• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
প্রবাসীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর জরায়ুতে মরিচ দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ
দীর্ঘ দুই বছর প্রবাস জীবন থেকে বাড়ীতে এসে যৌতুকের জন্য মারধর পরবর্তী স্ত্রীর জরায়ুতে মরিচ ভেঙ্গে দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্বামী শফিকের বিরুদ্ধে। নোয়াখালী হাতিয়া উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়রে ৯নং ওয়ার্ড দক্ষিণ সোনাদিয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) এঘটনায় ভোক্তভুগী নারী বাদী হয়ে যৌতুক নিরোধ আইনে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে সে উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অভিযুক্ত স্বামী মো. শফিক (৩০) সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড দক্ষিন সোনাদিয়া গ্রামের দুলাল উদ্দিনের ছেলে।     নির্যাতনের শিকার শারমিন আকতার বলেন, দুই বছর আগে আমার স্বামী মো. শফিক বিদেশে যায়। এইদিকে তার তিন সন্তানকে নিয়ে তারই বাড়ীতে শ্বশুর শ্বাশুড়ীসহ দিনাতিপাত করছি। গত ১৫ মার্চ সে সে বিদেশ থেকে দেশে আসে। কয়েকদিন পর আমা বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে বলেলে আমি অপরাগতা প্রকাশ করি। যার কারণে সে আমাকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করে এবং আমার সাথে সংসার না করার সিদ্ধান্ত নেয়। মার্চের ১৯ তারিখ আমাকে মারধর করার পর আমি আইনের আশ্রয় নিতে চাইলে তারা সামাজিক ভাবে মান্যগণ্য ব্যক্তিদের নিয়ে বসে এমন অপরাধ আর না করার অঙ্গীকার করে। পরে আমাকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। কিন্তু বাড়িতে নেয়ার পর গত সোমবার রাতে সে আমাকে মারধর করে এবং আমার জরায়ুতে কাঁচা মরিচ ভেঙ্গে দিয়ে দেয়। যার অসহ্য যন্ত্রণায় আজ দুইদিন আমি শারীরিক ও মানসিক ভাবে অসুস্থ্য হয়ে পড়ি। যন্ত্রনায় আমার চোখে কোন ঘুম নেই।   স্থানীয়রা জানান, ২০১৫ সালে জাহাজমারা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড বিরবিরি গ্রামের আবদুল হাসেমের মেয়ে শারমিন আক্তারের সঙ্গে সোনাদিয়া ইউনিয়নের দুলাল উদ্দিনের ছেলে মো. শফিক (৩০) এর পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ২টি ছেলে ও ১টি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় শফিক যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে আসছে। শারমিনের বাবা আবদুল হাসেম জানান, বিয়ের পর শফিককে কয়েক ধাপে টাকা দেয়া হয়েছে। তাদের সন্তানদের জন্য একটি গাভী গরু ও মাছের ট্রলার বানানোর সময় এক লাখ বিশ হাজার হাওলাত চাইলে তাও দেয়া হয়। তদুপরি সে বিদেশ যাওয়ার সময় একলাখ টাকা দাবি করলে সে টাকাও ধারদেনা করে তাকে দেয়া হয়েছে। তাছাড়া বিয়ের সময় উপহার হিসেবে দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার ও আসবাবপত্র দেয়া হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্য সে বিদেশ থেকে ফিরে এসে নতুন করে আবার তিন লাখ টাকা দাবি করলে আমি অপরাগতা প্রকাশ করি। যার কারণে সে সবসময় আমার মেয়েকে নির্যাতন করে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শফিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। তার স্বজনরা জানান সে হাতিয়ার বাহিরে অবস্থান করছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার ডা. ওয়াহিদুল হক জানান, ভিকটিমের বাম উরুতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আর জরায়ুতে নির্যাতনের বিষয়ে গাইনী ডাক্তারের কাছে রেফার করা হয়েছে।  হাতিয়া থানা পরিদর্শক (তদন্ত) সুদ্বীপ্ত রেজা জানান, এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৫১

লাল মরিচ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন সারিয়াকান্দির কৃষক
বগুড়া সারিয়াকান্দিতে লাল মরিচ প্রক্রিয়াজাত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলার চাষিরা। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং মজুরি খরচ বাড়ায় বেড়েছে উৎপাদন খরচ। বাজারে তুলনামূলক কম দামে কম লাভ পেয়েও কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক। হাইব্রিড মরিচে লাভ বেশি হওয়ায় বেড়েছে এ মরিচের চাষ। তবে কমেছে দেশি লাল মরিচের আবাদ। বগুড়ার বিখ্যাত এ লাল মরিচ সবচেয়ে বেশি উৎপন্ন হয় সারিয়াকান্দিতে। যমুনা এবং বাঙালি নদী বিধৌত এ উপজেলার মাটি বেলে দোআঁশ। তাই প্রাচীনকাল থেকেই এ উপজেলায় সবচেয়ে বেশি মরিচ উৎপন্ন হয় এবং উপজেলাটি লাল মরিচের জন্য বিখ্যাত। লাল মরিচের জন্য বিখ্যাত বগুড়ার কৃষকরা এখন মাঠে মাঠে লাল মরিচ উত্তোলন, তা পরিবহন করে বাড়িতে নিয়ে আসা, উত্তোলিত লাল মরিচ বাছাই করে উঠানে বা বড় কোনও চাতালে শুকাতে দেওয়া, শুকনো লাল মরিচ আবার বাছাই করে বাজারজাত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।  যমুনার বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর পরই জমিতে জো আসলে কৃষকরা দেশি মরিচের বীজ বপন বা হাইব্রিড মরিচের চারা রোপণ করেন। গত বছরগুলোতে দেশি মরিচে লাগাতার লোকসানের জন্য কৃষকরা হাইব্রিড জাতের মরিচ বেশি চাষ করেছেন। এ মরিচ দেশি মরিচের তুলনায় বেশি উৎপন্ন হয় এবং কাঁচা অবস্থাতেই মরিচ বাজারজাত করে বেশি মুনাফা হয় বলে কৃষকরা ঝুঁকেছেন হাইব্রিড মরিচে। ফলে এ উপজেলায় কমেছে দেশি মরিচের আবাদ।  এ দিকে সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল হালিম বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং শ্রমিকের চড়া মূল্য, উত্তোলনে খরচ বৃদ্ধি, নদীর নাব্যতা না থাকায় পরিবহন খরচ বৃদ্ধি প্রভূতির কারণে এবার লাল মরিচের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। এ খরচে বর্তমানে কমদামে মরিচ বিক্রি করেও তারা খুশি। তবে এরচেয়ে দাম আরও কমলে তারা ব্যাপকভাবে লোকসানের মুখে পরবেন।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৫৩

