• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নরসিংদীতে নিহত ৬ জনের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম
নরসিংদীর মাধবদীতে কাভার্ডভ্যান ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নারী ও শিশুসহ নিহত ছয়জনের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া। তাদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। তারাই সবাই ঈদের ছুটিতে মাইক্রোবাসে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ফিরছিলেন। নিহত ছয়জনের মধ্যে একই বাড়ির চারজন ও প্রতিবেশী গ্রামের দুজন রয়েছে। নিহতরা হলেন বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের আবদুল মমিনের ছেলে মজিবুর রহমান (২৭), তার ভাগনি মীম আক্তার (২০) ভাগিনা আবু হুরায়রা (৯) তার চাচা জসিম (৩০) ও প্রতিবেশী গ্রাম জালালপুরের হেলাল ও বাবুল। এ ঘটনার পর পুরো গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাদের ঈদের আনন্দ বিষাদে পরিণত হয়েছে। নিহতদের মরদেহ একনজরে দেখার জন্য বাড়িতে আত্মীয় স্বজন পাড়া প্রতিবেশীসহ সকলেই ভিড় করছেন। তাদের এই অকাল মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না।  নিহতদের স্বজনরা জানান, ঢাকা থেকে একটি মাইক্রোবাসে চেপে নারী ও শিশুসহ মোট ১৩ জন যাত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে আসছিলেন। যাত্রাপথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই এক শিশুর মৃত্যু হয়। এ সময় স্থানীয় লোকজন আহত অবস্থায় ১৩ জনকে তাদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নেওয়ার পথে এক নারীসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়। পরে ঢাকা মেডিকেলে আরও দুজন মারা যান।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:১৩

সাংবাদিকতা করা হলো না তুষার হালদারের : পরিবারে চলছে মাতম
সাংবাদিকতা করা হলো না তুষার হালদারের। রাজধানীর বেইলি রোডে সাততলা ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সদ্য স্নাতক শেষ করা ঝালকাঠির সন্তান তুষার হালদারের মৃত্যু হয়েছে। নিহত তুষার হালদার ‘স্টার টেক’ নামের একটি আইটি কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। আগে তিনি ‘দ্য রিপোর্ট’ অনলাইনে ভিডিও এডিটর হিসেবে কাজ করতেন। শুক্রবার (১ মার্চ) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গ থেকে ছেলের মরদেহ নিয়ে ঝালকাঠি আসেন তার বাবা দীনেশ হালদার। তুষার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় থাকতেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়নের তালগাছিয়া গ্রামে।  তুষারের স্বজনরা জানান, বন্ধুদের সঙ্গে কনভোকেশন নিয়ে নানান পরিকল্পনা ছিলো তার। বাবা-মাকেও কনভোকেশনে নেওয়ার জন্য টাকা জমা দিয়েছিলেন তুষার। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তুষার হালদার গ্রামের বাড়িতে চলছে মাতম।   শৌলজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেন রিপন জানান, তুষার ছিল তার বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান এবং খুবই মেধাবী। সাংবাদিকতা পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করার জন্য ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক করেছে সে। লেখাপড়ার জন্য সে ঢাকায় থাকতো। তার এ অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
০১ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪৫

বেইলি রোডে আগুন / কুমিল্লার দু’বোনসহ নিহত ৩ জনের বাড়িতে চলছে মাতম
ঢাকার বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কুমিল্লার আপন দু’বোনসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।  তারা হলেন, কুমিল্লার লালমাই উপজেলার পেরুল ইউনিয়নের চরবাড়িয়া এলাকার ব্যবসায়ী হাজী কোরবান আলীর ২ মেয়ে ফৌজিয়া আফরিন রিয়া ও সাদিয়া আফরিন আলিশা। রিয়া মালয়েশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ও সাদিয়া আফরিন আলিশা ঢাকার ভিকারুননিসা স্কুলের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় কোরবান আলীর ভায়রা ভাই কুমিল্লা সদর উপজেলার বাসিন্দা আবদুল কুদ্দুসের মেয়ে সিটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান নিমু (১৮) মারা যায়। তিন বোন একসঙ্গেই কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলন। শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে তিনজনের মরদেহ ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায় নিয়ে আসে স্বজনরা। এ সময় স্বজনদের কান্নায় ভারি হয়ে উঠে বাড়ির পরিবেশ। দূর-দূরান্ত থেকে স্বজনরা এসেছেন সান্ত্বনা দিতে।   দুই মেয়ে হারিয়ে পাগল প্রায় গার্মেন্টস ব্যবসায়ী কোরবান আলী।
০১ মার্চ ২০২৪, ১৭:০৩

