• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
হঠাৎ ২১ মর্টার শেল বিস্ফোরণ, কাঁপল টেকনাফ
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে মাত্র আধঘণ্টায় ২১টি মর্টার শেল বিস্ফোরণ হয়েছে। মর্টার শেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে উঠেছে টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়াসহ অন্তত ১৩টি গ্রাম। এর ফলে সেখানকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। রোববার (১৭ মার্চ) রাত ৯টা ২৫ মিনিট থেকে পরবর্তী ৩০ মিনিটে মর্টার শেল বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পায় সীমান্তের বাসিন্দারা। রাখাইন রাজ্যের মংডুর কিছুটা উত্তরে নাকপুরা এলাকায় এসব বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর সোমবার সকাল ১০টায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আর বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়নি। সীমান্তের একাধিক সূত্র জানায়, রোববার সন্ধ্যায় আরাকান আর্মি স্থলপথে নাকপুরা এলাকার বিজিপি সেক্টর ঘিরে ফেলে এবং হামলা চালায়। এরপর বিজিপি সদস্যরাও পাল্টা জবাব দেয়। তখন রাত ৯টা ২৫ মিনিট থেকে আধঘণ্টা মর্টার শেলের বিস্ফোরণ ঘটে। হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, গত ছয় দিন মংডুর আশপাশের গ্রামগুলোতে দিনের বেলায় গোলাগুলি-মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেনি। তবে রাতের বেলায় কয়েকটি গ্রামে থেমে থেমে গুলির শব্দ শোনা যেত। কিন্তু রোববার রাতে হঠাৎ একসঙ্গে ২১টি মর্টার শেলের বিস্ফোরণ সীমান্তের লোকজনের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।  টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, রাতে মর্টার শেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে উঠে টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া, চৌধুরীপাড়া, কুলালপাড়া, ডেইলপাড়া, হাঙ্গারডেইলসহ অন্তত ১৩টি গ্রাম। টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা রাখাইনের চলমান সংঘাতময় পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। সংঘাতের জেরে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদী ও সীমান্তে বিজিবির টহল বাড়ানো হয়েছে।
১৮ মার্চ ২০২৪, ১৪:০০

গুলি-মর্টারশেলের শব্দে কাঁপছে টেকনাফ সীমান্ত
মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্যের জেলা শহর মংডুর আশপাশের কয়েকটি গ্রামে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে আজ শনিবার সকাল সাতটা পর্যন্ত থেমে থেমে গোলাগুলি ও মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।  সীমান্তের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিন দিন বন্ধ থাকার পর গত বৃহস্পতিবার সকাল নয়টা থেকে নতুন করে শুরু হয় গোলাগুলি ও মর্টার শেল নিক্ষেপ। তবে গত দুই রাতে (বৃহস্পতি ও শুক্রবার) লড়াইয়ের তীব্রতা আগের তুলনায় বেশি অনুভূত হয়েছে। গোলাগুলি ও মর্টার শেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দে এপারে কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং, হ্নীলা, পৌরশহর ও সাবরাং কেঁপে উঠছে।  টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম বলেন, এক মাস ধরে রাখাইন রাজ্যে দুই পক্ষের মধ্যে লড়াই চললেও গত দুই দিন তার তীব্রতা কিছুটা বেড়েছে মনে হচ্ছে। তিন কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের নাফ নদীর ওপারে বিস্ফোরিত মর্টারশেলের বিকট শব্দে এপার কেঁপে উঠছে। সীমান্ত এলাকার হাজারো মানুষ খেতখামারে যেতে পারছেন না। অনেক এলাকায় চিংড়ি-কাঁকড়া, সবজি ও ধান চাষ বন্ধ আছে। যুদ্ধ পরিস্থিতি থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান শাহ জালাল বলেন, মর্টার শেলের বিকট শব্দে তাঁর এলাকায় কম্পন অনুভূত হচ্ছে। রাতের বেলায় ঘনঘন কম্পনে শিশুদের ঘুম ভেঙে যাচ্ছে, অনেকে ভয়ে কান্নাকাটি করছে। হোয়াইক্যং ইউনিয়নের বিপরীতে নাফ নদীর বুকে জেগে ওঠা তোতারদিয়া দুই সপ্তাহ আগে আরাকান আর্মি দখলে নেয়। এখন মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী সেটি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে কঠোর নজরদারিতে আছে বিজিবি। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, রাখাইনে নতুন করে গোলাগুলি ও মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটলেও এখন পর্যন্ত টেকনাফ সীমান্তে গুলি এসে পড়ার খবর পাওয়া যায়নি।
০২ মার্চ ২০২৪, ১৪:১৮

