• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ, নেই ভোগান্তি
আজও ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ রয়েছে সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে। তবে যানজটের ভোগান্তি নেই এই মহাসড়কে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ভোর থেকে মহাসড়কে এ চিত্র দেখা যায়। যানবাহনের চাপের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী। তিনি জানান, ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে সড়কপথে কর্মস্থলে ফিরছেন উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। ফলে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে যানবাহনের চাপ রয়েছে। মহাসড়কের হাটিকুমরুল ও কড্ডা এলাকায় যানবাহনের জন্য ভিড় বেড়েছে ঢাকামুখী কর্মজীবী মানুষের।  তিনি আরও জানান, গণপরিবহনের পাশাপাশি ট্রাক-পিকআপ ভ্যান ও ব্যক্তিগত যানবাহনে যাত্রী পরিবহনের প্রবণতা রোধে মহাসড়কে কাজ করছে পুলিশ।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৫১

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি ফিরছেন মানুষ
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে নাড়ির টানে বাড়ি ছুটছে মানুষ। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মেঘনা সেতুর টোলপ্লাজা থেকে কাচপুর সেতু পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যাত্রীর চাপ যেমন বেড়েছে পাশাপাশি বেড়েছে যানবাহনের চাপ। তবে মহাসড়কের কোথাও কোনো যানজটের সৃষ্টি হয়নি। ধীরগতি পরিলক্ষিত হয়েছে কোথাও কোথাও, যাত্রীরা নির্বিঘ্নে গন্তব্যে যেতে পারছেন।  বুধবার (১০ এপ্রিল) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী পরিবহনগুলো বিরতিহীন চলাচলের কারণে কোনো ভোগান্তি বা যানজট ছাড়াই অনায়াসে মেঘনা সেতু পার হচ্ছে। একইভাবে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী পরিবহনগুলোও স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করছে।  জেলা প্রশাসন ও হাইওয়ে পুলিশের সমন্বিত উদ্যোগের কারণে এবার স্বস্তি নিয়ে বাড়ি ফিরছে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের মানুষ, এমনটি বলছেন বিশ্লেষকরা। হাইওয়ে পুলিশ বলছে, এবারের ঈদযাত্রা উপলক্ষে মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ও যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা, সড়ক দখল করে যানবাহন পার্কিংসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ডিভাইডার দিয়ে আলাদা লেন করা হয়েছে। এ ছাড়া যেসব স্থানে যানজটের শঙ্কা রয়েছে সেখানে ইউটার্ন দেওয়া হয়েছে। এতে যানজট অনেক কমে গেছে। তাছাড়া এবারের ঈদকে আরও স্বস্তির করতে মেঘনা টোল প্লাজায় নতুন করে ছয়টি কাউন্টার বাড়ানো হয়েছে। এসব কারণে এবার মহাসড়কে আগের মতো যানবাহনের চাপ নেই। এ প্রসঙ্গে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল হক জানান, স্বাভাবিক গতিতেই গাড়ি চলছে। যেসব পয়েন্টে যানজটের শঙ্কা আছে, সেখানে বাড়তি পুলিশ নিয়োজিত আছে।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৩৯

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের তেমন চাপ নেই। অনেকটাই ফাঁকা হয়ে গেছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর থেকেই সড়কটিতে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে। শেষ সময়ে অনেকটা স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে মানুষ।  বুধবার (১০ এপ্রিল) সকালে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে, সড়কে যাত্রীবাহী বাসের চেয়ে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল বেশি চলাচল করছে। কম ভাড়ায় খোলা ট্রাকেও বাড়ি ফিরছে মানুষ। তবে সড়কের মির্জাপুর, গোড়াই, টাঙ্গাইল, রাবনা বাইপাস, এলেঙ্গা, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পারে যাত্রীদের জটলা রয়েছে। যাত্রীদের অভিযোগ, যানবাহনের সংখ্যা কম থাকায় তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।  টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানিয়েছেন, সড়কে ৭ শতাধিক পুলিশের অক্লান্ত পরিশ্রমে শেষ দিনে স্বস্তিতে ঘরে ফিরছে মানুষ। 
১০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৬

