• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মাছের ঘেরে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু
নড়াইলের সদর উপজেলার বাহিরগ্রামে মাছের ঘেরে ডুবে আপন দুই ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে।   শনিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে কলোড়া ইউনিয়নের বাহিরগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শিশু দুজন হলো- বাহিরগ্রামের জালাল মোল্লার ছেলে মো. তানহা (৪) ও মেয়ে তিন্নি (৩)।   স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকেলের দিকে তানহা ও তিন্নি বাড়ির পাশে মাছের ঘেরের পাড়ে খেলছিল। এক পর্যায়ে তারা ঘেরের পানিতে পড়ে ডুবে যায়। পরে সন্ধ্যার দিকে পরিবারের লোকজন খুঁজে না পেয়ে ঘেরের পানিতে খোঁজাখুঁজি করে তাদেরকে উদ্ধার করে। এরপর তাদের নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি জানান, কোনো আপত্তি না থাকায় মরদেহ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৪৭

কুয়াকাটায় অবৈধভাবে মাছের রেনু ধরা অবস্থায় ৪ জেলে আটক
কুয়াকাটা সংলগ্ন চর বিজয় থেকে অবৈধ মাছের রেনু ধরা অবস্থায় একটি ট্রলারসহ চার জেলেকে আটক করেছে বন বিভাগ।  মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে সমুদ্রে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।  এ সময় তাদের ট্রলার থেকে অন্তত ৫০ হাজার বিভিন্ন প্রজাতির মাছের রেনু জব্দ করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন হাবিবুর রহমান (৪২), দিদারুল ইসলাম (৪৪), আবুল বাশার (৪৩), জাহাঙ্গীর হোসেন (৩৮)। এদের সকলের বাড়ি খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার অন্তবুনিয়া গ্রামে। বন বিভাগ জানিয়েছে, আটককৃতদের দুপুরের দিকে মহিপুর রেঞ্জ অফিসে আনা হয়েছে। পরে মুচলেকা রেখে ট্রলার ও আটককৃত জেলেদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। জব্দকৃত মাছের রেনু সমুদ্রে অবমুক্ত করা হয়েছে। পটুয়াখালী উপকূলীয় বন বিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, কুয়াকাটা সংলগ্ন সমুদ্রের মধ্যে জেগে ওঠা চর ‘বিজয়’- এ রোপণকৃত গাছের চারা দেখতে যাই। সেখানে অবৈধ জাল দ্বারা মাছের রেনু ধরা অবস্থায় চার জেলেকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের ট্রলারে থাকা মাছের রেনু সমুদ্রে অবমুক্ত করেছি। আটককৃতদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আবার মাছের রেনু অবৈধভাবে ধরলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৫ মার্চ ২০২৪, ২২:২০

যে মেলায় মাছ কিনতে প্রতিযোগিতায় নামেন জামাইরা