বেইলি রোডে আগুন  / টাঙ্গাইলের মেহেদীর পরিবারে চলছে মাতম 
রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের মধ্যে একজনের বাড়ি টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে। তিনি মির্জাপুর উপজেলার বানাইল ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামের আয়নাল মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসান। শুক্রবার (১ মার্চ) তার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়িতে চলছে মাতম। মা ও বোন বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। মেহেদী হাসানের অকাল মৃত্যু এলাকাবাসী মেনে নিতে পারছে না। ছেলেকে হারিয়ে এখন পাগল প্রায় বাবা আয়নাল মিয়া। বোন সুমাইয়া আক্তার বলেন, আমার ভাই গতকাল ফোন দিয়ে বলছে তুমি বাবার বাড়ি যাও আমি আসবো, আমার সেই ভাই আর এলো না। আমার ভাই রেস্টুরেন্টে চাকরি করতো। আমার ভাইয়ের আয় দিয়ে সংসার চলতো, মাসে ২০ হাজার টাকা বেতন পায়তো। আজকে আসার কথা ছিল আর আসলো না আমার ভাই। বাবা আয়নাল মিয়া বলেন, আমার ছেলেকে হারিয়ে সব শেষ হয়ে গেল। আমার পোলাডা মইরা গেল, আমার আর কিছুই রইল না। মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিলা বিনতে মতিন বলেন, মেহেদীর পরিবারের পাশে উপজেলা প্রশাসন সবসময় থাকবে। এই পরিবারকে সহযোগিতা করা হবে। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত বহুতল ভবনে আগুন লাগে। এতে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন অন্তত ২২ জন। তদের মধ্যে কেউই শঙ্কামুক্ত না হওয়ায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডের শিকার ভবনটির দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামে একটি জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট ছিল। এরপর তৃতীয় তলায় একটি পোশাকের দোকান ছাড়া ওপরের তলাগুলোতেও ছিল খাবারের দোকান। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে রেস্টুরেন্টগুলোতে ভিড় হয় ক্রেতাদের। অনেকগুলো গ্যাস সিলিন্ডার ছিল রেস্টুরেন্টগুলোতে। কিন্তু, অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা ছিল না ভবনে। ফলে আগুনের তীব্রতাও ছড়িয়েছে ভয়াবহভাবে।
০১ মার্চ ২০২৪, ১৬:৫৭

ভূমধ্যসাগরে গোপালগঞ্জের তিন যুবকের স্বপ্ন ডুবি, শোকের মাতম
বিদেশে পাড়ি জমাতে গিয়ে ভূমধ্যসাগরে ট্রলার ডুবে মারা যাওয়া ৮ জনের মধ্যে তিনজনের গোপালগঞ্জে মুকসুদপুর উপজেলার গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। সংসারের হাল ধরতে গিয়ে দালালদের মাধ্যমে অবৈধ পথে বিদেশ যেতে গিয়ে করুণ পরিণতি ভোগ করতে হলো তাদের। এখন পরিবারের আশা সন্তানদের মরদেহ যেন বাড়িতে আসে, এক নজর যেন দেখতে পারেন শেষ দেখা। গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার গয়লাকান্দি গ্রামের পক্ষঘাতগ্রস্ত বাবা পান্নু শেখ অপেক্ষায় রয়েছেন ছেলে ইমরুল কায়েস আপনকে ফিরে পাওয়ার আশায়। তবে তিনি এখনো জানেন না ছেলে বেঁচে আছে না মারা গেছে। কেউ বলেছে হাসপাতালে আছে। কেউ বলেছে জেলে। আমি শুধু আমার ছেলেকে ফিরে পেতে চাই। ছেলেকে ফিরে পেলে আমার কোন অভিযোগ নেই। ছেলেকে না পেলে তারপর ব্যবস্থা নেব। তার একটাই চাওয়া তিনি যেন তার ছেলেকে ফিরে পান। একমাত্র ছেলের জন্য হা-হুতাস করছেন তিনি। কথাগুলো বললেন ইটালি যাওয়ার পথে তিউনেশিয়া উপকূলে ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ ইমরুল কায়েস আপনের বাবা পান্নু শেখ। মা কেয়া কামরুন নাহার ছেলের মৃত্যুর খবর পেলেও জানাননি পক্ষাঘাতগ্রস্ত অসুস্থ স্বামীকে। মা কেয়া কামরুন নাহার ছেলের শোকে পাথর হয়ে পড়েছেন। তাই কারো সঙ্গে তেমন কোন কথা বলছেন না। শুধু ইমরুল কায়েস আপন নয় এমন করুন পরিনতির শিকার হয়েছেন একই উপজেলার বড়দিয়া গ্রামের দাদন শেখের ছেলে রিফাত শেখ ও ফতেপট্টি গ্রামের রাসেল শেখ। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার গয়লাকান্দি গ্রামে ইমরুল কায়েস আপনের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে শোকের ছায়া। জানা গেছে, বাবা পান্নু শেখ ২০০৪ সালে সৌদি চলে যান। ১৫ বছর পর ২০১৯ সালে বাংলাদেশে ফিরে এসে একটি কোম্পানিতে ড্রাইভারের চাকরি করতেন। এক বছর আগে তিনি পক্ষাঘাতগ্রস্থ হয়ে কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেললে বন্ধ হয়ে যায় আয় রোজগার। তাই সংসারের হাল ধরতে এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ইমরুল কায়েস আপন ইটালি যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে। পরে আত্মীয় রহিমকে ১১ লাখ টাকায় গত ১০ জানুয়ারি ইটালির উদ্দেশ্যে পাঠান ছেলে আপনকে। পরে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি লিবিয়া থেকে ট্রলারযোগে ইটালির উদ্দেশ্যে রওনা দেন আপন। পরে ভূমধ্যসাগরে ট্রলার ডুবে ছেলের মৃত্যুর খরর বাড়িতে আসলে নেমে আসে শোকের ছায়া।   পান্নু শেখ সৌদি থাকার সময় ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে স্ত্রী কেয়া কামরুন নাহার পাবনা বাবার বাড়িতে থাকতেন। ইমরুল কায়েস আপন পাবনাতেই পড়াশোনা করেছে। সেখান থেকে এসএসসিও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় জি‌পিএ ৫ পে‌য়ে পাশ করার পর ভর্তি হন রাজশাহী এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে তিনি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।   শুধু আপন নয় একই চিত্র রিফাত শেখ ও রাসেল শেখের বাড়িতেও। তিন যুবকের মুত্যুতে শুধু পরিবার নয় গ্রামে জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। নিহতদের বাড়িতে ভীড় করেছেন গ্রামবাসী। এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে সেজন্য দালালদের দৌরাত্ম কমাতে আইনী পদক্ষেপ নেয়ার দাবি স্থানীয়দের।   নিহত ইমরুল কায়েস আপনের বাবা পান্নু শেখ বলেন, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুরসহ আশপাশের অনেকেই ইতালি যায়। তাদের সঙ্গে ছেলেকে পাঠিয়েছেন। তাকে পাঠিয়ে এখন মনে হচ্ছে ভুল করেছি। গত ৮ জানুয়ারি এক্সিম ব্যাংকের টেকেরহাট শাখার মাধ্যমে দালাল রহিমের কাছে এগারো লাখ টাকা পাঠাই। রহিম লিবিয়া থাকে। তার বাড়ি মুকসুদপুর উপজেলার রাগদী ইউনিয়নের গজনা গ্রাম। জীবনের সঞ্চিত সব সম্বল দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠিয়ে এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছি। এখন কি করবো কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:২৯

