• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
অস্ত্রোপচারে বের হলো পায়ুপথে ঢুকে পড়া কুঁচিয়া
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অবিশ্বাস্য ও দুর্লভ এক অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে গত ২৪ মার্চ। যা এ যাবৎকালের স্বরণীয় ঘটনা হিসেবে বলছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রোগীর পেট থেকে অপারেশন করে জীবন্ত মাছ বের করেছেন হাসপাতালের ডাক্তাররা। ওসমানী মেডিকেল সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা মিতিঙ্গগা চা বাগানের উপজাতি বাসিন্ধা ধনমুন্ডার ছেলে সম্ররামুন্ডা (৫৫)। তিনি একজন রেজিস্ট্রার কার্ডধারী জেলে। কাদার মধ্যে মাছ ধরতে গিয়ে তার পায়ুপথ দিয়ে ২৫ ইঞ্চি কুঁচিয়া মাছ (জেল ফিস) প্রবেশ করে পেটে। দুই দিন পর সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে সেই মাছ জ্যান্ত বের করা হয়। সম্ররামুন্ডা বিভিন্ন জায়গা থেকে মাছ ধরে স্থানীয়দের কাছে বিক্রি করেন। গত ২৩ মার্চ মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার স্থানীয় হাওরে মাছ ধরতে গেলে হঠাৎ কোমর সমান কাদায় আটকে যান। তখন তার দুই হাতে থাকা দুটি কুঁচিয়া মাছের একটি পানিতে পড়ে যায় এবং আরেকটি কাদায় পড়ে। কাদাতে পড়ে যাওয়া মাছ ধরতে গিয়ে তিনি অনুভব করেন তার পায়ু পথে কি যেন ডুকছে। তবে সেটিকে গুরুত্ব দেননি তিনি। পরে সম্ররা মুন্ডা সেখান থেকে উঠে বাড়িতে আসার পর তার পেটে প্রচুর ব্যথা অনুভব হয়। তার ছেলে জানান তার বাবা সম্ররামুন্ডা হাফ প্যান্ট পরে মাছ শিকারে গিয়েছিলেন। কাদায় আটকে পায়ু পথে মাছ ঢুকলেও তিনি বাড়িতে এসে এ ব্যাপারে কাউকেই কিছু বলেননি। তবে এক পর্যায়ে পেটে তীব্র ব্যথা শুরু হলে ২৪ মার্চ রোববারে স্থানীয় হাসপাতালে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। ওসমানীর চিকিৎসকগণ তার ব্যথার কথা শুনে এক্সরের মাধ্যমে পেটের ভিতর লম্বা আকৃতির একটি বস্তু দেখতে পান। কর্তব্যরত ডাক্তাররা সিনিয়দের সঙ্গে আলাপ করে সম্ররা মুন্ডাকে সন্ধায় অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান। সেখানে প্রফেসর জানে আলমের নেতৃত্বে ৪ জন চিকিৎসক ২ ঘণ্টা অপারেশন চালিয়ে পেটের ভিতর থেকে একটি জীবন্ত কুঁচিয়া (জেল ফিস) মাছ বের করেন। এ ঘটনায় ডাক্তারা বিস্মিত হন। পরে পেটের ভিতর থেকে কুচিয়া মাছ বের করার ঘটনা জনসাধারণের মধ্যে জানাজানি হলে সিলেট জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। রোববার রাতে সিওমেকের সার্জারি ইউনিট-২ প্রধান অধ্যাপক ডা. কাজী জানে আলমের নেতৃত্বে অস্ত্রোপচার করে ওই রোগীর পেট থেকে মাছটি বের করা হয়। অস্ত্রোপচারে অংশগ্রহণ করেন সার্জারি ইউনিট-২ এর সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. রাশেদুল ইসলাম ও ডা. তৌফিক আজিজ শাকুর।  এ ব্যাপারে ওসমানী মেডিকেলের উপপরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী  জানান, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে অস্ত্রোপচার করে তার পেট থেকে জ্যান্ত ২৫ ইঞ্চি কুঁচিয়া মাছ (জেল ফিস) উদ্ধার করা হয়েছে। এটা একটা অপ্রত্যাশিত ও কঠিন অপারেশন ছিল যা আমাদের টিম ভালোভাবে সম্পন্ন করেছে। রোগী পুরোপুরি সুস্থ আছেন। বর্তমানে সম্ররা মুন্ডা ওসমানী মেডিকেলের ১১নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানান তিনি। যদি রোগী অপারেশনে আসতে দেরি করতেন তাহলে তার মারা যাওয়ার আশংকা ছিল।  
২৭ মার্চ ২০২৪, ০০:৫৫

ইলিশ মাছ রান্না না করায় মাকে কুপিয়ে হত্যা
