• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মাদকের টাকার জন্য স্ত্রীকে ধর্ষকদের হাতে তুলে দিলেন স্বামী
কুমিল্লায় মাদকের বকেয়া টাকার বিনিময়ে স্ত্রীকে তিন ধর্ষকের হাতে তুলে দিয়েছেন আবুল খায়ের নামের এক ব্যক্তি। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এ ঘটনায় তিন ধর্ষককে আটক করেছে পুলিশ। গত বুধবার জেলার বরুড়া উপজেলার শাকপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তাররা হলেন- ওই গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম নুরু, তার সহযোগী মনির হোসেন ও মাহিন উদ্দিন। জানা গেছে, মাদকাসক্ত আবুল খায়ের একই গ্রামের নুরুল ইসলাম নুরু থেকে নিয়মিত মাদক নিতেন। সম্প্রতি ওই মাদক ব্যবসায়ীর কাছে ৫ হাজার টাকা বাকি পড়ে যায় তার।  কিন্তু বকেয়া টাকা দিতে না পারায় কৌশলে বুধবার স্ত্রীকে ওই মাদককারবারীর হাতে কৌশলে তুলে দেন খায়ের। ওইদিন গভীর রাতে স্থানীয় এক বিলে নুরু তার সহযোগী মনির ও মাহিনকে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। এরপর ওই গৃহবধূ তার বাবার বাড়িতে ঘটনাটি জানায়। পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই গৃহবধূ বরুড়া থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই তিন ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে।   নির্যাতনের শিকার নারীর চাচা আলা উদ্দিন ওই গৃহবধূর স্বামী ও ধর্ষকদের বিচার দাবি করেছেন। এ বিষয়ে বরুড়া থানার ওসি রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী জানান, গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তার স্বামীকেও খুঁজছে পুলিশ। তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।  
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৩৭

জয়পুরহাটে মাদকের বিরুদ্ধে ম্যারাথন দৌড় 
মাদকের বিরুদ্ধে জয়পুরহাটে পুলিশ সুপার কাপ ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে ক্ষেতলাল উপজেলার বটতলি ব্রিজ থেকে দৌড় শুরু হয়ে কালেক্টরেট মাঠে এসে শেষ হয়। প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মামুন খান চিশতি। জেলা পুলিশের আয়োজনে এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহযোগিতায় কিং কুইন জিম এই প্রতিযোগিতা বাস্তবায়ন করে।   দৌড় শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য এড সামছুল আলম দুদু। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মামুন খান চিশতির সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম সোলায়মান আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রকেট, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক মাহবুব মোরশেদ লেবু প্রমুখ। পাবনা জেলার ইমরান হোসেন, জয়পুরহাটের আহসান হাবিব ও নীলফামারী জেলার শ্যামল চন্দ্র রায় যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে। খেলায় দেশের বিভিন্ন জেলার মোট ১৫০ জন দৌড়বিদ অংশ নেন।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:২৩

ভেজাল ওষুধ বিক্রির চেয়ে মাদকের কারবার ভালো : ভোক্তা অধিকার
মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে ভয়ঙ্কর খেলায় মেতেছে দেশের একটি অসাধু চক্র। ভেজাল পণ্যের রমরমা কারবার থেকে বাদ যাচ্ছে না স্বাস্থ্য সেবার উপকরণও। নকল ডায়াবেটিস স্ট্রিপ, ভুয়া চিকিৎসা সরঞ্জাম বা মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধে ভরে গেছে রাজধানীর বিভিন্ন ফার্মেসি ও দোকানে। এমন সব নকল ডায়াবেটিস স্ট্রিপ বিক্রিকে মানুষ হত্যার মতো অপরাধ উল্লেখ করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, ভেজাল ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম বিক্রির চেয়ে মাদকের কারবার ভালো। একইসঙ্গে হুশিয়ারী দিয়ে তিনি বলেছেন, যারা নকল