• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বিয়ে-বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন শিমুল
শোবিজের একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা ও মডেল মনির খান শিমুল। ক্যারিয়ারে অসংখ্য টেলিফিল্ম, নাটক ও সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে অভিনেত্রী নাদিয়া আহমেদের সঙ্গে ভালোবেসে ঘর বেঁধেছিলেন এই অভিনেতা। তবে দীর্ঘস্থায়ী হয়নি তাদের সেই সংসার। দাম্পত্য জীবনের পাঁচ বছরের মধ্যেই সংসার জীবনের ইতি টানেন নাদিয়া-শিমুল।   পরবর্তীতে অভিনেতা নাঈম আহমেদকে বিয়ে করে পুনোরায় ঘর বাঁধেন নাদিয়া। বর্তমানে বেশ সুখেই আছেন তারা। নাদিয়া নতুন নীড়ের খোঁজ পেলেও শিমুল এখনও একাই রয়ে গেছেন। আগের মতো অভিনয়েও খুব একটা দেখা যায় না তাকে। এবার বিয়ে এবং বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুলেছেন শিমুল।   সম্প্রতি দেশের এক গণমাধ্যমে ব্যক্তিগত জীবন, বিয়ে-বিচ্ছেদ, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেন এই অভিনেতা।  এ সময় বিয়ে করছেন কবে? এমন প্রশ্নের জবাবে শিমুল বলেন, কখনোই বিয়ে করতে চাইনি। তবে সময়ের প্রয়োজনে বিয়ে করলাম। ভাবলাম জীবনটা সাজাবো। কেউ তো  ডিভোর্স চায় না। কিন্তু ডিভোর্স হয়ে গেল। বিয়ে যখন করব না বলেছিলাম, তখন আমার অনেক বড় বড় প্রজেক্ট ছিল, তখন আমি এগুলোর মধ্যে আবার ফিরে এলাম।   অভিনেতা আরও বলেন, বিয়ে হয়তো করব। কাউকে পছন্দ হয়ে গেলে, তার সঙ্গে বাকি জীবনটা হয়তো কাটাতে পারি। না হলে আমি এতগুলো প্রজেক্ট করেছি যে এদের সঙ্গে আমার জীবন কেটে যাবে। আমার বন্ধুদের একটি এতিমখানা আছে, চিন্তা করলাম, একজন বাচ্চাকে বড় না করে বেশ কিছু বাচ্চাকে বড় করি। আমি সব সময়ই অনেক আনন্দে থাকি, সৎ থাকি।  ডিভোর্স প্রসঙ্গে শিমুল বলেন, একটা বড় হুমকি ছিল, ডিভোর্সটা হয়ে গেলে মানুষ কী বলবে? কিছুই হয় না আসলে, এর চেয়েও খারাপ খারাপ জিনিস হয়। আমি জীবনে কোনো দিন ফাঁকি দিইনি। আমার সামনে থেকে কোনো প্রাণী-মানুষ অভুক্ত যায়নি।  অভিনয়ে অনিয়মিত থাকার ব্যাপারে তিনি বলেন, আগে ছিল বেগ, এখন হচ্ছে আবেগ। সব সময়ই বেছে বেছে কাজ করেছি আমি। টাকার জন্য কখনোই কাজ করিনি। আমরা ভালোবেসে কাজ করতাম। তবে এখন সময়টা পাল্টেছে। ভালো কাজের জন্য পরিবেশটাও জরুরি। ক্ষমতা, অর্থ থেকে শিল্পীদের একটু দূরে থাকাই উচিত। সিনেমা পরিচালনা নিয়ে শিমুল বলেন, সিনেমা বানানোর  পরিকল্পনা তো রয়েছেই।  সেই স্বপ্ন ২০ থেকে ২৫ বছরের। প্রাথমিক কাজ শুরু করেছি। মরে যাওয়ার আগে অন্তত একটা-দুটো-তিনটে সিনেমা বানাব।   
৩ ঘণ্টা আগে

ধর্ষণ মামলা : আ.লীগ থেকে বড় মনিরকে অব্যাহতি
টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম কিবরিয়া বড় মনিরকে দলীয় পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে দলটি। তাকে চূড়ান্ত অব্যাহতির জন্য দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের কাছে সুপারিশ করেছেন শহর আওয়ামী লীগের নেতারা, এমন তথ্যও জানা গেছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ রৌফ। তিনি বলেন, ঈদের আগে দলের সাধারণ সম্পাদকের কাছে গোলাম কিবরিয়াকে চূড়ান্ত অব্যাহতি প্রদানের জন্য সুপারিশ করে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদকের কোনো সিদ্ধান্ত এখনো পাওয়া যায়নি। জানা যায়, টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক এবং সাধারণ সম্পাদক এমএ রৌফ স্বাক্ষরিত এই পত্র পাঠানো হয়েছে। দলের ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমের মাধ্যমে সাধারণ সম্পাদকের কাছে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ প্রসঙ্গে গোলাম কিবরিয়া জানান, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তার ও তাদের পরিবারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ এবং রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য তার বিরুদ্ধে এ ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গোলাম কিবরিয়া বড় মনির টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের দলীয় সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনিরের ভাই। গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে গত বছর এপ্রিলে এক নারী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। ওই মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, ধর্ষণের ফলে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হন। পরে ওই নারী একটি ছেলেসন্তান জন্ম দেন। আদালতের নির্দেশে ওই সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। এতে বলা হয় ওই সন্তানের জৈবিক পিতা গোলাম কিবরিয়া নন। এর কয়েক মাস পর ওই নারী আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে ওই নারীর বড় বোন তার ভাই জনি মির্জা ও সৌরভ পালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২৩

