• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
মসিক নির্বাচন : মেয়র পদে ১, কাউন্সিলর পদে ৯ জনের মনোনয়ন প্রত্যাহার 
আগামী ৯ মার্চ ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচন (মসিক) থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন অ্যাডভোকেট ফারামার্জ আল নূর রাজীব। তবে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে কোনো প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলেও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ৯ কাউন্সিলর প্রার্থী। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টায় সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।         তিনি জানান, মেয়র পদে মোট ৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে মহানগরের সহসভাপতি অধ্যাপক গোলম ফেরদৌস জিল্লুর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। এরপর বাকি ৬ প্রার্থীর মধ্যে আজ প্রত্যাহারের শেষ দিনে মেয়র পদে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন অ্যাডভোকেট ফারামার্জ আল নূর রাজীব। বর্তমানে এই নির্বাচনে মেয়র পদে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ৫ জন। তারা হলেন সদ্য পদত্যাগ করা সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইকরামুল হক টিটু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাদেকুল হক খান (টজু), জাতীয় পার্টির প্রার্থী শহীদুল ইসলাম (স্বপন মণ্ডল) এবং কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সদস্য কৃষিবিদ ড. রেজাউল হক।   এছাড়াও এই নির্বাচনে নগরের ৩৩টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৬৪ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিলে যাচাই-বাছাই ও আপিলে টিকে থাকে ১৫৮ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে ৯ জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় বর্তমানে ৩৩ ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ১৪৯ জন।   তবে ১১টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় এই পদে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছে ৬৯ জন প্রার্থী বহাল রয়েছে।      সূত্রমতে, ঘনিয়ে আসা এই সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে নগরজুড়ে উত্তাপ ছড়াচ্ছে ভোটের হাওয়া। সেই সঙ্গে প্রার্থীদের বিরামহীন প্রচার ও প্রচারণায় চলছে ভোট প্রার্থনা।   জানা যায়, দেশের অষ্টম বিভাগ ময়মনসিংহ শহরের ঐতিহ্যবাহী পৌরসভাকে বিলুপ্ত করে ২০১৮ সালের ১৪ অক্টোবর সিটি করপোরেশন ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। ওই সময় ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন মো. ইকরামুল হক টিটু। এরপর মসিক গঠনের পর টিটুকে প্রশাসক হিসাবে নিযুক্ত করে সরকার। পরে ২০১৯ সালের ৫ মে অনুষ্ঠিত হয় এই সিটি করপোরেশন প্রথম নির্বাচন। সে সময় প্রশাসক পদে বহাল থেকেই নির্বাচনে অংশ নেন টিটু। ওই নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হন তিনি।       তবে এবারের নির্বাচনে বিএনপির কোনো প্রার্থী অংশ না নিলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ৪ জন এবং জাতীয় পার্টি থেকে একজন প্রার্থী নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। ফলে এই নির্বাচনে জমজমাট ভোটের লড়াইয়ে আশা করছেন ক্ষমতাসীনরা। তবে একপেশে নির্বাচনে সাধারণ ভোটারদের মাঝে কোন আগ্রহ নেই বলে মনে করছে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো।         প্রসঙ্গত, বর্তমান সিটি করপোরেশনে ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯০ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৮৭১ জন পুরুষ এবং ১ লাখ ৭২ হাজার ৬১০ জন নারী। এছাড়াও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে ৯ জন। তারা আগামী ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ১২৮টি ভোটে কেন্দ্রে ভোট প্রদান করবেন।     এই লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম।  
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৩৫