অন্তত চারশো বছরের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় বগুড়ার গাবতলীতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহের মেলা। সন্নাসী পূজার মেলা হিসেবে এটির যাত্রা শুরু হলেও কালের বিবর্তনে এটি পোড়াদহ মাছের মেলা এবং জামাই মেলা হিসেবে পরিচিত লাভ করে। একদিন ব্যাপি এ মেলার প্রধান আকর্ষণ বিভিন্ন প্রজাতির বিশাল আকৃতির মাছ। মেলা উপলক্ষে আশপাশের কয়েক গ্রামের ঘরে ঘরে চলছে জামাই সমাগম, অতিথি আপ্যায়ন ছাড়াও ও নানা আনন্দ উৎসব। প্রতি বছরের মতো এবারও দূর দূরান্ত থেকে আসা হাজারো মানুষের ভীড়ে মুখোরিত মেলা প্রাঙ্গন। কেবল বগুড়া নয় অতি প্রাচীন পোড়াদহের এই মেলায় মাছ কিনতে ও দেখতে সারাদিন সেখানে ভীড় করে দূরদূরান্তের হাজারো মানুষ। প্রতিবছর মাঘের শেষ বুধবার এই মেলার আয়োজন করা হয়। প্রতিবছরের মতো এবারো বগুড়া ছাড়াও উত্তরের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজারো মানুষ এসেছে পোড়াদহ মেলা প্রাঙ্গনে। ছেলে-বুড়ো সকলেই কাকডাকা ভোর থেকে দল বেঁধে মাছ-মিষ্টি বেচা-কেনার উৎসবে মেতেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইছামতি নদীর তীরে বিস্তৃর্ণ মাঠে বাড়তে থাকে মানুষ। কেবল বিশাল আকৃতির মাছই নয় একশো একর জমি জুড়ে আয়োজন করা এই মেলায় নাগোরদোলা, সার্কাস, বাহারী সব মিষ্টিসহ সংসারের খুটিনাটির পসরা সাজিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা স্থানীয়রা জানান, গাবতলির অন্তত ৩০ গ্রামে বছরের এই দিনটিকে বিশেষ দিন হিসেবে পালন করতে মেয়ে-মেয়ে জামাই, আত্মীয়-স্বজনদের জানানো হয় আমন্ত্রণ। ঈদ-পূজো-পার্বনের মতোই সব ধর্মের লোকেরা নতুন জামা-কাপড়, পিঠা-পুলি আর বিশাল আকারের মাছ-ভাতে কয়েকদিন মাতেন এই উৎসবে। সাতসকালেই ইছামতী নদীর তীরে মানুষের ঢল। নদীর তীরে ছিল ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা। দূরদূরান্ত থেকে দল বেঁধে লোকজন মেলায় ছুটে আসছেন। মেলা উপলক্ষে আশপাশের ৩০ গ্রামে রীতিমতো উৎসবের আমেজ। গৃহস্থ ঘরে নাইওর এসেছে নববধূ আর মেয়ে জামাই। ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় অন্যবারের মতো এবারও মেলায় উঠেছে নদীতে ধরা হরেক প্রজাতির বিশাল বিশাল মাছ। প্রতিবছর দুই থকে আড়াইমণ ওজনের বাঘাইড় মাছ এই মেলার প্রধান আকর্ষণ হলেও প্রশাসনিক নিষেধাঞ্জার কারণে এবারও মেলায় ছিলনা কোনো বাঘাইড়। তবে আকর্ষণ হিসেবে ছিল প্রায় ৪০ কেজি ওজনের সামুদ্রিক পাখি মাছ।  টাঙ্গাইলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মাছ বিক্রেতা জানান, পাখি মাছটি কুয়াকাটা হতে মেলায় নিয়ে এসেছেন। মাছটির প্রতিকেজি ১৫ শত টাকা দরে বিক্রি করার জন্য দাম হাকাচ্ছেন তিনি। তবে দর্শনার্থীদের অনেকেই মাছটি দেখলেও আশানুরূপ দাম না বলায় বিক্রি হয়নি।  প্রায় ৪শ’ বছর আগে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা সন্ন্যাসীরা বগুড়ার গাবতলী উপজেলার গাড়ীদহ নদী ঘেঁষে আস্তানা গাড়েন। এর প্রায় ৫০ বছর পর স্থানীয়রা এখানে সন্ন্যাসী পূজার পাশাপাশি গোড়াপত্তন করেন ঐতিহ্যবাহী এই মেলার। সেই থেকে প্রতিবছর মেলাটি মাঘ মাসের শেষ বুধবারে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। বর্তমানে এ মেলাটির সর্বজনীন মেলা হিসেবে বগুড়াসহ আশপাশে জেলায় বেশ পরিচিতি লাভ করেছে।   