• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বাসাবাড়ি-অফিসে এডিস মশার লার্ভা পেলেই জেল-জরিমানা
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় কারও বাসাবাড়ি ও অফিসে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে জেল-জরিমানা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।  সোমবার (২২ এপ্রিল) রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ডিএনসিসির মাসব্যাপী সচেতনতামূলক প্রচার অভিযানে গিয়ে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি। ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে নগরবাসীকে সচেতন করার কার্যক্রম শুরু হয়েছে জানিয়েছে মেয়র বলেন, সবাইকে অনুরোধ করছি, নিজ নিজ ঘরবাড়ি ও অফিস পরিষ্কার রাখবেন। জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে এডিস মশার লার্ভা হয়। আগামী ২৭ এপ্রিল থেকে কোনো বাসায় বা অফিসে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে জেল ও জরিমানা করা হবে।  তিনি বলেন, সরকারি অফিসেও যদি লার্ভা পাওয়া যায় সে অফিসের যিনি দায়িত্বে আছেন তার বিরুদ্ধে মামলা হবে, জরিমানা হবে। এমনকি আমার সিটি করপোরেশনের কোনো অফিসেও যদি লার্ভা পাওয়া যায় সেই অফিসের কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমার ক্লিয়ার মেসেজ। আতিকুল ইসলাম বলেন, যেখানে–সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখলে মরণঘাতী এডিস মশার জন্ম হয়। মশা কিন্তু কাউকে চিনবে না। মশা শুধু রক্ত চেনে। কে নেতা, কে সংসদ সদস্য আর কে কোন লীগ করে, কিছুই চিনবে না।’ এডিস মশার জন্ম না হলে এ শহরের বাসিন্দাদের কারও ডেঙ্গু হবে না বলেও জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, ডিএনসিসির সকল ওয়ার্ডে একযোগে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রত্যেক কাউন্সিলরকে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কাউন্সিলররা নিজ নিজ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, রাজনীতিবিদ, মসজিদের ইমাম, স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের জনগণকে সম্পৃক্ত করে ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভা ও র‍্যালি আয়োজন করবে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে লিফলেট বিতরণ করবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদরাসা ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রচারণার ব্যবস্থা করবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আমি আগেই ঘোষণা দিয়েছি ঈদের পর থেকে ডেঙ্গু মৌসুম শুরুর আগেই ডেঙ্গু প্রতিরোধে একযোগে ৫৪টি ওয়ার্ডে সচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করব। বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি কারিগরি কমিটি রয়েছে। তারা সবসময় আমাদের পরামর্শ দেন সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করি। আমাদের কীটতত্ত্ববিদরা বলেছেন এখন থেকেই মাঠে নামতে। তাই আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি। ‘সকলের কাছে বিনীত অনুরোধ, আপনারা সচেতন হলে জেল-জরিমানা, মামলার দরকার নাই। তিন দিনে একদিন জমা পানি ফেলে দিন। এডিস মশা জন্মাতে পারে এমন জায়গাগুলো পরিষ্কার করুন। এডিস মশা কামড় না দিলে ডেঙ্গু হবে না। সচেতন হয়ে নিজে নিরাপদ থাকুন, অন্যকেও নিরপদ রাখুন। সচেতনতা কর্মসূচির মতবিনিময় সভায় ঢাকা উত্তর সিটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ বে-নজির আহমেদ, কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তোফাজ্জল হোসেনসহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভা শেষে ওয়ার্ডবাসীকে নিয়ে শোভাযাত্রা করা হয়। রূপনগর আবাসিক এলাকার ২৩ নম্বর সড়ক প্রদক্ষিণ করে রূপনগর প্রধান সড়কে গিয়ে শোভাযাত্রা শেষ হয়। পরে মেয়রসহ অন্যরা প্রচারপত্র বিতরণ করেন।    
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:০৭

অভিযান চালাতে গিয়ে মশার কবলে মন্ত্রী-মেয়র 
রাজধানীর উত্তরায় একটি খালে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাতে গিয়ে মশার কবলে পড়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যৌথ টিম। কিছুক্ষণ আগেই ওষুধ স্প্রে করার পরও মশার কামড় খেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম ও ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম।  বুধবার (২০ মার্চ) ঘটেছে এ ঘটনা।  এদিন উত্তরার ১২ ও ১৪ নম্বর সেক্টরের মধ্যে অবস্থিত খালটিতে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালানোর অংশ হিসেবে ১২ নম্বর সেক্টরের ২ নম্বর ব্রিজের পাশে খালপাড়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। খালের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে অনুষ্ঠানে যোগ দেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম ও ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। এর আগেই অনুষ্ঠানস্থলে মশার ওষুধ স্প্রে করে ডিএনসিসির কর্মীরা। তারপরও মশা ভন ভন করতে থাকে। সেইসঙ্গে উপস্থিত সবাইকে কামড়াতে থাকে। অনুষ্ঠান শুরুর পর মঞ্চে বসে থাকা সবাইকেই দেখা যায় শুধু শরীর চুলকাতে।  বক্তব্যের শুরুতেই মন্ত্রীর উদ্দেশে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, মাননীয় মন্ত্রী আপনি দেখতেই পাচ্ছেন মশার কী অবস্থা। এই খালটি মশা উৎপাদনের কারখানায় পরিণত হয়েছে। আপনি স্বচোখে দেখেছেন, এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আপনি আসায় আমাদের মনোবল বেড়ে গেছে। রাজউক ওই খালটি সিটি করপোরেশনকে বুঝিয়ে দিচ্ছে না মন্তব্য করে মেয়র আতিক বলেন, এই লেকটি রাজউকের। এটি আগে ওয়াসার খাল ছিল। খালটির মালিকানা ডিএনসিসি বুঝে পায়নি। ফলে এখানে কোনো কার্যক্রম চালানো যাচ্ছে না। রাজউক বলে খাল ওয়াসার, ওয়াসা বলে রাজউকের। এই ধরনের খেলা চলতে থাকায় জনগণ কষ্ট পাচ্ছে। তারপরও চারবার খালটি পরিষ্কার করেছি, কিন্তু কয়েকদিন পর আবার তা কচুরিপানায় ভরে যায়। লেকটি আমাদের দিলে আমরা নিয়মিত কার্যক্রম চালাব। হাতিরঝিলের আদলে গড়ে তুলব এটাকে। পরে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, এবার মশার উপদ্রব গত বছরের চেয়ে বেশি হবে বলে ধারণা করছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। কয়েকদিন আগে ডিসিদের সম্মেলনে একটা অনুষ্ঠানে আমি প্রধান অতিথি ছিলাম। আমি ভুলে যাই নাই, গত বছর এডিস মশা আমাদের গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছে। এবারও আমরা ধারণা করছি, এর মাত্রা আরও বাড়তে পারে। এজন্য ডিসিদেরও এ ব্যাপারে দায়িত্ব পালনের জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। এরপর মন্ত্রী বলেন, আমরা জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করেছি মশা নিধন করার জন্য এবং জনগণকে সচেতন করার জন্য। মশা মারার ওষুধ, যন্ত্রপাতি ঠিক আছে কিনা, সিটি করপোরেশনের প্রস্তুতি কেমন এগুলো পর্যালোচনা করে মানুষকে সচেতন করার জন্য কীভাবে আরো বেশি কাজ করা যায়, সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অনুষ্ঠানে রাজউকের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার, নগর পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মুহাম্মদ খান, অধ্যাপক আকতার মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  
২০ মার্চ ২০২৪, ২২:৫২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়