মহাসড়কে গাড়ি ও যাত্রীর চাপ, থেমে থেমে চলছে যানবাহন
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ছোট ছোট শিল্প কারখানা ছুটি ঘোষণা করে দেওয়ায় চন্দ্রা এলাকাজুড়ে যাত্রী ও গণপরিবহনের চাপ বেড়েছে। মহাসড়কে থেমে থেমে চলছে যানবাহন। তবে যাত্রীদের অভিযোগ গত ঈদের চাইতে এবার দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাদের।  শুক্রবার (৫ এপ্রিল) ভোর থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের এলাকাজুড়ে এমনই চিত্র দেখা গেছে। স্থানীয়রা জানান, উত্তরবঙ্গের ২২টি জেলার মানুষের প্রবেশ মুখ চন্দ্রা। এখানে ছোট-বড় অসংখ্য শিল্প কারখানা রয়েছে। এসব শিল্প কারখানা ছুটি হলেই চন্দ্রাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। অপরদিকে সরকারি অফিস আদালত বন্ধ থাকায় ও ছোট ছোট অনেক শিল্প কারখানা ছুটি ঘোষণা করায় চন্দ্রা এলাকাজুড়ে যাত্রী ও গণপরিবহনের চাপ বেড়েছে। এদিকে কোনাবাড়ি থেকে চন্দ্রা, চন্দ্রা থেকে মির্জাপুর ও চন্দ্রা থেকে বাইপাল পর্যন্ত ধীরগতিতে চলছে গণপরিবহন। তবে যাত্রীদের অভিযোগ, গত বছরের চেয়ে এবার গন্তব্যস্থলে যেতে দ্বিগুণ ভাড়া তাদের গুনতে হচ্ছে। আগের মতো এবারও যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশের থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা। তবে মহাসড়কের চন্দ্রাজুড়ে রয়েছে অসংখ্য বাস কাউন্টার। যত্রতত্রভাবে গাড়ি পার্কিংসহ ফুটপাতে রয়েছে দোকানপাট, যার ফলে প্রতি বছর ঈদ আসলেই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চন্দ্রা এলাকাজুড়ে চরম যানজটের সৃষ্টি হয়। হাইওয়ে পুলিশের ওসি শাহাদাত হোসেন জানান, এবার মহাসড়ক পর্যবেক্ষণ করতে ড্রোনসহ ৩২টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। চন্দ্রা এলাকাজুড়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। কোনো ধরনের যাত্রীদের যেন হয়রানি না করতে পারে তার জন্য সকল প্রস্তুতি রয়েছে।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৩৬

মহাসড়কে চলন্ত গাড়িতে ডাকাতির প্রস্তুতি, গ্রেপ্তার ৫
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে মহাসড়কে ডাকাতির প্রস্তুতির অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাতে উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বড় দারোগারহাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।  গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার মুছাপুর এলাকার মো. সুমন মিয়া (৩৩), বরিশালের বাবুগঞ্জ থানার কেদারপুর এলাকার মো. রাসেল হোসেন (৩৩), নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানার চর এলাহি এলাকার মো. খোকন (২৮), একই এলাকার মো. মোস্তফা প্রকাশ চৌধুরী (৩৫) এবং কুমিল্লার লাঙ্গলকোট উপজেলার দক্ষিণ শাকতলী এলাকার মনসুর আলম (৩৬)। মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের নামে মামলা হয়েছে।   তিনি আরও জানান, ডাকাত চক্রটি অনেক দিন ধরে গাড়ির যাত্রীদের জিম্মি করে মহাসড়কে ডাকাতি করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ মহাসড়কে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে উপজেলার বড়দারোগাহাট এলাকা থেকে পাঁচজনকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।  
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৫:১৭

৩ ঘণ্টা পর বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক
ঘন কুয়াশা ও একাধিক দুর্ঘটনার কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পর্যন্ত থেমে থেমে যানজট সৃষ্টির প্রায় ৩ ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। ফলে যাত্রী ও চালকদের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে এবং নির্বিঘ্নে চলাচল করছে পরিবহন। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) মীর মো. সাজেদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে ভোর ৫টা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ১২ থেকে ১৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানবাহনের দীর্ঘ সারি ও ধীরগতিতে গাড়ি চলাচল করতে দেখা যায়। এরমধ্যে মহাসড়কের ৭নং ব্রিজে পণ্যবাহী একটি ট্রাক বিকল ও ১২নং ব্রিজের কাছে বাস ও পিকআপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, অতিরিক্ত ঘন কুয়াশা ও এলোমেলোভাবে গাড়ি চালানোর কারণে সড়কের পৃথক স্থানে দুইটি ঘটনা ঘটে। ফলে সেতু পূর্ব থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ১২ থেকে ১৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হলেও ১ ঘণ্টার মতো পুরোপুরি গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকে। এ সময় ঢাকা ও উত্তরবঙ্গগামী দূরপাল্লার কিছু কিছু যানবাহনের চালক বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব-ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক জেলা মহাসড়ক ব্যবহার করেন। চালক ও যাত্রীরা জানান, কুয়াশার কারণে পৃথক স্থানে দুইটি ঘটনা ঘটে। ফলে ঘটনার পর থেকে মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি হয়েছিল। এতে শীতে অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। পরে বেলা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে যানবাহন চলাচলের চাপও কমে আসে। এ সময় ঘন কুয়াশায় মহাসড়কে তীব্র যানজট ও দুর্ঘটনারোধে পুলিশ সদস্যদের কাজ করতে দেখা যায়। এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপপরিদর্শক (এস আই) পলাশ ঘোষ জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব মহাসড়কে সকালের দিকে ৭নং ব্রিজে ট্রাক বিকল ও ১২নং ব্রিজে বাস-পিকআপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রেকার দিয়ে এগুলো সরাতে কিছু সময় লেগে যায়। যার কারণে যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা দেয়। পরে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৫৪

বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে গাড়ির ধীরগতি, ১০ কিমি যানজট
ঘন কুয়াশায় একাধিক সড়ক দুর্ঘটনার কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের ১০ কিলোমিটার এলাকায় যানজট দেখা হয়েছে। এতে গন্তব্যে যাওয়ার যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা বিপাকে পড়েছেন। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ৭টা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপ্রান্ত থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত থেমে থেমে এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ জানায়, ঘন কুয়াশার কারণে এলেঙ্গা ও ভূঞাপুর লিংক রোডে একাধিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে ও একটি গাড়ি বিকল হয়ে যায়। সেগুলো সরাতে সময় লাগায় এ যানজট শুরু হয়। এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মীর মো. সাজেদুর রহমান বলেন, সেতু সড়কে যানবাহনের চাপ থাকায় ধীরগতিতে চলাচল করেছে। যানজট নিরসনে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে মহাসড়ক স্বাভাবিক হবে।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:১৪

মহাসড়কে হাটবাজার অপসারণ ও অবৈধ যান চলাচল বন্ধের নির্দেশ
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কসহ দেশের সব মহাসড়ক থেকে হাটবাজার অপসারণ ও অবৈধ যান চলাচল বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর বিআরটি প্রকল্প শেষ হতে কেন এত সময় লাগছে তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কসহ দেশের সব মহাসড়ক থেকে হাটবাজার অপসারণ ও অবৈধ যান চলাচল বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর বিআরটি প্রকল্প শেষ হতে কেন এত সময় লাগছে তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। আরও পড়ুন : লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর   মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। নাগরিকদের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে সারাদেশের মহাসড়কে থাকা স্থাপনা, হাটবাজার, ভটভটি, নসিমন-করিমন জাতীয় যানবাহন অপসারণে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), হাইওয়ে পুলিশের প্রধানকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এর আগে রোববার এ বিষয়ে রিটটি দায়ের করেন আইনজীবী এস এম বদরুল ইসলাম। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনারি নিয়ে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম বদরুল ইসলাম। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ ও আনিচ উল মাওয়া। আরও পড়ুন : ‘নির্বাচন শেষ হলেও দেশবিরোধীদের চক্রান্ত শেষ হয়নি’   এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি নাগরিকদের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে সারা দেশের মহাসড়ক-সড়কে থাকা অবৈধ স্থাপনা, হাটবাজার, ভটভটি, নসিমন-করিমন জাতীয় যানবাহন অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়। আইনজীবী এস এম বদরুল ইসলাম এ রিট করেন। সেই রিটের শুনানি নিয়ে এবার রুল জারি করলেন হাইকোর্ট। আইনে মহাসড়কের সংরক্ষণ রেখার মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ না করার কথা বলা হয়েছে। আইনে বলা হয়েছে, “সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতীত, মহাসড়কের নিয়ন্ত্রণ রেখার মধ্যে কোনো অবকাঠামো নির্মাণ, হাটবাজার বসানো বা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে মহাসড়কের কোনো অংশ ব্যবহার করা যাবে না।” আইনের ভাষ্য অনুযায়ী, মহাসড়কের উভয় পাশের ভূমির প্রান্তসীমা থেকে ১০ মিটার অথবা সরকার কর্তৃক গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নির্ধারিত রেখাকে “সংরক্ষণ রেখা” হিসাবে ধরা হয়। আইনে “সংরক্ষণ রেখা” বজায় রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অথচ এই আইনের তোয়াক্কা না করেই মহাসড়কে চলছে হাটবাজার। ২০২২ সালের ২৬ জানুয়ারি হাইওয়ে পুলিশ এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্রের বরাতে মহাসড়কের হাটবাজার নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যম যুগান্তর। সেখানে বলা হয়, সারাদেশের ৮,৮৮৭টি জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ছোট-বড় ১০,০০০ এর বেশি দোকান নিয়ে অন্তত ২৭৫টি স্থায়ী, অস্থায়ী এবং অবৈধ হাটবাজার গড়ে উঠেছে। এসব হাটবাজার ঘিরে পণ্য পরিবহন, থ্রি-হুইলারের চলাচল, বাস-ট্রাকস্ট্যান্ড ও মানুষের চলাফেরা কমাচ্ছে সড়কের গতি। যত্রতত্র মানুষের রাস্তা পারাপারে ঘটছে দুর্ঘটনা, মরছে মানুষ। আরও পড়ুন : বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী শহর দখলের দাবি আরাকান আর্মির   বিভিন্ন সময় মহাসড়কসংলগ্ন দোকানপাট উচ্ছেদ করা হলেও কিছুদিন পরই বিভিন্ন পক্ষের সমঝোতায় তা আগের অবস্থায় ফিরে আসে। এবার এসব হাটবাজার অপসারণে হাইকোর্ট রুল জারি করলেন।     
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:২৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়