সংরক্ষিত নারী আসনের সব প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনে জমা দেওয়া সব কয়টি মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মুনিরুজ্জামান তালুকদার। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রার্থীদের উপস্থিতিতে যাচাই-বাচাই শেষে মনোনয়নপত্রগুলো বৈধ ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আর ভোটের তারিখ ১৪ মার্চ। কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে এ সময়ের পরই ঘোষণা হবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের নাম। এর আগে রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব মনিরুজ্জামান তালুকদারের কাছে দলের মনোনীত প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। সেই সময় ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আওয়ামী লীগ মনোনীত ৪৮ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। প্রার্থীদের মধ্যে একজন ১৪ দলীয় জোটের। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি আমরা। সেসময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রী বিশেষ সরকারি ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:১৪

সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন জমার শেষ দিন রোববার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় আগামীকাল রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি)। আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারবেন প্রার্থীরা। ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, ৫০টি সংরক্ষিত আসনের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৪৮টি আসন পাবে। আর জাতীয় পার্টি পাবে দুটি আসন। এ ছাড়া ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি, মনোনয়নপত্র দাখিলের বিরুদ্ধে আপিল ২২ ফেব্রুয়ারি, আপিল নিষ্পত্তি ২৪ ফেব্রুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি, প্রতীক বরাদ্দ ২৭ ফেব্রুয়ারি এবং ১৪ মার্চ সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।  আইন অনুযায়ী, সংসদের সাধারণ আসনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা সংরক্ষিত আসনের নির্বাচনের ভোটার হন। আর সংসদ নির্বাচনে জয়ী দলগুলোর আসনসংখ্যার অনুপাতে মহিলা আসন বণ্টন করা হয়। এ ক্ষেত্রে ছয়টি সাধারণ আসনের জন্য একটি সংরক্ষিত মহিলা আসন পাওয়া যায়। আর যেহেতু দলগুলো থেকে এসব আসনে প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া হয়, তাই সংরক্ষিত মহিলা আসনে সাধারণত ভোটের প্রয়োজন হয় না। ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে ভোটার তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলে ভোটের প্রয়োজন হবে না। তবে এরই মধ্যে দলগুলো তাদের প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করেছে। এতে ভোট হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এ দিকে প্রার্থীদের ঋণখেলাপের তথ্য দিতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে চিঠি দিয়েছে ইসি। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবকে সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন ইসির উপসচিব এম মাজহারুল ইসলাম।  চিঠিতে বলা হয়, আগামী ১৪ মার্চ দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ইতিমধ্যেই নির্বাচনী সময়সূচি জারি করা হয়েছে এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব মো. মনিরুজ্জামান তালুকদারকে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। এতে ঋণখেলাপি-সংক্রান্ত তথ্য ১৯ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময়সীমার পূর্বে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে দেওয়াসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়। উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২৯৯টি আসনের ফলাফলে ২২৩টিতে জয় পায় আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি ১১টি আসনে জয় পেয়েছে। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও কল্যাণ পার্টি একটি করে আসন পেয়েছে। আর ৬২টি আসনে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এরপর ৯ জানুয়ারি নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরদিন ১০ জানুয়ারি শপথ নেন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। একদিন পর ১১ জানুয়ারি শপথ নেন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। এর মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। আর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পঞ্চম মেয়াদে সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নেন।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫৯

সংরক্ষিত নারী আসনে জাপার মনোনয়ন পেলেন যারা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে জাতীয় পার্টির (জাপা) মনোনয়নপ্রত্যাশীদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। জাপা কো-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম ও ভাইস চেয়ারম্যান নূরুন নাহার বেগমকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার পর জাতীয় পার্টির যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মাহমুদ আলম বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে জাতীয় পার্টির পার্লামেন্টারি বোর্ড অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম (ঢাকা) ও নূরুন নাহার বেগমকে (ঠাকুরগাঁও) মনোনয়ন দিয়েছে। তিনি বলেন, শিগগির নির্বাচন কমিশনে তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, শেরিফা কাদের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের স্ত্রী। অন্যদিকে সালমা ইসলাম জাপার অন্যতম কো–চেয়ারম্যান। তিনি দেশের অন্যতম শিল্পপ্রতিষ্ঠান যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান। নুরুন নাহার বেগম দলের ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি ঠাকুরগাঁওয়ের জাপার সাবেক সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলামের আত্মীয়। এই দুজনই গত সংসদে সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন।  
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৫৪

সংরক্ষিত নারী আসনে আ.লীগের মনোনয়ন পেলেন যারা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের নাম ঘোষণা করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বুধবার ( ১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নাম ঘোষণা করেন তিনি। মনোনয়ন প্রাপ্তরা হলেন- ১. পঞ্চগড়ের রেজিয়া ইসলাম,  ২. ঠাকুরগাঁওয়ের দ্রৌপদী দেবী আগরওয়াল,  ৩. নীলফামারীর আশিকা সুলতানা,  ৪. জয়পুরহাটের ডা. রোকেয়া সুলতানা,  ৫. নাটোরের কোহেলি কুদ্দুস, ৬. চাঁপাইনবাবগঞ্জের জারা জাবীন মাহবুব,  ৭. খুলনার রুনু রেজা,  ৮. বাগেরহাটের ফরিদা আক্তার বানু,  ৯. বরগুনার ফারজানা সুমি,  ১০. ভোলার খালেদা বাহার বিউটি,  ১১. পটুয়াখালীর নাজনীন নাহার রশীদ,  ১২. নরসিংদীর ফরিদা ইয়াসমিন,  ১৩. ময়মনসিংহের উম্মি ফারজানা ছাত্তার,  ১৪. নেত্রকোণার নাদিয়া বিনতে আমিন,  ১৫. জয়পুরহাটের মাহফুজা সুলতানা,  ১৬. ঝিনাইদহের পারভীন জামান,  ১৭. কুমিল্লার আরমা দত্ত,  ১৮. সাতক্ষীরার লায়লা পারভীন, ১৯. খুলনার বেগম মন্নুজান সুফিয়ান,  ২০. গোপালগঞ্জের বেদৌরা আহমেদ সালাম,  ২১. ঢাকার শবনম জাহান,  ২২. ঢাকার পারুল আক্তার,  ২৩. ঢাকার সাবেরা বেগম,  ২৪. বরিশালের শাম্মী আহমেদ,  ২৫. ঢাকার নাহিদ ইজাহার খান,  ২৬. ফরিদপুরের ঝর্না হাসান,  ২৭. মুন্সীগঞ্জের ফজিলাতুন নেসা,  ২৮. ঢাকার শাহিদা তারেখ দীপ্তি,  ২৯. ঢাকার অনিমা মুক্তি গমেজ,  ৩০. ঢাকার শেখ আনার কলি পুতুল,  ৩১. নরসিংদীর মাসুদা সিদ্দীক রোজী,  ৩২. টাঙ্গাইলের তারানা হালিম,  ৩৩. টাঙ্গাইলের বেগম শামসুর নাহার,  ৩৪. গাজীপুরের মেহের আফরোজ,  ৩৫. টাঙ্গাইলের অপরাজিতা হক,  ৩৬. ঢাকার হাছিনা বারী চৌধুরী,  ৩৭. গোপালগঞ্জের নাজমা আকতার,  ৩৮. সিলেটের রুমা চক্রবর্তী,  ৩৯. লক্ষ্মীপুরের ফরিদুন্নাহার লাইলী, ৪০.  লক্ষ্মীপুরের আশ্রাফুন নেছা,  ৪১. নোয়াখালীর কানন আরা বেগম,  ৪২. চট্টগ্রামের শামীমা হারুন,  ৪৩. নোয়াখালীর ফরিদা খানম,  ৪৪. চট্টগ্রামের দিলোয়ারা ইউসুফ,  ৪৫. চট্টগ্রামের ওয়াসিকা আয়শা খান,  ৪৬. রাঙ্গামাটির জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যাঁ,  ৪৭. ঢাকার সানজিদা খানম,  ৪৮. রংপুরের মোছা. নাছিমা জামান (ববি)। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্ধারিত ৫০টি সংরক্ষিত আসনের মধ্যে ৪৮টি পাবে আওয়ামী লীগ। এই ৪৮টি আসনের বিপরীতে এক হাজার ৫৪৯ জন নারী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন। গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সংরক্ষিত আসনে মনোনয়নপত্র বিক্রি করে আওয়ামী লীগ। তিন দিনে ফরম বিক্রি করে দলটির মোট আয় হয়েছে ৭ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:১৯

