• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
না ফেরার দেশে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী হাসিনা মমতাজ
ষাট ও সত্তরের দশকের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী হাসিনা মমতাজ মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন)। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের মা তিনি।   হাসিনা মমতাজ সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। তার গাওয়া ‘তন্দ্রাহারা নয়ন আমার’ গানটি দেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।  তার স্বামী রফিকুল ইসলাম খান ছিলেন ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বাদ জোহর মরহুমার জানাজা ধানমন্ডি ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে, হাসিনা মমতাজের মৃত্যুতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই), সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অফ বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল), বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম), বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেটস (বিএএসএম), সেন্ট্রাল কাউন্টার পার্টি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিসিবিএল), ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ডিবিএ), সিইও ফোরাম, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ), ক্যাপিটাল মার্কেট স্টেবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ), অ্যাসোসিয়েশন অফ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিজ অ্যান্ড মিউচুয়াল ফান্ডস (এএএমসিএমএফ), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি), ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজিএফ), বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনোয়োগকারী ঐক্য পরিষদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান শোক জানিয়েছেন।  
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৩১

সুযোগ বুঝে আমাকে টেনে-হিঁচড়ে নিচে নামিয়ে দিচ্ছে : মমতাজ
অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ (সিঙ্গাইর, হরিরামপুর ও সদরের একাংশ) আসনে আওয়ামী লীগের হয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম। তবে শেষপর্যন্ত বিজয়ের হাসি হাসতে পারেননি তিনি। তাকে টপকে ট্রাক প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদ আহমেদ টুলু। পরাজয়ের পর অন্য প্রার্থীরা মুখ খুললেও চুপ ছিলেন মমতাজ। তবে নিজের নেতাকর্মীর গায়ে হাত তোলায় ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে তার। নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়িয়ে গর্জে উঠেছেন তিনি। দিয়েছেন হুঁশিয়ারি। প্রায় সময়ই নানা মন্তব্য করেছেন।   এদিকে সামজিক যোগাযোগ মাধম্য থেকে শুরু করে অনেক মিডিয়াতেই মমতাজকে নিয়ে নানা ধরণের অভিযোগ উঠছে। বিষয়গুলো নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন। ফেসবুকে তিনি এক স্ট্যাটস দেন যেখনে তিনি লিখেন, নিজের খ্যাতিটাও মাঝে মাঝে গলার কাঁটা মনে হয়। সুনাম নষ্ট হবে এই ভয়ে মুখ বুজে কত যে অত্যাচার সহ্য করতে হয় তা আমি আর আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেনা। যা কিছু অর্জন করেছি তা আমার অনেক কষ্টের অর্জন। মা বাবা পীর মুর্শিদের দোয়াও আছে। আমার এই অর্জনের পিছনে নির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তির হাত না থাকলেও আজ সেটাকে ধ্বংস করতে কতিপয় কিছু ব্যক্তি উঠে পড়ে লেগেছে।  এই কণ্ঠশিল্পী আরও লিখেন, যারা কোনোদিনই আমার সুনাম, খ্যাতি, অর্জন, ভালো থাকা কোনোভাবেই সহ্য করতে পারে নাই, তবুও আমি আমার সাধ্যমতো তাদের কে সম্মান ও সহযোগিতা করে আসছি, কিন্তু লাভ হয়নি! সুযোগ বুঝে ঠিকই আমাকে টেনে হিচড়ে নিচে নামিয়ে দিচ্ছে। কষ্টটা হলো আমি যা না, আমি যা করিনি সেই অপবাদ আমাকে দিচ্ছে শুধু মাত্র কিছু অর্থ স্বার্থের বিনিময়ে। আমি জানি সত্যটা ঠিকই একদিন এ দেশের মানুষ জানবে শুধু সময়ের অপেক্ষামাত্র। আল্লাহ তুমি এই স্বার্থপর মানুষ গুলো কে হেদায়েত দান করো। প্রসঙ্গত, কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম ২০০৮ সালে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পান। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৫৭

