• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ফেসবুকে হারানো বিজ্ঞপ্তি দিয়ে মাকে খুঁজছে মেয়ে, ফারাজ করিমের পোস্ট
ফেসবুকে হারানো বিজ্ঞপ্তি দিয়ে মাকে খুঁজে পেতে মেয়ের আবেদন সাড়া ফেলেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। মা মোসা. রোকেয়া খাতুন রুমিকে খুঁজে পেতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন মেয়ে ফাবিহা জাহারা প্রিয়মি। প্রিয়মির করা সেই পোস্টে, এখন তার মাকে খুঁজে পেতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন অনেকেই। এই মানবিক আবেদনটি আলোচিত তরুণ রাজনীতিবিদ ফারাজ করিম চৌধুরীর চোখে পড়লে, তিনিও আলাদাভাবে পোস্ট করেন। যা এরইমধ্যে শেয়ার করা হয়েছে ১৫ হাজারের বেশি। প্রিয়মি গণমাধ্যমকে জানান, তার মা পঞ্চাশোর্ধ মোসা. রোকেয়া খাতুন (রুমি) ঈদের পরদিন, শুক্রবার (১২ এপ্রিল) এলিফ্যান্ট রোডের বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। এসময় তার পড়নে ছিল কমলা রঙের থ্রিপিস। রোকেয়া খাতুন স্মৃতিশক্তিতে ও শারীরিকভাবে দুর্বল ছিলেন। তাই পরিবারের আশংকা তিনি পথিমধ্যে হারিয়ে গেছেন। প্রিয়মি আরও বলেন, এ ব্যাপারে নিউমার্কেট থানায় শনিবার (১৩ এপ্রিল) একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। জিডি নং- ৫৯৩। পরবর্তীতে ফোন ট্র্যাকিং করার চেষ্টা করে পুলিশ। তিনি জানান, তার মার মোবাইল ফোনটি ঈদের আগেই হারিয়ে গেছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সুজিত কুমার সরকার। তিনি বলেন, এখনও পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা চলমান রয়েছে। প্রিয়মির দাবি, পুলিশ রাজধানীর কিছু পয়েন্টের সিসি ক্যামেরা চেক করলে মাকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব। ফারাজ করিমসহ অন্য সবাই শুধুই মানবিক দিক থেকে পোস্টটি শেয়ার করে মাকে খুঁজতে চেষ্টা করছেন।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০০:৩১

মাকে অভিভাবকের স্বীকৃতি দিয়ে নীতিমালা করতে হাইকোর্টের রুল
সন্তানের অভিভাবকত্বের ক্ষেত্রে ১৯৯০ সালের অভিভাবকত্ব আইনে মাকে কেন স্বীকৃতি দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে ১৯৯০ সালের অভিভাবকত্বের আইনে সন্তানের অভিভাবক হিসেবে মাকে স্বীকৃতি দিয়ে কেন নীতিমালা করা হবে না, রুলে তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আইন সচিব, নারী ও শিশু মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন, ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম, ব্যারিস্টার আনিতা গাজী রহমান, অ্যাডভোকেট আয়েশা আক্তার।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:২৮

মাকে গাছে বেঁধে ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা, ব্যাংক কর্মকর্তা আটক
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় মাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে ছেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যাংক কর্মকর্তার পরিবারের বিরুদ্ধে। শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ছাগলনাইয়া উপজেলার বাথানিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে শনিবার রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত নুর মোহাম্মদের (১৮) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নুর মোহাম্মদ নোয়াখালীর সুধারাম থানার আন্দার চর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে। তিনি বাথানিয়া গ্রামে এক বাড়িতে কেয়ারটেকারের কাজ করতেন। টাকা চুরির অভিযোগে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।  