ভোলার বোরহানউদ্দিনে ‘ইলিশ মাছ রান্না না করায়’ না‌সিমা বেগম (৪২) নামে এক মাকে দা দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। এ সময় না‌সিমাকে বাঁচা‌তে এসে গুরুতর আহত হয়েছেন এক প্রতিবেশী নারীও।  সোমবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় বোরহানউদ্দিন উপ‌জেলার গঙ্গাপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের দুলাল হাওলাদারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।  পুলিশ অভিযুক্ত ছে‌লে রাহাতকে (৩০) আটক করেছে।  স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্ত রাহাত ঢাকায় কামরাঙ্গীরচরে তা‌দের মুদি দোকানে থাকে। কাউকে কিছু না জানিয়ে আজ সকালে বাড়িতে চলে আসে রাহাত। সন্ধ্যার দিকে মা না‌সিমার সঙ্গে রাহ‌াতের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রাহাত উত্তেজিত হ‌য়ে ঘ‌রে থাকা ধারা‌লো দা দি‌য়ে মাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলেই মায়ের মৃত্যু হয়। এ সময় না‌সিমাকে বাঁচাতে এগিয়ে এসে জান্নাত বেগম নামে পাশের ঘরের এক নারীও দায়ের কোপে গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার ক‌রে প্রথ‌মে বোরহানউদ্দিন হাসপাতা‌লে নেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।   ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বোরহানউদ্দিন থানার ওসি শা‌হিন ফ‌কির। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে দিয়ে ওসি জানান, রাহাত হোসেনের স্ত্রী ও বাবা ঢাকায় রয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যায় ইফতারের পর রাহাত তার মাকে ইলিশ মাছ রান্না করতে বলেন। তার মা জানায়, বাড়িতে কেউ নেই, তিনি একা সংসারের অন্যান্য কাজ শেষ করে মাছ রান্না করতে পারবেন না। এরপরও রাহাত তার মাকে ইলিশ মাছ রান্না করতে বারবার অনুরোধ করেন। এরইমধ্যে মায়ের সঙ্গে মাছ রান্না নিয়ে রাহাতের মনোমালিন্য ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে রাহাত দা দিয়ে তার মাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে মরদেহের পাশে বসে থাকেন। ওসি আরও জানান, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং অভিযুক্ত রাহাত‌কে আটক করা হয়েছে।
২৬ মার্চ ২০২৪, ০৯:৫১

নিষেধাজ্ঞা না মেনে মাছ ধরায় ৩০ জেলের জরিমানা
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় ইলিশ ধরার অপরাধে আটককৃত ৩০ জেলের জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এদের প্রত্যককে ৫ হাজার করে মোট ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে জেলার কমলনগরের মতিরহাট ও মাতাব্বর হাটের মেঘনা থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে ২ লাখ ২০ হাজার মিটার কারেন্টজাল, ৭টি নৌকা ও ৬০ কেজি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। রাত ৯ টার দিকে রামগতি বড়খেরী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ফেরদৌস আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ইলিশের অভয়াশ্রম রক্ষায় মাছ ধরার অপরাধে কলনগরের যৌথ অভিযানে মতিরহাট ও মাতাব্বরহাট এলাকা থেকে নিষিদ্ধ কারেন্টজাল, নৌকা ও মাছসহ ৩০ জেলেকে আটক করা হয়েছে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের দেড় লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। জব্দকৃত নৌকা ৭টি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার হেফাজতে রয়েছে। এছাড়া অবৈধ কারেন্ট জাল জনসম্মুখে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন কমলনগর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) শামসুদ্দিন মো. রেজা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুছ।  
২০ মার্চ ২০২৪, ২২:৫৯

অভয়াশ্রমে মৎস্য শিকার, ১৮ জেলের কারাদণ্ড