মরিচ গুলানো পানি পান করিয়ে হত্যা, ১৭ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে সালেহ মোহাম্মদ হত্যা মামলায় ১৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্তদের বাড়ি জেলার পাঁচবিবি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। এদের মধ্যে ২ জন পলাতক রয়েছেন। এ ছাড়া এ মামলা থেকে ৫ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। মামলার বিবরণে জানা গেছে, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আয়মারসুলপুর চকপাড়া গ্রামের মৃত আলতাফের ছেলে সালেহ মোহাম্মদের সঙ্গে আসামিদের দীর্ঘদিন জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ সংক্রান্ত একটি মামলা আদালতে বিচারাধীন ছিল। এরই জের ধরে ২০০৯ সালের ২ মে সকালে সালেহ মোহাম্মদ তার নিজ শ্যালোমেশিন ঘর থেকে বাড়ি ফেরার পথে আসামি মোহাম্মদ আলীর বাড়ির সামনে ওঁৎ পেতে থাকা  আসামিরা তাকে ধরে আমগাছের সঙ্গে হাত-পা বেঁধে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। এ সময় সালেহ মোহাম্মদ পানি পান করতে চাইলে আসামিরা মরিচ গুলানো পানি জোরপূর্বক পান করালে সে ছটফট করতে করতে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এরপর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়। এ ঘটনায় একই তারিখে পাঁচবিবি থানায় ২২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই আজিজুল হক। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ এ রায় দেন। জয়পুরহাট জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাড. নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩১

মরিচ চাষে ব্যস্ত উপকূলের কৃষকরা
চলতি মৌসুমে ব্যাপক হারে মরিচ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন পটুয়াখালীর  কলাপাড়া উপজেলার কৃষকরা। জমি তৈরি এবং চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছে চাষিরা। ভালো ফলন ও ন্যায্য দাম পাওয়ায় মরিচ চাষে আগ্রহ বাড়ছে তাদের। মরিচ চাষ বেশ লাভজনক হওয়ায় ধান চাষের পাশাপাশি মরিচ চাষেও আগ্রহী হচ্ছেন। মরিচের বীজ বপণের ৩০-৪০ দিনের মধ্যে গাছে ফুল আসে এবং ৬০-৭০ দিনের মধ্যে কৃষক গাছ থেকে মরিচ উত্তোলন শুরু হয়। এটি একটি অর্থকরী মসলা জাতীয় ফসল। জমিতে বিঘা প্রতি ১৫/২০ মণ মরিচ উৎপন্ন হয়। প্রতিমণ কাচা মরিচ হাটবাজারে ২৫শ’ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকায় বিক্রয় করতে পারে কৃষক। সরজমিনে কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার মরিচ চাষে ভালো লাভ হবে। বর্তমান বাজারে কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। অজ্ঞাত রোগে মরিচ গাছের পাতা শুকিয়ে অনেক ক্ষতি হচ্ছে। লতাচাপলী ইউনিয়নের কৃষক মাসুম জানান, গত বছর ১ একর জায়গায় মরিচ দিয়েছিলেন। খরচ শেষে তার এক লাখ টাকা লাভ হয়েছে। তাই এবারও তিনি ১.৫ একর জায়গায় মরিচ দিয়েছেন। যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে এ বছরও ভালো ফলন পাবার আশা তার। কুয়াকাটার কৃষক জাহাঙ্গীর জানান, এবার তিনি ২ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। প্রতি বছরের চেয়ে এবার বেশি পরিমাণ জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। মরিচ চাষে লাভ ভালো হয়। এবার তিনি বেশি ফলনের আশা করছেন। কলাপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসার কে আর এম সাইফুল্লাহ জানান, এ বছর ৬৮০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে। ফল বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি-সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রোগবালাই ও সার ব্যবস্থাপনা মাঠপর্যায়ে প্রত্যক্ষ করছে। আরও সহনশীল জাত উদ্ভাবনের লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ। উপজেলার প্রতিটি গ্রামে গিয়ে মরিচ চাষিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আশা করি, কৃষক এবার মরিচের ভালো দাম পাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে মরিচ চাষে কৃষকরা লাভবান হবেন।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:১৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়