ঢাবি শিক্ষার্থী জয়নবের মৃত্যুতে গ্রামের বাড়িতে শোকের মাতম
বান্দরবানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স প্রথম পর্বের শিক্ষার্থী জয়নব বেগম। তার বাড়ি কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার মন্ডলপাড়া গ্রামে। তার বাবা একজন কাঠমিস্ত্রি। বান্দরবন থেকে ঢাকা এরপর কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জয়নবের বাড়ীতে তার মরদেহ এসে পৌঁছালে নেমে আসে শোকের ছায়া।  রোববার (২১ জানুয়ারি) সকালে রৌমারী উপজেলার মন্ডল পাড়া গ্রামের বাড়ীতে তার মরদেহ নিয়ে আসা হয়। এরপর তার পরিবার ও স্থানীয়দের মাঝে শোকের মাতম দেখা যায়। জয়নব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের মাষ্টার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার শখ ছিল ভ্রমণ করা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভ্রমণ পিপাসুদের সংগঠন ভ্রমণকন্যা’র সদস্য ছিলেন তিনি। পড়াশোনার পাশাপাশি ট্যুরিস্ট সাইটে কাজ করতেন জয়নব। জেলার রৌমারী উপজেলা শহরের মন্ডলপাড়ার আব্দুল জলিল মিয়ার তিন সন্তানের মধ্যে সর্বকনিষ্ট জয়নব। অসচ্ছল পরিবারের মেয়ে জয়নব কোনো প্রকার কোচিং, টিউশনি ছাড়াই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান। পড়া লেখার পাশাপাশি টিউশনি করে পড়াশুনার খরচ যোগাতেন তিনি। জয়নবের বাবা একজন কাঠ মিস্ত্রি। মেয়েকে উৎসাহ ও সাহস দিতেন সবসময়। মেয়ের মৃত্যুর খবরে তার বাবা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন এবং মা জুলেখা বেগম বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন।  গত শুক্রবার সকালে তিনি ভ্রমণকন্যার ৫৮ সদস্যের একটি দল নিয়ে জিপে করে রুমা উপজেলায় বেড়াতে যান। পরিদর্শন শেষে শনিবার দুপুরে বান্দরবানের উপজেলার পর্যটন কেন্দ্র কেওকারাডাং থেকে বান্দরবান ফেরার পথে বগালেক-কেওকারাডং সড়কের দার্জিলিং পাড়া এলাকায় তাদের বহন করা গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন জয়নব ও আরও দুজন। এ সময় আহত হয় আরও ৮ জন। নিহত জয়নবের মরদেহ জানাজা শেষে রোববার দুপুরে রৌমারী কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।  রৌমারী থানার ওসি তদন্ত মুশাহেদ খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
২১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:০৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়