এ ঘটনায় রোববার (১৪ এপ্রিল) নিহত নুর মোহাম্মদের মা ছাগলনাইয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা মঈন উদ্দিনকে আটক করেছে পুলিশ। সে ছাগলনাইয়া উপজেলার বাথানিয়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।   নুর মোহাম্মদের মা বিবি খতিজা জানান, অভাবের কারণে চার বছর আগে নুর মোহাম্মদকে ব্যাংক কর্মকর্তা মঈন উদ্দিনেরর বাড়িতে কেয়ারটেকার হিসেবে দিয়ে যান তিনি। মাসিক বেতন ধরা হয়েছিল তার দুই হাজার টাকা। চার বছরে তাকে কখনো ছুটি দিত না ওই পরিবার। সেই ক্ষোভ থেকে গত ২৭ রমজানে ওই বাসা থেকে ৮০ হাজার টাকা ভর্তি একটা খাম নিয়ে নোয়াখালীর বাড়ি আসে নুর মোহাম্মদ।   বিবি খতিজা আরও জানান, বাড়ি যাওয়ার পর থেকে মোবাইলে হুমকি দিতে থাকেন মঈন উদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা। তাদের হুমকিতে ঈদের পরদিন তিনি ছেলেকে নিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়িতে হাজির হন এবং ওই টাকা ফেরত দেন।   তিনি বলেন, বাড়িতে আসার পর মঈন উদ্দিনের চার ভাই তার ছেলেকে মারধর শুরু করেন। বাধা দিলে তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। সারা রাত দফায় দফায় তার ছেলেকে মারধর করা হয়। পরদিনও মারধর করা হয়। শনিবার ১৩ এপ্রিল বিকেলে মারা যায় নুর মোহাম্মদ।   তিনি আরও বলেন, আমি তাদের কাছে ছেলের জীবন ভিক্ষা চেয়েছি। তাদের মন গলেনি। নির্যাতন করে, সারারাত ধরে পিটাতে পিটাতে আমার ছেলেকে মেরে ফেললো। এ হত্যার বিচার চাই।   ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন ছাগলনাইয়া থানার ওসি হাসান ইমাম।   তিনি জানান, শনিবার রাতে খবর পেয়ে ওই বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। টাকা চুরিকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। মরদেহের পিঠ, কোমর, হাত, পাসহ পুরো শরীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে। তারপরও ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাচ্ছে না। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।   তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় নিহতের মা বিবি খতিজা ছয়জনকে আসামি করে রোববার ছাগলনাইয়া থানায় মামলা করেছেন। ব্যাংক কর্মকর্তা মঈন উদ্দিনকে আটক করা হয়েছে। মারধরের কথা স্বীকার করেছে সে।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৫৭

যে কারণে প্রেমিকার মাকে স্পর্শ করেছিলেন সোহেল খান
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সোহেল খান। ক্যারিয়ারে বেশ কিছু হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। যদিও এখন আর আগের মতো পর্দায় দেখা যায় না তাকে। তবে ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও কম আলোচনা হয়নি এই অভিনেতার। একবার নাকি সোহেল তার প্রেমিকার মাকে স্পর্শ করেছিলেন।  সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে বিষয়টি খোলাসা করেন সোহেল। এ সময় অভিনেতা জানান, ভুলবশত প্রেমিকা মনে করে তার মাকে স্পর্শ করেছিলেন তিনি।   