• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মৃত্যুর কারণ জানা গেল মহাসড়কে পড়ে থাকা সেই হাতির
গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান এলাকায় মহাসড়কের পাশে পড়ে থাকা মৃত হাতিটি লিভার ডিসফাংশনে মারা গেছে বলে জানিয়েছেন ভেটিরিনারি সার্জন। ময়নাতদন্ত শেষে হাতিটির মরদেহ গজারি বনে পুতে রাখা হয়েছে। তবে মারা যাওয়ার পর হাতিটিকে মহাসড়কের পাশে ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছে বলে ধারণা করছে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।  মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজেন্দ্রপুর ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের ২ নম্বর গেট এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে মরদেহ পড়ে থাকার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বনবিভাগের কর্মকর্তারা। বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ ঢাকা বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মোজাম্মেল হোসেন বলেন, মৃত হাতিটির বয়স পাঁচ থেকে ছয় বছর হবে। এটি ছিল পুরুষ হাতি। দুপুরে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের পাশে ঘটনাস্থলেই হাতিটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা রুবিয়া ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখা যায় মৃত হাতিটির মাথায় ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে, দাঁতগুলো কে বা কারা উঠিয়ে নিয়েছে। আমরা প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছি, অন্য কোথাও হাতিটির মৃত্যু হওয়ার পর এখানে এনে ফেলে রেখেছে। হাতির দাঁতের মূল্য রয়েছে। হাতির দাঁতের জিনিস কেনাকে ‘গুড ইনভেস্টমেন্ট’ বলে ধরেন অনেকে। কারণ, এটি বিরল ও টেকসই। তাই মারা যাওয়ার পর হাতিটির দাঁত খুলে নেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভেটিরিনারি সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান জানান, লিভার ডিসফাংশনের কারণে হাতিটি মারা গেছে। পোস্টমর্টেমের সময় লিভার, ফুসফুস ও পেরিটোনিয়াম নষ্ট পাওয়া গেছে। উদ্যানের কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের রাজেন্দ্রপুরে এলাকায় মৃত হাতিটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ ও বন বিভাগের কর্মকর্তাদের খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গোলাম হায়দার ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভেটিরিনারি সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান যৌথভাবে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন। ময়নাতদন্ত শেষে ভাওয়াল গজারি বনের ভেতর হাতিটিকে মাটি চাপা দেওয়া হয়।  
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৪৬

দুই ঘণ্টা পর ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে প্রায় ২ ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।  এর আগে, এদিন সকাল ৭টার দিকে মহাসড়কের টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার কামাক্ষার মোড় এলাকায় ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে যানজট সৃষ্টি হয়। এতে মহাসড়কের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা থেকে জোকারচর পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কোথাও থেমে থেমে আবার কোথাও ধীর গতিতে চলে যানবাহন। এতে করে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রী ও চালকদের। বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. লিটন মিয়া জানান, সংঘর্ষের পর ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান সড়কের মাঝখানে চলে আসলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে সড়ক থেকে গাড়ি দুটি সরিয়ে নেওয়া হলে সকাল ৯টার পর থেকে পুরোপুরি যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২১

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল পৌনে ৭টা থেকে মহাসড়কের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা থেকে জোকারচর পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়। জানা গেছে, সড়কের কামাক্ষার মোড় এলাকায় ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষ থেকে এ যানজটের সৃষ্টি হয়। কোথাও থেমে থেমে আবার কোথাও ধীর গতিতে চলছে যানবাহন। এতে করে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রী ও চালকদের।  বিষয়টি নিশ্চিত করে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার এসআই লিটন মিয়া জানান, সংঘর্ষের পর ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান সড়কের মাঝখানে চলে আসলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে সড়ক থেকে গাড়ি দুটি সরিয়ে নেওয়া হলে যান চলাচল শুরু হয়। তবে, গাড়ি ধীর গতিতে চলছে।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২১

সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে বাড়ছে ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ 
পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ উপভোগের পর কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। ফলে সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কে ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ বাড়ছে। গণপরিবহনের পাশাপাশি ট্রাক, পিকআপ, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত যানবাহনে ঢাকা ফিরছেন মানুষ। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল থেকে মহাসড়কে এ চিত্র দেখা যায়। বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল কাদের জিলানী বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর ও নববর্ষের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। ফলে রোববার রাত থেকে মহাসড়কে ঢাকামুখী যানবাহনের পরিমাণ বেড়েছে। সোমবার সকাল থেকে যানবাহনের চাপ আরও বেড়েছে।  ওসি আরও বলেন, তবে কোথাও যানজটের ভোগান্তি নেই। ঈদ উৎসব শেষে কর্মজীবীদের কর্মস্থলে ফেরা নির্বিঘ্ন করতে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:২৬