নির্বাচনের মনোনয়ন নিতে পারলেন না বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শিক্ষক সমিতি নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম নিতে পারেননি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী।  নির্দিষ্ট সময়ে না আসায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি গঠনের লক্ষ্যে গঠিত নির্বাচন কমিশন তাকে মনোনয়ন ফরম দেননি। তবে কাজী ওমর সিদ্দিকী বলছেন, ‘এটা কোনোভাবেই শিক্ষক সুলভ আচরণ নয়।’ খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি কাজী ওমর সিদ্দিকী নির্ধারিত সময়ের আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ১৫টি ফরম কিনবেন বলে ফোন দিয়ে জানান। সে সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার তাকে এসে মনোয়ন ফরম সংগ্রহ করার জন্য অথবা প্রতিনিধি পাঠাতে বলেন। ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী যখন মনোনয়ন ফরম নিতে আসেন তখন তাকে সময় পার গিয়েছে বলে অবগত করা হয়। এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘একজন শিক্ষক হিসেবে আমি মনোনয়ন ফরম কিনতে গিয়েছি। সেখানে একজন শিক্ষকের সঙ্গে এমন আচরণ শিক্ষক সুলভ হয়নি। আমার ঘড়িতে তখন ৩টা ৩১ মিনিট বেজেছিল। রুমে ঢোকার পর প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাথে কথা বলতে আমার এক দুই মিনিট সময় ব্যয় হয়েছে।’ এ ব্যাপারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনারদের ঘড়ির সময় অনুযায়ী তিনি ৩টা ৩৩ মিনিটে মনোনয়ন ফরম নিতে আসেন। মনোনয়ন ফরম বিক্রির শেষ সময় ছিল ৩টা ৩০ মিনিট। তাই আমরা উনার কাছে মনোনয়ন ফরম বিক্রি করতে পারিনি।’
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৫৬

মনোনয়ন পেতে নতুন কৌশল, নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ
কেউ ছোট পর্দায় কাজ করছেন দীর্ঘদিন, আবার কেউ চলচ্চিত্রে লম্বা সময় অভিনয় করে পেয়েছেন কোটি ভক্তের ভালোবাসা। শোবিজের অনেক তারকাই বর্তমানে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ভক্তদের ভালোবাসাকে আর্শীবাদ হিসেবে নিয়ে রাজনীতির মাঠে নেতৃত্ব দিতে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন অনেক অভিনেত্রী। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে আওয়ামী লীগ। প্রথম দিনই অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস, নিপুণ আক্তার, সোহানা সাবা, মেহের আফরোজ শাওন, তানভিন সুইটি, ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, শাহনূর, শামিমা তুষ্টি ফরম সংগ্রহ করেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন মনোনয়ন পত্র কিনেছেন অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী ও নায়িকা মাহিয়া মাহি। তবে নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে তারা আশাবাদী বলেও জানিয়েছেন। মনোনয়ন ফরম  কিনে অপু বিশ্বাস বলেন, যেহেতু একজন অভিনেত্রী, আমি সবসময় জনগণের সঙ্গে ছিলাম। বরাবরই নারীদের উন্নয়ন করতে চাই। সেই জায়গা থেকেই যদি সুযোগ করে দেওয়া হয় তাহলে মানুষের জন্য কাজ করব। সবাই দোয়া করবেন, আশীর্বাদ করবেন যেন লক্ষ্য পূরণ করতে পারি। পাওয়া না পাওয়ার বিষয়টি আপেক্ষিক। তবে প্রত্যাশা করি, আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে। এদিকে প্রথম দিন মনোনয়ন পত্র কিনে অভিনেত্রী  শাহনূর সাংবাদিকদের বলেন, আমি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত। আমি নিজেও সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। তাছাড়া নির্বাচনী প্রচারণা থেকে শুরু করে নানা সময় বিএনপির অগ্নি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সক্রিয় ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনীত করলে তার নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে চাই। এ ছাড়া নারীদের জন্য কাজ করতে চান বলেও জানান তিনি। অভিনেত্রী  শাহনূরের এমন মন্তব্যের পর অনেকেই তার সমআলোচনা করেছেন। পাশাপাশি জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য অভিনেত্রীদের এমন দৌড়ঝাঁপ অনেকেই ভিন্ন চোখে দেখছেন। অনেকেই প্রশ্ন তুলে বলছেন তৃণমূল নেত্রীদের বাদ দিয়ে কি সরাকার তাদের মনোনয়ন দিবেন? আবার অনেকেই মনে করছেন কেবলই মনোনয়ন পেতেই  নির্বাচনী প্রচারণা সহ বেশ্ন কিছু দলীয় কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন অনেক তারকা।  