মেলাতে আসা ক্রেতা  বিক্রেতা ও দর্শনার্থীরা জানান, মেলায় শিশুদের জন্য খেলাধূলার সামগ্রী ছাড়াও রয়েছে হরেক রকমের খাবারের দোকান। ছাড়াও প্রসাধনী সামগ্রীর পাশাপাশি মূল আকর্ষণ হিসেবে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির বিশাল আকৃতির মাছের সরবরাহ। অনেকে এই মেলাকে বলেন, মাছের মেলা। আর সকাল থেকে মেলায় ভীড় জমান বগুড়াসহ আশপাশের জেলার মানুষ। জানা যায়, প্রতি বছরের মাঘ মাসের শেষ বুধবার প্রথম দিকে সন্নাসী মেলা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে এই মেলা। কালের বিবর্তনে হয়ে ওঠে পূর্ব বগুড়াবাসীর মিলনমেলা। পোড়াদহ নামকস্থানে হয় বলে এ মেলার নাম হয়ে যায় পোড়াদহ মেলা। আবার অনেকেই এটাকে জামাই মেলা বলেও অভিহিত করেন। মেলাকে ঘিরে আশপাশে প্রায় ২০ গ্রামের মানুষ মেয়ে ও জামাইকে নিমন্ত্রণ দিয়ে আপ্যায়ন করে থাকে। এ কারণে স্থানীয়রা আবার এ মেলাকে জামাই মেলাও বলে থাকে অনেকেই। এবার সর্বোচ্চ ৩০ কেজির কাতল ছাড়াও বিশাল আকৃতির বোয়াল, রুইসহ হরেক রকম মাছ নিয়ে আসেন ব্যবসায়ীরা যার কোনটি ৩৫ কোনটির দাম হাঁকা হয় ৪০ হাজারেরও বেশি। মাছের আদলে তৈরি ১৫ থেকে ২০ কেজি ওজনের বাহারী মিষ্টিও মেলে এখানে। এক দিনের এই মেলায় প্রায় শত কোটি টাকার বেচাকেনা হয় প্রতি বছর।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৩৩

যে কারণে বাড়ছে পোপা-ভোল মাছের চাহিদা 
বেশ কিছুদিন হলো বাজারে পোপা বা পোয়া এবং ভোল মাছের চাহিদা অনেক বেড়েছে। বাজারে মাছগুলো বিক্রিও হচ্ছে চড়া দামে। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না যে কেনো এ মাছের চাহিদা দিনদিন এতো বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদের মতে এ মাছের বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে এর চাহিদাও অনেক। কিন্তু কেনো এ মাছের বাজারে এত চাহিদা এবং কি স্বাস্থ্য গুণাগুণ রয়েছে চলুন জেনে নেওয়া যাক।  ঢাকার বাজারে সাধারণত প্রতি কেজি পোপা বা পোয়া মাছের দাম আড়াই শ' টাকা থেকে শুরু হয়। তবে আকৃতির ওপর ভিত্তি করে দামের ওঠানামা নির্ভর করে। কক্সবাজার মেরিন ফিশারিজ ও প্রযুক্তি কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুর রহমান বিবিসিকে বলেছেন, দামটা আসলে নির্ভর করে মাছের এয়ার ব্লাডারের ওপর। এয়ার ব্লাডার বা সুইম ব্লাডার মাছের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এটি মাছকে পানিতে ভাসিয়ে রাখে। ভেতরে বাতাসে ফাঁপা সাদা রংয়ের এই বস্তুটিকে কক্সবাজারের স্থানীয় ভাষায় ফদনা বলা হয়ে থাকে। কারো কারো কাছে এর পরিচয় ফ্যাপড়া বা ফটকা নামেও। শফিকুর রহমান বলেন, যে সমস্ত মাছে ফটকা বড় হয় তাদের মূল্যও বেশি হয়। বিভিন্ন কোম্পানি এখন সব মাছের এয়ার ব্লাডার সংগ্রহ করছে। আন্তর্জাতিক বাজারে এর চাহিদা আছে, এগুলো বিদেশে রপ্তানি হয়। তিনি আরও বলেন, এই এয়ার ব্লাডার থেকে সার্জারির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ এবং কসমেটিকস তৈরি হয় বলে জানান এই মৎস্য কর্মকর্তা। জাপানে এর গুরুত্ব বেশি, সেলাইয়ের সুতা, বিভিন্ন মেডিসিন এ থেকে উৎপন্ন হয়। পোয়া বা পোপা