ঢাকা-নড়াইল মহাসড়কে ২ বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, চালক নিহত
ঢাকা-নড়াইল মহাসড়কের দুর্বাজুড়ি এলাকায় দুটি যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক জাফর হোসেন (৫০) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয় বাসের অন্তত ২০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।  বুধবার (১০ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যশোরগামী লিটন ট্রাভেলস এবং যশোর থেকে নড়াইলগামী লোকাল বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ দুর্ঘটনায় লোকাল বাসের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং চালক জাফর হোসেন নিহত হন। এ ছাড়া লিটন ট্রাভেলস চালক মাহবুব হোসেনসহ (৪৫) অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।  দুর্ঘটনার পর প্রায় দেড় ঘণ্টা বাস চলাচল বন্ধ ছিল।   ফায়ার সার্ভিস নড়াইলের ইনচার্জ মাসুদ রানা জানান, ঢাকা থেকে বেনাপোলের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা লিটন পরিবহন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নড়াইল-যশোর সড়কের সীতারামপুর এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে (যশোর) নড়াইলের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা লোকাল বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদেরকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার লোকাল বাসের চালক জাফরকে মৃত ঘোষণা করেন। 
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:০৬

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ২৫ কিলোমিটার যানজট
ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের ঢল নেমেছে মহাসড়কে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুরের পর গাজীপুরের বিভিন্ন পোশাক কারখানা ছুটি হওয়ায় বিকেলের দিকে শ্রমিকদের স্রোত নামে মহাসড়কে। এতে যানজটের সৃষ্টি হয়। যাত্রীদের পাশাপাশি সড়কে বাসের সংখ্যাও বাড়তে থাকে, বাড়তে থাকে যানজটও। এতে চরম দুর্ভো‌গে পড়েছেন ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ। গভীর রাতে শুরু হওয়া এ যানজট ২৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব মহাস‌ড়কের টাঙ্গাইল সদরের আশেকপুর বাইপাস থেকে সেতু টোলপ্লাজা পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার সড়কে এ যানজটের সৃ‌ষ্টি হয়েছে। এর আগে ভোরে সেতুর উপর ২২ নম্বর পিলারের কাছে এক‌টি ডাবল ডেকার বাস বিকল হয়ে যাওয়ার পর সে‌টি উদ্ধারে ৫‌ মি‌নিট টোল আদায় বন্ধ ছিল। এতে মহাসড়কে প‌রিবহনের চাপ আরও বেড়ে যায়। বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (৮ এপ্রিল) সেতুর ওপর বাস বিকল ও সেতুতে টোল আদায় বন্ধ থাকার কারণে যানজট সৃষ্টি হয়। পরে রাত যত গভীর হয়েছে যানজটের আকার তত বেড়েছে। এ ছাড়াও সেতুর ওপর প‌রিবহনের দীর্ঘ সারি তৈ‌রি হয়েছে। এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) মীর মো. সাজেদুর রহমান জানান, মহাসড়কে প‌রিবহনের খুব চাপ রয়েছে। এতে পরিবহনগুলো খুবই ধীরগ‌তিতে চলাচল করছে। এ ছাড়া সেতুর ওপর এক‌টি বাস নষ্ট হওয়ায় ৫‌ মি‌নিট বন্ধ ছিল প‌রিবহন চলাচল। পরিবহনগুলো রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলার কারণেও অন‌্য প‌রিবহনগুলোতে ধীরগ‌তির সৃ‌ষ্টি হয়েছে। এদিকে হাইওয়ে পুলিশের গাজীপুর রিজিওনের পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা এক দেড় সপ্তাহ আগে পরিকল্পনা নিয়েছি মহাসড়কের ওপর যত্রতত্র কোনো গাড়ি দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলতে পারবে না। এখন তার বাস্তবায়ন করছি। গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত আমাদের হাইওয়ে পুলিশ তারা বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছে। বিভিন্ন জায়গায় অ্যাম্বুলেন্স আছে। সিসিটিভি ও ড্রোনের মাধ্যমে মনিটরিং করতেছি, যেখানেই অসঙ্গতি পাওয়া যাচ্ছে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আজকে ৬০ শতাংশের বেশি পোশাক কারখানা ছুটি হয়েছে। শ্রমিকদের একটি বড় চাপ আছে, এ কারণেই গাড়ির সংখ্যা বেশি। কোথাও গাড়ি থেমে নেই, চলছে। বিশেষ করে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গাড়ি চলছে, কোথাও থেমে নেই।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৮