রাখাইনে মর্টার শেল ও গোলাগুলির শব্দ, সীমান্তে আতঙ্ক
রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে সীমান্তে ফের মর্টার শেল ও গুলির শব্দ শোনা গেছে। ফলে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে কক্সবাজারে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের নাফ নদ সীমান্তের লোকজন। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তে ভারী মর্টার শেলের শব্দ পেয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের জালিয়াপাড়ার স্থানীয়রা জানান, সকাল ৭টার পর থেকে ফের মিয়ানমারের ভারী গোলার শব্দ শোনা যাচ্ছে। বেলা ১১টা পর্যন্ত ওপার থেকে কয়েকটি গোলার শব্দ পাওয়া গেছে। তিন দিন বন্ধ থাকার পর শুক্রবার রাত এবং শনিবার সকালেও ভারী গোলার শব্দ পাওয়া যায় বলে জানান শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দারা। টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপের ৯ নম্বর ওর্য়াডের সদস্য আবদুস সালাম গণমাধ্যমকে বলেন, রাতে ভারী গোলার শব্দ পাওয়া গেলেও সকালে শব্দ কিছুটা কমেছে। এদিকে রোহিঙ্গারা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার ৯ জন রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠিয়েছে বিজিবি। কোস্ট গার্ড চট্টগ্রাম পূর্বজোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তাহসিন রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, নাফ নদ শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা থেকে নাফ নদে টহল জোরদার রেখেছি।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫৯

বান্দরবানে এবার ধানখেতে মিলল মর্টার শেল
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে এবার ধানখেত থেকে একটি অবিস্ফোরিত মর্টার শেল উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঘুমধুম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের তুমব্রু পশ্চিমকূল এলাকা থেকে মর্টার শেলটি উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার দুপুরে কয়েকজন কৃষক তুমব্রু পশ্চিমকূল বিজিবি ক্যাম্পের কাছাকাছি এলাকার ধানক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে একটি মর্টার শেল দেখতে পায়। এরপর তারা প্রশাসনকে খবর দিলে বিজিবির সদস্যরা গিয়ে মর্টার শেলটি উদ্ধার করে। নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মান্নান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ঘুমধুম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াপাড়া এলাকা থেকে একটি অবিস্ফোরিত মর্টার শেল উদ্ধার করা হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যরা পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করার সময় মর্টার শেলগুলো ফেলে গেছেন।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:২৯