মাছ সম্পর্কে যা জানি আমরা-  স্থানীয় বাজারে পোপা মাছের আট থেকে ১০ রকমের প্রজাতি আছে। তবে বাজারে মূলত লোনা পানি এবং মিঠা পানির পোয়া মাছ হিসেবেই লোকে আলাদা করেন একে। তবে বাজারে যে পোয়া মাছ পাওয়া যায়, সেটা মিঠা পানির পোয়া মাছ। এটি আকারে কিছুটা ছোট। সাধারণত দক্ষিণাঞ্চলের ভোলা বা পটুয়াখালীর দিকে নদীতে পাওয়া যায় এটি। এছাড়া চিংড়ি ঘেরেও এই জাতের পোয়া মাছের চাষ হয় এখন। কিন্তু কালো ও লাল পোয়া গভীর সমুদ্রের মাছ। এগুলো লবণাক্ত পানিতে থাকে এবং আকারেও অনেক বড় হয়। ট্রলার মালিক এবং মৎস্য ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন বিবিসিকে বলেন, আমাদের চোখে দেখার মধ্যে এই মাছটা দামি মাছ। সুন্দরবনের হরিণের মতো হঠাৎ এক ঝাঁক পাওয়া যায়। এটা বিভিন্ন জাতের হয়। তিনি দাবি করেছেন, গভীর সমুদ্রের এই জাতের ৪০ বা ৫০ কেজি ওজনের মাছ কেজিতে এক লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এ ছাড়া এই মাছের কিছু উপকারিতার কথাও বলেন মৎস বিজ্ঞানীরা। শফিকুর রহমান জানান ডায়েবেটিস বা উচ্চরক্তচাপের ক্ষেত্রেও এই মাছ উপকারী। এছাড়া এটি কোলস্টেরল মুক্ত বলেও জানান তিনি। এমনিতে এই মাছ খেতেও অনেক সুস্বাদু। আর এসব কারণেই এ মাছটি এত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি। দেশের আরও সব দামি মাছ- পোপা বা পোয়া মাছের মতোই দামি আরেকটা মাছ হল ভোল মাছ। ভোল মাছের ওজন ৫০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। কক্সবাজারের একজন সাংবাদিক বলছিলেন, বড় ভোল মাছ গরুর মত জবাই করা হয়। এরপর শহরে মাইকিং করে মাংস বিক্রি হয়। মৎসবিজ্ঞানী শফিকুর রহমান বলেছেন, মোট কথা যেসব মাছের আকার বড়, তাদের এয়ার ব্লাডার বড় হয় এবং দামও বেশি হয়। আর এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। “এখন কক্সবাজারে মাছ কিনলে জিজ্ঞেস করে এয়ার ব্লাডার রেখে দেবে কি-না। এয়ার ব্লাডার ছাড়া নিলে দাম কম পাওয়া যায়। আগে এগুলো জানতাম না।” এ ছাড়া স্যামন মাছ যা স্থানীয়ভাবে তাইল্যা মাছ নামে পরিচিত সেটি এবং কামিলা মাছ সমুদ্রের দামি মাছগুলোর মধ্যে অন্যতম বলে জানান মি. রহমান। দামি এখন মাছের আঁশও- বাংলাদেশে এখন অন্যতম কয়েকটি অভিনব ব্যবসার একটি মাছের আঁশের রপ্তানি। যদিও মাছে-ভাতে বাঙালি হিসাবে পরিচিত বাংলাদেশের মানুষের কাছে মাছ বরাবরই জনপ্রিয় থাকলেও, মাছের আঁশের কোন কদর ছিল না। কিন্তু সেই ফেলে দেওয়া পণ্যটিও এখন রপ্তানি আয় আনতে শুরু করেছে। বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর ২০০ কোটি টাকার বেশি মাছের আঁশ সাত-আটটি দেশে রপ্তানি হয়। রপ্তানিকারক জুলফিকার আলম বিবিসিকে বলেছেন, বাংলাদেশে এখন প্রায় প্রতিটি বাজারে যারা মাছ কাটেন, তারা সবাই আর আঁশ ফেলে না দিয়ে সংগ্রহ করে রেখে দেন। সারা দেশ থেকেই আমরা আঁশ সংগ্রহ করি। এক সময় যে পণ্যটি ফেলে দেওয়া হতো, সেটি থেকে আমরা এখন রপ্তানি আয় করছি। তাদের কাছ থেকে পাইকারি ক্রেতারা এসব আঁশ সংগ্রহ করে ময়লা দূর করে ধুয়ে শুকিয়ে নেন। এরপর