ডায়াবেটিস স্ট্রিপ বিক্রি করছেন, তাদের লাইসেন্স অচিরেই বন্ধ করে দেওয়ার সুপারিশ করা হবে। এদেশে ডায়াবেটিস রোগী বাড়ছেই। আক্রান্ত রোগীদের জন্য সবচেয়ে জরুরি নিয়মিত ডায়াবেটিসের মাত্রা পরীক্ষা করানো। ভোগান্তি এড়াতে অনেকে বিভিন্ন কোম্পানির ‘কুইক স্ট্রিপ’ কিনে ঘরে বসেই ডায়াবেটিসের মাত্রা পরীক্ষা করেন। এর ওপর ভরসা করেই চিকিৎসা, খাদ্যগ্রহণসহ দৈনন্দিন জীবনযাপন করেন। অথচ প্রয়োজনীয় এই পণ্যটির নকল হচ্ছে দেদার। নকল ডায়াবেটিকস স্ট্রিপসে সয়লাব বাজার। ফলে হাসপাতাল-ক্লিনিকে হরহামেশাই ডায়াবেটিকসের মাত্রা পরীক্ষার ভুলভাল রিপোর্ট নিয়ে বিভ্রান্ত হচ্ছে রোগীরা। এমন ঘটনা ৬ ফেব্রুয়ারি হাতেনাতে ধরেন ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।  যে স্ট্রিপগুলো বাজারে সবচেয়ে বেশি পরিচিত তার মধ্যে অন্যতম ‘আকু-চেক অ্যাকটিভ স্ট্রিপ’। অথচ এ স্ট্রিপটি চোরাইপথে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসে। এরপর রাজধানীর নয়াপল্টন, হাতিরপুলসহ বিভিন্ন এলাকার প্রেস থেকে ব্যাচ নম্বর, বার কোডসহ মোড়ক তৈরি করে বাজারজাত করা হচ্ছে সেগুলো। আবার, বিদেশ থেকে অনুমোদন ছাড়া ডায়াবেটিস স্ট্রিপ দেশে এনে বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির নকল মোড়কে বাজারে ছাড়ছে ফার্মা সল্যুশনস নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানটির পাশাপাশি অন্যরাও এমন কাজ করছে কি না, তার অনুসন্ধান চলছে।  এরই ধারাবাহিকতায় নকল ডায়াবেটিকস স্ট্রিপ বিক্রয় প্রতিরোধে আমদানিকারকসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনের নিয়ে মতবিনিময় সভা করে ভোক্তা অধিদপ্তর। রোববার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনে অধিদপ্তরের কার্যালয়ে এ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। এতে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইও অংশ নেয়।  সভায় ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচলক ডায়াবেটিস মাপার নকল স্ট্রিপ বাজারজাত করার কারসাজির ঘটনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ডায়াবেটিসের নকল স্ট্রিপ বিক্রি নিয়ে আমরা অভিযোগ পেয়েছিলাম। বিষয়টি নিয়ে আমাদের একটি টিম তদন্ত শুরু করে। এতে দেখা যায় যে, ফার্মা সলিউশন নামের ওষুধ বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান এ স্ট্রিপ আমদানি করে বিক্রি করছে। আকু চেক অ্যাকটিভ নামের স্ট্রিপের মোড়কে ‘মেইড ইন জার্মানি’ লেখা। এটার উৎপাদক নাকি জার্মানির প্রতিষ্ঠান রোস।  সফিকুজ্জামান বলেন, সন্দেহ হবার পর লাজ-ফার্মা থেকে কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়। লাজ-ফার্মাকে ডেকে আনা হয়। তারা জানায়, এটার আমদানিকারক ফার্মা সলিউশন। ঢাকায় ফার্মা সলিউশনের ৪-৫টা ডিপো রয়েছে। তেজকুনিপাড়ার ডিপোতে অভিযান চালানো হলো। কিন্তু তারা মুখে কুলুপ এটে বসলো।  আকু চেক স্ট্রিপ নিয়ে জার্মানির রোস কোম্পানির সঙ্গেও ভোক্তা অধিকারের যোগাযোগ হয়। প্রতিষ্ঠানটি নিশ্চিত করেছে, তারা এ ব্যাচধারী কোনো স্ট্রিপ উৎপাদনই করেন না। তাহলে দেশের বাজারে এগুলো কোথা থেকে এলো, গায়েবিভাবে এলো কি না, এমন প্রশ্ন রাখেন ভোক্তার অধিকারের ডিজি।  তিনি বলেন, সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে যেটা বেরিয়ে এলো, তা হলো এগুলো তারা লাগেজ পার্টির মাধ্যমে দেশে এনেছে। ভারত থেকে নকল এসব স্ট্রিপ কাপড়ের লাগেজের মধ্যে করে আসে। তারা শুধু স্ট্রিপ কৌটায় করে নিয়ে আসে। পরে নয়াপল্টনের প্রিন্ট ওয়ান নামের প্রেসে সব কারসাজি করা হয়। ফার্মাসি খাতে কারসাজি চরম হতাশাজনক উল্লেখ করে সফিকুজ্জামান বলেন, জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। আপনি জাল টাকা উৎপাদন করে যতটা না ক্ষতি করতে পারবেন, তার চেয়ে নকল ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরিতে বেশি ক্ষতি হবে। এর চেয়ে খারাপ কাজ আর কিছু হতে পারে না। তিনি আরও বলেন, নকল ডায়াবেটিস স্ট্রিপ বিক্রি মানুষ হত্যার মতো অপরাধ। নকল মেডিকেল সামগ্রী বা ওষুধ বিক্রির চেয়ে মাদকের ব্যবসা করা ভালো। চাল-ডালের দাম বাড়ানোর থেকেও অনেক ভয়াবহ অপরাধ এটি। ডায়াবেটিস স্ট্রিপের ভুল রিপোর্টের ফলে ভুল চিকিৎসা পেয়ে মানুষ যেকোনো সময় মারা যেতে পারে। সভায় উপস্থিত ছিলেন ফার্মা সলিউশনের প্রধান নির্বাহী পল্লব চক্রবর্তী ও প্রিন্ট ওয়ানের সত্ত্বাধিকারী লুৎফর রহমান। তারা আত্মপক্ষ সমর্থন করেন এবং ক্ষমাও চান। পল্লব চক্রবর্তী নকল ডায়াবেটিস স্ট্রিপের প্যাকেটের বিষয়ে দায় স্বীকার করেন। তবে এ ঘটনায় তার প্রতিষ্ঠানের কিছু কর্মীকে দায়ী করেন। বিভিন্ন যুক্তিও দেন।   লুৎফর রহমান বলেন, ফার্মা সলিউশনকে আমরা বিশ্বাস করে কাজ নিয়েছিলাম। তাদের লেনদেন প্রক্রিয়াও ভালো। আমরা বিশ্বাস করে তাদের কাজ নিয়েছি। দুই ধাপে ১০-১২ হাজার টাকার প্রিন্টিংয়ের বিল পেয়েছি। এরপরও আমাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা দিতে হয়েছে। তবে আমরা দায় এড়াতে পারি না।  মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই’র পরিচালক প্রীতি চক্রবর্তী। তিনি বলেন, এলসি জটিলতার কারণে নকল স্ট্রিপ দেশে আসছে। কিন্তু সেটি রোগীর জন্য ভোগান্তি, যা এফবিসিসিআই সমর্থন করে না। এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের দায় এফবিসিসিআই নেবে না।  সভায় সবাই নকল স্ট্রিপ আমদানি, তৈরি ও বিক্রি প্রতিরোধের ওপর জোর দেন। অসাধু ব্যবসায়ীদের শাস্তির দাবি করেন উপস্থিত সবাই। তারা বলেন, বিদেশ থেকে লাগেজের মাধ্যমে যে পণ্যগুলো ঢুকছে সেগুলো বন্ধ করতে হবে। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে এই বিষয়ে আরও মনোযোগী হতে হবে। মূল কাজটা ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:২১

'উখিয়া-টেকনাফকে মাদকের কলংকমুক্ত করা হবে'
সাবেক সাংসদ আবদুর রহমান বদি বলেছেন, যে কোন কিছুর বিনিময়ে উখিয়া-টেকনাফকে মাদকের কলংকমুক্ত করা হবে। যারা মাদক কারবারীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজিতে জড়িত তাদের নাম প্রকাশ করা হবে। উখিয়া টেকনাফকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করা হবে। ইয়াবা কারবারীরা যতোই শক্তিশালী হোক, তারা সরকারের চেয়ে শক্তিশালী নয়। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে বদি বলেন, এক প্রশাসন মামলার আসামি করে আরেক প্রশাসন কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে মামলা থেকে বাদ দেয়। আপনারা কি মাদক বন্ধ করার জন্য এসেছেন নাকি মাদক বিস্তার করার জন্য এসেছেন প্রশাসনের প্রতি এমন প্রশ্ন রাখেন বদি। আবদুর রহমান বদির স্ত্রী শাহীন আক্তার দ্বিতীয় বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় এ মতবিনিময় ও শুকরিয়া সভার আয়োজন করা হয়।  এসময় শাহীন আক্তার বলেন, যারা মাদকের তালিকা থেকে বাদ যাচ্ছে তারা যেনো বাদ না পড়ে সে বিষয়টি সংসদে উত্তাপন করা হবে। বক্তব্য শেষে তিনি তাকে দ্বিতীয় বারের মতো ভোট দিয়ে যারা সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলম বাহাদুরের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ইউনুছ বাঙ্গালী, পৌর কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ মনির, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস শুকুর প্রমুখ। এসময় নব নির্বাচিত এমপি শাহীন আক্তার ও আব্দুর রহমান বদিকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান দলীয় নেতাকর্মী ও বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতাবৃন্দ।
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:২৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়