আমি কিন্তু ডরে ঘরের কোণে বসে থাকা মহিলা না : মমতাজ
অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর এবারের নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ (সিঙ্গাইর, হরিরামপুর ও সদরের একাংশ) আসনে আওয়ামী লীগের হয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছেন কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম। তবে শেষপর্যন্ত বিজয়ের হাসি হাসতে পারেননি তিনি। তাকে টপকে ট্রাক প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদ আহমেদ টুলু। পরাজয়ের পর অন্য প্রার্থীরা মুখ খুললেও চুপ ছিলেন মমতাজ। তবে নিজের নেতাকর্মীর গায়ে হাত তোলায় ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে তার। নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়িয়ে গর্জে উঠেছেন তিনি। দিয়েছেন হুঁশিয়ারি। নির্বাচনে হারার পর মমতাজের ৫০–এর বেশি নেতাকর্মীর ওপর হামলা হয় বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হেরেও তাদের পাশে থাকার কথা বলেন মমতাজ। এ সময় মমতাজ বেগম বলেন, আমি সারা পৃথিবী চষে বেড়ানো মহিলা, আর দশটা মেয়ের মতো আমি না। আমার এই জনগণের জন্য জেল খাটতে রাজি আছি। আমার যদি মোকাবিলা করতে হয় রাজপথে দাঁড়ায়া, আপনাদের নিয়ে সবকিছু মোকাবিলা করব। জেল–জুলুল অত্যাচার কোনো কিছু আমাকে দাবায়ে রাখতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, আমি কিন্তু ডরে ঘরের কোণে বসে থাকা মহিলা না। আমি আপনাদের সঙ্গে আছি। এরপর থেকে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করব। হান্নান ভাই, মেয়র সবাইকে বলব, যেখানে যে ঘটনা ঘটবে, সেখানে সবাই মিলে প্রতিবাদ করব। প্রসঙ্গত, কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম ২০০৮ সালে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পান। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:২৫

নির্বাচনে হেরেও প্রধানমন্ত্রীকে গান শোনালেন মমতাজ
অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর এবারের নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ (সিঙ্গাইর, হরিরামপুর ও সদরের একাংশ) আসনে আওয়ামী লীগের হয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছেন কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম। তবে শেষপর্যন্ত বিজয়ের হাসি হাসতে পারেননি তিনি। তাকে টপকে ট্রাক প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদ আহমেদ টুলু। এর আগে সংসদ সদস্য থাকাকালীন বিভিন্ন সময় জাতীয় সংসদ অধিবেশনে গান করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন মমতাজ বেগম। তবে এবার যেন অতীতের সব আবেগ-অনুভূতিকে ছাড়িয়ে গেলেন এই গায়িকা ও মানিকগঞ্জ-২ আসনে নৌকা নিয়ে পরাজিত সাবেক সংসদ সদস্য। এবার তার গানে এক হয়ে মাতলো পুরো জনসভা। হাততালি আর সমর্থনে ভালোবাসা জানালেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। বুধবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় গান পরিবেশন করেন সাবেক এই সংসদ সদস্য। মমতাজের এমন পরিবেশনায় মুগ্ধ হন জনসভায় উপস্থিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সকলেই।  গানের শুরুতে মমতাজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য কোট করে বলেন, আমাদের নেত্রী বলেছেন, এই নৌকা নূহ নবীর নৌকা। এই নৌকা বঙ্গবন্ধুর ছয় দফার নৌকা। এই নৌকা শেখ হাসিনার উন্নয়নের নৌকা। এরপরেই গান শুরু করেন মমতাজ। গানের শুরুর লাইনে ছিল- ছিল নৌকা, আছে নৌকা, থাকবে নৌকা ইতিহাসে… বাংলাদেশের… প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ (সিঙ্গাইর, হরিরামপুর ও সদরের একাংশ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর কাছে হেরে গেছেন কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম। সব কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক) দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৫২৫ ভোট। অন্যদিকে, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী (নৌকা) মমতাজ বেগম পেয়েছেন ৭৮ হাজার ২৬৯ ভোট। ফলে ৬ হাজার ২৫৬ ভোট বেশি পেয়ে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু বিজয়ী হয়েছেন। আর পরাজিত হয়েছেন তিনবারের এমপি মমতাজ।
১১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩৪

প্রবাসী ও মৃতব্যক্তিদের ভোটও দেওয়া হয়েছে : মমতাজ
অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর এবারের নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ (সিঙ্গাইর, হরিরামপুর ও সদরের একাংশ) আসনে আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচন করেছেন কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম। তবে শেষপর্যন্ত বিজয়ের হাসি হাসতে পারেননি তিনি। তাকে টপকে ট্রাক প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদ আহমেদ টুলু। এদিকে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনেছেন মমতাজ বেগম। তিনি বলেছেন, ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর লোকজন অনিয়মে জড়িত ছিলেন। এ কারণে তার পরাজয় হয়েছে।  মঙ্গলবার  (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার পূর্বভাকুম এলাকায় নিজের বাড়ির উঠানে কর্মীসভায় এসব কথা বলেন মমতাজ। তিনি বলেন, সিংগাইর উপজেলার বলধরা, বায়রা ইউনিয়ন ও সিংগাইর পৌরসভার ভোটকেন্দ্রগুলোতে অস্বাভাবিক ভোট পড়েছে। বিদেশে আছে, মারা গেছে—তাদের ভোটও দেওয়া হয়েছে। আমি অন্য জায়গায় পাস করলেও এসব এলাকায় অস্বাভাবিক ভোট হওয়ায় পরাজিত হয়েছি। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু কালো টাকা ছড়িয়ে বিএনপি-জামায়াতের ভোট কিনে এমপি হয়েছেন। নির্বাচনের রাত থেকে তার লোকজন আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীর বাড়িতে হামলা করেছে। প্রতিনিয়ত আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা করছে, ককটেল ফাটাচ্ছে। তাদের হাত থেকে নারীরাও রেহাই পাচ্ছে না। অকথ্য ভাষায় গালাগালি করছে। তারা সিংগাইর পৌরসভার কাউন্সিলর সোহেল, তার স্ত্রী ও মেয়ের ওপর হামলা করেছে। চান্দহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের মুরগির খামারে আগুন দিয়েছে। জয়মন্টপ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসলামকে তারা মারধর করেছে। সে কোনোরকমে জীবন নিয়ে পালিয়েছে। তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের কারও ওপর হামলা হলে, আঘাত করলে আমাদের জানাবেন। আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হলে আমরাও বসে থাকব না। তবে আপনারা আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। আপনাদের কারও ওপর হামলা হলে আমরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সম্মিলিতভাবে আপনাদের পাশে দাঁড়াব। ভয় পাবেন না। অভিযোগের বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার রেহেনা আক্তার বলেন, তিনি আমাদের কাছে এই অভিযোগ দেননি। তিনি লিখিত অভিযোগ দিতে পারেন। অভিযোগ পেলে আমরা বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। এদিকে নির্বাচনের পরদিন সোমবার (৮ জানুয়ারি) আরটিভির সঙ্গে কণ্ঠশিল্পী মমতাজের কথা হলে তিনি বলেন, সকাল থেকেই বাসায় নেতাকর্মীরা আসছেন। তাদের সবার সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপে যাব। এদিকে নেতাকর্মীদের ওপর স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদ আহমেদ টুলুলের কর্মীরা হামলা করছে উল্লেখ করে এই কণ্ঠশিল্পী বলেছিলেন, সকাল থেকেই বিভিন্ন নেতাকর্মী এসে আমার কাছে অভিযোগ করছে যে তাদের নানাভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীরা অত্যাচার করছে। কারও খামারে আগুন দিচ্ছে, আবার কারও স্ত্রীর গায়ে হাত তুলছে, কাউকে কুপিয়ে জখম করছেন। মোট কথা আমাদের ওপর নানাভাবে অত্যাচার চলছে। প্রসঙ্গত, কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম ২০০৮ সালে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পান। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন।  
০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:৪১

যেসব কারণে নির্বাচনে ধরাশায়ী মমতাজ
এবারের নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ (সিঙ্গাইর, হরিরামপুর ও সদরের একাংশ) আসনে আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচন করেছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম। তবে শেষ পর্যন্ত বিজয়ের হাসি হাসতে পারলেন না তিনি। তাকে টপকে ট্রাক প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদ আহমেদ টুলু। মমতাজের হারের পর এলাকাবাসী তাকে নিয়ে মুখ খুলেছেন। তাদের অনেকের মতে, মমতাজ বেগম নিজের স্বার্থ সিদ্ধি করতেই ব্যস্ত ছিলেন। নিজের ইউনিয়ন ছাড়া অন্য কোথাও সেভাবে উন্নয়ন করেননি। এ ছাড়া এমন ধরাশায়ী হওয়ার পেছনে