সোহেল জানান, একবার দুর্ঘটনাবশত প্রেমিকার জায়গায় প্রেমিকার মাকে যৌন উত্তেজনাপূর্ণ স্পর্শ করেছিলেন। আসলে ঘটনাটা বুঝতে না পারার কারণেই ঘটেছিল। মূলত ডার্ক রুম খেলছিলেন তারা। সোহেল বলেন, আমার এক প্রাক্তন প্রেমিকার বাড়িতে ডার্ক রুম খেলছিলাম। আমি একটা ওয়ারড্রবে গিয়ে লুকিয়েছিলাম। আমার প্রেমিকার মা এসেও সেই আলমারিতেই লুকিয়ে পড়েন।  অভিনেতা আরও বলেন, অন্ধকার আলমারিতে আমি বুঝতে পারিনি। ভেবেছিলাম আমার প্রেমিকাই এসেছে। সেটা ভেবেই আমি ওকে স্পর্শ করা শুরু করি। কিন্তু সে আচমকা খিলখিল করে হেসে উঠলে আমার ভুলটা ভাঙে।   তিনি বলেন, এরপর তিনিও হেসে ফেলেছিলেন। তাদের সেই হাসাহাসির জেরে আলো জ্বালিয়ে দেওয়া হয় এবং মাঝপথেই খেলা শেষ হয়।  সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস   
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৪৭

ঈদে মাকে অনেক বেশি মিস করি : দীঘি
শিশুশিল্পী হিসেবে বড় পর্দায় পা রাখেন অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। বেশকিছু সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনবার অর্জন করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এখনও দর্শকদের চোখে ভাসে সেই ছোট্ট দীঘির অভিনয় আর কানে বাজে তার মিষ্টি সংলাপ। দীঘি এখন আর শিশুশিল্পী নেই, দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে নায়িকা হিসেবে চলচ্চিত্রে নাম লিখিয়েছেন। চলছে ঈদুল ফিতরের আমেজ সর্বত্র। কেমন কাটল দিঘীর ঈদ? ঈদ নিয়ে আরটিভির সঙ্গে কথা হলো তার।   আরটিভি : ঈদ কোথায় করছেন? দীঘি: খুব সহজভাবেই ঈদ কাটছে আমার। আমি এখন পর্যন্ত ঢাকার বাইরে ঈদ করিনি। প্রতিবারই পরিবার, বন্ধুদের সঙ্গে ঢাকাতেই করেছি। এবারও করেছি। বাসায় আত্মীয়রা এসেছিল। বাসাতেই আড্ডা দিয়েছি সবার সঙ্গে। আরটিভি : ছোটবেলায়  ঈদ কেমন কাটত?   দীঘি : ছোটবেলার ঈদের দিনের পরিকল্পনাগুলোর কথা মনে পড়লে এখন হাসিই পায়। কিন্তু অন্যরকম এক ভালোলাগাও কাজ করে মনের মধ্যে। কত সহজ-সরল আর ভাবনাহীন ছিল শৈশবের ঈদ। সকালে গোসল সেরে বড়দের সালাম দিয়ে শৈশবের ঈদ শুরু হতো। বড়দের সালাম দিয়ে সালামির জন্য দাঁড়িয়ে থাকতাম! সালামি নিয়ে সে কত কত স্মৃতি, কত কী কিনতাম! তখন একমাত্র সালামির টাকাগুলোকেই নিজের টাকা মনে হতো। এ ছাড়া তেমন টাকাই হাতে পেতাম না। তাই সালামি হাতে পেয়েই নানান পরিকল্পনায় বসতাম। যদিও শেষ পর্যন্ত তেমন কিছুই করা হতো না সালামির টাকা দিয়ে।  আরটিভি : তারকা দীঘির ঈদ কীভাবে কাটে? দীঘি :  নায়িকা হওয়ার আগে থেকেই আমি ঈদে বাসাতেই থাকি। ঈদের পরের দিন কাছের কিছু বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিই। তবে মজা লাগে যখন ভক্তরা এসে সেলফি নেয়। বিষয়টি আমি খুব ইনজয় করি। নায়িকা হিসেবে যতটা না আমাকে ভালোবাসে তার থেকে বেশি ভালোবাসে তারা সেই ছোট্ট দীঘিকে।  আরটিভি : ঈদে কোন বিষয়টি কষ্ট দেয়? দীঘি : ঈদ মানে আনন্দ, পরিবারের সবার সাথে যতই মজা, আনন্দ করি না কেন ঈদে আমারকে খুব কষ্ট দেয় একটি বিষয়। সেটি হলো আমার মা। কারণ, ঈদে আমার সঙ্গে আমার মা থাকে না। বড় হওয়ার পর মায়ের সাথে আর ঈদ করা হয়নি। শৈশবে ঈদের দিনে মায়ের হাতের রান্না খেতাম মজা করে। জগতের সব মায়ের মতো আমার মাও রান্না করতেন অনেক মজা করে। আজ মা নেই। তাই এখন ঈদের দিনের সব রান্না আমিই করি। ঈদে মাকে অনেক বেশি মিস করি।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫৯

যুক্তরা‌জ্যে সন্তা‌নের সাম‌নে মাকে খুন, বাংলা‌দেশি গ্রেপ্তার
যুক্তরা‌জ্যের ব্রাড‌ফো‌র্ডে শিশু সন্তানের সামনে স্ত্রীকে হত্যাকারী স্বামী হা‌বিবুর রহমান মাসুমকে (২৫) গ্রেপ্তার ক‌রে‌ছে দেশটির পুলিশ। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) তাকে গ্রেপ্তার করে ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ার পু‌লিশ।  জানা গেছে, হাবিবুরের গ্রা‌মের বাড়ি সি‌লে‌টের বিশ্বনাথ উপজেলায়। গত শনিবার দেশটির বাংলা‌দেশি অধ্যুষিত শহর ব্রাড‌ফো‌র্ডে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এদিন পাঁচ মাস বয়সী সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে কেনাকাটা করতে বের হয়েছিলেন কুলসুমা আক্তার শিউলী। এ সময় সন্তা‌নের সাম‌নে প্রকাশ্যে ছুরি মেরে হত্যা করে হাবিবুর। হত্যার পর থে‌কে ওল্ডহামের বাসিন্দা হাবিবুর পলাতক ছি‌লেন। তাকে খুঁজে বের করতে বড় ধরনের অভিযান চালায় পুলিশ। পরে ব্রাডফোর্ড থেকে ১৮০ মাইল দূরের অ্যালিসবারি থেকে মঙ্গলবার সকালে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  মাসুম ওই শিশুসন্তানের বাবা বলে নিশ্চিত করেছেন যুক্তরা‌জ্যের ওল্ডহামে বসবাসরত নিহত শিউলীর ভাই‌ আক্তার হোসেন। তিনি জানান, শিউলীর পোস্টম‌র্টেম শে‌ষে মর‌দেহ পেলে জানাজা ও দাফ‌নের ব‌্যাপা‌রে ‌সিদ্বান্ত নেওয়া হ‌বে।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৩২

মাকে মারধর, ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করে বাবার আত্মসমর্পণ 
গাজীপুরের কালীগঞ্জে নিজের ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন এক বাবা।  বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহাতাব উদ্দিন। ওসি বলেন, ঘাতক বাবা আব্দুর রশীদ বাগমার (৭৫) তার মাদকাসক্ত ছেলে কাউসার বাগমারকে (২৪) হত্যা করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় ঘাতক বাবাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এ ছাড়া নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।   স্থানীয়রা জানান, বুধবার ভোরে উপজেলার জামালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কাউসার মাদকাসক্ত ছিলেন। প্রায়ই মাদকের টাকার জন্য মা-বাবার সঙ্গে ঝগড়া করতেন। ভোরে কাউসারকে তার বাবা কুঠার দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। নিহতের মা মোসলেমা বেগম বলেন, আমার ছেলে মাদকাসক্ত ছিল। মাদকের টাকার জন্য প্রায়ই বাড়িতে ঝগড়া বিবাদ ও ভাঙচুর করতো। মাদকের টাকার জন্য জমি বিক্রি করতে তার বাবাকে প্রায়ই চাপ দিচ্ছিল। মঙ্গলবার রাতেও নেশার জন্য ২ কাঠা জমি বিক্রি করে টাকা দাবি করে। টাকা দিতে রাজি না হলে আমাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এ ঘটনায় তার বাবা ভোরে কাউসারকে ঘুমন্ত অবস্থায় কুঠার দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৪০

তরকারি আনতে দেরি হওয়ায় মাকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টা
