• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
জাবিতে নিপীড়ক শিক্ষক জনির অব্যাহতিসহ ৫ দাবিতে মশাল মিছিল
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) যৌন নিপীড়নের দায়ে অভিযুক্ত পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান জনির অব্যাহতিসহ পাঁচ দফা দাবিতে মশাল মিছিল করেছে ‘নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ’।   সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়ে উপাচার্যের বাসভবন প্রদক্ষিণ করে পরিবহন চত্বরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।  শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলো হলো- সম্প্রতি সংঘটিত ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা, নিপীড়কদের সহায়তাকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্টের অপরাধ তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনিক পদ হতে অব্যাহতি প্রদান, অছাত্রদের হল থেকে বিতাড়িত করা এবং ক্যাম্পাসে মাদকের সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের সদস্য সচিব মাহফুজুল ইসলাম মেঘ বলেন, অবিলম্বে মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করে দিতে হবে। আমরা প্রশাসনের এসব ছলচাতুরি বুঝি। মঙ্গলবার সিন্ডিকেটে স্পষ্ট ঘোষণা না পেলে আমরা ভর্তি পরীক্ষা আটকাতে বাধ্য হবো৷ এ ছাড়াও সমাবেশে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী কনোজ কান্তি রায়, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রেজাউল রকিব বক্তব্য রাখেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। 
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৪৯

পাঁচ দাবিতে জাবিতে মশাল মিছিল
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক ও তার সহায়তাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত, অছাত্রদের হল থেকে বের করে গণরুম বিলুপ্তপূর্বক নিয়মিত শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিতসহ পাঁচ দাবিতে মশাল মিছিল করেছে আন্দোলনকারীরা। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) নীপিড়ন বিরোধী মঞ্চের ব্যানারে মশাল মিছিলটি শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে বটতলা ও নতুন প্রশাসনিক ভবন প্রদক্ষিণ করে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিগুলো মেনে নেওয়ার দাবিতে সেখানে অবস্থান নেয়। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলো হলো- নিপীড়ক শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বিচার নিষ্পত্তি করা, নিপীড়কদের সহায়তাকারী প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্টের অপরাধ তদন্ত করতে হবে এবং সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদেরকে তদন্ত চলাকালে প্রশাসনিক পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান এবং মাদকের সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে জড়িতদের ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত ঘোষণাপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থানকালে পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনু বলেন, ইতোমধ্যে অছাত্রদের বের করার বিষয়ে একটি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে বলা হয়েছিল। তার সময় পেরিয়ে গেছে। অথচ কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তার কোনো জবাবদিহিতা দেওয়া হয়নি। র‍্যাবের ভাষ্যমতে, এ বিশ্ববিদ্যালয় মাদকের আখড়া হয়েছে। এ বাণিজ্য অনেকদিন ধরে চলছে। প্রশাসন এগুলো দেখভাল করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেও প্রক্টর ও প্রভোস্ট বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এরকম হলে সামনের ভর্তি পরীক্ষায় অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাবেন কিনা তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত। সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সংগঠক সোহাগী সামিয়া বলেন, আজ পর্যন্ত আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরের পর বছর সিট ভাড়া দিয়েও আসন নিশ্চিত করতে পারেন নাই। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি কোণায় কোণায় সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ীদের অপরাজনীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে চাই। আ র ক রাসেল বলেন, গণরুম বিলুপ্তির জন্য পাঁচ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। প্রশাসন গণরুম বিলুপ্তির নামে সাধারণ শিক্ষার্থীদের হয়রানি করেছে। হল প্রশাসন রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা এ সকল অবৈধ শিক্ষার্থীদের কক্ষে যায়ই নাই। ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের আহ্বায়ক আলিফ মাহমুদ বলেন, প্রশাসন হল থেকে অছাত্রদের বের করতে পাঁচ কর্মদিবস সময় চেয়েছে আমরা দিয়েছি কিন্তু উপচার্য একটি প্রতিশ্রুতিও বাস্তবায়ন করতে পারেননি। এই বিশ্ববিদ্যালয় সন্ত্রাসীদের কারখানায় পরিণত হয়েছে। এই অছাত্ররাই চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে। অছাত্রদের বের করতে না পারলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ কখনোই সুষ্ঠু ও সুন্দর হবে না। প্রতিশ্রুত সময়ের মধ্যে অছাত্রদের বের করতে ব্যর্থ হলে আমরা কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবো। এ দিকে এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে আসেন উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম। এ সময় তিনি আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবি মানার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন। তবে সিন্ডিকেটের বেধে দেওয়া পাঁচদিনের সময়ের মধ্যে আবাসিক হল থেকে অছাত্রদের বের করতে না পারায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এ ছাড়া আন্দোলনরতরা আবাসিক হলে অবস্থান করা অছাত্রদের তালিকার বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্যসহ উপস্থিত প্রশাসনিক শিক্ষকরা সেই তালিকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং আরও কয়েকদিন সময় চান। এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীরা সোমবার থেকে প্রতিদিন ২ ঘন্টা করে প্রশাসনিক ভবন অবরোধের ঘোষণা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি শেষ করেন।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৪৪

ধর্ষণের বিরুদ্ধে জাবিতে মশাল মিছিল
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) এক বহিরাগত নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় মশাল মিছিল করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মশাল মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী এতে অংশগ্রহণ করেন। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে মীর মশাররফ হোসেন হল, কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া, ছাত্রীদের আবাসিক হল ও প্রান্তিক গেট হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এ সময় তাদেরকে ‘ক্যাম্পাসে ধর্ষণ কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘ধর্ষকের বিরুদ্ধে, আগুন জ্বালো একসাথে’, ‘প্রশাসনের বিরুদ্ধে, আগুন জ্বালো একসাথে’, অবৈধ ছাত্র, মানি না মানবো না’, ধর্ষকের দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে’, ‘আমার বোন ধর্ষিত কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী আরিফ সোহেল বলেন, জাহাঙ্গীরনগর ধর্ষকদের নয়, আমরা প্রশাসনকে বলে দিতে চাই এই ক্যাম্পাসে ধর্ষকদের মদদদাতাদের কোন ঠাঁই নাই। বিশ্ববিদ্যালয় আমাদেরকে সিস্টেমের ফাদে ফেলে ধর্ষকে পরিণত করেছে। গণরুম কালচার একজন শিক্ষার্থীর মানসিকতা পরিবর্তন করে দেয়। তার মানসিকতা বিকৃত করে ধর্ষকে পরিণত করতে সহায়তা করে। ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী আহসান লাবীব বলেন, ক্যাম্পাসে ধর্ষণের ঘটনায় আমাদের এতদিনের যে ধারণা ছিল যে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়ে শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে নিরাপদ, তা আর রইল না। আমরা জোর গলায় বলতে চাই, এই ক্যাম্পাসে ধর্ষকদের কোন জায়গা নেই, ধর্ষকদের যারা লালন করে সেই কুলাঙ্গারদেরও কোনো স্থান নেই। যে সংগঠন, যে শিক্ষক, যে রক্ষক এদের মদদ দেয় তাদেরকে অবিলম্বে ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়ন জাবি শাখার আহ্বায়ক আলিফ মাহমুদ বলেন, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের নিকট নিরাপদ নয়, সেখানে বহিরাগতরা কীভাবে নিরাপদ থাকবে। যখন শিক্ষার্থীরা দেখে তারই শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বিরুদ্ধে স্ট্রাকচার্ড কমিটি হওয়ার পরেও নিরাপদে ক্লাস নিতে পারেন, সেখানে নিজেরা করলে দোষ কোথায়? এমএইচ হলের অছাত্রদের দাপটে বিভিন্ন সময়েই ছিনতাই, লুটপাট, চাঁদাবাজির খবর আমরা দেখি। প্রশাসনকে বারংবার তাগাদা দেওয়ার পরেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেন না। এই হলেই শাহ পরান আছে কিন্তু তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। এভাবেই ধর্ষকরা ক্রমাগত বেঁচে যাচ্ছে প্রশাসনের ছত্রছায়ায়। মূলত প্রশাসনের উদাসীনতাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। একটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসকের চেয়ারে বসা কিছু নরাধমের নিকট জিম্মি হয়ে আছে। নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী কনোজ কান্তি রায় বলেন, প্রশাসন আর ছাত্রলীগের অবৈধ সংগমে এই ধর্ষকের জন্ম হয়েছে। ছাত্রলীগ তার ধর্ষণের ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করেছে। এটা নতুন নয় ৯৮তে ধর্ষণ করেছে মানিক, আজ তার উত্তরসূরীরা করছে। প্রক্টর ধর্ষকদের পালাতে সাহায্যে করেছে। তাদের পদে বহাল থাকার নৈতিক যোগ্যতা হারিয়েছে। প্রক্টরকে পদত্যাগ করতে হবে। সমাবেশ থেকে সোমবার বেলা ১১টায় পোস্টারিং কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৫৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়