বরিশালের হিজলায় নিষিদ্ধ সময়ে অভয়াশ্রমে মাছ ধরার অপরাধে ১৮ জেলেকে কারাদণ্ড ও এক জেলেকে জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিকেলে হিজলা উপজেলার মেঘনা নদীতে মৎস্য অধিদপ্তর, উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের সদস্যরা যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করেন। উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরার অপরাধে ১৯ জেলেকে আটক করা হয়। এরমধ্যে ১৮ জন জেলের প্রত্যেককে ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও একশ' টাকা করে জরিমানা এবং একজন জেলেকে পাঁচশ' টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুদীপ্ত কুমার সিংহ। এ সময় হিজলা থানার এসআই মো. ইসমাইলসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
১৩ মার্চ ২০২৪, ০১:৫৭

চিনির গলিত লাভায় দূষিত হচ্ছে কর্ণফুলি, মরছে মাছ
চট্টগ্রামের এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে লাগা আগুন ৪৬ ঘণ্টা পার হলেও এখনো নেভেনি। আর ইন্ডাস্ট্রি থেকে নির্গিত  গলিত লাভায় দূষিত হচ্ছে কর্ণফুলি নদী, ফলে মাছ এবং অন্যান্য জলজ প্রাণী মারা যাচ্ছে। বুধবার (৬ মার্চ) দুপুর ২টা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের আগুন নেভাতে দেখা গেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, চট্টগ্রামের যে গুদামটিতে আগুন লেগেছে সেটিতে বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত চিনি মজুত ছিল। গুদামটি প্রায় ২৫ হাজার বর্গফুটের। উচ্চতা প্রায় ৫-৬ তলা ভবনের সমপরিমাণ। যেখানে অপরিশোধিত চিনির বিপুল মজুত ছিল। দীর্ঘ সময় ধরে পোড়া চিনি তরল আকারে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। আস্তে আস্তে মিশছে কর্ণফুলি নদীতে। এতে নদীর মাছ ও জলজ প্রাণী মরে ভেসে উঠছে।  এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও নদী বিশেষজ্ঞ ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া বলেন, ‘চিনিমিশ্রিত এসব পানির কারণে নদীর পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। এর প্রভাব সরাসরি মাছ এবং অন্যান্য জলজ প্রাণীর ওপর পড়ছে। যে জন্য তাদের মৃত্যু হচ্ছে।’ এ দিকে আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ করতে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক (প্রশাসন অর্থ) জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের যে গুদামটিতে আগুন লেগেছে সেটিতে বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত চিনি মজুত ছিল। গুদামটি প্রায় ২৫ হাজার বর্গফুটের। উচ্চতা প্রায় ৫-৬ তলা ভবনের সমপরিমাণ। যেখানে অপরিশোধিত চিনির বিপুল মজুত ছিল। এগুলো এক ধরনের দাহ্য পদার্থ। পানি দিয়েও এ আগুন নেভানো যাচ্ছে না। এ কারণে আগুন নেভাতে দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে। তবে আগুন যাতে ছড়িয়ে না পড়ে আমরা তা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। কবে নাগাদ আগুন নেভানো যাবে তা এ মুহূর্তে নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, সোমবার বিকেল ৩টা ৫৩ মিনিটে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানা এলাকার এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে আগুন লাগে। পবিত্র রমজান মাস ঘিরে এসব চিনির আমদানি করা হয়েছিল। আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে আগুন নির্বাপণে যোগ দেন সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা। বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের বিপুলসংখ্যক সদস্য আগুন নির্বাপণে কাজ করছেন।
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৬:০৩

কারওয়ান বাজারে মাছ কেটে সংসার চালান অভিনেত্রী তটিনী!