মর্টার শেলে দুজন নিহতের পর সীমান্তে আতঙ্ক, গ্রাম ছাড়ছে মানুষ
বান্দরবানে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেলে দুইজন নিহতের ঘটনার পর থেকে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলী ও আশপাশের এলাকার লোকজন গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, জলপাইতলী গ্রামসহ আশপাশের আরও দুটি গ্রাম থেকে অন্তত ৫০টি পরিবার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইকে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন।  ওই এলাকার বাসিন্দারা জানান, মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে দুজন নিহত হওয়ার পর সবার মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাই অনেকেই বাড়িতে থাকতে চাইছেন না। এ জন্য অনেকেই আত্মীয়ের বাড়িতে চলে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, মিয়ানমার থেকে ছোড়া একটি মর্টার শেল হোসনে আরা নামের এক বাসিন্দার রান্নাঘরে এসে পড়েছে। এতে দুজন নিহত হন। এরপর গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে ভয় কাজ করছে। অনেকে নিরাপদে থাকতে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। এর আগে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বান্দরবানে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেলে এক বাংলাদেশি নারী ও এক রোহিঙ্গা নিহত হন। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জলপাইতলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত নারীর নাম হুসনে আরা (৫০)। তিনি জলপাইতলি এলাকার বাদশা মিয়ার স্ত্রী। এ ছাড়া নিহত রোহিঙ্গা তাদের বাড়ির কাজের লোক। তবে তার বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। জানা গেছে, মিয়ানমার জান্তার ছোড়া মর্টারশেল বাংলাদেশের ভূখণ্ডে বাদশা মিয়ার বসতবাড়িতে এসে পড়ে বিস্ফোরণ ঘটে। এতেই ওই নারীসহ তাদের বাড়ির কাজের লোক নিহত হন।  বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম ও নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান নিশ্চিত করেছেন। উল্লেখ্য, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গত সপ্তাহ থেকে আরাকান আর্মি ও দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সংঘর্ষ ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। দু’পক্ষের ছোড়া গুলি ও মর্টারশেল এসে পড়ছে বাংলাদেশের ভেতরে। সংঘর্ষ থেকে প্রাণ বাঁচাতে এখন পর্যন্ত মিয়ানমারের বিজিপির ৯৫ জন সদস্য অস্ত্রসহ পালিয়ে বাংলাদেশে চলে এসেছেন। গত রোববার ভোর থেকে বিজিপির সদস্যরা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া শুরু করেন। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্ত এলাকা দিয়ে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেন।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৪

সীমান্তে মর্টার শেলে বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় বিজিবির প্রতিবাদ
মিয়ানমার জান্তার মর্টারশেল বাংলাদেশের ভূখণ্ডে বসতবাড়িতে বিষ্ফোরণে দুইজন নিহতের ঘটনায় কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। একই সঙ্গে পালিয়ে আসা জান্তা সরকারের সীমান্তরক্ষীদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া কথা জানিয়েছেন বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোরশেদ আলম। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্ত পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোরশেদ আলম বলেন, গত কয়েকদিন ধরে সীমান্তের উত্তপ্ত পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। এখন পর্যন্ত সেদেশের ৯৫ জন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যদের নিরস্ত্রকরণের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার জানান, বিজিবি সদর দপ্তর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে মায়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করছে। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত আসলে তাদের ফেরত পাঠাবো। তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত কোনো মিয়ানমার নাগরিক বা রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারেনি। চলমান সংঘাতে নতুন করে যাতে কেউ অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে জন্য বিজিবি সতর্ক রয়েছে। একই সঙ্গে অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করার তথ্যও জানান রিজিয়ন কমান্ডার। প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে মিয়ানমার জান্তার মর্টারশেল বাংলাদেশের ভূখণ্ডের বসতবাড়িতে বিষ্ফোরণে দুইজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- ঘুমধুমের জলপায়তলী সীমান্তের বাদশা মিয়ার স্ত্রী হুসনে আরা (৫০) ও নবী হোসেন। আর নিহত রোহিঙ্গা নবী হোসেন বাদশা মিয়ার বাড়িতে কাজ করতেন। অন্যদিকে সোমবার দুপুরের দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং উলুবনিয়া পয়েন্টে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে রোহিঙ্গারা। পরে তাদের পুশব্যাক করে বিজিবি। অনুপ্রবেশের চেষ্টাকারী মিয়ানমারের নাগরিকরা হলেন- মংডু জেলার ভৌগনী গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে মো. রহমত উল্লাহ (৩০), তার স্ত্রী সাজেদা (২৫), ছেলে হায়াতুন নূর (৫), জোনাইদ (৩) ও দেড় বছরের মেয়ে আমাতনুর।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫০

