• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের তেমন চাপ নেই। অনেকটাই ফাঁকা হয়ে গেছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর থেকেই সড়কটিতে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে। শেষ সময়ে অনেকটা স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে মানুষ।  বুধবার (১০ এপ্রিল) সকালে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে, সড়কে যাত্রীবাহী বাসের চেয়ে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল বেশি চলাচল করছে। কম ভাড়ায় খোলা ট্রাকেও বাড়ি ফিরছে মানুষ। তবে সড়কের মির্জাপুর, গোড়াই, টাঙ্গাইল, রাবনা বাইপাস, এলেঙ্গা, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পারে যাত্রীদের জটলা রয়েছে। যাত্রীদের অভিযোগ, যানবাহনের সংখ্যা কম থাকায় তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।  টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানিয়েছেন, সড়কে ৭ শতাধিক পুলিশের অক্লান্ত পরিশ্রমে শেষ দিনে স্বস্তিতে ঘরে ফিরছে মানুষ। 
১০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৬

ফুটওভার ব্রিজ রেখে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়ক পারাপার
কুমিল্লা দাউদকান্দির গৌরীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল, উপজেলার হতদরিদ্র শত শত রোগী আসে এই হাসপাতালে। উপজেলার মাঝখান দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। হাসপাতালে আসা যাওয়া করতে গেলে রোগীদের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পারাপার করতে হয়। সরকার যদিও পথচারীদের পারাপারের জন্য ফুটওভার ব্রিজ স্থাপন করে দিয়েছে, কিন্তু বয়সের ভার নুয়ে পড়া এবং  অসুস্থ রোগীরা  অনেক ব্রিজ দিয়ে পারাপার হতে পারে না।  অনেক রোগীর ফুট ওভারব্রীজ ব্যবহারে অনীহা দেখা যায়।  আবার হাসপাতালের উল্টোদিকে ফার্মেসি থাকায় রোগীরা  হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়ে ঔষধ নিতে  রাস্তা পার হতে হয় । ফুটওভার ব্রিজটি গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ডের একপাশে হওয়া  হাসপাতালে যেতে রোগীরা সেটা ব্যবহার করেন না।  ফলে প্রায় ঘটে যাচ্ছে দুর্ঘটনা ঝরে যাচ্ছে অনাকাঙ্খিত প্রাণ।  মানুষ যেন এভাবে পারাপার না হতে পারে সে জন্য সড়ক বিভাজনকে উচু করে দেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এই উচু সড়ক ডিভাইডার আটকাতে পারছে না পথচারিকে।  অল্প সময়ে যাতায়াতের জন্য উচু ডিভাইডার ভেঙে রাস্তা পারাপার হচ্ছে পথচারীরা। মহাড়কের এই ডিভাইডার পার হওয়া সহজ কথা না। জনগন বেশ কায়দা করসত করে মহাসড়ক পারাপার হয়।  এত কষ্ট করে আসার কী দরকার ছিল? ফুটওভার ব্রিজ কেন ব্যবহার করলেন না?- জানতে চাইলে মধ্যবয়সী এক নারী বললেন, ‘আমার গোড়ালিতে ব্যাথা’।  এভাবে চলতে গেলে তো ঝুঁকি থাকে- এমন মন্তব্যের জবাবে ওই নারী বলেন, ‘শুনেছি অনেক জায়গায় জেব্রা ক্রসিং আছে, আন্ডার পাস আছে। এখানেও সেটা হলে আমাদের জন্য খুবই ভালো হয়।’ পথচারী দেলোয়ার হোসেন বলেন,  ‘দিনে অনেকবারই রাস্তার এপার থেকে ওপারে যাওয়া লাগে। সময় বাঁচাতে আমরা ফুটওভারব্রিজ ব্যবহার করি না। শর্টকাট পারাপারের জায়গা পেয়েছি তাই সহজেই পার হয়ে যাই। ঝুঁকি রয়েছে কিন্তু জরুরি মুহূর্তে সেটা মনে থাকে না।’ পথচারীদের বেশিরভাগই সময় হাসপাতালে যেতে কিংবা ওষধের ফার্মাসিতে যেতে সময় বাঁচাতেই এভাবে চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ আবার বলছেন, সিড়ি ভাঙতে কষ্ট হয়। এ জন্য আন্ডারপাস কিংবা জেব্রা ক্রসিং থাকলে আমাদের চলাচলে সুবিধা হয়। পথচারীদের এই সামান্য ‘কষ্ট বাঁচানোর চেষ্টা’র কারণে সড়কে যান চলাচল বিঘ্নিত হয়। পাশাপাশি প্রাণঘাতি দুর্ঘটনাও ঘটে নানা সময়। কিন্তু যেন ভ্রুক্ষেপ নেই কারও। এর আগে, পথচারীদের এই প্রবণতা ঠেকাতে নানা সময় জরিমানার আরোপ করেও সুফল মেলেনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন পদক্ষেপে কিছুদিন শৃঙ্খলা থাকলেও পরে আবার বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে ফিরে যায় পথচারীরা। পুলিশ প্রায়ই  ঘটা করে পথচারীদেরকে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার উদ্বুদ্ধ করে। স্থানীয় লোকজন বলেন, গৌরীপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনের এই  জায়গাটিতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।  এখানে উচু ডিভাইডার রাখা হয়েছিল, জনস্বার্থে পকেট করা হয়েছিল, দুর্ঘটনা এড়াতে আবারও তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থে উঁচু ডিভাইডারটি ভেঙে পথচারী পারাপারের জন্য সুযোগ করে দেয়। ফলে আবারো ঝুঁকির মুখে পড়েছে সাধারণ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে এলাকাবাসীর দাবি ফুটওভার ব্রিজটি ব্যবহারের জন্য বাধ্য করতে হবে। ফুটওভার ব্রিজের আশেপাশের আধা কিলোমিটার জায়গা কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে দেওয়া হলে মানুষ ব্রিজে ওঠতে হবে।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫৭

মঙ্গল-বুধবার আড়াই ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডের সলিমপুর ইউনিয়নের পাক্কা রাস্তার মাথা এলাকায় মঙ্গলবার ও পরদিন বুধবার (১৩ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি) ভোর পাঁচটা থেকে সকাল সাড়ে সাতটা পর্যন্ত আড়াই ঘণ্টা করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ থাকবে। ইউটার্ন নির্মাণের কাজ ও গ্যান্ট্রি স্থানান্তরের জন্য দু’দিনে মিলে ৫ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)।  সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সড়ক ও জনপথ চট্টগ্রাম বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নির্মাণাধীন ইউটার্নের কাজ ও গ্যান্ট্রি স্থানান্তরের সময় যে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে মহাসড়কটি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। দু’দিন নির্দিষ্ট ওই সময়ে সাময়িক ভোগান্তির জন্য জনসাধারণ ও যাত্রীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোকন চন্দ্রনাথ বলেন, ইউটার্ন নির্মাণ ও গ্যান্ট্রি স্থানান্তরের জন্য আড়াই ঘণ্টা করে দু’দিনে ৫ ঘণ্টা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ রাখা হবে। তবে সময় যেন বেশি না লাগে, সেজন্য লোকবল বাড়িয়ে দ্রুত কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:২১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়