখলাম অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো। সবারই কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যাওয়ার অবস্থা। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পেরেছিলাম। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান সে সময় আপনাদের নিয়ে কাজ করেন। ইসলামে যে মানুষ হত্যার স্থান নেই, এ বিষয়ে তিনি আপনাদের দিয়ে জায়গায় জায়গায় সভা করেছেন। তখন আমরা সবাই এক হয়ে গিয়েছিলাম। তিনি আরও বলেন, মুসলিমদের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস আছে। এতে জ্ঞানে-বিজ্ঞানে মুসলিমরা ছিলেন অনন্য। আর আজ আমরা একে অপরের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করি। আপনারা এখন বিষয়টি নিয়ে কথা বলুন, যাতে আমরা আবার সেই জায়গাটাতে পৌঁছাতে পারি। আমরা সবাই যদি একত্রে থাকি, তাহলে আমরা নিশ্চয়ই আমাদের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে পারব। ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশে (আইডিইবি) আদর্শ সমাজ গঠনে সামাজিক সংগঠনের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দ্বীনি সেবা ফাউন্ডেশন। মুফতি মুহাম্মাদ আবুল বাশার নোমানির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান ও সরকারি প্রতিষ্ঠানবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
২৮ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫৫

স্কুল-কলেজে ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীদেরকে নিয়োগের দাবি
স্কুল-কলেজে ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীদের নিয়োগ দেওয়াসহ ৯ দফা দাবি জানিয়েছে তরুণ আলেমদের একটি প্রতিনিধি দল। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা, শিক্ষানীতি, কওমি মাদরাসার শিক্ষা পদ্ধতি-স্বীকৃতি ও বৃহৎ এ জনগোষ্ঠীর শিক্ষাগত যোগ্যতার কার্যকারিতার প্রস্তাবনা দিয়েছেন তারা। বুধবার (৬ মার্চ) বিকেলে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কওমি মাদরাসা ও দেশের জাতীয় শিক্ষাক্রম নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। এসময় তারা শিক্ষানীতি গঠন ও বাস্তবায়ন কমিটিতে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সমাদৃত চিন্তাবিদ আলেমদের রাখার দাবি জানান। একইসঙ্গে শিক্ষা কারিকুলামে ইসলামী আদর্শের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনও বিষয় না রাখারও দাবি জানিয়েছেন তারা। সভায় মুসলিম শিক্ষার্থীদের জন্য ইসলামবান্ধব শিক্ষানীতি প্রণয়ন,‌ দশম শ্রেণি পর্যন্ত ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা,‌ নূরানী মাদ্রাসাগুলোর সুন্দর ব্যবস্থাপনার জন্য কওমি মাদরাসা স্বীকৃত বোর্ডগুলো থেকে নিবন্ধনকে চূড়ান্ত হিসেবে গ্রহণ করার প্রস্তাব দেন তরুণ আলেমরা। এছাড়াও ২০১২ সালে কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতির জন্য গঠিত কওমি কমিশনের প্রণীত শিক্ষা কারিকুলামের আলোকে কওমি স্বীকৃতি পূর্ণ বাস্তবায়ন করা,‌ ছাত্র শিক্ষকের মধ্যকার শ্রদ্ধাপূর্ণ সম্পর্ক, আদর্শ মানুষ ও সমাজ গঠনে মাদরাসার অবদানকে সর্বময় করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা,‌ কওমি শিক্ষার্থীদের স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া‌ এবং কওমি শিক্ষার্থীদের দারুল উলুম দেওবন্দসহ বহির্বিশ্বে পড়ালেখার সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫৩

রমজানে মাদরাসার ছুটির তালিকা সংশোধন, ক্লাস চলবে যতদিন
রমজান উপলক্ষে ৭ মার্চ থেকে মাদরাসায় ছুটি শুরুর কথা থাকলেও তা সংশোধন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।  মঙ্গলবার (৫ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের উপসচিব হাছিনা আক্তারের সই করা প্রজ্ঞাপন বলা হয়, ২০২৪ সালের মাদরাসার ছুটির তালিকা আংশিক সংশোধনক্রমে ৭ মার্চ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত শ্রেণি কার্যক্রম চালুর রাখার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মতি জ্ঞাপন করা হলো। এরপর মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকেও ৭ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত সব মাদরাসায় শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। এর আগে, চলতি বছরের বাৎসরিক ছুটির প্রকাশিত তালিকায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজে রমজানে ৩০ দিন ছুটি রাখা হয়েছিল। পরে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ছুটির তালিকায় সংশোধনী এনে মাধ্যমিক বিদ্যালয় রোজায় ১৫ দিন খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রোজার প্রথম ১০ দিন এবং কলেজগুলো ১০ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়। উল্লেখ্য, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে রমজান শুরুর একদিন পর বাংলাদেশে রোজা শুরু হয়ে থাকে। সে হিসাবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১২ মার্চ থেকে বাংলাদেশ রমজান শুরু হতে পারে।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৬