রাজধানী কারওয়ান, জীবিকার তাগিদে অনেকেই মাছ কাটার কাজ করেন এখানে। সাধারণত ভোরবেলা এখানে মাছের বাজার বসে। প্রতিদিনই একটি মেয়ে ভোরবেলা মাছ কাটেন। বিনিময়ে কিছু টাকা পান। আর তা দিয়েই যান্ত্রিক এ শহরে সংসার চলে।  ঠিক এমননি একটি গল্প নিয়ে নির্মাণ হয়েছে ‘রঙিন আশা’ নাটক। নাটকে মাছ কাটার কাজ করা মেয়েটির চরিত্রে অভিনয় করেছেন তটিনী। কাজটি করতে গিয়ে দারুণ সব অভিজ্ঞতার কথা জানান তিনি। বলেন, তিন দিন ভোরে আড়তে প্রায় দুই ঘণ্টা করে শুটিং করেছি। প্রতিদিনই ভোর চারটায় ঘুম থেকে উঠে কারওয়ান বাজারে যেতে হতো। বাজারের মধ্যে উৎসুক শত শত মানুষের ভিড়ের মধ্যে শুটিং চালিয়ে নেওয়া কঠিন ছিল। শুটিং দেখার জন্য সাধারণ মানুষের কৌতূহল বেশি। তাতে আবার লোকেশন কারওয়ান বাজারের মাছের আড়ত। বুঝতেই পারছেন, কী ধরনের ঝামেলা গেছে। তটিনী আরও বলেন, দৃশ্যগুলোতে সত্যি সত্যি মাছ কেটেছি। আমার তো এ ধরনের কাজে অভিজ্ঞতা ছিল না। বাসায় মাছ কেটেছি কয়েক দিন। একদিন শুটিং করতে গিয়ে বিপদেও পড়েছিলাম। বাসায় ইলিশ মাছ কেটে প্র্যাকটিস করে গিয়ে শুটিংয়ের সময় আমাকে পাঁচ কেজি ওজনের মাছ কাটতে দিয়েছিল। হা হা হা...। মাছ কাটা মেয়ের চরিত্রটিকে বাস্তবে তুলে আনতে সত্যিকারের কারওয়ান বাজারের মাছের আড়তকেই বেছে নিয়েছেন পরিচালক রাফাত মজুমদার। তবে কাজটি সহজ ছিল না তার কাছে। পরিচালক বলেন, যখন মাছের বাজার বসে, সেই ভোরবেলাকেই আমরা শুটিংয়ের জন্য বেছে নিয়েছিলাম। সত্যিকারের শত শত ক্রেতা–বিক্রেতার ভিড়ের মধ্যেই শুটিং করেছি। একটি সত্যিকারের মাছ কাটার দোকান ভাড়া করেছিলাম। ওই দোকানে বসেই তটিনী মাছ কাটার কাজ করে শুটিং করেছেন। আগে থেকে না জানতে পারলে তটিনীকে চেনা, জানার উপায় ছিল না। মনে হচ্ছিল সত্যিকারেরই মাছ কাটার কাজ করে মেয়েটি। মৎস্য আড়তের মধ্যে এত মানুষের ভিড় সামলে সঠিকভাবে কাজটি করতে অনেক কষ্ট হয়েছে। নাটকের গল্পে তটিনীর বিপরীতে অভিনয় করেছেন খায়রুল বাসার। দুজন স্বামী–স্ত্রী। চরিত্রে খায়রুল বাশার কারওয়ান বাজারে ভ্যান চালান। পরিচালক জানিয়েছেন আগামী মাসের শুরুর দিকে একটি ইউটিউব চ্যানেলে নাটকটি প্রচারিত হবে। নাটকটির লিখেছেন অপূর্ণ রুবেল।
০১ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৭

পদ্মা-মেঘনায় ২ মাস মাছ ধরা নিষিদ্ধ
ইলিশের পোনা ও জাটকা রক্ষায় আজ মধ্যরাত থেকে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় মার্চ-এপ্রিল দুই মাস সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।   বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা থেকে এই নিষধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে। নদীর অভয়াশ্রম এলাকা চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার এলাকা এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে। এই নির্দিষ্ট সময়ে মাছ ধরা, পরিবহন, বিক্রি ও মজুত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার।  ইলিশ সম্পদ বাড়াতে সরকার জাটকা নিধন রোধে ২০০৬ সাল থেকে দেশের অভয়াশ্রমগুলোয় নিষেধাজ্ঞা কার্যক্রম শুরু করে। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এবারও চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় মার্চ থেকে এপ্রিল এই দুই মাস ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। আর কেউ এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে মৎস্য আইন অনুযায়ী শাস্তি পাবেন। নিষেধাজ্ঞাকালে এসব এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানসহ সার্বক্ষণিক নজরদারির ব্যবস্থা থাকবে।  চাঁদপুরের অর্ধলক্ষাধিক জেলের মধ্যে ৪৪ হাজার ৩৫ জন জেলে নিবন্ধিত রয়েছে। নিবন্ধিত এ জেলেরা নিষেধাজ্ঞা চলাকালে সরকারি সহায়তা হিসেবে ৪ মাস ৪০ কেজি করে চাল দেয়া হবে। ইতোমধ্যে চাল দেয়া শুরু হয়েছে। এদিকে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা থাকায় ইতোমধ্যে নৌকাসহ মাছ ধরার সরঞ্জামাদী তীরে উঠিয়েছে জেলেরা। এই সময়ে জাল আর নৌকা মেরামতে সময় কাটায় তারা।  