জামালপুরের বকশীগঞ্জে মাকে গলা করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। আহত অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার বগারচর ইউনিয়নের মরারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  অভিযুক্ত চান মিয়া (২৮) ওই এলাকার নুর হোসেন ও ফুলবানু দম্পতির ছেলে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, কিছুদিন আগে চান মিয়ার স্ত্রী মারা যাওয়ায় মায়ের সঙ্গে তিনি বসবাস করছেন। আজ বিকেলে খাবার খাওয়ার জন্য মায়ের কাছে তরকারি চান ছেলে চান মিয়া। তরকারি আনতে দেরি হওয়ায় মাকে মাটিতে ফেলে দিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যাচেষ্টা করেন তিনি। পরে ফুলবানুর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে চান মিয়া পালিয়ে যান। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা ফুলবানুকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ খান গণমাধ্যমকে বলেন, এখনো কিছু জানি না। খবর নিয়ে জানাতে পারবো।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৪৬

৪৯ বছর পর মাকে খুঁজে পেলেন এলিজাবেথ
মাদারীপুরের শিবচরের মাদবরচর ইউনিয়নের পদ্মারচর গ্রামের ফিরোজা বেগম। মাত্র ১৪ বছর বয়সে বিয়ে হয় তার। অন্তঃসত্ত্বা থাকার সময় মারা যান স্বামী বছির সরদার। শুরু হয় সংসারে অভাব। এরই মধ্যে ফিরোজা বেগমের কোল আলো করে জন্ম নেয় একটি মেয়ে। নাম রাখা হয় মৌসুমী। সেই সন্তান লালন-পালনের সামর্থ্য ছিল না ফিরোজা বেগমের। বাধ্য হয়েই সন্তানকে ঢাকার মোহাম্মাদপুর এতিমখানায় দেন তিনি। সেই এতিমখানা থেকে মৌসুমীকে দেওয়া হয় নরওয়ের এক দম্পতির কাছে। ওই দম্পতির ঘরেই বড় হয়েছেন মৌসুমী। নাম বদলে হয়েছেন এলিজাবেথ। ৪৯ বছর পর আবারও ফিরোজা বেগমের কাছে ফিরে এসেছেন এলিজাবেথ। পাসপোর্টে তথ্য অনুযায়ী, এলিজাবেথের জন্ম ১৯৭৫ সালের ১৫ জুলাই। জন্মের পাঁচ মাসের মাথায় ২২ ডিসেম্বর ঢাকার মোহাম্মদপুর এতিমখানা থেকে তাকে দত্তক নিয়ে যান নরওয়ের দম্পতি। সেই থেকেই মৌসুমী ওরফে এলিজাবেথ নরওয়ের বাসিন্দা। দীর্ঘ সময় পর্যন্ত তিনি জানতেনই না কে তার আসল বাবা-মা।  নরওয়ের চিকিৎসক রয় রয়েড ও ক্যারেন রয়েড দম্পতি মৌসুমীর নাম রাখেন এলিজাবেথ রয়েড। সেই দম্পত্তিই তাকে বিয়ে দেন। বিয়ের পর এলিজাবেথ রয়েড হয়ে যান এলিজাবেথ ফাজালসেট। এলিজাবেথ অন্তঃসত্ত্বা হয়ে চিকিৎসকের শরনাপন্ন হন। সেই সময় চিকিৎসক তার পারিবার সম্পর্কে জানতে চান। তখনই এলিজাবেথের মধ্যে নিজের মা এবং পরিবার সম্পর্কে জানার আগ্রহ সৃষ্টি হয়। এরপর চার সন্তানের মা হয়েছেন এলিজাবেথ। পাশাপাশি শুরু করেন নিজের মাকে খুঁজে বের করার কাজ। ২০১৩ সালে একবার বাংলাদেশে এসেছিলেন মায়ের খোঁজে। তবে সেবার ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান। কিন্তু, এবার আর ব্যর্থ হতে হয়নি মৌসুমী ওরফে এলিজাবেথকে। গত বৃহস্পতিবার মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার পদ্মারচর গ্রামে গিয়ে পেয়েছেন মায়ের দেখা এলিজাবেথ। একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে মা-মেয়ে দুই জনই কেঁদেছেন অনেকক্ষণ। একে অন্যের মুখের ভাষা বুঝতে না পারলেও আবেগ অনুভূতি দিয়ে তারা নিজেদের জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে বিকেলে আবার ঢাকায় ফিরে যান এলিজাবেথ ও তার স্বামী হ্যানরি। এর আগে, মোহাম্মদপুর এতিমখানা থেকে