রমজানে মাদরাসার ছুটি বাড়ছে, খোলা থাকছে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
নতুন শিক্ষাক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে স্কুলের সঙ্গে মাদরাসাগুলোর ছুটিরও সামঞ্জস্য রাখতে রমজানের প্রথমাংশে কিছু দিন মাদরাসা খোলা রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। স্কুল-কলেজের সঙ্গে মিল রেখে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও খোলা থাকবে। দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি কারিগরি কলেজগুলোতে ১০ মার্চ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত ১৫ দিন শ্রেণি কার্যক্রম চালু থাকবে। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তি এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি পুরো রমজান জুড়ে মাদরাসাগুলো খোলা রাখার সিদ্ধান্তের ঘোষণা এসেছে। তবে, নতুন শিক্ষাক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে স্কুলের সঙ্গে মাদরাসাগুলোর ছুটিরও সামঞ্জস্য রাখতে রমজানের প্রথমাংশে কিছু দিন মাদরাসা খোলা রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি আগামী ১১ মার্চ ২০২৪ হতে ২৫ মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত মোট ১৫ দিন সরকারি/বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের শ্রেণি কার্যক্রম চালু থাকবে। রমজান মাসের প্রথম ১০ দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান কার্যক্রম চালু থাকবে। আর সরকারি ও বেসরকারি কলেজগুলোতে  ১০ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত ১৫ দিন শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে পারে ১১ অথবা ১২ মার্চ। 
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৯

প্রাথমিকের পর বাড়ছে মাদরাসার ছুটিও
নতুন শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কলেজে ছুটি ৭৬ দিন। সেই হিসেবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কম ছুটি থাকা ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন শিক্ষকরা। এরপর ১৬ দিন বাড়িয়ে তাদের ছুটি ৭৬ দিন করা হয়েছে। তবে মাদরাসাগুলোতে ছুটি ৬০ দিনই রয়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে মাদরাসা শিক্ষকরাও ক্ষোভ জানিয়েছেন জানিয়েছেন। মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ফোন করে ছুটি বাড়ানোর অনুরোধও করছেন শিক্ষকরা। এমন পরিস্থিতিতে মাদরাসার ছুটিও বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে অধিদপ্তর। মাদরাসা শিক্ষকরা বলছেন, মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মাদরাসার বার্ষিক ছুটির বৈষম্য অনেক দিনের। এবার মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছুটি ৭৬ দিন। সেখানে মাদরাসার ছুটি মাত্র ৬০ দিন। একই সিলেবাসে পড়ানোর পরও তারা ১৬ দিন ছুটি বেশি পাচ্ছে। আর মাদরাসার শিক্ষকরা ছুটি পাচ্ছেন মাত্র ৬০ দিন। এ বিষয়ে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) হাবিবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মাদরাসার ছুটিও বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ক্লাস-পরীক্ষার রুটিনসহ বিভিন্ন কারণে ছুটির ভিন্নতা থাকে। তবে মাদরাসার ছুটি সমান না হলেও যাতে মাধ্যমিক ও প্রাথমিকের কাছাকাছি থাকে, সে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শিগগিরই এ বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে। জানা গেছে, গত ২১ ডিসেম্বর ছুটির তালিকা প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। সে অনুযায়ী, চলতি বছর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছুটি থাকার কথা ছিল ৬০ দিন। তবে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজে ১৬ দিন বেশি ছুটি থাকায় প্রাথমিকের শিক্ষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এরপরই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটি ১৬ দিন বাড়িয়ে নতুন করে শিক্ষাপঞ্জিকা প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
০২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়