ঘাটাইলে স্বাধীনতাযুদ্ধে ব্যবহৃত মর্টার শেল উদ্ধার
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ব্যবহার করা পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর একটি মর্টার শেল উদ্ধার করা হয়েছে।  রোববার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে ঘাটাইল থানার বাউন্ডারি দেয়াল সংলগ্ন স্থান থেকে এটি উদ্ধার করা হয়। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা খুঁটি পোঁতার জন্য খনন কাজ করার সময় অবিস্ফোরিত শেলটি খনন যন্ত্রের সঙ্গে উঠে আসে।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘাটাইল থানার পরিদর্শক তদন্ত সজল খান।  পুলিশ ও খনন কাজে নিয়োজিত বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা জানায়, ঘাটাইল থানার বাউন্ডারি দেয়াল সংলগ্ন স্থানে সকাল ১০ টার দিকে বিদ্যুতের খুঁটি পোঁতার জন্য খনন কাজ করছিলেন পল্লী বিদ্যুতের কয়েকজন কর্মী। এ সময় খনন যন্ত্রের সঙ্গে লোহা সাদৃশ্য একটি বস্তু উঠে আসে। খনন যন্ত্রটি নাড়াচাড়া করলে বস্তুটি পুনরায় মাটির গর্তে পড়ে যায়। দেখতে অস্বাভাবিক এবং শেলের মতো হওয়ায় ঘটনাটি দ্রুত তারা পুলিশকে অবগত করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শেলটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে রাখে। পরে বিষয়টি ঘাটাইল শহীদ সালাউদ্দিন সেনানিবাস এবং পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেন পুলিশ। পরে সেনাবাহিনীর একটি টিম অবিস্ফোরিত শেলটি পর্যবেক্ষণ করে জানান এটি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর ব্যবহার করা শেল। ঘাটাইল থানার পরিদর্শক তদন্ত সজল খান বলেন, অবিস্ফোরিত শেলটি থানায় রাখা আছে। এরই মধ্যে সেনাবাহিনীর একটি টিম এসে পর্যবেক্ষণ করেছেন। তাদের ভাষ্য, শেলটি আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। সম্ভবত এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ব্যবহার করা পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর শেল।  তিনি আরও বলেন, শেলটি নিষ্ক্রিয় না সক্রিয় তা পরীক্ষা করে দেখার জন্য সেনাবাহিনীকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। 
২১ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:১৩

জামালপুরে সেই মর্টার শেল নিষ্ক্রিয় করল সেনাবাহিনী
জামালপুরের সদর উপজেলার কোজগড়ে জামালপুর-টাঙ্গাইল মহসড়কের পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া একটি মর্টার শেল বিস্ফোরণের মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় করেছে সেনাবাহিনী।  মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় মর্টার শেলটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়। জানা যায়, ঘাটাইলের ১৯ পদাতিক ডিভিশনের বোম ডিসপোজাল ইউনিট মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নিরাপদ স্থানে শেলটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করে। এ সময় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করে সেনাবাহিনী, র‌্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।  ঘাটাইল সেনানিবাসের ১৯ পদাতিক ডিভিশনের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশরাফুল কাদেরের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। বোমাটি নিষ্ক্রিয় করতে কাজ করেন ক্যাপ্টেন মোহতাসিম।  এ বিষয়ে জামালপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেনাজ ফেরদৌস বলেন, এটি ট্যাঙ্ক ধংসকারী একটি মর্টার শেল। ১৯৭১ সালে ব্যবহৃত হয়েছিল। তবে এই শেলটি কীভাবে এখানে এলো তা তদন্ত করে জানানো যাবে।  সোমবার সন্ধ্যায় জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের কোজগড় এলাকার জামালপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে পরিত্যক্ত জায়গায় এ মর্টার শেলটি দেখতে পান স্থানীয়রা। 
০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৪৪

জামালপুরে রাস্তার পাশে মর্টার শেলের সন্ধান
জামালপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কোজগড় এলাকায় মর্টার শেলের সন্ধান পাওয়া গেছে।  সোমবার (৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মর্টার শেলটি রাস্তার পাশে একটি পরিত্যক্ত জায়গায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। বর্তমানে জায়গায়টি ঘিরে রেখেছে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।  খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহনাজ ফেরদৌস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহরাব হোসেন।  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহনাজ ফেরদৌস জানান, কোজগড় ছোট জংলার মতো জায়গায় মর্টার শেলটি পাওয়া গেছে। একটি প্রসেসিংয়ের মাধ্যমে এটি ডিসপোজাল করা হবে। ইতোমধ্যে ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্টে যোগাযোগ করা হয়েছে। বোম ডিসপোজাল টিম মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছাবে। স্থানীয়দের ঘটনাস্থল থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়