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে তীব্র যানজট, ভোগান্তি চরমে
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে আজ সকাল থেকেই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ঈদে ঘরমুখো হাজার হাজার মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল থেকেই চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় যানবাহনের বাড়তি চাপে থেমে থেমে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।  এতে চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকা থেকে কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কে, জিরানী বাজার এলাকা ও চন্দ্রা থেকে গাজীপুরের কোনাবাড়ী বাজার এলাকা পর্যন্ত ও চন্দ্রা থেকে যমুনা সেতুগামী গোড়াই পর্যন্ত গাড়ির সারি লক্ষ্য করা যায়।  এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এক বাস যাত্রী বলেন, গাজীপুরের চৌরাস্তা থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত বাসে আসতে গিয়েই খুব কষ্ট হয়েছে। ৩০ মিনিটের রাস্তা আসতেই সময় লেগেছে ২ ঘণ্টার ওপর। দীর্ঘ সময় বাসে বসে থাকতেও বিরক্ত লাগছে। তবুও শত কষ্ট সহ্য করে বাড়ি যেতে পারলেই খুশি।  সরেজমিনে দেখা যায়, সোমবার দুপুরের পর থেকে গাজীপুর, কালিয়াকৈর, সাভার, আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চলের বেশিরভাগ শিল্প-প্রতিষ্ঠান সকাল থেকেই ছুটি হয়ে যাওয়ায় চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। যাত্রীর তুলনায় পরিবহন না থাকায় চন্দ্রা ত্রিমোড় থেকে খাড়াজোড়া প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যাত্রীদের অপেক্ষা করতে দেখা যায়। অনেকে আবার খোলা ট্রাকে করে বাড়ির পথে রওনা করেছেন। যদিও কোনো কোনো মোড়ের যানজট প্রায় কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হলেও যাত্রী ওঠা-নামা শেষে আবার মুহূর্তেই যানজট মিলিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুস সাকিব বলেন, চন্দ্রায় যাতে যানজটের সৃষ্টি না হয় তার জন্য পুলিশ কাজ করছে। মহাসড়কের ওপর কোনো গাড়িকে দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না। এ ছাড়াও বিকল হয়ে যাওয়া গাড়ি মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নিতে রেকার তৈরি রাখা হয়েছে। যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে গাড়ি রেকারের মাধ্যমে সরিয়ে নেওয়া যায়। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান, ঈদযাত্রায় মহাসড়কে যানবাহন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। এখন পর্যন্ত এই পথে গাজীপুর অংশে কোথাও যানজটের খবর পাওয়া যায়নি।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩১