সংসদে ডা. দীপু মনির বিচার চাইলেন সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী
‘আমার নির্বাচনী এলাকার মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজটিকে বিগত সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ধ্বংস করেছেন’ অভিযোগ করে গত সরকারের শিক্ষামন্ত্রীর বিচার দাবি করেছেন ঢাকা–১৫ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন তিনি। বক্তব্যে তিনি বিগত সরকারের শিক্ষামন্ত্রী বললেও নাম উল্লেখ করেননি। প্রসঙ্গত, গত বছরের সেপ্টেম্বরে মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের তখনকার অধ্যক্ষ মো. ফরহাদ হোসেনকে অবৈধ ঘোষণা করে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের তদন্ত কমিটি। তিনি সোয়া ২ বছর ধরে অবৈধভাবে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছিলেন উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের ২ জুলাই বয়স ৬০ বছর হওয়ার পরও তার চাকরির মেয়াদ তিন বছর বাড়ায় গভর্নিং বডি। এরপর পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতরের তদন্তে ফরহাদ হোসেনের নিয়োগ বিধিসম্মত না হওয়ার কথা জানানো হয়।  এ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যেই বিষয়টি উচ্চ আদালতে গড়ায়। পরে আদালতের নির্দেশে গত বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠতম শিক্ষক মো. জাকির হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দিতে নির্দেশ দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। তবে পরিচালনা কমিটি কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ৬ মার্চ প্রতিষ্ঠানটির মূল বালিকা বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যান জাকির হোসেন। তখন দুপক্ষের রেষারেষিতে অচলাবস্থা তৈরি হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনও করেছিলেন তৎকালীন শিল্প প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদার। এসময় শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন বর্তমান সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকা (মিরপুর-কাফরুল) অসংখ্য জামায়াতের নেতাকর্মী বসবাস করে। জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান চৌধুরী প্রার্থী হয়েছিলেন ২০১৮ সালের নির্বাচনে। সেখানের একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সেটি এখন ধ্বংসের মুখে পতিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় স্কুলটি পরিচালিত হয়ে আসছিল। হঠাৎ করে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও ঢাকার ডিসির কারসাজিতে জামায়াতকে ক্ষমতায় বসিয়ে আমার গড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি গত শিক্ষাবর্ষে পরীক্ষার ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে। ২৩০০ ছেলেমেয়ে ফেল করেছে। আগের বছর থেকে ১২০০ ছেলে মেয়ে জিপিএ-৫ কম পেয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক জামায়াতের, তাকে ক্ষমতায় বসানো হয়েছে। সে প্যারালাইসিসে ভুগছে, সে কথা বলতে পারে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বারবার বলার পরেও তাকে এখনো সরানো হয়নি। কোর্টের পর কোর্ট মামলা তারা করছে, স্কুলটাকে ধ্বংসের মুখোমুখি তারা নিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান স্কুলটাকে আপনি রক্ষা করুন। আপনার বরাদ্দ দেওয়া জমিতে আমি তিলে তিলে এ স্কুলটি গড়ে তুলেছি। এটি ননএমপিওভুক্ত ‍শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ট্রাস্টের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। আমি জানি না কী কারণে সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর কুনজর পড়েছে স্কুলটির ওপর। আমি তারও বিচার চাই।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:২৪

এমপি হলেন ছোট মনির, চার প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত 
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছোট মনির বিপুল পরিমাণ ভোটের ব্যবধানে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এ নিয়ে তিনি টানা দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন। রোববার (৭ জানুয়ারি) রাতে প্রকাশিত চূড়ান্ত ফলাফলে দেখা যায়, এ আসনে মোট ১৩৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩৭টি প্রাপ্ত কেন্দ্রে ছোট মনির পেয়েছে ১ লাখ ৫১ হাজার ৭৩০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকে ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু পেয়েছেন ৩০ হাজার ৪৮৬ ভোট। তারমধ্যে ভূঞাপুর উপজেলায় ছোট মনির নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৬৭ হাজার ১২৯ ভোট ও ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ১০ হাজার ৭১৬ ভোট এবং গোপালপুর উপজেলায় তিনি নৌকা পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৬০১ ভোট ও ঈগল প্রতীকের ঠান্ডু পেয়েছেন ১৯ হাজার ৭৭০ ভোট। এ ছাড়া এই দুই প্রার্থী ছাড়াও আরও ৪ প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেন। তারা হলেন- জাতীয় পার্টি মনোনীত মো. হুমায়ুন কবির তালুকদার (লাঙ্গল)। তিনি পেয়েছেন মোট ৪০২ ভোট, গণফ্রন্টের গোলাম সারোয়ার (মাছ)। তিনি পেয়েছেন মোট ৩১২ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. রেজাউল করিম ডাব প্রতীকে পেয়েছেন ৪৫১ ভোট এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. সাইফুল ইসলাম আম প্রতীকে পেয়েছেন ৩০৫ ভোট।
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়