নথি সংগ্রহ করেন এলিজাবেথ। এরপর একটি গাড়ি নিয়ে ঢাকা থেকে মাদবরচর গ্রামের ভাতিজা সেলিম সরদারের বাড়িতে আসেন এলিজাবেথ এবং তার স্বামী হ্যানরি। এলিজাবেথ তার মায়ের জন্য নতুন জামা, কসমেটিক্সসসহ বিভিন্ন উপহার নিয়ে আসেন। পরে স্থানীয় একটি বাজার থেকে চাল, ডাল, চিনি, দুধ, আটা-ময়দা সেমাইসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু সামগ্রী কিনে দিয়ে যান। নরওয়ে থেকে মেয়ে এলিজাবেথ যেন তার মাকে দেখেতে পরেন সেজন্য একটি মোবাইল ফোন কিনে দেবেন বলেও জানান।  এলাকাবাসী জানান, ১৯৭৫ সালের ১৫ জুলাই ঢাকায় ননদের বাসায় পদ্মারচর গ্রামের মৃত বছির সরদারের স্ত্রী ফিরোজা বেগম এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। নাম রাখেন মৌসুমী। সেই সময় ফিরোজা বেগমের আর্থিক অভাব অনটন ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে মৌসুমীকে ঢাকার মোহাম্মাদপুরের সমাজ কল্যাণ পরিচালকের কাছে দেন। এলিজাবেথের মা ফিরোজা বেগম বলেন, আমি যখন ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা তখন ওর বাবা মারা যায়। আমার মাথার ওপর কোনো ছায়া ছিল না। আত্মীয়-স্বজন অনেকের বাড়িতে ঘুরেছি। কোনো উপায় পাইনি। কিন্তু, কোলের মানিককে রাস্তায় ফেলে আসিনি। রেখেছি সরকারের কাছে। বেঁচে থাকলে একদিন দেখা পাবো এই বিশ্বাস ছিল। এক সময় আমার কোলে আসবে এই বিশ্বাসও ছিল। ৪৯ বছর পর আমার মেয়েকে ফিরে পেয়েছি। এলিজাবেথ বলেন, ছোটবেলা থেকে নরওয়েতে বড় হয়েছি। নরওয়ের বাবা-মা নাম রাখেন এলিজাবেথ। বড় হয়ে জানতে পারি আমার জন্ম বাংলাদেশে। মায়ের নাম ফিরোজা বেগম। তারপর থেকেই আমি ফিরাজো নামটাকে আমার নামের সঙ্গে যুক্ত করি। ২২ বছর বয়সে যখন প্রথম সন্তান প্রসব করি তখন সেখানকার ডাক্তাররা আমার হিস্টরি জানতে চান। তখন থেকেই আমি আমার পরিবারকে খুঁজতে শুরু করি। এ ব্যাপারে আমার স্বামী হ্যানরি ও সন্তানরা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। 
৩১ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩০

স্ত্রীর সঙ্গে কথা-কাটাকাটি, মাকে কুপিয়ে হত্যা
জামালপুরের বকশীগঞ্জে স্ত্রী সঙ্গে মায়ের কথা-কাটাকাটির ঘটনায় ছেলের দায়ের কোপে রাবিয়া খাতুন (৫৫) নামে এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ছেলে মো. জাহিদকে (২৫) আটক করা হয়েছে। রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে পৌর এলাকার মালিরচর সরকার পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত রাবেয়া খাতুন ওই এলাকার মৃত হযরত আলী দানবের স্ত্রী। স্থানীয়রা জানায়, দুপুরে জাহিদের মায়ের সঙ্গে স্ত্রী মিশি আক্তারের কথা-কাটাকাটি হয়। পাশেই জাহিদ দা দিয়ে কাজ করছিলেন। এ সময় বউ ও মায়ের সঙ্গে ঝগড়া দেখে জাহিদ দা দিয়ে তার মাকে মাথায় আঘাত করেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেলে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি। বকশীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ খান গণমাধ্যমকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে ছেলে জাহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছ। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে।
৩১ মার্চ ২০২৪, ২০:০১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়