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ভোগান্তিহীন ঈদযাত্রা
পবিত্র ঈদুল ফিতরের আর মাত্র দুই-তিনদিন বাকি। বড় ছুটিকে উপলক্ষ্য করে এরই মধ্যে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছেন ঘরমুখো মানুষ। ঈদের আগেই সবার চোখে-মুখে স্বজনদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার আনন্দ। কিন্তু, এই আনন্দের আড়ালে মিশে থাকে ঘরে ফেরার পথে চরম ভোগান্তির এক গল্প। ঈদ ঘিনিয়ে এলেই আনন্দের উল্টো পিঠে ভোগান্তি-প্রতি বছর ঈদযাত্রার নিয়মিত চিত্র এটি। তবে, এবার পরিস্থিতি যেন পাল্টেছে; ঈদযাত্রায় এখন পর্যন্ত সুখকর এক নতুন অভিজ্ঞতা লাভ করছেন ঘরমুখো মানুষ।  ঈদ উপলক্ষে সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও বেশির ভাগ জায়গাতেই এ বছর স্বাভাবিক আছে যান চলাচল। আর যানজটহীন সড়কে ভোগান্তিহীন যাত্রা করতে পেরে প্রশান্তির ছাপ স্পষ্ট ঘরমুখো মানুষের চোখে-মুখে।  সোমবার (৮ এপ্রিল) সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঈদযাত্রার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গিয়ে দেখা মেলে এ চিত্রের। মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে সাইনবোর্ড থেকে মেঘনা টোল প্লাজা পর্যন্ত যান চলাচল স্বাভাবিক দেখা গেছে এ সময়। তবে বিকালের পরে যানবাহনের চাপ আরও কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশ। হাইওয়ে পুলিশ বলছে, এবারের ঈদযাত্রা উপলক্ষে মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ও যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা, সড়ক দখল করে যানবাহন পার্কিংসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ডিভাইডার দিয়ে পৃথক পৃথক লেন করা হয়েছে। এ ছাড়া যেসব স্থানে যানজটের শঙ্কা রয়েছে সেখানে ইউটার্ন দেওয়া হয়েছে। এতে যানজট অনেকাংশে কমে গেছে। তাছাড়া এবারের ঈদকে আরও স্বস্তির করতে মেঘনা টোল প্লাজায় নতুন করে ছয়টি কাউন্টার বাড়ানো হয়েছে। এসব কারণে এবার মহাসড়কে আগের মতো যানবাহনের চাপ নেই। মহাসড়কের চিটাগাং রোড এলাকায় দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন আবদুল কাইয়ুম। কুমিল্লা যাবেন তিনি। এবার ঈদযাত্রার অভিজ্ঞতা কেমন-জানতে চাইলে বলেন, এ পর্যন্ত আসতে কোনও সমস্যা হয়নি। সড়ক অনেকটাই ফাঁকা। খুব স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পেরেছি। আশা করছি, বাকিটা পথও স্বস্তির হবে। কুমিল্লাগামী তিশা পরিবহনের বাসের জব্বর মিয়া বলেন, মহাসড়কের কোনও পয়েন্টে যানজট চোখে পড়েনি। এক টানে চিটাগাংরোড চলে এসেছি। প্রতিদিন এমন সড়ক থাকলে ভালো হতো।  এ ব্যাপারে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ওসি মো. রেজাউল হক বলেন, মহাসড়কে এবার যানজটের ভয় নেই। কারণ ঈদকে কেন্দ্র করে মেঘনা টোল প্লাজায় নতুন করে ছয়টি টোল কাউন্টার চালু করা হয়েছে। এ ছাড়া মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ইউটার্ন দেওয়া হয়েছে ও পুলিশের কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। আশা করছি, এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তির হবে।  
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১০

বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ছে
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখী মানুষের চাপে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ছে।  রোববার (৭ এপ্রিল) ভোরে সরেজমিন দেখা গেছে, পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে গণপরিবহনের পাশাপাশি ট্রাক, পিকআপভ্যান, মোটরসাইকেলসহ ব্যাক্তিগত যানবাহনে বাড়ি ফিরছে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। বিষয়টি নিশ্চিত করে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল কাদের জিলানি জানান, রাত থেকেই বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ছে। তবে যানচলাচলের গতি স্বাভাবিক রয়েছে। মহাসড়কের কোথাও যানজটেন সৃষ্টি হয়নি।  তিনি আরও বলেন, যানজট এড়াতে ও ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এদিকে, ঈদ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সেতুতে যানবাহন পারাপার ও টোল আদায় বেড়েছে। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ২৮ হাজার ৭১০টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ থেকে দুই কোটি ৩৫ লাখ ৪৯ হাজার ৮০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। এরমধ্যে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব অংশে ১৬ হাজার ৪৭৪ যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয় এক কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার ৮০০ টাকা। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জের সেতু পশ্চিম অংশে ১২ হাজার ২৩৬ যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে এক কোটি ১১ লাখ ৩১ হাজার টাকা টোল আদায় হয়েছে। এর আগে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ২৪ হাজার ১৮ যানবাহন পারাপার হয়েছিল। এ থেকে টোল আদায় হয়েছিল ২ কোটি ১১ লাখ ১১ হাজার ৫৫০ টাকা। বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহসানুল কবীর পাভেল জানান, ঈদের ছুটিতে যানজট নিরসনে সেতুর উভয় অংশে ৯টি করে ১৮টি টোল বুথ স্থাপনসহ মোটরসাইকেলের জন্য চারটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে।  
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৭

‘ঈদযাত্রায় মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ি উঠলেই ব্যবস্থা’
উত্তরের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল করলে আর অদক্ষ চালক স্টিয়ারিং ধরলেই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান।  বুধবার (৩ এপ্রিল) সকালে হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় মহাসড়কে ঈদযাত্রার প্রস্তুতি পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।  এ সময় তিনি বলেন, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম গোলচত্বর থেকে হাটিকুমরুল, হাটিকুমরুল থেকে চান্দাইকোনা পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে জেলা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ সমন্বিতভাবে কাজ করবে।  অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার মহাসড়কের অবস্থা অনেক ভালো তাই ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গের মানুষের ঈদযাত্রা স্বস্তির হবে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা। এ সময় সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডলসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:২৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়