এদিকে সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য অভিনেত্রীদের মনোনয়ন পত্র কেনার হিড়িক দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন আওয়ামী মহিলা লীগের সক্রিয় নেত্রীরা। শুধু ক্ষোভ নয়, স্বপ্নের সংসদ সদস্য পদ গ্ল্যামারের কাছে ধরাশয়ী হওয়ার শঙ্কায় রীতিমতো কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা। অশ্রুসিক্ত হয়ে যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি আসমান আক্তার রুনা গণমাধ্যমকে বলেন, অপু বিশ্বাস, নিপুণ, সোহানা সাবারা কোথা থেকে এলো? দুর্দিনে তো তাদের কাউকে কখনও মাঠে দেখলাম না। রাজনীতিতে এসে জীবন-যৌবন নষ্ট করছি। জেল খেটেছি, নিজের পাঁচটা বাড়ি বিক্রি করেছি। নিজের স্বামীও আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। কী লাভ হলো এতসব ত্যাগ করে। এখন যদি এই নায়িকারা এসে মনোনয়ন নিয়ে যায়, তাহলে আমাদের মরণ হওয়া উচিত। রুনা বলেন, দুর্দিনে রাজপথে ছিলাম। সেই অধিকার নিয়ে সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন ফরম কিনতে এসেছি। এসেই হতাশ হয়ে পড়লাম। নায়িকাদের ফরম কেনার অবস্থা দেখে হতাশ না হয়ে পারছি না। এই নায়িকারা কোথায় ছিল এতদিন? রাজপথে তো তাদের কাউকেই কখনও দেখিনি। তারা যদি আমাদের মতো কর্মীদের কিসমত মেরে খেতে আসে, তাহলে আমরা কোথায় গিয়ে দাঁড়াব। নায়িকাদের এমন মনোনয়ন পত্র কেনার বিষয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় ও সিনিয়র অভিনেত্রী  অরুণা বিশ্বাস আরটিভিকে বলেন, আসলে মনোনয়ন কেনা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে আমার বিশ্বাস মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ্যতা বুঝেই  মনোনয়ন দিবেন।  রাজনীতির মাঠে সক্রিয় না থেকেও সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন গ্রহণ করে অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা ও মমতাজ বেগম এর আগে সংসদ সদস্য হয়েছেন। তবে এবারের নির্বাচনে দল থেকে নির্বাচন করেও শেষ পর্যন্ত জয়ী হতে পারেনি কণ্ঠশিল্পী মমতাজ।  প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ৪৮টি সংরক্ষিত মহিলা আসনের বিপরীতে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে ১৫৪৯টি। গত তিন দিনে আওয়ামী লীগ এসব মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে। এতে দলটির আয় হয়েছে ৭ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এবার সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের প্রতিটি মনোনয়ন ফরমের মূল্য ধরা হয় ৫০ হাজার টাকা, একাদশ জাতীয় সংসদের ক্ষেত্রে এটা ছিল ৩০ হাজার টাকা।  
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩৬

৪৮ আসনের বিপরীতে আ.লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি ১৫৪৯
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ৪৮টি সংরক্ষিত মহিলা আসনের বিপরীতে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে ১৫৪৯টি। গত তিন দিনে আওয়ামী লীগ এসব মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে। এতে দলটির আয় হয়েছে ৭ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এর আগে, মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) থেকে ফরম বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়। যা আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে। শেষদিন দলটি ২১৭টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে। বিপরীতে আয় করে ১ কোটি ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। দ্বিতীয় দিন ৫২২টি ফরম বিক্রি করা হয়। এ থেকে মোট আয় হয় ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগ থেকে ১৬৭টি, ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে ৪৭টি, চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে ৭৮টি, সিলেট বিভাগ থেকে ২২টি, বরিশাল বিভাগ থেকে ৩৬ টি, খুলনা বিভাগ থেকে ৬৮টি,  রংপুর বিভাগ থেকে ৬০টি  এবং রাজশাহী বিভাগ থেকে ৪৪টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়। প্রথম দিন বিক্রি করেছিল ৮১০টি ফরম। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগ থেকে ২৭৫টি, ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে ৬২টি, চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে ১৪৯টি, সিলেট বিভাগ থেকে ২৬টি, বরিশাল বিভাগ থেকে ৫৬টি, খুলনা বিভাগ থেকে ৭৭টি, রংপুর বিভাগ থেকে ৭৫টি এবং রাজশাহী বিভাগ থেকে ৯০টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছিল। তিন দিনে ফরম সংগ্রহ করাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রীসহ অন্যান্য সংগঠনের পদধারীরা রয়েছেন। এই তালিকায় মন্ত্রী-এমপিদের স্ত্রী, আইনজীবী, অভিনেত্রী, এনজিও কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার নারীরা আছেন, আছেন হিজড়াও। এবার সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের প্রতিটি মনোনয়ন ফরমের মূল্য ধরা হয় ৫০ হাজার টাকা, একাদশ জাতীয় সংসদের ক্ষেত্রে এটা ছিল ৩০ হাজার টাকা।  
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:১৯

‘নায়িকারা মনোনয়ন পেলে আমাদের মরণ হওয়া উচিত’
বর্তমানে রাজনীতিতে নাম লেখাচ্ছেন চলচ্চিত্রের নায়ক-নায়িকারা। চলতি বছর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। এবার রাজনীতিতে নাম লেখালেন অপু বিশ্বাস, সোহানা সাবা ও নিপুণ।  রাজনীতির মাঠে সক্রিয় না থেকেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন তারা।  মঙ্গলবার (৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন ফরম কেনেন অপু-নিপুণরা। এদিকে নায়িকাদের ফরম কেনার হিড়িক দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন আওয়ামী মহিলা লীগের সক্রিয় নেত্রীরা। শুধু ক্ষোভ নয়, স্বপ্নের সংসদ সদস্য পদ গ্ল্যামারের কাছে ধরাশয়ী হওয়ার শঙ্কায় রীতিমতো কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা।    অশ্রুসিক্ত হয়ে যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি আসমান আক্তার রুনা বলেন, অপু বিশ্বাস, নিপুণ, সোহানা সাবারা কোথা থেকে এলো? দুর্দিনে তো তাদের কাউকে কখনও মাঠে দেখলাম না।   তিনি আরও বলেন, রাজনীতিতে এসে জীবন-যৌবন নষ্ট করছি। জেল খেটেছি, নিজের পাঁচটা বাড়ি বিক্রি করেছি। নিজের স্বামীও আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। কী লাভ হলো এতসব ত্যাগ করে। এখন যদি এই নায়িকারা এসে মনোনয়ন নিয়ে যায়, তাহলে আমাদের মরণ হওয়া উচিত। রুনা বলেন, দুর্দিনে রাজপথে ছিলাম। সেই অধিকার নিয়ে সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন ফরম কিনতে এসেছি। এসেই হতাশ হয়ে পড়লাম। নায়িকাদের ফরম কেনার অবস্থা দেখে হতাশ না হয়ে পারছি না। এই নায়িকারা কোথায় ছিল এতদিন? রাজপথে তো তাদের কাউকেই কখনও দেখিনি। তারা যদি আমাদের মতো কর্মীদের কিসমত মেরে খেতে আসে, তাহলে আমরা কোথায় গিয়ে দাঁড়াব।  
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:২৪

সংরক্ষিত নারী আসন / ২ ঘণ্টায় ২১০টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করল আ.লীগ
সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কাছে দ্বিতীয় দিন প্রথম দুই ঘণ্টায় ২১০টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে দলটি। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট মনোনয়ন বুথ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। মনোনয়ন ফরম বিক্রি করা বুথের তথ্য অনুযায়ী দুপুর ১২টা নাগাদ ঢাকা বিভাগ থেকে ৪৮টি, ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে ১০টি, চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে ২৪টি, সিলেট বিভাগ থেকে ৮টি, বরিশাল বিভাগ থেকে ৬৫টি, খুলনা বিভাগ থেকে ২২টি, রংপুর বিভাগ থেকে ১৫টি এবং রাজশাহী বিভাগ থেকে ১৮টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে। এর আগে প্রথম দিনের ফরম বিক্রি শেষে বিকেল সাড়ে ৪টায় আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান বলেন, প্রথম দিনে মোট ৮১০টি ফরম বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ঢাকা বিভাগ থেকে ২৭৫টি, ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে ৬২টি, চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে ১৪৯টি, সিলেট বিভাগ থেকে ২৬টি, বরিশাল বিভাগ থেকে ৫৬টি, খুলনা বিভাগ থেকে ৭৭টি, রংপুর বিভাগ থেকে ৭৫টি এবং রাজশাহী বিভাগ থেকে ৯০টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাবে বলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ফরম সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাবে।  
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:২০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়