• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
চুয়াডাঙ্গায় মাঝারি তাপদাহ, তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি
চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সোমবার (১ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় এ জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমের মধ্যে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।  এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান। তিনি বলেন, জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বিকেল ৩টা পর্যন্ত বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২১ শতাংশ। আগামী এক সপ্তাহ পর্যন্ত আবহাওয়া পরিস্থিতি এমনই থাকবে। এর মাঝে তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলেও উঠতে পারে। তিনি আরও বলেন, আপাতত বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে কালবৈশাখীর বিষয়ে আগে থেকে বোঝা যায় না। দু-এক ঘণ্টা আগে ঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়া যায়। চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন ধরেই চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রোববার (৩১ মার্চ) ভোরে এ জেলায় ঝড়-বৃষ্টি হয়। তারপরও তাপমাত্রা কমেনি। ক্রমেই তাপমাত্রার পারদ ওপরে উঠছে। সোমবার দুপুর ১২টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরে বিকেল ৩টায় তা আরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এদিকে বাইরে রোদের তীব্র তাপ ও অসহ্য গরমে মানুষ এক প্রকার গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন। সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নিম্নআয়ের দিনমজুর ও শ্রমিক শ্রেণির মানুষের গরমে নাভিশ্বাস উঠছে চরমে। তবুও তারা এ তীব্র রোদ ও গরম উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে বাইরে অবস্থান করছেন। চুয়াডাঙ্গা আন্তঃজেলা চলাচলকারী এক বাসের চালক বলেন, গরমে খুব একটা বাইরে বের হচ্ছি না। যাত্রীও খুব একটা নেই। অন্যদিনের তুলনায় কম যাত্রী নিয়ে ট্রিপে যাচ্ছি।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:২৭

পঞ্চগড়ে ফের বইছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ
পঞ্চগড়ে ফের তাপমাত্রা কমে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিয়েছে। চার দিন পর আবার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমেছে। মাঘের শেষে আবারও শীতের দাপট বেড়েছে পঞ্চগড়ে। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা রেকর্ডের তথ্যটি জানিয়েছেন জেলার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ। জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, চারদিন পর আবার তাপমাত্রা কমে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে। বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ তাপমাত্রায় আজকে এ জেলায় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে।  স্থানীয়রা জানায়, সকাল থেকে অবারও হাড় কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে। ঘন কুয়াশা নেই তবে ভোরে সামান্য কুয়াশাও দেখা গিয়েছে। সূর্যের দেখা মিলেছে তবে রোদের উত্তাপ নেই। মাঝে মাঝে উত্তরের ঠান্ডা বাতাস বয়ে যাওয়ায় প্রচন্ড শীত অনুভূত হচ্ছে।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:২০

নওগাঁয় বইছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ, তাপমাত্রা ৭.৫ ডিগ্রি 
নওগাঁর ওপর দিয়ে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তর থেকে আসা হিমশীতল বাতাস আর কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এই জনপদের জনজীবন। কয়েক সপ্তাহ থেকে হাড়কাঁপানো শীতে জবুথবু এ অঞ্চলের জনজীবন।  শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া অফিস জেলায় সর্বনিম্ন ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেন। এদিকে ভোর থেকেই কুয়াশায় পথঘাট ঢাকা ছিল। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মেলায় কিছুটা স্বস্তি ফিরতে শুরু করছে জনজীবনে। সড়কগুলোতে দুর্ঘটনা এড়াতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহগুলো চলাচল করতে দেখা যায়। এদিকে প্রচণ্ড  শীতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে আছেন শ্রমজীবী ও খেটেখাওয়া মানুষরা। বদলগাছী আবহাওয়া অফিসের উচ্চপর্যবেক্ষক হামিদুল হক জানান, গত কয়েক দিন থেকে জেলায় ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা বিরাজ করছে। জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইয়ে যাওয়ায় জেকে বসেছে শীত। এ ছাড়া জেলায় তাপমাত্রা আরও নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ রকম তাপমাত্রা আরও দু-একদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে তিনি জানান।  
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:০১

কুড়িগ্রামে বইছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ, তাপমাত্রা ৭.৫ ডিগ্রি 
কুড়িগ্রামে মাঘের শীতের দাপট ক্রমেই বেড়েই চলেছে। হাড় কাঁপানো শীতে নাজেহাল হয়ে পড়েছে জেলার মানুষ।  মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, আজ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা এ পর্যন্ত এ বছরে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তিনি বলেন, এখন মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ জেলার ওপর দিয়ে বইছে। এটি আরও কয়েকদিন এরকম থাকতে পারে। এদিকে, জেলায় এখন মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার কারণে এবং এ তাপমাত্রায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আজও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এনিয়ে জেলার এ পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৪দিন ধরে বন্ধ ঘোষণা করা হলো। এদিকে, প্রচন্ড শীতে উত্তরের এ জনপদে এখন জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অতিরিক্ত ঠান্ডায় কাবু করে দিয়েছে মানুষের চলাচল ও কর্মযজ্ঞ। মোটা কাপড় পরিধান করেও কনকনে ঠান্ডা লাগাম দেয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত এবং বিকেল থেকে চলতে থাকে ঠান্ডার দাপট। সাথে যুক্ত হয়েছে হিমেল হাওয়া। এ পর্যায়ে বাইরে চলাচল করা দুরূহ হয়ে পড়েছে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হতে সাহস পাচ্ছেন না। শীতার্ত মানুষ শীত নিবারণে খড়কুটো জ্বালিয়ে তাপ নেয়ার চেষ্টা করছে। বিশেষ করে শ্রমজীবী খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন। কাজে যেতে না পেরে তাদের এখন সংকট দেখা দিয়েছে। জেলার হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, সর্দিকাশিসহ শীত জনিত রোগীর সংখ্যা। কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১২টি বেডের বিপরীতে চিকিৎসা নিচ্ছে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন রোগী। অন্যদিকে, শিশু ওয়ার্ডে ৪৪ টি বেডের বিপরীতে চিকিৎসা নিচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ জন রোগী।  অন্যদিকে, অতিরিক্ত কুয়াশা, হিমেল হাওয়া ও শৈত্যপ্রবাহে বোরো আবাদ পিছিয়ে যাচ্ছে বলে কৃষকরা জানান। ঠান্ডার কারণে জমিতে সেচ কিংবা চাষ দেয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। এছাড়াও বীজতলার কিছু কিছু হলুদাভ বর্ণ হয়ে উঠছে।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ কৃষকদের বোরো বীজতলায় স্প্রে করে বীজ রক্ষার পরামর্শ প্রদান করছে বলে উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান।  
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৪৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়