রপ্তানিকারকরা সেগুলো প্রক্রিয়া করে বিদেশে রপ্তানি করেন। যদিও মাত্র ১০-১২ জন ব্যক্তি আঁশ রপ্তানি করেন, কিন্তু সব মিলিয়ে এই ব্যবসার সঙ্গে সরাসরি জড়িত রয়েছে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ। এখন বাংলাদেশ থেকেই প্রতি বছর প্রায় আড়াই হাজার টন আঁশ রপ্তানি হয় জাপান, চীন, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্স, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলোয়। সেখানে মাছের আঁশ থেকে কোলাজেন ও জিলেটিন তৈরি করা হয়। ওষুধ, প্রসাধন সামগ্রী, ফুড সাপ্লিমেন্ট তৈরি মাছের আঁশ ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া কোলাজেন ও জিলেটিন মাছের আঁশ দিয়ে তৈরি হয়, যা ওষুধ ও প্রসাধন সামগ্রীতে কাজে লাগে। এখন মাছের এয়ার ব্লাডার বা ফটকা যাই বলি না কেন সেটাও হয়ে উঠতে পারে রপ্তানি আয়ের উৎস। সূত্র: বিবিসি
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:১৬

গাইবান্ধায় মাছের বাজারে প্রাইভেটকার, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে প্রাইভেটকারের চাপায় আহত আজিজুর রহমান (৭৮) নামে আরও একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। দুর্ঘটনায় এ নিয়ে প্রাণ হারালেন ৩ জন। এ ছাড়া আহত রয়েছেন আরও ৫ জন। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আজিজুর রহমান চাঁদপুর সিংড়া গ্রামের মৃত এনায়েত মিয়ার ছেলে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গাইবান্ধা-গোবিন্দগঞ্জ সড়কের ধর্মপুর মাছের বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  এর আগে নিহত ২ জন হলেন- উপজেলার রাখালবুরুজ ইউনিয়নের উত্তর ধর্মপুর গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী নরেন চন্দ্র দাসের পুত্র হরেন চন্দ্র দাস (৫৫), একই গ্রামের মহেন্দ্র দাসের পুত্র প্রতাপ চন্দ্র দাস (৩৫)।  স্থানীয়রা জানান, একটি প্রাইভেটকার দ্রুত গতিতে গাইবান্ধা থেকে গোবিন্দগঞ্জের দিকে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধর্মপুর মাছের বাজারে ঢুকে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই ২ মাছ ব্যবসায়ী হরেন চন্দ্র দাস ও প্রতাপ চন্দ্র দাস মারা যান। এ ঘটনায় গুরুতর আহত ছয়জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ সময় স্থানীয়রা প্রাইভেট কারটি আটক করে পুলিশে খবর দেয়। তবে ড্রাইভার পালিয়ে যায়। আজিজুর রহমানের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি শামসুল আলাম শাহ্।  তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় আহতদের নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানে কয়েকজনের অবস্থার অবনতি ঘটে। এ অবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শে তাদেরকে বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (শজিমেক) পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজিজুর রহমান নামের একজনের আজ মৃত্যু হয়। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়