নদীর পাড়ে সরজমিনে গিয়ে কয়েকজন জেলের সঙ্গে কথা বললে তারা জানায়, নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে পরিবার-পরিজনের ভরণ-পোষণসহ কিস্তির টাকা পরিশোধ নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। এ দুমাস কিস্তির টাকা না নেওয়ার জন্যও জেলেরা দাবি জানান। একই সঙ্গে সরকারিভাবে সহায়তার পাশাপাশি আর্থিক সহসয়তা ও বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে জেলেরা। চাঁদপুর নৌ পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামরুজ্জামান জানান, জাটকা নিধন বন্ধে নৌ পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এবার মার্চ-এপ্রিল দুইমাস জাটকা রক্ষায় পুলিশ সার্বক্ষনিক কাজ করবে। কেউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে নামলে কঠোর হাতে দমন করা হবে। চাঁদপুর জেলার মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান জানান, অভায়শ্রম এলাকায় সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন। এবার বিজিএফ এর চাল অনেক আগে আশায় জেলেদের মাঝে ইতোমধ্যে ২ মাসের চাল বিতরণ করা হয়েছে। বাকি ২ মাসের চালও দেয়া হবে। জেলে ও জনপ্রতিনিধিদের সহায়তার আহ্বান জানান এই মৎস্য কর্মকর্তা।  চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা সময়ে সরকারের আদেশ অমান্য করে মাছ আহরণ ও বিক্রি করলে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৬

জালে ধরা পড়ল ৮০ কেজির পাখি মাছ 
বরগুনার পাথরঘাটায় দেশের বৃহত্তম মৎস্য বন্দর বিএফডিসি মৎস্য ঘাটে ৮০ কেজি ওজনের বিরল প্রজাতির মাছ উঠেছে। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে বঙ্গোপসাগর থেকে বিএফডিসি ঘাটে এ মাছ বিক্রির জন্য জেলেরা নিয়ে আসেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন ওজনের আরও ২৯টি পাখি মাছ নিয়ে আসে এফবি মারিয়া নামের একটি ট্রলার।  এ সময় স্থানীয়রা এ পাখি মাছগুলো একনজর দেখতে ভিড় করেন। মেসার্স জোবায়ের এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী মো. সেলিম মিয়া জানান, ‘কয়েক দিন আগে এফবি মারিয়া ট্রলারটি গভীর সমুদ্রে মাছ শিকার করতে যায়। সমুদ্রে জাল ফেলে অপেক্ষা করলে অন্যান্য মাছের সঙ্গে সাতটি পাখি মাছ ধরা পড়ে। মাছগুলো প্রায় ৭ ফুট লম্বা। স্থানীয়দের মধ্যে অনেকে এ মাছটিকে ‘পাখি মাছ’ বা ‘গোলপাতা মাছ’ হিসেবেই চিনেন। তবে ‘গোলপাতা মাছ’ হিসেবেই এ এলাকায় এ মাছ বেশি পরিচিত। তিনি আরও জানান, এক একটি মাছ ৬০০০ টাকায় পাইকার জাহিদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। পাইকার মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, উপকূলীয় অঞ্চলে এ মাছের চাহিদা কম। তবে তিনি মাছগুলো কম টাকায় ক্রয় করতে পেরেছেন। এ মাছগুলো বিদেশেও রপ্তানি করা যায়। দেশের নামীদামি রেস্টুরেন্টগুলোতে এ মাছের চাহিদা রয়েছে। মাছগুলো বেশি দামে বিক্রির জন্য ঢাকায় পাঠাবেন বলেও জানান এ মাছ ব্যবসায়ী। পাথরঘাটা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু জানান, ‘এটি গভীর সমুদ্রের মাছ। এর বৈজ্ঞানিক নাম সেইল ফিস (Sail Fish)। এ মাছ খুব সুস্বাদু হয়ে থাকে। বিদেশে অনেক চাহিদা থাকার কারণে এ মাছ রপ্তানি করা হয়ে থাকে। তবে এ মাছ গভীর সমুদ্র ছাড়া সহজে পাওয়া যায় না।’
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৭

হাইমচরে নিষিদ্ধ জালে মাছ ধরায় ৮ জেলের জরিমানা
চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে নিষিদ্ধ জালে জাটকাসহ অন্যন্যা প্রজাতির ছোট মাছ ধরায় হাতেনাতে আটক ৮ জেলেকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী নৌপুলিশ ফাঁড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পূর্বিতা চাকমা। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে এসব তথ্য জানান অভিযানে অংশগ্রহণকারী হাইমচর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মাহবুব রশীদ। তিনি বলেন, কম্বিং অপারেশনের চতুর্থ ধাপে তৃতীয় দিন শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত উপজেলা মৎস্য দপ্তর, কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশ মেঘনা নদীর গাজীপুর, মনিপুর, কাটাখালি, চরভৈরবী এলাকায় সম্মিলিত অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ৬০ হাজার মিটার কারেন্টজাল, একটি চরঘেরা জাল ও ১৫ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। একই সময় নিষিদ্ধ ঘন ফাঁসের জাল দিয়ে জাটকা, চেউয়া এবং অন্যান্য প্রজাতির ছোট মাছ আহরণরত অবস্থায় ৮ জেলেকে হাতে নাতে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে আটক জেলেদেরকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। জব্দকৃত কারেন্টজাল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট এবং জব্দকৃত জাটকা স্থানীয় অসহায়, গরিব ও দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়। অভিযানে চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান, মৎস্য অধিদপ্তরের ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা (প্রথম সংশোধিত) শীর্ষ প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান, নীলকমল নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, কোস্টগার্ড হাইমচর আউট পোস্টের সিসি মো. মোমিনুর রহমানসহ কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।  
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:০১

মেঘনায় নিষিদ্ধ জালে মাছ ধরায় ১৫ জেলের অর্থদণ্ড
চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে কারেন্টজালসহ অন্যান্য নিষিদ্ধ জালে মাছ ধরায় আটক ১৫ জেলেকে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।  শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার নীলকমল পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন মেঘনা নদীর পাড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূর্বিতা চাকমা। অর্থদণ্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হলেন- খোরশেদ (৩৮), মো. সোহাগ (৩২), মো. রাছেল (২৯), রিয়াদ মিজি (২৭), মো. মোহন মীর (২১), মো. শাওন (২০), মো. শান্ত মোল্লা (১৯), মো. বাবু (২০), মো. রাজিব বেপারী (৩০), মো. হৃদয় মীর (২৫), সেলিম মীর (৫০), মো. রুবেল (৩৫), মো. রিয়াদ (২৫), সোহাগ খান (৩০) ও আবু বকর বেপারী (৫০)। অভিযানে অংশগ্রহণকারী হাইমচর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মাহবুব রশীদ জানান, কম্বিং অপারেশনের চতুর্থ ধাপের দ্বিতীয় দিন আজ বেলা সাড়ে ১১টা হতে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত মেঘনা নদীর চরভৈরবী এলাকায় উপজেলা টাস্ক ফোর্স যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ৩০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, একটি চরঘেরা জাল জব্দ করা হয়। নিষিদ্ধ ঘন ফাঁসের জাল দিয়ে ১০০ কেজি জাটকা, চেউয়া মাছের একটি ব্রুড স্টক এবং অন্যান্য প্রজাতির মাছ আহরণরত অবস্থায় ১৫ জেলেকে হাতেনাতে আটক করা হয়। আটক ১৫ জেলেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। জব্দকৃত জাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট এবং জব্দকৃত মাছ স্থানীয় দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়। অভিযানে নীল কমল নৌপুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মো. জাহাঙ্গীর হোসেনসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।  
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৪২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়