আরও বেশ কিছু যৌক্তিত কারণ তুলে ধরেছেন এলাকাবাসী। কারচুপি ও কালো টাকা ব্যবহারের অভিযোগ : সিঙ্গাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুর রহমানের মন্তব্য, কালোটাকার ব্যাপক বেপরোয়া ব্যবহার নির্বাচনকে প্রভাবিত করেছে। এ ছাড়া কোনো কোনো ভোটকেন্দ্রে কারচুপিও এই ফলাফলকে নিয়ন্ত্রণ করেছে। উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে বিরোধ : দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ-২ আসনের নির্বাচনী এলাকার হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান এবং সিঙ্গাইর উপজেলা পরিষদের (সদ্য পদত্যাগ করা) চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান খানের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন মমতাজ বেগম। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মুশফিকুর রহমানের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মমতাজ তার ঘনিষ্ঠ অনুসারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুর রহমানকে দাঁড় করান। নির্বাচনে মুশফিকুর রহমান উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে তাদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। মুশফিকুর রহমান এই নির্বাচনেও দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান। আর হরিরামপুরে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি পদে সাইদুর রহমানের সঙ্গে মমতাজ বেগমও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দেন। এরপর ওই নির্বাচন স্থগিত হলে উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমানের সঙ্গে মমতাজের তুমুল বিরোধ দেখা দেয়। সাইদুর রহমান স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচণ্ডভাবে প্রচার-প্রচারণায় নামেন। এটি ভোটের মাঠে মমতাজের কঠিন পরীক্ষায় পড়তে হয়। সৎ-মা ও তিন বোনের স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সমর্থন : মমতাজ বেগমের বাবা প্রয়াত মধু বয়াতীর প্রথম স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (সৎ-মা) ও সৎ তিন বোন মানিকগঞ্জ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুকে সমর্থন দিয়েছেন। এ বিষয়টিও এলাকার মানুষের মনে প্রভাব ফেলে। অনেকে এমনও বলছেন, যিনি পরিবারে সমর্থন পান না, তিনি সবার সমর্থন কীভাবে পাবেন। মমতাজের বোন শাহনাজ বেগম জয়মণ্টপ ইউপির সংরক্ষিত নারী সদস্য। তিনি বলেছিলেন, পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যায় মমতাজ বেগমকে তারা পাশে পাননি। উল্টো জমিজমা ও সম্পত্তি বণ্টনে বৈষম্য করেছেন। এ কারণে তারা ক্ষোভে বোনের প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছেন। এলাকার উন্নয়নে ব্যর্থতা ও গরিবদের অবহেলার অভিযোগ : মানিকগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কেউ কেউ বলেছেন, উন্নয়নে কোনো কাজই করেননি মমতাজ। গরিব মানুষকে তিনি অবহেলা করেছেন। সিঙ্গাইরে যা কিছু হয়েছে, সবকিছু তিনি তার আত্মীয়স্বজন দিয়েই করিয়েছেন। হারার পর কেউ কেউ ডিপজলের প্রসঙ্গও এনেছেন। বলেছেন, ‘তিনি (মমতাজ) ডিপজলকে এনে নির্বাচনী বক্তব্য দিয়েছেন। ডিপজল বলেছে, সানডে-মানডে ক্লোজ কইরা দেবে। ক্লোজ কইরা দিতে গিয়ে তো নিজেই ক্লোজ হয়ে গেছেন।’   ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়া : মানিকগঞ্জ-২ নির্বাচনী আসনে মোট ১১ জন চেয়ারম্যানের মধ্যে ৮ জন মমতাজের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন। তারা চেয়েছেন, মমতাজ ছাড়া অন্য কেউ আওয়ামী লীগের হয়ে সংসদ সদস্য হোক।  একজন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জানান, আমরা আটজন চেয়ারম্যান পাঁচ বছর ধরে তার সঙ্গে নেই। তিনি আমাদের অবমূল্যায়ন করেন, অসম্মান করেন। তিনি কিছু খারাপ লোক দ্বারা পরিবেষ্টিত আছেন। তারাই সব উন্নয়নমূলক কাজ করেন। আমরা চেয়ারম্যান হয়েও জনগণের জন্য কোনো কাজ করতে পারি না। তিনি থানা কমিটি করেছেন, সেখান থেকে আমাদের বাদ দেওয়ার চেষ্টাও করেছেন। পরে জেলা কমিটির মাধ্যমে নিজেদের জায়গা করেছি। আমি ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি, এরপরও আমাকে বাদ দিয়ে দিয়েছে। দুর্নীতিবাজদের তিনি পুনর্বাসন করেছেন। আমাদের কথাবার্তাকে তোয়াক্কা করেননি।  ভোটারদের আস্থা অর্জনে ব্যর্থতা: দলের প্রার্থীর পরাজয়ের বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দীন বলেন, ভোটারদের আস্থা অর্জন করতে না পারা এবং নেতাকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির কারণে মমতাজ বেগমের হেরে যাওয়ার মূল কারণ। এ ছাড়া বিভিন্ন দুর্নামেও পড়েছিলেন তিনি।   প্রসঙ্গত, কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম ২০০৮ সালে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পান। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৩৩

আমাদের ওপর অত্যাচার চলছে : মমতাজ
অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর এবারের নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ (সিঙ্গাইর, হরিরামপুর ও সদরের একাংশ) আসনে আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচন করেছেন কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম। তবে শেষ পর্যন্ত বিজয়ের হাসি হাসতে পারেননি তিনি। তাকে টপকে ট্রাক প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদ আহমেদ টুলু। নির্বাচনের পরদিন আরটিভির সঙ্গে কণ্ঠশিল্পী মমতাজের কথা হলে তিনি বলেন, আজ (৮ জানুয়ারি) সকাল থেকেই বাসায় নেতাকর্মীরা আসছেন। তাদের সবার সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপে যাব।  এদিকে নেতাকর্মীদের ওপর স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদ আহমেদ টুলুলের কর্মীরা হামলা করছে উল্লেখ করে এই কণ্ঠশিল্পী বলেন, সকাল থেকেই বিভিন্ন নেতাকর্মী এসে আমার কাছে অভিযোগ করছে যে তাদের নানাভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীরা অত্যাচার করছে। কারও খামারে আগুন দিচ্ছে, আবার কারও স্ত্রীর গায়ে হাত তুলছে, কাউকে কুপিয়ে জখম করছেন। মোট কথা আমাদের ওপর নানাভাবে অত্যাচার চলছে। প্রসঙ্গত, কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম ২০০৮ সালে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পান। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৩

বিনোদন অঙ্গন থেকে সংসদ সদস্য হলেন যারা
অনুষ্ঠিত হয়ে গেল জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে বিনোদন অঙ্গনের অনেকেই নির্বাচন করেছেন।  সেই কাতারে ছিলেন  অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর, নায়ক ফেরদৌস আহমেদ, কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম, নায়িকা মাহিয়া মাহি ও সংগীতশিল্পী ডলি সায়ন্তনী। তবে শেষ পর্যন্ত ভোটের লড়াইয়ে জয় লাভ করে জাতীয় সংসদে যেতে যাচ্ছেন অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর, নায়ক ফেরদৌস আহমেদ।  দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী-২ আসনে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী ও সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। এই আসনে সর্বমোট ১৩৫ টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, নৌকা প্রার্থী আসাদুজ্জামান নূর সবটি ভোট কেন্দ্র থেকে ১১৯,৩৩৯ ভোট পেয়েছেন। নূরের প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়নাল আবেদীন পেয়েছেন মাত্র ১৫৬৮৪ ভোট। এই আসনে আসাদুজ্জামান নূর এবং মোঃ জয়নাল আবেদীন ছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন জাতীয় পার্টির মোঃ শাহজাহান আলী চৌধুরী (লাঙ্গল) পেয়েছেন ৩,৮৪৩ ভোট এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের মোঃ মোরছালীন ইসলাম (ডাব) কোনো ভোটই পাননি। নীলফামারী-২ আসনে মোট ভোট কেন্দ্র ১৩৫টি। মোট ভোটার ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭৯ হাজার ৭১৮ এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৭৯ হাজার ৭৩ জন। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ১৭২টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ শেষে ঘোষিত ফলে আসাদুজ্জামান নূরের জয় নিশ্চিত হয়। এদিকে ঢাকা-১০ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেছেন নায়ক ফেরদৌস আহমেদ। প্রথমবার নির্বাচনে অংশ নিয়েই বাজিমাত করেছেন এই নায়ক। ঢাকা-১০ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি বিজয়ী হয়েছেন ফেরদৌস। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ৬৫ হাজার ৮৯৮টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী শামসুল আলম আম প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ২৫৭ ভোট। অন্যদিকে  চিত্র নায়িকা মাহিয়া মাহি রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসন থেকে ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। জয় নিয়ে শতভাগ আশাবাদি হলেও শেষ পর্যন্ত ৮ হাজারের কিছু বেশি ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন মাহি। কন্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম মানিকগঞ্জ-২ (সিঙ্গাইর, হরিরামপুর ও সদরের একাংশ) আসনে আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচন করেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত বিজয়ের হাসি হাসতে পারলেন না তিনি। তাকে টপকে ট্রাক মার্কা নিয়ে এগিয়ে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদ আহমেদ টুলু। মানিকগঞ্জ ২ আসনে মোট ভোট কেন্দ্র ১৯৩টি। এরমধ্যে ১৩০ টির ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে নৌকা প্রতীক নিয়ে মমতাজ পেয়েছেন ৫১ হাজার ২৩৩ ভোট। অন্যদিকে ৫৬ হাজার ৩৮৬ ভোট তার থেকে এগিয়ে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদ আহমেদ টুল। পাবনা-২ (সুজানগর-বেড়ার একাংশ) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন বিএনএমের প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন সংগীতশিল্পী ডলি সায়ন্তনী। তবে অনিয়মের অভিযোগ তুলে তিনি ভোট বর্জন করেন। 
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:৩৫

নৌকা নিয়েও স্বতন্ত্রের কাছে হেরে গেলেন মমতাজ
অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর এবারের নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ (সিঙ্গাইর, হরিরামপুর ও সদরের একাংশ) আসনে আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচন করেছেন কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম। তবে শেষ পর্যন্ত বিজয়ের হাসি হাসতে পারলেন না তিনি। তাকে টপকে ট্রাক মার্কা নিয়ে এগিয়ে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদ আহমেদ টুলু। মানিকগঞ্জ ২ আসনে মোট ভোট কেন্দ্র ১৯৩টি। এরমধ্যে ১৩০ টির ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে নৌকা প্রতীক নিয়ে মমতাজ পেয়েছেন ৫১ হাজার ২৩৩ ভোট। অন্যদিকে ৫৬ হাজার ৩৮৬ ভোট তার থেকে এগিয়ে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদ আহমেদ টুল। এর আগে, নির্বাচনে নিজের অবস্থা সম্পর্কে মমতাজ আরটিভিকে বলেন, আলহামদুলিল্লাহ্‌ খুব ভালো ভোটারদের সাড়া পাচ্ছি। আমার বিশ্বাস যে যাই বলুক না কেনো এবারও জয় নৌকারই হবে। দিনের প্রথম প্রহরে ভোট প্রদান করেছেন মমতাজ। সেসময় ভোটের পরিবেশ নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, সকালের দিকে কিছুটা কম ভোটার। আমার মনে হয় আস্তে-ধীরে ভোটাররা আসবে। আর দুপুরের দিকে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়বে। প্রার্থী হিসেবে দেখলাম, এখানে যারা দায়িত্বে রয়েছেন বিশেষ করে প্রশাসন, তারা খুব কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। আমার কাছে মনে হয় সবাই যখন জানতে পারবে- সুন্দর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে, তখন সবাই আসবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়বে। প্রসঙ্গত, কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম ২০০৮ সালে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পান। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন।  
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:১৭

নৌকা নিয়েও পিছিয়ে মমতাজ
অনুষ্ঠিত হয়ে গেল জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ (সিঙ্গাইর, হরিরামপুর ও সদরের একাংশ) আসনে আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচন করেছেন কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম। নির্বাচনের শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৯৩টি কেন্দ্রের মাঝে ৭৪টি কেন্দ্রের ফলাফলে পিছিয়ে আছে মমতাজ বেগম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাহিদ আহমেদ টুলু (ট্রাক)- ৪১,০৪০ ও মমতাজ বেগম (নৌকা)- ২৩,৭৬১ ভোট পেয়েছেন। এর আগে,  নির্বাচনে নিজের অবস্থা সম্পর্কে মমতাজ আরটিভিকে বলেন, আলহামদুলিল্লাহ্‌ খুব ভালো ভোটারদের সাড়া পাচ্ছি। আমার বিশ্বাস যে যাই বলুক না কেনো এবারও জয় নৌকারই হবে। প্রসঙ্গত, কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম ২০০৮ সালে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পান। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়